অনিতা আজ এতটাই রেগে গেছে যে সে নীলার সাথে পাশাপাশি হেটে কলেজে এলেও তার সাথে প্রয়োজন ছাড়া একটাও কথা বললো না।এতে নীলা বেশ কষ্ট পেলো। কিন্তু অন্যদিনও তো তার বিনা কারণে অনেক দেরী হয় কই অনিতা তো এরকম রেগে যায় না।আজ অনিতার রেগে যাওয়ার কারণটা সে কিছুতেই ধরতে পারছেনা। মনটার ভিতর একটা অদ্ভুদ খচখচানি বেশ অস্বস্তিতে ফেলছে নীলাকে।এভাবে কতক্ষণ থাকা যায় না পেরে নীলা বলেই ফেলল,
-কি হয়েছে বলবি তো? আমার কিন্তু ভালো লাগছে না।
– কিছু হয়নি? বললাম তো।
– সেই থেকে দেখছি তুই আমাকে এড়িয়ে চলছিস্ আমার কথার ঠিক মতো উত্তর দিচ্ছিস না। আমি বুঝতে পারছিনা আমি কি এমন করলাম
– তুই সবই ভালো করে জানিস।খামাখা ন্যাকামো করছিস। তুই এখন যা।
-পিলজ অনিতা আমাকে আমার অপরাধটা খুলে বল। আমি জাস্ঠ আর নিতে পারছি না।আমার কিন্তু খুব খারাপ লাগছে।
অনিতাঅনেকক্ষণ নীলার দিকে শীতল চোখে তাকিয়ে রইলো। তারপর আস্তে আস্তে বলল,
-তুই এসব কি করে বেড়াচ্ছিস?
-কই কি করে বেড়াচ্ছি?
-আমাকে লুকিয়ে কোন লাভ হবে না নীলা ।আমি সব জানি। শেষ পর্যন্ত তোর ই ক্ষতি হবে, সুমন কে তুই কতদিন চিনিস?
-কি ক্ষতি হবে? কোন সুমন?
-বড্ড ন্যাকা হয়েছিস তো।প্রেমে পড়লে মানুষ বুঝি এমন ই হয়। আর কোন সুমন বলছিস? বেজপাড়ার সুমন! এবার নিশ্চয় আর অস্বীকার করবিনা।
-তোকে কে বলল?
-আমাকে কে বলল ,সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সত্যি কিনা বল। মিথ্যা বলবি না।
নীলা হঠাৎ একটু গম্ভীর হয়ে গেল। অনিতা তার প্রিয় বান্ধবী। তার কাছে সে সব ধরনের কথা শেয়ার করে বা করেছে। অনেক গোপন সুখ দুঃখের অংশীদার সে।কিন্তু সুমনের কথা সে কখনোই কারো সাথে শেয়ার করেনি।
অনিতা কোথেকে জানলো সেটা অবশ্য একটা রহস্য। আপাতত এসব রহস্য নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে অনিতাকে পুরো বিষয়টা খুলে বলা ঠিক হবে কিনা তাই ভাবছে সে।
-ও ঠিক আছে বলতে না চাইলে বলবি না তুই। কিন্তু আমি তোকে সাবধান করে দিচ্ছি । ছেলেটা কিন্তু ভালো না। আর তুই যদি মনে করিস কেউ কিছু বুঝবে না আর তুই ডুবে ডুবে জল খাবি। সেটা কখনো হবে না্ এইসব গল্প বাতাসের আগে ছোটে। পরিস্থিতি সামলাতে পারলে ভালো না পারলে তখন কিন্তু আমায় ডাকিস না যেন, তোর এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তোর জন্য কাল হবে এটা মনে রাখিস।
-ওর মধ্যে কি এমন খারাপ দেখলি আর তুই এত খবর পেলি কার কাছ থেকে?
-তুই বার বার আসল ঘটনা থেকে সরে যাচ্ছিস।তার উপর বলি সুমনের জুয়ার নেশা আছে তুই জানিস?
নীলা কোন উত্তর দিলো না সে এই ব্যাপারটা কারো সাথে শেয়ার করতে চায় না অনিতা তার ভালো বান্ধবী হলে কি হবে ,অনিতার ভাই অলোক তাকে ভালোবাসেসেটাও সে জানে ,সেজন্য ই অনিতার যত রাগ, এটা দুই ভাইবোনের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু না। নীলার বেশ রাগ হলো। সে ঠিক করলো আজ সে একা একাই বাড়ি যাবে। দরকার নেই কাউকে।
২৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
জটিল অবস্থায় পড়েছি সাম্নের অপেক্ষায় রইলাম।
ইসিয়াক
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ভাইয়া্
শুভকামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
লিখুন সময়ে আবার পড়ব। থাকুন ভাল।
ইসিয়াক
ধন্যবাদ রইলো্
সুপর্ণা ফাল্গুনী
রহস্যময় হয়ে উঠছে। ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
ইসিয়াক
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা দিদি।
শুভকামনা
সাবিনা ইয়াসমিন
ডুবে-ডুবে জল খাওয়ার গল্প বাতাসের আগে ছোটে,,,, ঠিক 🙂
গল্পের আকর্ষণ বেড়ে গেছে,
চলুক,
শুভ কামনা 🌹🌹
ইসিয়াক
শুভকামনা নিরন্তর।
ফয়জুল মহী
দক্ষ হাতের কমনীয় প্রকাশ
ইসিয়াক
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। শুভসকাল।
সঞ্জয় মালাকার
রহস্যময় হয়ে উঠছে। ভালো লাগলো খুব,
পরের পর্বের পরীক্ষা রইলাম, শুভ কামনা দাদা।
ইসিয়াক
আপনার প্রতি ও শুভকামনা রইলো।
দালান জাহান
রহস্যময় দারুণ লাগছে
ইসিয়াক
ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আমরা অপেক্ষা করে দেখি কীভাবে কী হয়!
ইসিয়াক
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
সুরাইয়া পারভীন
এ পর্বও দারুণ লিখেছেন
দেখা যাক কী হয় পরের পর্বে
ইসিয়াক
সাথে থাকুন ।শুভকামনা্
জিসান শা ইকরাম
ত্রিভুজ প্রেম দেখতে পাব মনে হচ্ছে 🙂
গল্প তো আপনি বেশ ভাল লেখেন,
শুভ কামন।
ইসিয়াক
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইয়া ।
সুপায়ন বড়ুয়া
কবিতা ছেড়ে গল্পে এলেন
ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে ভাবেন।
ভাল লাগলো।
শুভ কামনা।
ইসিয়াক
পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন দাদা।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ভীষণ সুন্দর; যাই পরের পর্বগুলোতে/
ইসিয়াক
অনেক ধন্যবাদ রইলো আপু।