একটা কিছু লিখবোই আজ, কি নিয়ে লিখবো তা না ভাবলেও চলবে। দেখিই না খট্টাখট সা-রে-সা , আঙ্গুল পংখীরাজ উড়ে যা…আজ আঙ্গুল যা খুশি লিখবে, মনের দাপট বন্ধ। তবে খুব আফসোস হচ্ছে, ল্যাপিতে কাটাকুটির অপশন নেই। খাতায় লিখলে আজ ভুলভাল সব রেখে দিতাম। যা লিখতে ইচ্ছে করতে গিয়ে কেটে দিতাম, তাও রেখে দিতাম। কেন এতো ভেবেচিন্তে লিখতে হবে? কার কথা ভেবে? ভুলের জন্য নাম্বার কমিয়ে দেবার কেউ নেই, এখানে আমিই আমার সব।
চোখ বন্ধ, বেছে নাও… “ভোর” ???
আহ, আবার সেই ভোর!!! দেখবো না বলে, দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুটঘুটে অন্ধকার করে রেখেছি সব, তবুও কোথা দিয়ে আসে এই ভোর? এ আলো, অসহ্য এ আলো। মনের ভাবনায় আঙ্গুলও অভ্যস্ত হয়ে গেছে দেখছি। কে তুমি ভোর? একটা সময়? আমার খাঁচামুক্ত সময়কে ভালোবেসে নাম দিয়েছিলাম ভোর, ভুলে গেছো? তুমি একটা সময়, একটা কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নও। আমি তোমাকে আঁকি যেভাবে খুশি, যে রঙে খুশি। একটা ইজেলে তুমি সদ্য তুলি ধরতে শেখা কারো আঁকিবুঁকি। মুছে দিতে না পারলেও নস্ট করে দিতে পারি আমি। আর তুমিই কিনা ভাবছো আমার সবকিছু বেদখল করবে? আমার সব ভাবনায় ফাঁক গলে ঢুকে পরবে? কল্পনায় রঙের কৌটো উল্টে আঁকতে গিয়ে দেখেছি, আমার সত্যিকারের ভোর প্রতিদিন এসে এসে ফিরে গেছে বারান্দা থেকে। আর তুমি কল্পনা থেকে অনুনয় বিনুনয় করছো আমার বাস্তব হবে বলে!!! না, সত্যিকারের সাথে কৃত্তিম রঙ মেশাতে নেই। যতোটা অন্ধকার চাই তোমাকে রুখতে, ততোটা কালো পর্দায় ঘিরে রাখবো ঘর, কিংবা নিজেকে। চলে যাও ভোর।
এবার? কি লিখবে? প্লিজ বলোনা, ভোর ছাড়া তুমি আর কিছু লিখতে পারোনা। মায়া? সে অতি ভয়ংকর। শুন্যের মায়া বলে কিছু নেই।
…………………………………কার শক্তি বেশি? কোনকিছু সৃস্টির আনন্দ নাকি সে সৃস্টি ধ্বংসের কস্ট?
৫০টি মন্তব্য
আবু জাকারিয়া
ভোরকে অন্ধকার করে রাখার আবেগময় কৌশল ভাল লাগল।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আপনাকে জাকারিয়া ভাই।
মেহেরী তাজ
যাক অনেকদিন পর আজ সোনেলাই আবার একটা টানাটানি লাগবে। তারাতারি লাগুক দেখতে চাই।
কোন সৃস্টি ধ্বংস করেতে চান? * ভোর* কে জাতি মানবে না………
শুন্য শুন্যালয়
ধ্বংসের জন্যই সব সৃস্টি। চিন্তা ন কইরো, কোন টানাটানি হবেনা। তুমি তো চাইবাই দেখতে, তোমার মধ্যে শয়তানি বিদ্যমান। 🙂
স্বপ্ন নীলা
ঠিক তাই আপু !! আগে বসা যাক লিখতে, ভাবনারা এমতেই চলে আসবেে
এমন উৎসাহ পেলে কার না লিখতে ইচ্ছে করে বলুন !!
শুভকামনা রইল
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক তাই, এমন উৎসাহ পেলে কলম যে হাতে ধরেনি সেও একদিন লেখক হয়ে যেতে পারে।
আপনার জন্যেও শুভকামনা আপু।
জিসান শা ইকরাম
ভেবে চিনতে লেখার দরকার কি?
আপনি আপনার মত লিখুন………
কোন কিছু সৃষ্টি করা যায়,আবার ধ্বংসও করা যায়
এমনটি ভাবি আমরা।
কিন্তু আসলেই কি ধ্বংস করা যায় কোন কিছু?
শুন্য শুন্যালয়
হয়তো যায়, হয়তো না। ভেবেচিন্তে লিখবো না আর, প্রতিদিন হাবিজাবি লিখে সবার চোখ ব্যাথা করে দেব। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কোথায় সব ভোর বিরোধীরা ভোর আবারও জেগেছে। -{@ দেখি কে কি বলে।
শুন্য শুন্যালয়
ভোর বিরোধীও ছিলো তাহলে ;? ভালোই করেছি তাহলে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
পঙ্খীরাজ উড়ুক
উড়ুক না,
পাখি হয়েই
ঐ নীল আকাশে।
শুন্য শুন্যালয়
মুখ থুবড়ে না পড়লেই হয়। 🙂
লীলাবতী
ভোরকে বিদায় জানালেন নাকি আপু? ভোরকে আপনি যেভাবে দেখেন,যেভাবে রঙ তুলি দিয়ে আকেন,তা অন্য কেহ পারেনি।ইচ্ছে হলে সমস্ত দরজা জানালা বন্ধ করে দিন,অবাধ্য ভোর আসবে কিভাবে?যে কোন সৃষ্টিই হয় বিনাশের জন্য। হয়ত রেশ থেকে যায় যাকে আমরা স্মৃতি বলি।শুন্যের মায়া নেই,এটি শুন্য বললেও আমি অন্তত বিশ্বাস করবো না।
শুন্য শুন্যালয়
ভোরকে বিদায় জানিয়েছি? কি বলেন!!! আরো আপন করে টানলাম। কাগুজে ভোরকে বিদায়, সত্যিকারের ভোর এবার গায়ে মেখে নেব। মায়া তো নাই-ই, সব মায়া দিয়া দিছি, কারে কমুনা।
লীলাবতী
মায়া আমাকে তো দেননি 🙁 আমি কত্ত ভালো :p মায়ার ভাগ চাই -{@
শুন্য শুন্যালয়
মা আমার য়া আপনার। হইছে ভাগাভাগি? 🙂
আর্বনীল
আহ, আবার সেই ভোর!!! দেখবো না বলে, দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুটঘুটে অন্ধকার করে রেখেছি সব…।
আহা ভোর আসবেই……………………।।
শুন্য শুন্যালয়
হুম কথা শোনেনা একদম…
নুসরাত মৌরিন
যা ইচ্ছে তাই লিখুন।
মাঝে মাঝে আমারও এমন হয়।কিছু একটা লেখার জন্য হাত নিশপিশ করে।কিন্তু কী লিখবো জানি না।আবোল তাবোল লিখতে গিয়েই দেখি একটা কিছু হয়ে যায়।
ধ্বংস নয় সৃষ্টির উৎকর্ষতা নিয়ে সোনেলা ভোর আসুক আপনার কলমে,আপনার লেখায়…। 🙂
কতদিন হলো কাটাকুটি করে কিছু লিখি না!!সত্যি তো কে আছে যে নাম্বার কমিয়ে দেবে,এখন তো আর কেউ এসে আমার খাতায় দাগ বসাবে না।তবু কেন ভুল-ভাল কাটাকুটি করে কিছু লিখি না!!! 🙁
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্ন বুদ্ধি দিছে, খাতায় কাটাকুটি লিখে ছবি তুলে পোস্ট দিতে, চলুন তাই করি 😀
নীলাঞ্জনা আপু এলোমেলো কথা নাম দিয়ে সিরিজ দিচ্ছে, আপনিও দিন আবোল তাবোল নামে, আমিও দিই আউলাঝাউলা নামে। সবাইরে একসাথে সোনেলা থেকে বের করে দিলে আমি দায়ী না :p
নুসরাত মৌরিন
😀
ভাল আইডিয়া…। \|/
শুন্য শুন্যালয়
😀
খেয়ালী মেয়ে
শুন্যের মায়া বলে কিছু নেই, এটাতো বড্ড অভিমানী একটা কথা—কেনো ভোরের প্রতি তোমার এতো অভিমান জমলো আপু?–ভোর তো নিষ্পাপ,মায়াবী থাকে এটা তুমি কিভাবে এড়াবে?–মায়া সত্যি একটা ভয়ংকর জিনিস,এটা পাশ কাটিয়ে কেউ চলতে পারে না—তুমিও পারবে না–অপেক্ষা শুধু এখন অভিমান ভাঙার -{@
শুন্য শুন্যালয়
ভোর অনেক নিষ্পাপ আর মায়ার, হুম। এজন্যই তো সব লেখার মধ্যে এসে নাক গলায়। এটা কি ঠিক বলো? আমার অভিমান নেই রে। ভোর আবার আসতেও পারে ফিরে, নাও পারে; শুন্য তো আছে 🙂 -{@
খেয়ালী মেয়ে
প্রয়োজনেই তো সব লেখায় ভোর আসে,তাই না?…এটাকে নাক গলানো কেনো বলছো?…
আর নাক গলানো তে যদি ভালো কিছু হয়,তাহলে তো নাক গলানোই ভালো 🙂
হুমমম শূন্য তো আছে, আর যেখানে শুন্য আছে সেখানে হয়তো_________ থাক বাকীটা বললাম না -{@
শুন্য শুন্যালয়
যেখানে শুন্য আছে সেখানে সব শুন্য 🙂
লেখা কই?????????????
খেয়ালী মেয়ে
আর একটু অপেক্ষা করো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
তুমি তো দেখছি শেকড় গজিয়ে দেবে অপেক্ষার …. 🙂
খেয়ালী মেয়ে
ওমাআআআ অপেক্ষার শেকড়ও আছে নাকি?…তাহলে তো আর একটু বেশী করে অপেক্ষা করতে হয়, শেকড়টা দেখতে চাই :p
শুন্য শুন্যালয়
এতো অপেক্ষা করিয়ে রাখলে শেকড় ভূগর্ভ ভেদ করে চলে যাবে, আর দেখা হবেনা 🙁
প্রজন্ম ৭১
আনন্দের অনুভুতি মানুষের মনে কম দিন স্থায়ী হয়,কষ্টের অনুভুতি স্থায়ী হয় বেশি দিন।আনন্দ ক্ষণস্থায়ী হয়,কষ্ট পাথরের মত চেপে থাকে।সৃস্টি ধ্বংসের কষ্ট অনেক বেশি আপু।
শুন্য শুন্যালয়
কে বলেছে? খুঁজে দেখুন তো কয়টা কস্টের কথা মনে আছে আপনার? আর আনন্দের কয়টা? সৃস্টির আনন্দ অনেক বেশি, আমার তো এমনই মনে হয়।
নিশিথের নিশাচর
ভোর কে বিদায় জানালেও সে ঠিকই অন্ধকার ভেদ করে চলে আসে… কিন্তুু কেউ কেউ ঘুটঘুটে অন্ধকারে থাকতেই ভালোবাসে… ভালো লেগেছে. ..
শুন্য শুন্যালয়
অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসে কিংবা চায়। অনেকদিন পর পেলাম পোস্টে। ধন্যবাদ নিশাচর ভাই।
স্বপ্ন
আপনার সব কিছু বেদখল করবে এমন শক্তি কার আছে?একমাত্র ভোর নিয়েই আপনি থাকবেন কেন?শুন্যালয়,আপনার আছে এক বিশাল সীমাহীন আলয়।কতকিছু আছে সে আলয়ে।কাগজে আগে লিখুন,কাটাকুটি সহ ফটো আপলোড করুণ।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার তো অনেক বুদ্ধি, একজনকে ধার দিয়ে এলাম 🙂
আমার সীমাহীন আলয়ে শুধু ভোর হলেই চলবে, সত্যিকারের ভোর।
স্বপ্ন
বুদ্ধি আর কোথায়?ধরা খেয়ে গেলাম আপু।গানের পোষ্ট দিয়েছি,ছবির মাঝে লেখা দিতে পারিনা 🙁
শুন্য শুন্যালয়
এ ছবিগুলোতে লেখা না দিয়েই কিন্তু ভালো করেছেন। বলে দিয়েছি কিভাবে লিখতে হবে, দেখি কেমন পারেন।
ব্লগার সজীব
সৃস্টি ধ্বংসের শক্তিটিই বেশি আপু।
শুন্য শুন্যালয়
সজীব এমন বলবে কেন? সেকি জানেনা আনন্দের মূল্য কতটা!
কৃন্তনিকা
লিখবো না লিখবো না করেও তো “ভোর” নিয়ে লিখে ফেললেন! -{@
আমার হাত থেকে লেখা বের হতে তো মাস কেটে যায়… 🙁
শুন্য শুন্যালয়
ভোর নিয়ে না লিখে পারবোনা কখনো, এমনই মনে হয়। এগুলো লেখা নাকি? আবজাব সব।
আপনার হাত থেকে যা বের হয়, একমাস কেনো আরো বেশি অপেক্ষা করতে রাজি আছি। এক্সাম শেষ হলে এতো অপেক্ষা মানবো না। …
কৃন্তনিকা
হুম… এক্সাম শেষ। লেখা এখনো হাত থেকে বের হয় নি। চেষ্টায় আছি… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
লাগে রাহো। অপেক্ষা…the waiting জারি আছে।
অরণ্য
আপনার ভোরের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া দেখলাম। আপনি সাঁতার জানেন তাও টের পেলাম। আমার এক স্যারের কথা মনে পড়ল। কোন এক ঘটনার রেশ ধরে স্যার বলেছিলেন ” ওসব ভুলে যেতে হবে”। আমি বলেছিলাম “জ্বী, স্যার। আমিও চেষ্টা করছি ভুলে যাবার”। তখন উনি বলেছিলেন “চেষ্টা করলে তো ভুলে যাওয়া হবে না! চেষ্টা করে ভুলতে গেলে সেই ব্যাপারটিই তোমাকে আরেকবার মনে করিয়ে দেবে যা ভুলে যেতে চাও। ভোলার জন্য কোন আয়োজন করতে নেই, বুঝতে পারলে?” আমি বললাম “জ্বী, স্যার”।
আমি ক’দিন ধরে অনেককে বোলার চেষ্টা করছি, আমি মানুষ এবং ভুল করা আমার অধিকার। সো, নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।
ভাল থাকবেন।
শুন্য শুন্যালয়
ভুলে যাবার জন্য কোন আয়োজন করতে নেই, সুন্দর বলেছেন আপনার স্যার। এবং এটাও ঠিক ভোরকে যাতে না ভুলে যাই এটাও তার একটি আয়োজন। 🙂
হ্যাঁ আমি সাঁতার জানি, তবে ঝড় জলোচ্ছ্বাসে সবসময় জানাটা কাজে লাগেনা।
ভুল করুন, সঠিক অভিজ্ঞতা নিয়ে মৃত্যবরণ জরুরী। 🙂
আপনিও ভালো থাকবেন।
শিশির কনা
ধ্বংসের মাঝেও সৃষ্টি আছে আপু।তা খুঁজে নিন 🙂
শুন্য শুন্যালয়
খোঁজ… the search শুরু করে দিলাম 🙂
অনেকদিন পর পর গা ঢাকা থেকে বের হয়ে আসেন, দেখতে ভালোই লাগে।
জুলিয়াস সিজার
🙂
শুন্য শুন্যালয়
আমিও হাসতে জানি। 🙂