নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড এয়ারপোর্টে যখন পোঁছালাম, এয়ারপোর্ট দেখেই তো আমার আক্কেল গুরুম, ছোটো একটা এয়ারপোর্ট যেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত এয়ারপোর্ট, নেই কোন আহামরি সাজসজ্জা, না আছে সুন্দর এরাইভাল ওয়াকওয়ে, আমিরা এগুলাম সিকিউরিটি চেকইনের জন্য, চেইকইন জন্য এগিয়ে গিয়ে লাইন ধরলাম, কয়েকটা ফ্লাইট এক সঙ্গে নামার কারণে প্রচুর মানুঢ জড়ো হয়েছে, কিছুক্ষণ পর দুই সিকিউরিটি অফিসার দুইটা জার্মান শেফার্ড নিয়ে এলো, দুইজনে মিলে স্নিফার ডগ দিয়ে সকল যাত্রীর ব্যাগ শুঁকাইতে লাগলো, আমার ব্যাগের কাছে এসে বেশ কিছুক্ষণ চোক চোক করলো, আমি তো অবাক হয়ে গেলাম যে কি এমন আছে আমার ব্যাগে যে এতক্ষণ শুঁকবে?
একটু পরেই কুকুর রণে ভঙ্গ দিয়ে সামনে এগিয়ে গেল, মনে মনে বললাম, যা ব্যাটা আমি ড্রাগ প্যাডলার না যে তুই কিছু শুঁকে পাবি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সিকিউরিটি চেক সেরে বেরিয়ে পড়লাম এয়ারপোর্ট থেকে, বাসে করে এগুলাম অকল্যান্ড দেখতে দেখতে, নিউজিল্যান্ডের সর্ব বৃহত শহর অকল্যান্ড কেমন যেন শূন্য শূন্য, বাড়ি ঘর, দোকানপাট, শপিংমল সব গুলোই কেমন যেন পুরনো টাইপের যেমন ইটালিতে দেখেছি, মনে মনে ভাবলাম নিশ্চয় এরা পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, রোড গুলো ছয় লেইনের, শহর বলুন বা হাইওয়ে সব রোডই অনেক বড় বড়, আমি যখন সেন্ট্রাল হোটেলে বাস থেকে নেমে প্রবেশ করলাম হোটেলটা প্রথম দেখাতেই পছন্দ হলোনা, বুঝতে পারলাম অনেক পুরনো হোটেল।
এই হোটেলে উঠতে মন চাইলোনা, কিন্তু আমার এজেন্ট বলেছিলো এই হোটেলেই যেন উঠি, এইখান থেকেই সে আমাকে পিক করতে আসবে আগামীকাল সকালে, বাধ্য হয়ে চেকইন করলাম, আমাকে সিঙ্গেল রুম দেওয়া হলো, বেলবয় আমাকে রুমে নিয়ে গেলো, ভিতরে প্রবেশ করে বড় একটা ধাক্কা খেলাম, সিঙ্গেল বিছানাটার থেকে অল্প একটু বড় রুমটা, টয়লেটটাও তথৈবচ, এইসব দেখে নিচে নেমে বললাম সরি রুমটা আমার পছন্দ হয়নি, দরকার হলে আমাকে ডাবলবেডের রুম দাও, ওরা অপারগতা জানালো রুম ফ্রি নেই বলে, আমি শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়ে সিঙ্গেল রুমটাতেই স্থান গাড়লাম।
আমার এজেন্ট ভদলোক আজ সন্ধ্যায় লান্ড করবেন অকল্যান্ডে, আমি অযথায় শুয়ে বসে না থেকে দুপুরে বেরুলাম কিছু খাওয়ার উদ্দেশ্যে, এলাকাটা যেহেতু সেন্ট্রাল অকল্যান্ড, আমার ঘুরে দেখার জন্য বেটার প্লেস, আমি কিছুক্ষণ উদ্দেশ্যহীন এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলাম, সাথে উইন্ডো শপিং যা জীবনেও করিনি এখন তাই করতে শুরু করলাম, একদিকে দেখলাম স্ট্রিট ফুড বিক্রি হচ্ছে, এগিয়ে গিয়ে উঁকি দিলাম, ওরা হটডগ বিক্রি করছে দেখে জিজ্ঞেস করলাম কিসের হটডগ?
ওরা জানালো বিফ, আমি একটা নিয়ে মাস্টার্ড সস লাগিয়ে খেতে খেতে শহরের সৌন্দর্য্য দেখতে লাগলাম, কিন্তু অবাক হলাম ছয় লেনের রোডে গাড়ী বলতেই নেই, হটাৎ একটা দুইটা আসে, চলে যায়।
সন্ধ্যার আগে হোটেলে ফিরে এলাম, রিসেপসনে জিজ্ঞেস করলাম ওদের নিজের রেস্টুরেন্ট আছে কিনা?
ওরা জানালো টপ ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট আছে, আমি চাইলে রুমেও অর্ডার করে খেতে পারি।
পরদিন ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো, ফোন রিসিভ করতেই রিসেপশন থেকে বললো কল আছে আমার জন্য, একটু পরেই আমার এজেন্ট হ্যালো বলে বললো, সে ঘন্টা দুই একের মধ্যে আসবে আমাকে পিক করতে, আমাকে বলেছে চেকআউট করে নিতে।
আমি ফ্রেস হয়ে রুমেই ব্রেকফাস্ট করে নিলাম, এরপর নিচে নেমে এসে চেকআউট করে অপেক্ষা করতে লাগলাম এজেন্ট ভদ্রলোকের জন্য।
ভদলোক আসলে উনি নিজেই আমার সব ব্যাগেজ গাড়ীতে তুলতে হেল্প করলেন, গাড়ীতে উঠার পর সে বললো, আমার আপত্তি না থাকলে ও আমাকে লোকাল ভিসা ও জাতীয়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে হেল্প করবে এমন লোকের কাছে নিয়ে যেতে চাই, ওই লোকটিই আমাকে এইখানকার সকল বিষয়ে অবগত করবে এবং সকল প্রকার হেল্প করবে।
আমি রাজি হলে সে আমাকে নিয়ে গেলো লোকাল এজেন্টের কাছে, লোকটি আমাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে পরিচয় দিলো তার নাম মার্ক, সে আমাকে সকল বিষয়ে হেল্প করবে।
মার্ক বলতে লাগলো, অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, নিউজিল্যান্ডের রাজধানী হলো ওয়েলিংটন হলেও মানুষ পছন্দ করে অকল্যান্ডকে, এই দেশের আদি বাসিন্দারা হলো মাওরি উপজাতি, এদের সংস্কৃতি সাধারণ নিউজিল্যান্ডবাসিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হলেও ওরা মিশে আছে সাধারণ মানুষের ভীড়ে, এরপরেও ওরা ওদের সংস্কৃতি ছাড়েনি, ওদের নিজস্ব গ্রাম আছে, যেখানে ওরা ওদের সংস্কৃতির চর্চা করে যা নিউজিল্যান্ডবাসির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তোলে ওদের।
পরদিন সকালে মার্ক এলো আমাকে পিক করার জন্য, প্রথমে নিয়ে গেলো ব্যাংকে একাউন্ট খুলার জন্য, একাউন্ট খুলার সাথে সাথে আমাকে ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড দেওয়া হলো যা আমি যে কোন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক যেমন এইচএসবিসি, স্ট্যান চ্যাট টাইপের ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবো, এরপর গেলাম ব্যবসা কি করা যায় তা সম্পর্কে জানতে, যেহেতু ও শুনেছে আমি গাড়ীর ব্যবসায়ী, তাই সে আমাকে নিয়ে গেলো কিছু গাড়ীর ডিলারের কাছে, ওদের কাছে জানতে পারলাম নিউজিল্যান্ডে গাড়ী আমদানিতে কোনো ডিউটি নেওয়া হয়না, ফলশ্রুতিতে আপনি যে কোন গাড়ী খুব অল্প দামে কিনতে পারবেন, সেই সময় দেশে আমি নতুন টয়োটা নোয়া কিনেছিলাম সাড়ে সাত লাখ দিয়ে যা নিউজিল্যান্ডে দেখলাম মাত্র দেড় লক্ষ টাকা দামে মানুষ কিনছে, দেখে অবাক হলাম আমি, ভাবলাম তাহলে তো গাড়ীর ব্যবসায় করতে পারি কিন্তু যা,শুনলাম একটা শোরুম করতে প্রায় তিন চার লাখ ডলার লাগবে শুরুতে, এরপর রানিং ক্যাপিটাল লাগবে আরো দুই লক্ষ, বুঝেন ঠ্যালা।
মার্ক এরপর নিয়ে গেলো কিছু রেস্টুরেন্টে, সেখানেও সব কিছু মিলে ঐ পাঁচ লাখের কাছাকাছি লাগবে, এছাড়া চাইলে বাড়ি একটা করেও রেসিডেন্সি নেওয়া যায় বা যে কোন ধরণের ইনভেস্টমেন্ট করেও নিউজিল্যান্ডের বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।
সব কিছু দেখে শুনে ফ্রি হওয়ার পর মার্ক বললো সাইট সি করবো কিনা, আমি জিজ্ঞেস করলাম কি আছে?
সে বললো, আচ্ছা চলো শহর থেকে একটু দূরে যায়, তোমাকে আমাদের এইখানকার কয়েকটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখাবো।
শুনেই আমার কলজেটা লাফ দিয়ে উঠলো, বলে কি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখাবে, তবুও সাহস করে বললাম, চলো দেখি।
দুজনে গাড়ীতে ছুটলাম আগ্নেয়গিরি দেখতে, সে বললো ওখানে যেতে যেতে দুপুর গড়িয়ে যাবে, তাই পথ থেকেই কিছু খেয়ে নেবো আমরা।
পথেই সাব নামক চেইন ফুড কোর্টে দাঁড়ালাম, ওখানে গাড়ীতে বসেই সে অর্ডার করলো দুইটা করে বিফ বার্গার ও চিকেন স্যান্ডুইচের, কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার ডেলিভারি করা হলে আমরা আবার ছুটলাম আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
ঘন্টা দেড় ঘন্টা পর আমরা পোঁছালাম বড় বড় পাহাড় পর্বতের রাজত্বে, কিছুক্ষণের মধ্যে মার্ক সাইড রোড ধরলো যা একটা পাহাড়ি পথ, ওই পথটা ঘুরে ঘুরে উপরে উঠছে, উঠছি তো উঠছি যেন পথ শেষই হয়না, হটাৎ দেখি সামনে আকাশ, একটু সামনেই দেখলাম বেশ কয়েকটি গাড়ী রাখা আছে পার্কিংয়ে, আমাদের গাড়ীও পার্কিংয়ে রেখে আমরা বার্গারের বক্স নিয়ে নেমে পড়লাম, একটু সামনে দেখলাম বড় একটা ঘন্টা ঝুলানো যার অপর পাশে লোহা দিয়ে ঘেরাও করা আছে, মার্ক আমাকে নিয়ে সেদিকেই এগুলো, ঘেরাও করে রাখা ফেন্সের কাছে এসে দাঁড়ালাম দুজন, দেখলাম ফেন্সের ওদিকে বিরাট একটা গর্ত মতো একটা হয়ে আছে যার মধ্যে ছোটো খাটো আরেকটা পাহাড় ভরে দেওয়া যাবে, একেবারে তল পর্যন্ত সবুজে সবুজ হয়ে আছে কিন্তু আগ্নেয়গিরির ছিটেফোঁটাও নেই, আমি মার্ককে বললাম, কই তোমার আগ্নেয়গিরি?
জবাবে ও বললো, এইটাই আগ্নেয়গিরি যা শত বছর পর্যন্ত ঘুমন্ত বা সুপ্ত অবস্থায় আছে বলেই এমন মনে হচ্ছে, কিন্তু এইটা যদি জেগে উঠে তাহলে অকল্যান্ড শহরকে চেনাই যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
আমি আবার ভয়ে ভয়ে তাকালাম, নিজ চোখে এমন একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি স্বচোক্ষে দেখবো কখনোই চিন্তাও করিনি।
কতক্ষণ এক দৃষ্টিতে চেয়েছিলাম সেই দানবকে কিন্তু ধ্যান ভাঙ্গলো মার্কের ডাকে, বললো চলো ওদিকে বসে বার্গারটা খেয়ে নিই।
দুজনে ঘন্টার কাছে এসে বসলাম, বার্গার খেতে খেতে দেখছি আসে পাশের সৌন্দর্য্য মুগ্ধ হয়ে, কি অপরূপ সেই দৃশ্য কিন্তু দানবটা জেগে উঠলে হয়তো এইসব কিছুই থাকবেনা।
আমাদের আগে পরে আরো পর্যটক এসেছে আগ্নেয়গিরিটা দেখতে, সবাই ছবি তুলছে, আমরাও তুলছি, আমি মার্ককে জিজ্ঞেস করলাম এই ঘন্টাটা কিসের?
ও বললো, এইটা হলো এলার্ম যাতে আগ্নেয়গিরি জাগছে বা জাগবে দেখলে আগের দিনে এইটা বাজানো হতো ঢং ঢং করে, এইটা এখনো রয়ে গেছে একি ভাবে, প্রশাসন সব সময় এর রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
আমি ঘুরে ঘুরে ঘন্টাটা দেখতে লাগলাম, বিরাট একটা ঘন্টা, দেখতেই অবাক লাগে এইটা কিভাবে ঝুলালো এইখানে।
কিছুক্ষণ পর আমরা ফিরতি পথ ধরলাম।
সমাপ্ত।
যারা আগের পর্ব পড়েননি, তাদের জন্য লিংক দিলামঃ
৪৩টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি প্রথম। এখন পড়া শুরু করবো 😊😊
ইঞ্জা
😍
সাবিনা ইয়াসমিন
এইবার পড়ে শান্তি পেলাম। নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জানার আগ্রহ হয়েছিলো প্রথম পর্বটা পড়েই। আপনার এয়ারপোর্টের অবস্থা এমন হলো কেন? কি ছিলো লাগেজে !? 😜
হোটেল রুমের চেহারাও চোখের সামনে ঘুরছে। তাদের হোটেল গুলো সবই এমন? এজেন্ট আপনাকে ঐ হোটেলে কেন উঠতে বললো? গেস্টদের জন্যে একটা ভালো হোটেল বা রুমের ব্যবস্থা কি করা যায়নি !!
আগ্নেয়গিরির কথা শুনে কিন্তু একটু ভয় পেয়েছি। সুপ্ত থাকলেই কি জেগে উঠতে কতক্ষন! ঘন্টার ছবি দিলে আরও ভালো হতো ভাইজান। দেখতে পারতাম।
ভ্রমণ কাহিনী লিখে আমাদেরও একরকম ভ্রমনের আনন্দ দিচ্ছেন, এই জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ কামনা 🌹🌹🌹
ইঞ্জা
আপু ব্যাগে কিছু থাকে ড্রাগ ক্যারিয়ারদের আমি তো আর তা না। 😊
এজেন্ট ব্যাটা আমাকে বাঙ্গালী জেনেই কম দামী হোটেলে তুলেছিলো, সে তো বুঝতেই পারেনি আমি সৌখিন মানুষ, পরে অবশ্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। 😂
সুপ্ত থাকা মানেই হলো ও জেগে উঠবে, যখন জেগে উঠবে তখন সব কিছুই তছনছ করে দেবে, ঘন্টার ছবি আপু খুঁজে পাইনি, নাহলে দিতাম।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু। 😊
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রিয় ভাইজান, আরেকটা লেখা কবে দিবেন?
ইঞ্জা
আপু জীবনের ব্যস্ততায় আছি এখন, অবশ্য দ্রুতই লেখা দেবো। 😊
সাবিনা ইয়াসমিন
ঈদের আগে দিবেন। 😊😊
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ্
মনির হোসেন মমি
আমি প্রথম।
পড়ে ফেলেছি।প্রথমে থমকে গেলাম সত্যিই কুকুরগুলো যদি আপনার ব্যাগ হতে না সরত।যাক আপনার লেখায় আপনিই সরিয়ে দিলেন।এর পর হোটেল বুকিং ব্যাবসায়ীক ধান্দা সব মিলিয়ে এ যেন আমিই নিউজিল্যান্ড স্বর্গের দেশে।ভাল লাগছে জেনে যে অকল্যান্ডের সুপ্ত আগ্নেগিরীটির দর্শন করেছেন।আমরা দোয়া এ আগ্নেগীরি যেন জেগে না উঠে।খুব ভাল লাগছে আপনার এমন অর্থবহ একটি লেখা দেখে।আশা জাগছে আগামী দিনে সোনেলায় সোনালী ফসল তুলবো বলে।ভাল থাকবেন।শুভ কামনা রইল ভাইজান।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, আপনিই দ্বিতীয়, প্রথম নন। 😂
কুকুররা যদি আমাকে ধরতো তাহলে তো জেলেই থাকতে হতো, আসলে ওরা ধরে ড্রাগ ক্যারিয়ারদের, আমরা তো আর তা না।
হোটেলের বিষয়টা সম্পূর্ণ আমার এজেন্ট করেছিলো যা অল্প টাকা খরচা যেন হয় এই জন্য।
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি মানেই হলো ঘুমন্ত দানব, এ মরেনা, এ জেগে উঠবেই কোন এক সময়।
আপনাকে অভিনন্দন ভাই, আপনারা যখন আছেন ইনশা আল্লাহ সবই হবে এই সোনেলায়। 😊
মনির হোসেন মমি
এটা ঠিক না সাবিনা আপুর পক্ষ নিলেন আমরাতো আর ভাই না।সাবিনা আপু না পড়েই মন্তবে প্রথম আর আমি হলাম পড়ইরা মন্তব্য দিয়া প্রথম তাহলে ভাবুন কোনটা প্রথম।ভাল থাকবেন ভাইজান।
ইঞ্জা
😂
ভাই আমরা আমরাই তো, কাউকে তো আর মেডেল দেবোনা। 😄
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মমি ভাই আমি কিন্তু সব দেখছি,,, প্রথম হওয়াটাই আসল। কিভাবে হলাম ওটা ব্যাপার না 😜😜
ইঞ্জা
হা হা হা হো হো হো 😄
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
তবে এই চুম্বকে তো হবে না। বিনা চুম্বকে ঢালাও ভাবে সব কিছু লিখে দিন।
নো কাটছাট!!, মনে থাকে যেন।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, কানে কানে বলি, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ ছিলো খুবই স্বল্প সময়ের জন্য, ফলশ্রুতিতে তেমন কিছু লেখারই ছিলোনা। 😄
ছাইরাছ হেলাল
দিলেন তো জল ঢেলে!!
যান অন্য চালু লেখাটি এগিয়ে নিন।
ইঞ্জা
😂
নিশ্চয় চলবে। 😂
তৌহিদ
উহ! আপনাকে দেখে যে কি ভালো লাগছে! কতদিন পরে এলেন দাদা। আপনার ভ্রমন গল্পের আমি কিন্তু অনেক বড় ফ্যান। অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা এটি। অনেক কিছু জানলাম।
শুভকামনা দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অনেকক্ষণ সময় নিয়ে পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
শুভকামনা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ, আপনাকে সোনেলায় স্বাগতম। 😊
ইঞ্জা
আমিও খুব খুশি ভাই আপনাদের মাঝে আসতে পেরে, দোয়া রাখবেন। 😊
তৌহিদ
আপনিও দোয়া করবেন দাদা।
ইঞ্জা
সবসময় দোয়া ভাই।
শামীম চৌধুরী
পুরাটা পড়লাম। চমৎকার ভ্রমন কাহিনী ভাইজান। আরো জানতে চাই অন্য কোন দেশ নিয়ে।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, ভ্রমণ কখনোই আমার ঘুরাফেরার জন্য হয়নি, যা হয়েছে তা ব্যবসায়ীক, চাকরির কারণে, ফলশ্রুতিতে ভ্রমণ কাহিনীতে তেমন কিছু লিখতে পারিনা আমি, এরপরেও যা সম্ভব আপনাদের জন্য লিখে চলেছি, ধন্যবাদ ভাই। 😊
জিসান শা ইকরাম
ইঞ্জা ভাই, নিউজিল্যান্ড যাইনি আমি এখনো, খুব ইচ্ছে দেশটি ভ্রমন করার। যতটুকে লিখলেন, তাতে মনের পিপাসা মিটলো না।
আপনিই ভ্রমন নিয়ে সোনেলায় বেশি লিখেছেন।
সোনেলার ইবনে বতুতা আপনি।
সুপ্ত আগ্নেয়গিড়ি দেখেছিলাম ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। কেমন ভয় ভয় লাগে।
এয়ারপোর্টের এই অবস্থা!
নিয়মিত লেখা চাই,
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ভাইজান,
আমার যেকোন ভ্রমণ যাওয়ার কারণ হলো হয় ব্যবসায়ীক, না-হয় ব্যক্তিগত আর এই জন্যই আমার ভ্রমণ কাহিনীতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা থাকেনা, যা থাকে গেলাম, এলাম আসে পাশে যা দেখলাম, এই জন্যই আমি মনে করি আমার ভ্রমণ কাহিনী পারফেক্ট না, আর সোনেলার ইবনে বতুতা আমি হওয়ার কথা না, আশা করি এর চেয়েও ভালো কাউকে সোনেলা পাবে এই সোনেলার ইবনে বতুতা হবে।
আগ্নেয়গিরি দেখা মানেই তো দানব দর্শন ভাইজান, বুক কাঁপারই কথা।
এয়ারপোর্টের কুকুর ব্যাটা যদি সন্দেহজনক কিছু পেতো তাহলে তো আমি চৌদ্দশিকের ভিতরে থাকতাম নাকি? 😂
নিতাই বাবু
দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই দাদা। মানে হলো, এই জীবনে আর নিউজিল্যান্ড যাওয়া স্বপ্নের ব্যাপার-স্যাপা তাই। যাক, না যেতে পারলেও আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মনে মনে আমারও একরকম ভ্রমণ হয়ে গেছে।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা
ইঞ্জা
যেকোন ভ্রমণ কাহিনী মানেই হলো পাঠকদের সাথে ভ্রমণ করে আসা, আপনার ভ্রমণের স্বাদ দিতে পেরেছি জেনে খুব খুশি হলাম। 😊
মোঃ মজিবর রহমান
ভ্রমন ভাল লাগ্ল ইঞ্জা ভাই। আরো চাই।
ইঞ্জা
খুব খুশি হলাম ভাই, দেখি আরো কিছু ভ্রমণ দেওয়ার। 😊
ধন্যবাদ ভাই। 😊
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। শুভেচ্ছা অবিরত।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা অবিরত
আরজু মুক্তা
নিউজিল্যান্ড আমিও ঘুরে আসলাম
ইঞ্জা
কেমন লাগলো আপু?
শাহরিন
পুরো নিউজিল্যান্ড ঘুরলাম। মন খারাপ লাগছে নিজের জন্য কিছুই শপিং করলাম না!!!!
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ, আফসোস আমিও কোন শপিং করিনি, অবশ্য ওখানে যা পাওয়া যায় তা এই দেশেও পাওয়া যায়, অযথাই কিছু ডলার ওদেরকে দিয়ে আসা, অবশ্য আসার পথে মালেশিয়া হয়ে এসেছি, তখন এক ব্যাগ বিভিন্ন চকলেট নিয়ে এসেছিলাম যা আমার সবসময়ের অভ্যাস। 😆
সাবিনা ইয়াসমিন
চকলেট গুলো এখন কই? আমাদের না দিয়ে সব একাই খেয়েছেন !!
কামাল উদ্দিন
নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছেটা মনের ভেতর সুপ্ত ভাবেই রেখে দিয়েছি। আপনার পোস্ট পড়ে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির ভেতর থেকে ইচ্ছেটা বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছে। শুভ কামনা জানিয়ে গেলাম ভাই।
ইঞ্জা
পারলে ঘুরে আসুন, এ এক দেখার মতোই দেশ।
কামাল উদ্দিন
চেস্টা করে যাবো অবিরত……..
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই