আমার প্রথম জটিলতা “সরল অংক”।। এটা কাটি, ওটা কাটি, পেন্সিলের শিষ ভেঙ্গে অহেতুক শার্পনারে খোঁচাখুঁচি করি আর ভাবি এটা কেমন সরল অংক? জটিল বুঝি আরো কিছু বাকি আছে।। শুন্য অথবা এক, উত্তর যখন সরল, কি এসে যায় মধ্যখানের চড়াই উৎরাই এ।। সরলের গরলতা সেদিনই বুঝে গিয়েছি।।
এলো তৈলাক্ত বাঁশে বাঁদরের ঝোলাঝুলি।।
বাঁদরের মতো এতো পাজি নচ্ছার ডাল থেকে ডাল রেখে কি কারনে এক তৈলাক্ত বাঁশের পিছনে লাগলো তা আমার মাথায় ছোট প্রশ্নের মতো ঢুকে আকাশের সপ্তর্ষির মতো ঝুলে রইলো।।
অংক বিদ্বেষে পালক জড়ালো ফুটো চৌবাচ্চা।। 🙁
বলি আগে তো ফুটো বন্ধ করবি? নাকি পানি ভরবি আর খালি করবি??
সময়ের কাজ সময়ে না করে বাড়িয়ে দিলো একটার পর একটা ফুটো আমার মন জুড়ে।।
আমি বললাম তথাস্তু…
স্থিতি আর গতি বিদ্যার সেই ক্রিকেট বল, ফুটো মন তবু চালিয়ে নেয়া যাবে, এরা মনে দিলো ইলেক্ট্রো কনভালসিভ থেরাপি ।।
সপ্তম শ্রেণীতে এসে আবার আরেক মিথ্যে পন্ডিত, বিজ্ঞানের সব পাতায় পাতায় সাইনবোর্ড টানিয়ে দিলো, এসো নিজে করি… আমি তার আসার অপেক্ষায় অপেক্ষায় বুঝেই ফেললাম, এরই নাম অপেক্ষা… বললেই তো পারতো “যাও নিজে করো”… তামা, লোহা, এলুমিনিয়াম কতো কিছু নিয়ে আগুনের মাথায় ধরাধরি ।। নিজের অপারাতে সে যাত্রা কিভাবে পেরিয়েছি কে জানে?
অস্টম শ্রেণীতে এসে যখন, “Aim in life” রচনা পড়তে বসলাম, প্রথম লাইন সুই হয়ে ঢুকলো আজো তার ফাল হয়ে বের হয়ে আসার কোন লক্ষনই নাই… “Life in modern time is very complicated”.. পড়তে পড়তে ভাবতাম, সেই যে সাদা কালো সিনেমা থেকে দেখে আসছি “মানুষ আর আগের মতো নাই রে”, সেই আগের মানুষ গুলো না জানি কেমন ভালো ছিলো তাইলে।।
আমার আধুনিক প্রশ্ন আর মিথ্যাচারিতা সে আরো ভয়ংকর, তবু যেন হাল ধরতে শিখে গেছি, ভিত্তি মজবুত হয়ে গেছে ততোদিনে।। ইট এক নাম্বার কি তিন নাম্বার, বাড়ী টা দেখতে কিন্তু বেশ… 🙂
২৫টি মন্তব্য
বনলতা সেন
এই , সত্যি করে বলুনতো লেখায় কারও বাতাস লেগে গেল নাকি?
শব্দ বাক্য একটু কেমন কেমন জানি মনে হচ্ছে ।
জীবন কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে শেখে , আপনার মত চোখ কান খোলাদের কথা আরও আলাদা ।
অনেকদিন পর লিখলেন । জানিত , বলবেন এই কাজ ঐ কাজ , ধুর অত কাজের দরকারটা কী ?
খালি লিখবেন আর লিখবেন , আমরা শুধু পড়ব আর পড়ব ।
বেশ ভাল লাগছে আপনাকে পেয়ে ।
শুন্য শুন্যালয়
কার বাতাস বলুন তো, জ্বীন ভূত টূত নয়তো?
সত্যি কথা হচ্ছে, আমি লিখতে পারিনা, আমার মাথায় কিছুই আসেনা লেখার মতো …
আপনিও কিন্তু খুব অনিয়মিত লেখেন… তাড়াতাড়ি পোস্ট দিন, ভালো থাকুন …
হিপনোটক্সিক ইরেকটাস
বানানের কিছু ভুল থাকলেও পুরোটা পড়ে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। (y)
শুন্য শুন্যালয়
বানান ভুল আমার খুবই অপছন্দের একটা জিনিস, তবে লিখতে গিয়ে আমি সত্যিই অনেক শব্দে আটকে গিয়েছি, এর চেয়ে বরং ইংরেজি সহজ … 🙁
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যে… অনেক ধন্যবাদ -{@
জিসান শা ইকরাম
অংকে আমি বেশ ভালো ছিলাম, যদিও পদার্থ বিদ্যায় শুধু মুখস্থ করে পাশ।
বান্দরের অংকটা বেশ মজার, যেন ভিডিও দেখছি।
সুন্দর উপাস্থাপনা।
ভাগ্য ভালো আমার যে, ইট বানাই আমি, তা কেউ জানে না।
শুন্য শুন্যালয়
বলে দেবো সবাইকে যে আপনি ইট বানান 🙂
অংক আমার কাছে ভয়াবহ ছিলো বরাবরই …
আর যারা অংকে ভালো তারাও আমার কাছে ভয়াবহ … হা হা হা 🙂
হতভাগ্য কবি
আমি বিজ্ঞান আর অংক বুঝি না, তিতা লাগে। লেখায় ছন্দটা বেশ লাগেছে। বেশী লিখেন না কেন?
জীবনের সব সরল অংক মিলে যাক, শুভকামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
সরল অংক মেলানো সবচেয়ে কঠিন …
আপনাদের সুন্দর সুন্দর লেখা পড়তেই আমার বেশি ভালো লাগে…
শুভেচ্ছা অনেক -{@
মা মাটি দেশ
সময়ের সাথে সব কিছু বদলায় এটাই নিয়ম -{@ (y)
শুন্য শুন্যালয়
এখনো কি সেই অংক গুলো আছে নাকি বদলেছে জানিনা… হ্যাঁ সবকিছু বদলে যায়… ধন্যবাদ ভাইয়া…
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মাথা বেশ পরিষ্কার বুঝতে পারছি ।
সরল অংক তখনই বুঝে গেছেন এখন কী অবস্থা আল্লাই মালুম ।
দেখবেন মহা মূল্যবান মাথাটি যেন স্থানচ্যুত না হয় ।
আমি আপনার সাথে কুটি কুটি বার একমত আমরা পতনের শেষ ধাপে নেমে গেছি ।
আরও বেশি বেশি করে পড়তে চাই ই ।
শুন্য শুন্যালয়
কই আর বুঝলাম অংক, এখন চাল ডালের হিসাব রাখতে পারিনা বলে লোকের কথা শুনি 🙁
প্রহেলিকা
শ্রদ্ধেয়া বনলতা সেনে-এর বই ম্যালা, শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ হেলাল-এর পথিক এই দুইটা লিখা পড়ে মাথার উপরিভাগে যে স্টেডিয়াম তৈরী হয়ে গেল! যাইহোক আপনার প্যাচাল পড়ে মনে হলো তাদের দু’জনের বাতাস কিন্তু পুরো সোনেলাতেই লেগেছে যেটা জন্তর মন্তর ফুঁ তেও আর কাজ হবে না। আপনিত ভালই ছিলেন এই অপদার্থের বোধগম্য হওয়ার মতই উপস্থাপন করতেন কিন্তু এখন একই হয়ে গেল ??? না আপনাকে কোনো দোষারোপ করব না সব দোষ ঐ দু’জনের। আচ্ছা সহজ একটা প্রশ্ন করি আপনাকে ??? কঠিন কঠিন লিখাগুলো সহজ করার কোনো কনভার্টার কি বের হয়েছে ??? যদি বের হয়ে থাকে কোথায় পাব বলে দিবেন একটু??? :D) ^:^
প্রহেলিকা
একবার এসে না মন্তব্য করতে না পেরে ফিরে গেছি ভাবলাম মাথাটা একটু শীতল জলে চুবিয়ে আনি এখন এসেও দেখি লাভ হবে না পারব না মন্তব্য করতে।
কি বাঁদর, পাজি নচ্ছার,তৈলাক্ত বাঁশ,আকাশের সপ্তর্ষি,পালক জড়ালো ফুটো চৌবাচ্চা আবার একটু পরে ক্রিকেট বল চলে আসলো আবার দেখি লেক্ট্রো কনভালসিভ থেরাপি উফফ !!!! না না আমার দ্বারা সম্ভব না আপনার মত আমি এত সহজ লিখা পড়তে পারিনা। বাবা কথাই সত্য আমি আসলেই একটা অপদার্থ। :Cry:
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা… ব্যাপার না আমার পদার্থ বিজ্ঞানের স্যার বলতেন, আমি পদার্থ বাকি সব অপদার্থ 😀
ছোট বেলায় সরল অংক, তৈলাক্ত বাঁশে বানরের উঠতে নামতে কত সময় লাগে, চৌবাচ্চা ফুটো হলে পানি ভরতে কতো সময় লাগে এই অংক গুলো করেন নি মশাই? এই সব জটের অংক আমার মাথা পিচ্চিবেলাতেই খারাপ করে দিয়েছে, সেগুলো নিয়েই লেখা…মাথা শীতল না হইলে বইলেন, ছাইরাছ ভাইকে ডাক দেবো… 🙂
প্রহেলিকা
ব্যাথা পেলাম অনেকটা। খুব কষ্ট পেলাম আপনার মন্তব্যে। কষ্টটা বেশি পেলাম বলেই বলে ফেললাম।
প্রহেলিকা
টুপ করে ঝরে গেল দু’ফোটা জল।
শুন্য শুন্যালয়
কেনো বলুন তো? 😮 আপনি বুঝতে ভুল করেছেন হয়তো তাই কস্ট পেয়েছেন…
আমার পদার্থ বিজ্ঞানের স্যার তার নিজের কথা বলেছেন, আমার কথা নয়, উনি পদার্থ বিজ্ঞান পড়াতেন, তাই উনি পদার্থ বাকি সবাই উল্টোটা …
ভুল বুঝে কস্ট পাবেন না, তবে বলে ফেলেছে দেখে ভালো লেগেছে… আমি কাওকে কস্ট দিতে পারিনা … ভালো থাকুন
ছাইরাছ হেলাল
ভাইও , আমি কিছু করি নাই ,নাদান পাবলিক ।
ব্লগিংটা সত্যি মজার , সত্যি সুন্দর ,
এমন করেই । শুভ সকাল আপনাকেই ।
প্রহেলিকা
না না আসলে স্মৃতির ঘরে জং ধরে যাওয়া তালা টা খুলে গেছে তাই আমি আবার কোনো কিছু চেপে রাখতে পারিনা তো তাই বলে ফেললাম। মাথা খারাপ আপনার কোনো কথায় নয় আসলে একটি শব্দ ছিল যেটা আমার জন্য একটু কষ্ট বয়ে এনেছে সেটাতে আপনার দোষ নেই আসলে।
আশা করি বুঝতে পারবেন আমার ফেইসবুক আইডির নামটা দেখলেই https://www.facebook.com/aminporobashi
যাই হোক আমি বরাবরই অংকে কাঁচা এমনকি এসএসসি-এর আগে গণিতে কখনো পাশ করেছি কিনা সন্দেহ। থাক বাবা আর বলবেন না এই গণিতের নাম শুনলেও ভয় লাগে। আর ভুলেও হেলাল ভাইকে ডাকতে যাবেন না উনি আসলে তো হয়েছেই বুঝতেই পারছেন কি হবে। তবে হা আপনার প্যাচাল কিন্তু অনেক কঠিন হয়েছে জলদি সোজা করে কনভার্ট করে দিন। আপনি আবার রাগ করেননিতো ??আমি আমার একটি স্মৃতি শেয়ার করলাম মাত্র আপু।
শুন্য শুন্যালয়
না রাগ করিনি, তবে কাওকে কস্ট দিয়ে ফেললে নিজের কাছে খারাপ লাগে…
লেখাটি কি খুব কঠিন হয়েছে? কেমন করে হলো এইটা? 😮
১। সরল অংকগুলো অনেক বিশাল ছিলো, কাটাকাটি করে উত্তর বেশির ভাগ দেখা যেতো ০ অথবা ১ হতো …
একটা জায়গায় কাটাকাটি ভুল করলেই অংক আর মিলতো না কিছুতেই … ভয়াবহ
২। তৈলাক্ত এক বাঁশ বেয়ে বাঁদর উঠছে আর নামছে এরকম একটা অংক ছিল, চৌবাচ্চায় দুটো ফুটো থাকলে পানি ভরতে আর খালি হতে কতো সময় লাগবে এমন অংকও ছিলো ।।
৩।বিজ্ঞান বই ভরা ছিলো শুধু এসো নিজে করি প্রাক্টিক্যাল…
ছোট বেলার বইপত্র এখনও মাথায় ঘোরে…
কস্ট করে পড়ছেন বলে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া…
লীলাবতী
প্যাচাল এত সুন্দর হয়, জানা ছিল না। আমি কবে যে এমন প্যাচাল লিখবো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এহ লীলাবতী দি কেমন লেখে আমরা সবাই জানি তা… 🙁
লীলাবতী
প্রসংসা করিয়া লজ্জা দিবেন না :p
শুন্য শুন্যালয়
লজ্জা ছাড়া কি লীলাবতী কে মানায়?