চিত্রপটের উপর চিত্রসমৃদ্ধ গহীনের ভেতর বালিয়াড়ীতে অস্পষ্ট অন্ধকারে একটি স্পষ্ট ছায়া, স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এমন এক ছায়া দেখে থমকে গেলো পথিক। যেনো তাকেই ডাকছে সেই ছায়া। দূর হতেই বুঝতে পারলো ওটি এক রমনী মূর্তি। দেহসৌষ্ঠবসম্পন্না এমন নারীকে এড়িয়ে যাবার জন্যেই ঘর ছেড়েছে। নাহ! কিছুতেই ওই ছায়ার মুখোমুখি হবে না সে। বানপ্রস্থে যাবার প্রাক্কালে এমন বৈপরীত্যের জঙ্গলে কোনোক্রমেই নয়। তবুও মন উচাটন। হাতছানি দিচ্ছে যেনো ওই ছায়া। নিজেরই অজান্তে কখন যে পা চলতে শুরু করলো, যেনো অন্য কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। গার্হস্থ্য আশ্রম ছেড়ে এ কোথায় যাচ্ছে পথিকের পা? অপলক দৃষ্টির সামনে বদলে যাচ্ছে এক একটি দৃশ্যপট। এবারে ওই ছায়া নড়ে উঠলো। আস্তে আস্তে স্থানবদল, সমুদ্রের দিকে হাঁটতে লাগলো সেই ছায়া। যতোই কাছে এগুচ্ছে, সেই নারী ততোই দূরে যাচ্ছে। পথিকের মনে ভয়, অশরিরী নয়তো! সে যা-ই হোক তার কাছে তবু যাওয়া চাই-ই চাই। কোনো স্পর্শচিন্তা আসেনি এখনও তার মনে। শুধু ওই ছায়াকে দেখার অদম্য ইচ্ছের জন্ম হয়ে গেছে, এমনকি নিজের মন রেখে হলেও ওই মনকে জানারও ইচ্ছে।
অবশেষে সারাটি রাত্রি পার করে পথিক পৌঁছুলো অ-যাত্রার গন্তব্যে।
“এ কি! এ তো সেই!!উফ নন্দিনী? তুমি এখানে!!!” শ্রীহীন কুরূপা ওই মুখ দেখার জন্যে এতো কষ্ট করতে হলো, ভেতরে ভেতরে গজগজ করছে পথিক। ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত এতোটা পথ জল-খাদ্যহীন, নির্ঘূম রাতের পর এমন সকাল আসবে ভাবেনি।
/\কোথায় যাচ্ছো?
[] জলের সন্ধানে, তুমি পিপাসার্ত।
/\মায়াবী রহস্যপুরীর জল কোথায় পাবে এখানে?
[]সবুজ অরণ্যের ওদিকেই ঝর্ণা আছে, এসো।
/\সব বুঝি মনে রেখেছো?
[]ভুলে যাবার কি কথা ছিলো?
আবার নীরব-নিশ্চুপ, সুনসান চারিদিক। অনেক দূর থেকে পাখীর কিচির-মিচির। ঝর্ণার কাছে পৌঁছে গেলো দুজনেই।
/\সবুজের ভেতর যে লাল সে তোমার কাছে নেই নন্দিনী।
ডাগর কালো চোখের অমন স্থির দৃষ্টি আজ পথিককে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? অমন কুশ্রী মুখ অথচ দিঘীর কালো জলের মতো গভীর ওই চোখে হারিয়ে যাচ্ছে কেন? সবুজ শাড়ীটা ঝর্ণার পাড়ে। নিরাবরণ শরীর নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো নন্দিনী। পথিকের শরীরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেগে উঠলো সেই আবেগ, যে আবেগে ভেসে যায় সব। সত্যি কি এ নন্দিনী? নাকি অশরিরী?
/\তুমি নন্দিনী নও। এতো সুন্দর সে নয়! কোনো দেবী কি তুমি? নাকি আত্মা?
[]পথিক তুমি পথ হারিয়েছো। আমি কুন্তলা। ওখানে, ওই যে তোমার নন্দিনী।
/\নন্দিনীকে চাইনা আমি। আমাকে তোমায় দাও। তোমার অমন মোহনীয় রূপ দেখে আর ফিরে যেতে পারবোনা। বানপ্রস্থ নয়, আসলে আমি নন্দিনীকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছি।
[]পথিক জানো, মানুষের স্বপ্ন সাজিয়ে রাখার একমাত্র জায়গা কোথায়? এই হৃদয়। এই হৃদয়েই প্রেম এবং ঘৃণা পাশাপাশি থাকে।
/\এসব কথা কেন হে দেবী? আমার সমস্ত প্রেম তোমাকেই দেবো।
[]তোমার কাছে আমি সময় হে পথিক, নন্দিনীর কাছে তুমি অনন্ত-অসীম। সময়ের আমায় ফেলে তুমি আরেক সময়ে চলে যাবে। নন্দিনীকে এড়াতে নয়, তুমি সুশ্রী মুখ খুঁজছো।
**কুন্তলা চুপ করো। ও পথিক নয়। আমার স্বপ্ননীল। ওর যেখানে ইচ্ছে মন চায় যাক। ও যদি কাউকে ভালোওবাসে, বাসুক। এই আমার সময়কে ফেলে আরেক নতূন সময়েই তো যাচ্ছে। তাহলে সময়ের বাইরে তো ওর আর যাওয়াই হলোনা। সময়ের সাথে একটি মুখের অভ্যেস আরেকটি মুখ পেলেই ভুলে কি যাওয়া যায় আদৌ?
[]চুপ করো নন্দিনী। তবে জেনে রাখো, আস্ত একটি প্রেমের অতীত ভুলতে একটি শরীরই যথেষ্ট। কাঁদছো না কেন তুমি? তোমার স্বপ্ননীল তোমাকে ভালোবাসেনা।
**কুন্তলা চোখের জল বিসর্জন দিতে গেলে কোনো একটা কষ্ট-যন্ত্রণার প্রয়োজন পড়ে। আজ আনন্দের দিন। স্বপ্ননীল গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।
**”পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছো?” বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুন্ডলার এই উক্তিটা বেশ কিছুদিন থেকে মাথার ভেতর খুঁচিয়েই যাচ্ছিলো। সেই ভাবনা থেকে নেয়া কিন্তু অবশ্যই তুলনা করলে আমার কপালে ঝাঁটাপেটার সম্ভাবনা। তাই আগে-ভাগেই করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার এই আউলা-ঝাউলা লেখাটি এখানে পোষ্ট আকারে পোষ্ট করার জন্য। পথিক পথ হারালে তাকে পথ ধরিয়ে দেয়ার মানুষ আছে, আমায় গালি-বকা-ঝাড়ি-ধুনা দেয়ার জন্য মানুষের অভাব নেই। তাই পথ হারালে কোনো নবকুমারও এসে হাত ধরে বলবে না হে দেবী চলো এই পথে। 😀 :D)
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৯ অক্টোবর, ২০১৫ ইং।
৩৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
লেখা সম্পর্কে একমাত্র বলা যায় অসাধারন একটি লেখা
পথিক পথ হারায়
কেউ ইচ্ছে করেই হারাতে চায়……… অ-নিদৃষ্ট গন্তব্যে
কেউ বা আবার অনিচ্ছায়……
পথ, সময় এসব সঠিক ভাবে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা পথিক আসলে ভাবে তার জন্যে কোনো বারান্দা নেই। নাগরিক জীবন-যাপনকে আগলে নিতে ভয় পায়। আবার আমাদের ভেতর এক যাযাবর মন বাস করে, সে ছুটতে চায়। কিন্তু অতো কি ছুটে চলা যায়? ছায়ার প্রয়োজন পড়ে। গাছের ছায়া কতো আর বাঁচাবে রোদ-বৃষ্টি থেকে। গৃহের ছাদ, ওর আঁচল যে জীবনে লাগেই। তাই তো পথিক পথ হারাতে চাইলেও পারেনা।
পথিক ফিরে আসেই। কি সুন্দর মন্তব্য করেছো তুমি, জানো? -{@ (3
ছাইরাছ হেলাল
যতদূর মনে পর এখানে এমন লেখা মনে হয় আমরা এই প্রথম বার পড়লাম।
লেখার বক্তব্যের সাথে (যেটুকু আমি অন্তত বুঝেছি) পুরোপুরি এক মত নই।
সময়ের বাস্তব বাস্তবতায় আমাদের চলার পথের দিক গুলো বিভিন্ন আঁক বাঁকে দাঁড়ায়, অপরিকল্পিত পরিকল্পনায়,
দ্বিধা থাকে, থাকে দ্বন্দ্ব, থাকে কুহকের হাতছানি। প্রকৃত ছন্দ খুঁজে পাওয়া খুঁজে নেয়া সত্যি ই জটিল।
কেউ কেউ সাহায্যের হাত পেয়ে যান, আবার কেউ সাহায্য না পেয়েও নিজ গুনে সঠিক পথ ও পেয়ে যান। তাই পথিকের পথ হারানোয় যাওয়া হয় না, হারানোর ভয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার চেষ্টা ও থাকে। আবার সব সময় অতীত আকড়ে থেকে সামনে এগুনো যায় না, প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ ছাড়া, প্রতিটি স্বপ্ন চাওয়ার ও কিছু পাওয়া থাকে, হয়ত পাওয়া চাওয়ার মত হয় না, তবু মানবিক একান্ত প্রেমময় সম্পর্কটি হিরন্ময়, জেগেই থাকে ধ্রুব তারা হয়ে, শিশুর অস্থিরতার বাইরে গিয়ে ও কঠিন বাস্তবতায়।
নাদান পাবলিকের জন্য খুবই কঠিন লেখা।
ওহ, আপনি গুরু!!(ভুয়া) মুনেই থাকতে চায় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সহমত পোষণ করলাম।
তবে জীবনে ভালোবাসলেই হারানোর ভয়ের জন্ম হয়। এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। ছেড়ে দিয়েও ধরে রাখার চিরন্তন এক ভাবনা সকলেরই থাকে। কেউ কেউ জীবনে অনেক কিছু হারিয়ে আর ভরসা করতে পারেনা কাউকে। এমনকি বিশ্বাসও হারায়। কিন্তু জীবন তো এমনই। হারানো এবং পাওয়া সমান্তরাল। সবসময় কি আর না-পাওয়াই থাকে? একসময় পাওয়া হয়েই যায়। তাইতো পথিক পথ হারাতে পারেনা, হাজার চাইলেও। পিছুটান ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
ভুয়া নাকি ঠুয়া এ তো আপনি-ই জানেন! আর এটা যদি হয় কঠিন লেখা, তাহলে নন্দিনীর স্বপ্ননীল সন্ন্যাসে রওয়ানা দিতো! 😀
আবু খায়ের আনিছ
এত বই পড়া হল কিন্তু এই বইটা আজো পড়া হল না। আগে বইটা পড়ে নেই তারপর অন্যকিছু।
নীলাঞ্জনা নীলা
উপন্যাসটির সাথে কিছু মিল নেই আনিছ ভাই। একটি লাইন আমায় এটি লিখিয়েছে। “পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো?” প্রথম দেখা যখন হয় নবকুমারের সাথে কপালকুন্ডলার। কপালকুন্ডলা এ প্রশ্নটি করে তখন।
আবু খায়ের আনিছ
বইটার রিভিউ পড়েছি, সংগ্রহ করেছি কিন্তু পড়া হয়নি এখনো। আমার বদ অভ্যাস হল আমি বই পড়ি সিরিয়াল ধরে। সংগ্রহ করি যেই সিরিয়ালে বইও পড়ি সেই সিরিয়াল অনুযায়ী।
তোমার লেখা নিয়ে কিছু বলি নাই কারণ বরাবরের মতই ভালো একটা লেখা পড়েছি সেই জন্য আর ভালো বলি নাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাই যা লিখি সেসবকে লেখার আসনে বসানোর মতো না। এসব সবাই পারে লিখতে। মনের টানে লিখি, আর সেসব এখানে দিয়ে দিই। আমার মধ্যে কিছু ভালো হয়তো আছে আর তাই ভালোবাসেন। সেজন্য এসব আক্কা-খাক্কা লেখাকে ভালো বলেন।
হুম বইটি পড়বেন। যদিও বঙ্কিমের লেখা আমার পছন্দ কম। কিন্তু পড়তে হয়েছে, আবার কিছু না-পছন্দ কেন এটা নিজেকে জানাতেও পড়েছি।
নাসির সারওয়ার
এসব লেখার জন্য একটা তীর প্রদর্শন দেয়া হোক। মন্তব্য লেখার জন্য আর কতবার যে পড়তে হয় কে জানে। তারপর ও কি পারবো কিছু উদ্ধার করতে?
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ু এটা একটা লেখার জাত হলো নাকি? হায়রে! সহজ কথায় বলি, পথিককে যে ভালোবাসে, পথিক তাকে এড়াতে নন্দিনীকে ত্যাগ করে। আরে বাংলা সিনেমা আছে না কিছু ভুজুং-ভাজুং? এই টাইপ ফালতু একটা লেখা এটি। এমন কিছু না।
লেখা শেখার চেষ্টা করছি গো ভাইয়ু। -{@
অরুনি মায়া
অনেক সুন্দর লিখেছ আপু। তুমি আবারো প্রমাণ করে দিলে নারীরর বাইয়ের সৌন্দর্যইই সব কিছু। যতদিন নারী সুন্দর ততদিন পথিক রা বিপথে যায় না। নারীকে কুৎসিত হওয়া যাবেনা। এটা অপরাধ,,, ,,, (3
নীলাঞ্জনা নীলা
না গো আপু সৌন্দর্যও কাজে আসেনা। প্রচুর পরিবার দেখেছি চোখে পড়ার মতো সুন্দর স্ত্রী, তাও স্বামীরা অন্য নারীতে আকৃষ্ট হয়। আসলে কি জানো? যে থাকার সে এমনিতেই থাকা, আর যার থাকতে ইচ্ছে করেনা তারা যাবেই। হাজার ভালোবাসা দিয়ে আগলে নিলেও থাকেনা। বোঝেনা নাকি বুঝতে চায়না, কি জানি!
তোমায় -{@ (3
নীতেশ বড়ুয়া
তারপর?
(আসলে কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না তাই এই পথের শেষে আরো কিছু হয়েছে কি না জানতে চাইলাম :p )
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশী দুষ্টু হয়েছেন নীতেশদা। আমি পথের শেষে ছিলাম না, তাই জানিনা কিছু দেখিওনি।
মন্তব্য যা করেছেন তাতেই প্রতি-মন্তব্য দিতে শীতের দিনে গরম ছুটছে। ^:^
মেহেরী তাজ
আচ্ছা মনে হচ্ছে আমিও পথ হারাইছি। আমি সোনেলায় কি করতেছি?? ;?
আমার তো এখন কেমিস্ট্রি বই নিয়ে পড়ার টেবিলে থাকার কথা!
তবে নবকুমার এর অপেক্ষাই থাকেন আমি আবার কি করবো??? গেলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু আমি কোনো কুমারের অপেক্ষায় থাকিনা। বয়স নেই।
এখন অপেক্ষা করছি ছেলের শকুন্তলার। 😀 :D)
ঠিকই তো তুমি এখানে কি করছো? যাও তাড়াতাড়ি পড়তে বসো। একসময় রসায়নের প্রতি বেশ প্রেম ছিলো আমার। 😀
শুন্য শুন্যালয়
আমরা কে কি খুঁজছি, কার গন্তব্য কোনটা আজো কি কেউ উদ্ধার করতে পেরেছি? এক সময়কে ফেলে আরেক নতুন সময়ে যাওয়া, বাঃ নীলাপু এই লেখাটা তোমার একদম আলাদা হয়েছে। এইসব ভালোবাসাবাসি আবার কি জিনিস? আর এত কান্নাকাটিই বা কেন? আমি শুধু বলি, let it go, let it go. কুন্তলা নয়, নন্দিনী নয়; স্বপ্ননীলরা নিজেকেই খুঁজে বেড়ায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছো আপু স্বপ্ননীলরা নিজেকেই খুঁজে বেড়ায়।
ভালোবাসা হলো ভালোবাসা।
“ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি?” -{@ (3
https://youtu.be/Cxs-E5l0cYA
শুন্য শুন্যালয়
এই ভালোবাসা টা কি জিনিস? ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
কারুর প্রতি মনের টান, তারপর ছ্যাঁকা খাওয়া। উহাকে ভালোবাসা বলে। আবার কেউ তোমার পেছন পেছন ঘুরিতেছে তুমি তাহাকে পাত্তা দিলে না, উহাকেও ভালোবাসা বলা হইয়া থাকে। এইসব লেখনীকে সহ্য করিয়া নিয়া ভালো কহিয়া মন্তব্য করার নামও ভালোবাসা। ভালোবাসা হইলো সাধু-চলিত ভাষার মিশ্রণ দোষে দূষিত হইয়া সোনেলার উঠানে স্থান পাওয়া। ইহার বেশী কহিতে পারিবো না। এইবারে কহো পূর্ণ নাম্বার পাইবার উপযোগী হইলাম কিনা! 😀 :D)
শুন্য শুন্যালয়
পুরো ১০০ তে ১০০ লাভ গুরু। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
\|/ এমন মজা হয়না
\|/ বাজায় খুকী(বুড়ী)বাজনা 😀 :D)
অন্তরা মিতু
“কারুর প্রতি মনের টান, তারপর ছ্যাঁকা খাওয়া। উহাকে ভালোবাসা বলে। আবার কেউ তোমার পেছন পেছন ঘুরিতেছে তুমি তাহাকে পাত্তা দিলে না, উহাকেও ভালোবাসা বলা হইয়া থাকে। এইসব লেখনীকে সহ্য করিয়া নিয়া ভালো কহিয়া মন্তব্য করার নামও ভালোবাসা। ভালোবাসা হইলো সাধু-চলিত ভাষার মিশ্রণ দোষে দূষিত হইয়া সোনেলার উঠানে স্থান পাওয়া। ইহার বেশী কহিতে পারিবো না। ”
সাবাস !!!!!!!!!!!!
শূণ্য আপু-র মতো আমি কৃপন নহি 😀 , আমার এত্ত বড় মন আছে বটে (কেমুন ভাষা ঝাড়লাম!)। আমি তোমারে ১০০ তে ১০০০ নম্বর দিলাম দিদি…..
নীলাঞ্জনা নীলা
বোনটি মানুষের মনের বদল কি হয় আদৌ? নম্বরের জন্য ধন্যবাদ।
রিমি রুম্মান
লেখাটি পড়ে আফসোস জাগলো মনে, বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুন্ডলা কেন যে পড়া হল না !
ভালোলাগা রইলো … -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু অদ্ভূত কি জানেন? এই একটি প্রশ্নই পুরোটা উপন্যাসকে রোমান্টিক করে তুলেছিলো। আমি প্রথম পড়ি স্কুল জীবনে। মামনির বইয়ের আলমিরা থেকে চুরী করে পড়া অনেক অনেক বইয়ের মধ্যে কপালকুন্ডলাও ছিলো। 😀
ভালোবাসা আপনার জন্যেও। -{@
লীলাবতী
পথিক পথ না হারাক।অসাধারণ লেখা।
নীলাঞ্জনা নীলা
পথিক পথ হারাবে না। সত্যিকারের আবেগ পরাজিত হয়না গো দিদি।
আচ্ছা কোথায় থাকেন আপনি বলুন তো? -{@
ব্লগার সজীব
আপনার এই লেখাটি অন্য লেখা থেকে আলাদা।ভালো লেগেছে আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া এক বন্ধুর সাথে কপালকুন্ডলা নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। ও-ও লেখে। কথায় কথায় উঠলো, পথ হারানোর। বললাম খুব তাড়াতাড়ি লিখবো “পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো?” কিন্তু পথিককে পথ দেখানোর দায়ভারও কাঁধে নিয়েছে। 😀
শুন্য শুন্যালয়
এমন অসাধারন এক পোস্ট লিখে তুমি ছুটেছো কোথায় নন্দিনী? উত্তরগুলো দাও।
নীলাঞ্জনা নীলা
নন্দিনী! কে নন্দিনী? আমি? চেহারা আমার পঁচা বানাইয়া দিলা আপু? ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;(
তোমার প্রশান্ত মহাসাগর না? আজ আরোও গভীর হবে আমার কান্নায়। ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;( ;(
শুন্য শুন্যালয়
নন্দিনী রূপের ধার ধারেনা। যে কুন্তলা সেইই নন্দিনী। স্বপ্ননীল নন্দিনী থেকে পালিয়েও কেন কুন্তলা তে নন্দিনী কে খোঁজে। ভাবো নীল ফুল ভাবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
নন্দিনী আমি নই, কুন্তলাও না। পথিকের জন্যে ও দুটো আসলে শুধুই নাম। তারপর আরোও কতো কে আসবে যদি ধারাবাহিক টেনে নিতে থাকি লেখাটা।
ওই রঙটা কবে আমায় আর রাঙাবে না। নীলা পাথর, নাকি নীল রঙ উহু ভালো লাগেনা। বাপিকে বলেছি নীলা কেন? নীলি রাখতে। ধুত্তোর কি যে বলছি। মাথার ভেতর কি ঢুকলো? ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
এই গানটা শোনো। খুব মজা লাগে আমার। এখানে নন্দিনীর পরিচয় পেতে পারো হয়তো।
https://youtu.be/T1G_bcTcB7E
অন্তরা মিতু
স্তব্ধ !!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কেন?