ঠাণ্ডা সবুজ দীঘি
শরতের বিষণ্ণ বৃষ্টি ঝরে টুপটাপ
রাঙ্গা পায়ের ঝাপটা।
রাঙ্গা পায়ের ঝাপটা
বিষণ্ণ সুখের বৈকালিক আলোড়ন
ড্রয়ারে বিস্মৃত নূপুর।
ড্রয়ারে বিস্মৃত নূপুর
সোনালী বিকেলের নির্জন নিক্বণ
তোমার আলতারাঙ্গা পা।
তোমার আলতারাঙ্গা পা
বিস্তর ঝরা পাতা অন্ধকার ঘাসে
নগ্ন, নমিত সময়।
[কবিতাটি নিরীক্ষামূলক, হাইকু ধাঁচে লেখা]
৩৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এ লেখা দেখে আর না বলে পারছি না,
এক সময় প্রচুর হাইকু পড়েছি, আমার ভালই লাগে।
লিখুন লিখুন,
প্রহেলিকা
(১)
সময়ের ভারে
শব্দ বেচে কিনেছি
নূতন দিন।
(২)
ওমের খোঁজে
পাঁজরে দোল খায়
প্রকট শীত।
(৩)
খুলো বন্ধনী
তাবৎ ওষ্ঠ জুড়ে
উষ্ণতা আঁকি।
হাইকু কিন্তু মজা, একেবারে মচমচে! তবে আমার দ্বারা হয় না। আউল ফাউল বিশ-পঁচিশটা লিখেছিলাম!
আসিফ ইকবাল
দারুণ ভাই, আপনি তো দারুণ হাইকু লেখেন! বিশেষ করে শেষেরটা তো ছক্কা। এই লেখা যদি আউল-ফাউল বলেন তাহলে কি হয়! হাইকু আপনার দ্বারাই হবে। চালিয়ে যান ভাই। আপনার আরো হাইকু পড়তে চাই।
শুভ কামনা 🙂
আসিফ ইকবাল
হেলাল ভাই, অনেক ধন্যবাদ। এমন কিছু কিছু সময় আসে যখন মনের ভেতর হাইকু স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে। বড় বড় অনুভূতির ছোট ছোট প্রকাশ।
শুভ কামনা জানবেন।
প্রহেলিকা
স্বাগতম সোনেলায়!
প্রথম লিখলেন এখানে, আন্তরিক অভিনন্দন!
লেখা খুব সুন্দর, ভালো লাগা রাখছি। হাইকুর সাবলীলতা আর স্পষ্টতার জন্য ভালোই লাগে।
অনেকদিন পর আসলে হাইকুর কথা মনে পড়লো। ধন্যবাদ আপনাকে।
লিখুন নিয়মিত,
শুভকামনা!
আসিফ ইকবাল
অনেক ধন্যবাদ ভাই। হাইকু তেমন একটা লেখা হয়নি, পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু লিখেছিলাম। হ্যাঁ, এখানে নিয়মিত লেখার ইচ্ছা আছে। এই Blog-এর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে পরিচয় আছে এবং কিছু কিছু লেখাও পড়েছি, কিন্তু লিখলাম এই প্রথম।
ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আসিফ !! সত্যিই চলে এলেন। নুপুর বাজিয়ে আগমনটা দারুন ভাবেই করলেন।
সোনেলার উঠোনে সু-স্বাগতম। সোনেলার সাথে মিলেমিশে এক হয়ে যান। আর অনেক লিখুন। লেখার-পড়ার জন্যে সোনেলা সব চাইতে উপযুক্ত স্থান। খুব ভালো লাগছে আপনাকে এখানে দেখে।
শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹🌹🌹
আসিফ ইকবাল
অনেক ধন্যবাদ সাবিনা ইয়াসমীন। সোনেলায় আমার আগমন তোমার হাত ধরেই। এইখানে এসে যেটা বুঝলাম, সিরিয়াস সাহিত্যের জন্যে Blog-এর বিকল্প নেই। আর এখানে অনেক লেখা দেখছি অনেক লেখক রয়েছেন, আশা করি সময়টা ভাল কাটবে।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালো মানে !! অনেক ভালো কাটবে। এখানে অনেক লেখক বন্ধু পেয়ে আবার অ-লেখক সাবিনাকে ভুলে যাবেন না যেন, আমি কবিতা বেশি বুঝিনা। না বুঝলে কিন্তু বারবার জ্বালাতন করবো, তখন আবার রেগে যাওয়া চলবে না।
আসিফ ইকবাল
ইস বিনয়! সাবিনাজী অ-লেখক হলে মাঝে মধ্যেই আখরপীঠে (Keyboard) চমক দেখায় কে? আর নদী নিয়ে লেখা আপনার সাম্প্রতিক কবিতাটি দারুণ হয়েছে। কবিতা বুঝিনা বললেই হল? আর অবশ্যই নিঃসংকোচে যে কোন কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। রেগে যাবার তো কোন সুযোগ-ই নেই 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বি, বুঝতে পেরেছি। বিনয় স্যারের বাড়ি চিনতে হবে। আপনি যে ইতিমধ্যেই ক্লাস করা শুরু করেছেন তাও বুঝতে দেরি হচ্ছে না আসিফ 🙂
আসিফ ইকবাল
ক্লাসে শুধুই শিক্ষকের ভূমিকা নয়, ছাত্রের ভূমিকাতেও থাকতে চাই, সাবিনা-জী 🙂
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম।
আজ পোস্ট দেয়ার পুর্পুর্বেই সোনেলায় পরিচিতি পেয়েছেন গত ফেব্রুয়ারী মাসে আপনার প্রকাশিত বই রিভিউর কারনে।
আপনাকে আমাদের মাঝে দেখে ভালো লাগছে খুব। আমি কবিতা তেমন বুঝি না, আমাদের এখানে কবিতার মানুষ আছেন যাদের সাথে আপনার সময় ভালোই কাটবে আশাকরি।
লেখুন নিয়মিত, থাকুন সবার সাথে।
শুভ কামনা।
আসিফ ইকবাল
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি এখানে আসতে অকুণ্ঠ ভাবে সহায়তা করেছেন, না হলে আসতে পারতাম না। সাথেই আছি ইনশাআল্লাহ।
মায়াবতী
এমনি তেই কুবিতা মাথার উপর দিয়ে যায় তার উপর আবার হাইকু!!! সে টা আবার কি রে ভাই!!! আপনাকে সবাই দেখলাম সুস্বাগতম জানাচ্ছে তার মানে কি আপনি সোনেলায় আজকাল এসেছেন? কিন্ত কবিতা পড়ে তো মনে হলো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া কবি! যাই হোক, কবি আর কবিতাদের বোঝা বুঝি না থাকলে ও পড়তে কিন্ত ভালো লাগে। আরো আরো লিখুন সোনলায়, আর হ্যা ” হাইকু ” টা কি কষ্ট করে বইলেন কিন্ত ভাই জান *** 🙂
আসিফ ইকবাল
মায়াবতী, আপনাকে ধন্যবাদ। হুম, সোনেলায় নতুন, কিন্তু লেখালেখির জগতে পুরানো পাগল আর-কি! পড়তে ভালো লাগে, এইটাই কিন্তু আসল ব্যাপার। হাইকু হল অতি ক্ষুদ্র, ধরুন মাত্র ১৯ বা ২১ শব্দে লেখা জাপানী কবিতার একটা ধরণ। এই ১৯ বা ২১ শব্দকে সাধারণত তিনটি ছত্রে ভাগ করে লেখা হয়। মধ্যের ছত্রটি কিছুটা বড় হয়। আমারটা ঠিক হাইকু হয়নি, তবে হাইকু ধাঁচে লেখা।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আসিফ ইকবাল
দুঃখিত একটু ভুল বলেছি। ১৯ বা ২১ শব্দ নয়, অক্ষর হবে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনার নামতো আগেই জেনে গেছি, সবাই আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছে দেখে ভাবলাম পুরনো ব্লগারকে আবার স্বাগতম কেন! পরে তো কারণটা বুঝলাম 🙂
হু, সাবিনা আপুর দেয়া রিভিউ এ আপনার কবিতা পড়েছি কএকটি।
একটি কথা স্বীকার করে নিচ্ছি, এটি একটি ছোট ব্লগ। এখানে দক্ষ কবির সংখ্যা খুব বেশি নয়, উপরে দু একজনের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে অবশ্য। তবে আমরা শিখতে চাই। কবিতা না বোঝা মানুষদের মতামতেরও একটা দাম আছে, কি বলেন? তাছাড়া কবিতা বা গল্প যাই বলুন, পাঠক কিন্তু বেশিরভাগ না বোঝার দলেরই। গদ্যকবিতা বা হাইকু যে কবিতাই হোক বুঝিনা তেমন, বুঝি শুধু তার ভেতর একটা ছন্দ থাকবে, একটা স্পর্শ করা ব্যাপার থাকবে, সেটা কিভাবে করে কে জানে।
এটাতো পড়তে বেশ লাগলো।
শুভকামনা এবং স্বাগতম সোনেলায়।
আসিফ ইকবাল
বাহ চমৎকার বলেছেন! একটা ছন্দ থাকবে, স্পর্শ করার একটা ব্যাপার থাকবে! বিষয়টা আসলেই তাই। বিশেষ করে কবিতার ক্ষেত্রে। ঐ ছন্দটুকু, ঐ স্পর্শটুকুই আসল ব্যাপার।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত আপনি এখানে।
খুব ছোট এ পরিসরে সংখ্যাধিক্যের বিচারে আপনাকে পেয়ে ভালই লাগছে।
আমাদের আছে প্রহেলিকা, আদ্যপান্ত কবিতায় মোড়ানো প্রাণোচ্ছল এক কবি।
আমাদের হৃদয়ের লেখা-অত্যাচার দাঁত কামড়ে ভালই সামলান।
ভাল কাটবে আপনার সময়, পাঠক সাথেই থাকবে।
আসিফ ইকবাল
প্রহেলিকা যে দুঁদে কবি সে উনার হাইকুগুচ্ছ পড়েই দস্তুরমতো টের পেয়ে গেছি ভাই 🙂
ভালো থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রহেলিকা নিঃসন্দেহে সেরা কবিদের একজন। তিনি আমার কাছে বাস্তবিক এক প্রহেলিকা 🙂
প্রহেলিকা
নতুন মেহমানের সামনে এভাবে পচাইলেন! যাহা মনে লয় তাহাই করেন!
তবে আপনাদের দুজনে খুব মিলবে মনে হচ্ছে, কবি বলে কথা! কুর্নিশ!
আসিফ ইকবাল
@প্রহেলিকা, আপনাকে কিন্তু ছাড়ছিনা ভাই। আরো হাইকু চাই!
প্রহেলিকা
দেখুন আপনার কবিতা আমি পড়েছি সাবিনা আপুর মাধ্যমে! কবিতায় আপনার দক্ষতা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর ব্লগে কিছু খারাপ কবি আছেন। উনাদের দেখে নিজে কিছু লিখতে গেলেই চিপটান কাটে। উনারা খুব খারাপ।
যাইহোক, এবার একটা কথা বলি, এই সোনেলা ব্লগে পাঁচটা বছর হয়ে গেলো কখন টের পেলাম না। অনেকেই আসে, যেভাবে আসে সেভাবে আবার মিলিয়েও যায়। তবে আপনি আলাদা, এইতো গতকাল লগইন করেই নিজের আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। নতুন কোনো ব্লগার আসলে স্বাভাবিকভাবেই একটু স্ট্রাগল করতে হয় নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে। কিন্তু আপনি তা সহজেই করে ফেলেছেন।
পাশে পাবার আশা রাখি আপনাকে!
হেলাল ভাই থেকে দূরে থাকুন, উনিও কবি আপনিও কবি, তুমুল সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে!
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা!
তা আজকে কিছু খাওয়ালেন না যে! দিন দিন পড়ব!
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, ভাল কথা, আপনাকে আমাদের আগেই চিনিয়েছে/জানিয়েছে সোনেলার এক আশ্চর্য প্রতিভা
সাবিনা-জি, তিনি কবি, লেখক আরও কত কী!! বলে শেষ হবে না। তিনি কী পারেন-না সেটা ভাবতে পারি না।
তিনি কবিতায় মন্তব্য দেন। আমরা আনন্দিত/কৃতজ্ঞ তাঁর বদান্যতায়।
আসিফ ইকবাল
সাবিনা-জী হলেন সোনেলার আকাশে পূর্ণ চন্দ্র 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
@ আসিফ, একদম চন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছেন ! চন্দ্রগ্রহন শুরু হলে পালানোর রাস্তাটাও ঠিক করে রাখবেন। এইসব হাইকুর হ্যারিকেনে বেশিক্ষন টিকতে পারবো বলেতো মনে হচ্ছে না। 🤔
আসিফ ইকবাল
হাহাহা, এসেই যখন পড়েছেন পালানো তো আর হবেনা- সাবিনা-জী। হাইকুর হারিকেনে শুধু এদিক ওদিক দুলবেন, বের হতে পারবেন না 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ !! এতো গরম গরম মিষ্টি বিতরনের কারন না জেনে আপনাকে রেহাই দিচ্ছি না। রেডি হন 🤔
ছাইরাছ হেলাল
@সাবিনা-জি, এখানে এক কবিকে নিয়ে কথা হচ্ছে! আপনি কি কিছু বলত চান! বলুন বলুন, ভয় না দেখিয়েই।
মাহমুদ আল মেহেদী
কবিতা আপনার মাধ্যমে বুঝবো, শিখবো সেই আশায় বুক বাঁধি। আমাদের নিরাশ করবেন না আশা করি। স্বাগতম আমাদের সোনেলার সানালী উঠানে।
আসিফ ইকবাল
মাহমুদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ। সত্যি বলতে কি কবিতার সাগরতীরে এখনো নুড়ি কুড়োচ্ছি। তবে আমার দরজা অবশ্যই আপনার জন্যে খোলা। যা মনে আসে জিজ্ঞেস করবেন 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল লাগলো এইরকম কবিতার স্বাদে।
আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা।
আসিফ ইকবাল
কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
বন্যা লিপি
দারুন লাগলো পড়তে। হাইকু ব্যাপারটা সবিস্তারে জানতে ভীষণ আগ্রহী। আপনার জন্য শুভেচ্ছা, শুভ কামনা।
আসিফ ইকবাল
অনেক ধন্যবাদ বন্যা লিপি। হাইকু হল অতি ক্ষুদ্র, ধরুন মাত্র ১৭, ১৯ বা ২১ অক্ষরে লেখা জাপানী কবিতার একটা ধরণ। এই ১৭, ১৯ বা ২১ অক্ষরকে সাধারণত তিনটি ছত্রে ভাগ করে লেখা হয়। মধ্যের ছত্রটি কিছুটা বড় হয়। আমারটা ঠিক হাইকু হয়নি, তবে হাইকু ধাঁচে লেখা।
রিতু জাহান
কবিতা ভীষণ ভালবাসি। আমি স্কুল জীবন থেকে কবিতা ভালবাসি।
বিশেষ করে কবিতা শুনতে খুব ভালবাসি।
প্রিয় মুখগুলো কবিতায় খুঁজে ফিরি। দৃশ্যগুলো শব্দগুলো কল্পনা করার চেষ্টা করি।
কিন্তু আমি চেষ্টা করেও কবিতা ও আবৃত্তি করতে পারি না। একবার বাসায় আবৃত্তি শেখার আবদার রেখেছিলাম সাহস করে। কিন্তু হয়নি,,,
কবিতার এক বিশাল গভীরতা আছে। শব্দগুলো ভাবায়।
রেশ থাকে অনেকক্ষণ।
সোনেলায় স্বাগতম আপনাকে।
আসিফ ইকবাল
রিতু জাহান, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কবিতা ভালবাসেন জেনে রীতিমত ভাল লাগছে। অনেকেই আছেন কবিতা ভয় পান। অহেতুক এড়িয়ে চলেন। অথচ যদি কাছে এসে ভালবাসতেন, কবিতাও ধরা দিত আপন হয়ে। আর ঠিক-ই বলেছেন। কবিতার অন্যএকরকম গভীরতা আছে। শব্দগুলো ভাবায়, অনেকক্ষণ ধরে।