কবিতা-সুন্দরীর ছন্দিত ভুবনে আমি খুঁজি তার
নন্দিত শরীর। বিপুল শব্দস্রোতে ভাসিয়ে হৃদয়কন্দর…
সাঁতার কেটে চলি দ্রুতগামী মাছের মতোন!
কবিতাপাগল অন্ধ আমি ছন্দে ছন্দে
খুঁজি তার অনিন্দ্য-সুন্দর অভিসারী যৌবন?
বন্ধুরা বলে, গদ্যের যুগে ছন্দের কী দাম
রূপক কবিতা্রাও আজ কবিতা নয়;
স্রেফ পত্রিকার কলামের মতোই কলাম
সাজিয়ে দাও গেঁথে দুর্বোধ্য কিছু শব্দসম্ভার!
অনবদ্য যৌবনা-কবিতার অনিটোল রূপ
মাড়িয়ে তাই আমি তুলে আনি আদি ছন্দ-সুর
ছন্দিত কবিতা কি তবে কবিতা নয়, অথচ কী সুন্দর;
অসুন্দর মানেই তো জানি ছন্দপতন খুব
নারীসুষমাও কবিতার অশরীরী কায়ার মতোন–
বন্ধুরা বলে, সবার জন্য কবিতা নয়, তাই
মুড়িয়ে দাও কবিতায় এক দুর্লঙ্ঘ আবরণ।
হায় কবিতা, তুমি কি তবে অবগুণ্ঠিত নারী
বুঝিনা আমি, নিপুণ শব্দস্রোতেই শুধু সাঁতরাই!!
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আপনার লেখাটি মনে হয় কিছুক্ষন আগে দেখেছি। আবার এখন দেখলাম।
জানি আপনি অত্যন্ত ভালো লেখেন।
কিন্তু শিরোনাম বাদে একটি লেখা প্রকাশ করা উচিৎ নয়।
প্রকাশ এ ক্লিক করার পরে একটু সময় ব্যয় করুন না হয়, অনেক ব্যাস্ততা আপনার তাও জানি।
আপনার পোষ্টটি প্রকাশ হলো কিনা,শিরোনাম দিয়েছেন কিনা, যে ছবিটা দিবেন তা এসেছে কিনা- এসব না দেখেই যদি চলে যান, আমরা পাঠকরা তখন কষ্ট পাই। তখন ভাবি, এত ভালো একজন মানুষ কত সুন্দর কোট প্যান্ট পরেছেন,কিন্তু স্যান্ডেল পায়ে নাই। আমরা তো এটা চাইনা ভাইয়া। অনুগ্রহ করে এরপর একটু সময় না হলে নষ্ট করলেন আমাদের জন্য।
শুভ কামনা।
শাহ আলম বাদশা
অনেক ধন্যবাদ, আমি আসলেই কনফিউজড যে, লেখা পোস্ট করার পর দেখি নেই। এবার বুঝলাম কেন আর এটাই জীবনের প্রথম ভুল শিরোনাম না লেখা। পরামর্শের জন্য খুশি হলাম।
জিসান শা ইকরাম
কবিতা ভালো লেগেছে।
শাহ আলম বাদশা
ভাল্লাগায় আমিও খুশি ভাই -{@ -{@ -{@
নুসরাত মৌরিন
খুব ভাল লেগেছে। :c
আসলেই তো দূর্বোধ্য শব্দ মুড়ে দিলেই কি হয় কবিতা?
আজকাল অনেক কবিতারই মানে বুঝি না,কবিতা কেন সবার জন্য হবে না??প্রশ্নটা আমারো…। 🙂
শাহ আলম বাদশা
এটা কবিদেরই দুর্বলতা, তারা ”জীবনের জন্য শিল্প” এর বদলে শিল্পের জন্য শিল্পের চর্চায় ব্যস্ত এবং কবিতার সংজ্ঞা না জানাও আরেকটা কারণ।
প্রহেলিকা
আপনার কাছ থেকে কবিতার সংজ্ঞা জানতে চাই, কিছুটা জানতে পারবো তাহলে।
শাহ আলম বাদশা
এ নিয়ে বিতর্ক আছে এবং সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা তো নির্ধারিত হয়নি এখনো–নানা মুণির নানা মত আছে। তাই ছন্দের কোনো বইয়ে সংজ্ঞা দেখে নিতে পারেন। তবে এতটুকু বলা যায়, অন্ত্যমিল বা অন্ত্যমিল্বিহীন সেই পদ্যই কবিতা যার শরীর গঠিত হয় ছন্দ, মাত্রা, উপমা, অনুপ্রাস, উৎপ্রেক্ষা ইত্যাদির সমন্বয়ে যদিও তা ১০০% ছন্দের ব্যাকরণের দাসত্ব করেনা, যেমনটি করে পদ্য বা ছড়া।
আবির
কবিদের দুর্বলতা হা হা হা! কোনো যুক্তি ছাড়া কথাটি বলে গেলেন, কবি কি না বুঝে কবিতা লিখেন? একজন সাধারণ পাঠক কবিতার ভাব ধরতে না পারলে সহজেই বলেন লেখকের ব্যার্থতা কিন্তু কখনোই নিজে স্বীকার করেন না নিজের বোঝার সীমাবদ্ধতা। কবি কিন্তু মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা কোনো প্রাণী না অথবা মনগড়া কোনো শব্দে কবিতা লিখেন না, প্রতিটি শব্দই অভিধানের অন্তর্গত এখন পাঠক যদি সেই শব্দের অর্থ না জানেন তাহলে এই দায় কার!
কবিতায় ছন্দ থাকবে না আমি সেটি বলবো না ছন্দ থাকবে তবে তাই বলে কোনো কবি ছন্দের গোলামী করবে তাও মানতে প্যারি না। ছন্দহীন হলে তাকে যে কবিতা বলা যাবে না সেটিও ঠিক না।
আপনি চাইলে এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে তবে আলোচনার মাঝে আপনার সাহিত্য চর্চার বয়স এবং ব্লগের কাউকে বালখিল বলে গালি দিবেন না। এর নিশ্চয়তা দিতে হবে
শাহ আলম বাদশা
সময়ই কবির সার্থকতা নির্ধারণ করে, একাডেমিক যুক্তিতর্কে কেউ জিতলেও কবিত্বে তিনি উত্তীর্ণ নাও হতে পারেন। ছন্দ পড়ে পড়ে যেমন সবসময় ছন্দ আত্মস্থ করা যায়না, তেমনই ছন্দ আত্মস্থ না করেও কবিতা লেখা যায়। মানের বিষয় নির্ধারণ করবে পাঠক। নামীদামী কবিদের মূল্যায়ন এভাবেই হয়েছে যুগে যুগে। কিন্তু ছন্দবিহীন কবিতা যুক্তিহীন যেখানে মুক্তকছন্দেও ছন্দ শব্দটা জুড়ে আছে।
ছন্দছাড়া লিখলেও ভালোকবিতা হবেনা এবং পত্রিকার কলামই ভাই। বিতর্ক করে তিক্ততাই বাড়ে। এরচে যার যা মতবাদ তারই থাক–তবে পাঠকের কবিতা বুঝতে না পারার দোষ দেয়াটা ”নাচতে না জানলে উঠোন বাকা”র মতোই এক অবাস্তব অভিযোগ। কবিতা মানুষের জন্য, তাই তা হতে হবে বোধগম্যই। আপনার মতের প্রেক্ষিতে আমার অনুভব বললাম আরকি? ধন্যবাদ
হৃদয়ের স্পন্দন
আমার মন খারাপ হলো এটা পড়ে। তবে একটা প্রশ্ন. কবি।
গদ্যের যুগে পদ্য কি অচিরেই হারাবে?
শাহ আলম বাদশা
না হারাবে না পদ্য, মানুষের মনে পদ্যই দাগ কাগে এবং মুখস্থ হয় সহজেই।
ব্লগ সঞ্চালক
প্রিয় ব্লগার,আপনার সর্বশেষ পোষ্ট ‘ছন্দ নিয়ে দ্বন্দ্ব’ খসড়ায় রেখে দেয়া হলো।যাতে আপনি সময় মত আবার পোষ্ট করতে পারেন।
নীতিমালার [ https://sonelablog.com/tac ] ৫ নং অনুচ্ছেদটি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
শুভ ব্লগিং।
শাহ আলম বাদশা
ধন্যবাদ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়ায়
খসড়া
ভাল লাগল।
শাহ আলম বাদশা
ভাল্লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ