ক্রমাগত বুঁদ হচ্ছি নিরুপায় বন্দিত্বের কাছে,
ঔদাস্যের নিঃশব্দ নিঃসঙ্গ ছায়া অনুসরণে,
গিলে খাচ্ছি চুপ থাকার তরিকা।
স্মৃতির কিনারায় বহুমুখী ক্ষত নিয়ে
ভাবা-ভাবি আর হয়-ই না।
শোক এক নিরেট স্থাপত্য,
যার বেদি মূলে আছে অঢেল তাজা-ফুল।
ক্ষুধিত দৃষ্টি নিয়ে তবুও দেখতে ভাল লাগে
প্রচণ্ড সবুজের আমগাছ, ঝুলে থাকা ভরপুর কচি আম,
জিভে জল আসা মুখ নিয়ে।
সতেজ ফুলের গন্ধে চোখ ফেললেই
ডাক শুনতে পাই,
প্রজাপতির রঙ ডানায় নিবিড় আশ্রয়ের,
সারা রাতের অপেক্ষায় একটি শিশির ভোরের।
ছবি নেটের।
৩০টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ক্রমাগত বুঁদ হচ্ছি নিরুপায় বন্দিত্বের কাছে,
ঔদাস্যের নিঃশব্দ নিঃসঙ্গ ছায়া অনুসরণে,
গিলে খাচ্ছি চুপ থাকার তরিকা।
স্মৃতির কিনারায় বহুমুখী ক্ষত নিয়ে
ভাবা-ভাবি আর হয়-ই না।
শোক এক নিরেট স্থাপত্য,
যার বেদি মূলে আছে অঢেল তাজা-ফুল।
সত্যই বলেছেন ভাইজান, ক্রমাগত বুঁদ হচ্ছি নিরুপায় এই বন্দীত্বে।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা কঠিন সময় পার করছি, নিরুপায় হয়েই।
তবুও আশায় বুক বাঁধি, মুক্তির।
ভাল থাকবেন, ভাই।
ইঞ্জা
জ্বি ভাইজান, আপনিও ভালো থাকবেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
শুভ কামনা, ভাইয়ের জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমরা সবাই নিরুপায় হয়ে বন্দিত্ব বরণ করে নিয়েছি। সুন্দর একটি শিশির ভোরের অপেক্ষায় আছি। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
হুম, আটকে আছি কঠিন যাতাকলে, শুধু মুক্তির অপেক্ষা।
আপনি ও ভাল থাকবেন।
শামীম চৌধুরী
দাঁত ভাঙ্গার উপক্রম হয় আরনার কবিতা পড়তে গেলে। তারপরও পড়ি ভাল লাগে বলে।
আমরা কেউ বন্দীত্বকে মেনে নিতে চাই না। তবুও নিরুপায় হয়েই গিলে খাচ্ছি নীরবতাকে। আর এটাই আমাদের বেসিক হয়ে যাচ্ছে বর্তমানে।
ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি মামা-দেখা/খোঁজা চির যুবক, ইস্পাত দাঁতের, সমস্যা হওয়ার কথা-না,
চালু থাকবে অবিরত।
আসলে কেমন যেন শারীরীক মানষিক ভাবে বন্দিত্বের মধ্যে আছি,
মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে-ই বেঁচে আছি।
আপনি ভাল থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
“সতেজ ফুলের গন্ধে চোখ ফেললেই
ডাক শুনতে পাই,
প্রজাপতির রঙ ডানায় নিবিড় আশ্রয়ের,
সারা রাতের অপেক্ষায় একটি শিশির ভোরের।”
সেই আশায় দিন গুনে যাই
কবিতাটা যেমন বুঝতে সহজ হয়ে যায়।
শুভ কামনায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অবশ্যই বুঝতে পারেন,
শুধুই ক্ষণ গুনে গুনে মুতির অপেক্ষা করি।
ভাল থাকবেন,
আপনার লেখা তো পাচ্ছি না!
তৌহিদ
আমার কিন্তু অসহ্য লাগছে এই সময়টা ভাই। সব কাজ হচ্ছে তবুও গৃহবন্দি। খুব যখন অস্থির লাগে বাগানে গিয়ে টবের ফুলগুলি দেখি।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
এক অদৃশ্য দেয়ালে যেন আটকে আছি,
বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাস/আনন্দের শুধুই অপেক্ষা।
আপনি সবাইকে নিয়ে সাবধানে থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
আপনার নিজের গাছের আম হলে খেতে চাই, অন্যথায় সারা রাতের অপেক্ষায় থাকলাম।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষার ফল খেতে মিষ্টি হয়।
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
সেই ফল যদি হয় ডেফল তাও কি মিষ্টি হবে ভাই? 😀
ছাইরাছ হেলাল
প্রচণ্ড ক্ষুধায় সব কিছুই মিষ্টি!
সাবিনা ইয়াসমিন
অপেক্ষায় থাকি শেষ রাতের অবিরাম বৃষ্টি ঝরা মেঘলা ভোরের.
খটমটে দুপুর পেড়িয়ে সান্ধ্য দীপাবলির হাতছানিতে খুঁজে ফিরি ক্লান্ত শিশির-বিন্দু,
নির্ঘুম রাত্রি অবসানে শিশির ভোরের অপেক্ষায় থাকি,
মেনে নেয়া বা চাপিয়ে দেয়া বন্দীতের মাঝে..
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা-জীবন অপেক্ষার জীবন
কুঁড়ির মধ্যে লুকিয়ে থাকা স্বপ্ন-ভোর
একদিন ঠিক জেগে উঠবে,
ঝুঁকি এড়িয়ে,ঝুঁকি ভেঙ্গে;
ঢুলুঢুলু চোখে পায়চারি করে
হেঁটে আসা জ্বলন্ত হতাশারা
স্বীকার করে নেবে,
জীবিত শিশিরের আশীর্বাদ।
রুমন আশরাফ
বন্দিজীবন আমাদের কারও কাম্য নয়।
ছাইরাছ হেলাল
স্বেচ্ছা বন্দিত্ব আমাদের মেনে নিতেই হয়, প্রয়োজনের তাগিদে।
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
নিতান্তই অনন্যোপায় হয়ে
মেনে নিতে হয়েছে/হচ্ছে
এই বন্দিত্ব জীবন যাপন
সুসময়ের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া
আর যে কিছুই করার নেই
ছাইরাছ হেলাল
প্রচণ্ড অসহায়ত্ব আমাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, প্রতিনয়ত।
ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
প্রতি দিন প্রতি রাতে কাটে আতঙ্কে, আর ভয়ে। ভাবা-ভাবি শুধু কখন যে নিজের সংক্রমিত হই, আক্রান্ত হই! এসব ভাবনার মাঝে গাছে ঝোলা টাটকা ফলের দিকেও নজর পড়ে না। চোখের নজর এখন রাস্তায় রাস্তায়, হাটবাজারের দোকানের সামনে থাকা মানুষের দিকে। তারপরও এই সময়ে কবি মহারাজের নজর পড়ে প্রকৃতির দিকে। সত্যি আশ্চর্য!
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে কী, আমার যে ঘরে বন্দিত্ব সেখানে আমার পড়ার টেবিলে সামনে বিশাল জানলার ওপাশে নানা ফল-ফুলের গাছ,
এদের দেখে, কথা বলে সময় কাটে, আর আমার লেপু টেবিলে বসলে শুধুই আকাশ।
তাই বুঝতেই পারছেন, আমি এদের রাজ্যেই থাকি।
অনেক ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
আহা!
এ তবে কোনো ঘর নয়
সাক্ষাৎ স্বর্গলোক
এমন স্থানে নিরুপায় হয়ে নয়
স্বেচ্ছায় বন্দী হতে ইচ্ছে করছে
এমন বন্দিত্ব জীবন যাপন চাই তো
ছাইরাছ হেলাল
আবার বলি, আমার পড়ার টেবিল ডাইনিং টেবিলের মত বড়, আর জানলা পুরো রুমের সমান।
বই থেকে বা লেখার শীট থেকে চোখ তুললেই গাছ-ফুল-পাখি, আমার বহু লেখায় এদের কথা এসেছে।
আকাশ দেখার জানলাও পুরো রুম জুড়ে, অমাবশ্যা থেকে কালো-জ্যোৎস্না কিছুই বাদ যায় না।
অবশ্যই আল্লাহ সহায়।
জিসান শা ইকরাম
শিশির ভোর আসবেই একদিন।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা সে দিনের অপেক্ষা করি।
হালিম নজরুল
পড়তে অনেক দেরী করে ফেললাম
ছাইরাছ হেলাল
কোন ব্যাপার, কবি।
ভাল থাকুন।