গীতিকবিতাঃ মা
গানের কথাঃ নীতেশ বড়ুয়া ও মিশু খান শহরতলী
গল্পকথাঃ জিল্লুর রহমান শহরতলী
সুরঃ মিশু খান শহরতলী
অ্যালবামঃ অপর পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য
ব্যান্ডঃ শহরতলী
——————
আজ হঠাৎ করে মনে পরছে তোমায় মা
স্মৃতির চাদরে জড়িয়ে আজ আমায়
ভাসালে চোখের নোনায়
অথৈ সাগরে একলা আমি ভেলায়।
ওমা, দেখ তোমার ছেলে কত বড় হয়েছে
তুমি একটু দেখ না, দেখ না…
ওমা আজ অবুঝ ছেলে কত বুঝের হয়েছে
তুমি একটু আস নাচ; আস না…
তোমার আঁচলে, শীতল ছায়ায়
আমায় ঢেকে দাওনা।
একলা ঘরে ছিলাম যখন
আমি কাছে থেকেও দূরে তখন
চার দেয়ালে নিঃস্ব আমি
তোমার ছায়া ছুঁয়ে স্পর্শ খুঁজি।
বেঁচে থাকাই এখন বড় দায়,
অপরাধবোধে ভেতরটা কুঁকড়ে খায়।
ওমা ছুটেছি তোমার খোঁজে
আজ জীবন পথে তুমি বুকে টানো না, নাও না…
ও মা, আজ অবুঝ ছেলে কত বুঝের হয়েছে
তুমি একটু আস না, আস না…
মাঝ রাতে কতবার ফিরেছি বাসায়,
পথ চেয়ে থাকা তোমার- আমার আশায়;
শত অনুযোগ নিয়ে চোখের কোণে,
বুক ফেটে যেত বোবা কান্নায়।
ওমা তোমার সব স্বপ্ন দেখো
আমার হাতে তুমি একটু থাকো না পাশে থাকো না
ওমা তোমার বুকে জড়িয়ে একটু গল্প শোনাওনা
আসো না মা আস না, আসোনা মা ফিরে আস না…
আমার মা ততোদিনে প্রবাস জীবনে। আমার মা’কে কোনদিন বলা হয়নি এইসব কথা, আজও নয়। মা নিয়ে কিছু লিখতে বললেই আমি দশ হাত তুলে বলি সম্ভব নয় আমার পক্ষে ‘মা’কে শব্দে বেঁধে দেওয়া। কিন্তু শহরতলী ব্যান্ডের মিশু শুরু দু’লাইন নিজে থেকে আমাকে গুনগুন করে শুনিয়ে বলে ‘এই দুই লাইন তুই পুরো কর তোর মতো, আমি সাহায্য করছি। কিন্তু লিখ তুই, পারবি’। টানা সাতদিন ৪-৫ ঘণ্টা ধরে চায়ের দোকানে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কাটাকুটি করতে করতে এইটুক করতে পেরেছিলাম। গানের গল্প কথা তখনো কি হবে জানি না। লিখে ফেলা গানের কথার গল্প শুধু আমি আর মিশু জানি। এই লাইনগুলোকে মিশু দিয়ে দেয় ব্যান্ডের পারফর্মিং ভোকালিস্ট সোহাগকে আর দিয়ে বলে পড়ো। ক’দিন পরে সোহাগ আর মিশু যখন আমার কাছে গানের লাইনের উপর ভিত্তি করে গল্প কথা শোনায় তখন নিজেই আবেগ ধরে রাখতে কষ্ট হয়েছিল। এরপর বাকিটুকু শহরতলী করে, সুরের কিছু জানি তাই কিছুই করার ছিলো না আমার আর তবে ওরা জায়গা দিয়েছিলো ভাল লাগা না লাগা জানাতে। এই গানের প্রতিটি ধাপে মতামত নিয়েছে আমার। এরপর… https://soundcloud.com/bandshohortoli/maa-by-shohortoli-band
এতোগুলো কথা বললাম ব্যান্ড বা অন্য কিছুর জন্য বরং ‘মা’ নিয়ে উপলব্দিকে প্রকাশ করতে। আজও আমি প্রবাস থেকে মায়ের ফোন এলে মতের সাথে না মিললে রেগে যাই অনেক সময়, আবার প্রায় সময় চুপ করে শুনি। বরাবরের মতো বাবা মায়ের সামনে কম কথা বলার ছেলে আমি। তাই মাকে নিয়ে ভালবাসার কিছুই কোনদিন প্রকাশ করিনি মুখের শব্দ দিয়ে, তবে একদিন মা বলেছিলেন ‘আমার এই ছেলেটা যখন খুব খুশী হয় তখন শুধু নিঃশব্দে হাসে’-সেদিন আমি অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলাম কি করে! কি করে বুঝলো আমার অনুভূতি প্রকাশের এই গোপন প্রয়াসটি! মা’বলেই বুঝেছেন! আমার সঞ্চয় না করার প্রবণতা মা জানেন, জানেন আমি কেন সঞ্চয়ে আগ্রহী নই। বাবা বকলেও মা সময় নিয়ে বুঝান বারেবারে বিশেষ করে যখন বিপদে পড়্ তখন শান্ত হয়েই বুঝিয়ে দেন।
একবার জিপ গাড়ীর তলায় পায়ের পাতা চলে আসাতে পায়ের পাতা ফুলে যায়, ব্যাথায় হাঁটতেও পারছিলাম না ঠিক করে। ব্যাথা পাওয়ার প্রায় ৫ ঘন্টা পরে সেই ফোলা পায়ের পাতা নিয়ে বাসায় ঢুকতেই মায়ের সামনে যতটুকু সম্ভব ঠিক হয়ে চলা শুরু করি যাতে মা বুঝতে না পারেন কিন্তু মা ধরে ফেলেন এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়া! পরে এক্সে করে জানতে পারলাম যদি আরো দেরি করে ডাক্তারের কাছে যেতাম তবে পায়ের হাড় জীপের চাকায় যতটুকু বেঁকেছে তা পুরোটুকুই ভাঙতো। আজো সেই পায়ের পাতায় বেঁকে থাকা হাড় ধরে অনুভব করি আমার মা এখানেই নিজের হাত রেখেছিলেন ব্যাথা কমেছে কিনা দেখতে। মনে আছে। স্কুলে দুষ্টুমি করতে যেয়ে হাঁটিতে চোট পেয়ে হাঁটু ফুলিয়ে ফেলেছিলাম মারাত্মক রকমের। এক মাসের বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছিলো। চোখে ভাসে আজো যে সেই হাঁটুতে কি যত্ন নিচ্ছিলেন! আমার মা।
আজও প্রায় সময় হঠাৎ হঠাৎ শুনতে পাই মা আমায় ডাকছেন অথচ উনি অনেক দূরে প্রবাসে। মাথায় তখন আর কিচ্ছুটি বুঝতে চায় না, শুধু মনে মনে ডাকি ‘মা’! আর মা মনে হয় বুঝতে পারেন আমি তাঁকে ডাকছ্ তাই সেদিনই তিনি আমাকে মুঠোফোনে কল করে ফেলেন, মা’বলেই তো!
আমার খুব প্রিয় একটি গান ‘মা’ নিয়েঃ
মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গেই এই গানের কথাগুলো আমার মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে।
মা বুড়ো হচ্ছেন, বাবাও। আর কিছুদিন পরে মা নিশ্চিত বার্ধক্যজনিত শারীরীক অসুবিধেয় পড়বেন। আমি কি পারবো আমার মা’কে ঠিক সেভাবেই সেবা যত্ন দিতে যেভাবে তিনি আমায় দিতেন সব সময়, বিপদে-আপদে, সুখে-অসুখে! হ্যাঁ আমি পারবো ঠিক সেভাবে যেভাবে উনি আছেন আমার সাথে।
আমার শেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছেন মা। যা কিছুই হোক ভুলের জন্য বাকি সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলেও একমাত্র মা’ই আমার সাথে আমার ভুল শুদ্ধ ধরিয়ে দিয়ে আছেন শেষ ভরসা হয়ে।
আমি মনে মনে খুবই গর্বিত যে আমার ব্যক্তিত্বের যা তার অধিকাংশটুকু আমার বাবার আর আমার অনুভূতির প্রায় সবটুকুই আমার মায়ের। সবাই বলে আমি দেখতে বাবার মতোন কিন্তু স্বভাবে মা (3
মা!
আমি তোমায় খুব ভালবাসি। সন্তান হয়ে তোমাতেই আমার শুরু আর সন্তান হয়েই তোমার শেষটুকু যেন আমার কাছেই হয় হাসিমুখে।
মা, জানি তুমি কষ্ট পাচ্ছো, জানি নিজের কষ্টের মাঝেও তুমি আমায় নিয়ে চিন্তিত, আমার মঙ্গল কামনায় তুমি আজও নিবেদিত। মা আমি তোমার জন্যে, তোমাদের জন্য এভাবেই নিবেদিত প্রান হয়ে থাকতে চাই।
আমার মায়েদের আমি ভালবাসি। প্রতি মুহুর্তে বলি আমার মা’কে সুস্থ রাখো হে! শারীরীক ও মানসিক কষ্ট হতে দ্রুত মুক্তি দাও, আমার যা কিছু পুণ্য আছে তার সবটুকু দিয়ে হলেও আমার মাকে তুমি সুখে রাখো, সুস্থ রেখো, আনন্দে রাখো।
আমি আর কিছুই চাই না, চাই শুধু আমার মায়ের হাসিমুখে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার মুহুর্তগুলো যেনো আমৃত্যু থাকে আমার সাথে।
হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমার মায়ের জন্য, সকল মায়ের জন্য সন্তানের হয়ে আমার এই প্রার্থনা মঞ্জুর করে মা’কে সুস্থ স্বভাবিক আনন্দে ও খুশীতে রাখো। আর কিছুই চাই না আমার।
৭৫টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
মাকে নিয়ে কখনো লিখতে সাহস হয় না, হাজার হাজার পৃষ্টা লিখলেও শেষ হবার নয় এই বর্ণনা। প্রত্যেকটা মা সন্তানের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ।
নীতেশ দাদা শুরুতেই বলেছেন, মা নিয়ে কিছু লিখতে বললেই আমি দশ হাত তুলে বলি সম্ভব নয় আমার পক্ষে ‘মা’কে শব্দে বেঁধে দেওয়া।
আমারও একি অবস্থা। কিন্তু হঠাৎ করেই আপনার লেখা পড়ে মনে হল, দাদার সাথে এই বিষয়ে কিছু বলা দরকার।
আমার মা, আমি এমনি এক সন্তান যখন পৃথিবীর কোথাও আমি জায়গা না পাই সুখে,দুঃখে, আনন্দে,কষ্টে তখন মায়ের আচলে ফিরে যায়।
আমি এমনি এক নিকৃষ্ট সন্তান যে শুধু তার সমস্ত রাগ মায়ের সামনেই প্রকাশ করতে পারে। যখন খুব খারাপ লাগে, তখন মাকে বলি মা আমি ভালো নেই। যখন প্রচন্ড রাগ হয় তখন কারো সামনে তা প্রকাশ করতে পারি না একমাত্র মা এর সামনে ছাড়া। আমার সমস্ত রাগ, ক্ষোভ সব গিয়ে পড়ে মায়ের উপরে। আমার মা জানে তার ছেলে কারো সাথেই রাগ করতে পারে না তাই মুখ বুঝে সহ্য করে আর শেষে হাসি মুখে বলে এবার মাথা ঠান্ডা হয়েছে।
আমার যেই কথাটা পৃথিবীর কেউ জানেনা সেই কথাটা মা জানে।
দাদার সাথেই সুর মিলিয়ে বলতে চাই, হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমার মায়ের জন্য, সকল মায়ের জন্য সন্তানের হয়ে আমার এই প্রার্থনা মঞ্জুর করে মা’কে সুস্থ স্বভাবিক আনন্দে ও খুশীতে রাখো। আর কিছুই চাই না আমার।
আবু খায়ের আনিছ
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, গানটা কম্পোজ হলে দিবেন, শুনার প্রবল ইচ্ছা রইল।
নীতেশ বড়ুয়া
কিছুই বলা হয়নি, স্কুলের প্রথম দিন মায়ের হাত ধরে যাওয়া, মায়ের শাসনের চোখ উপেক্ষা করে দুষ্টুমি করে ধরা খেয়ে পিটুনি তো পিটুনির জন্য পরে আদরও ভালবাসা… কত কি আছে…
আজ অব্দি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুতেই মা।
মা তোমায় নিয়ে যতই বলি ততই তোমাকে নিয়ে কিছুই হয় নি বলার মতো স্মৃতি চলে আসে…
শুরুতেই “গীতিকবিতাঃ মা” এর ‘মা’ তে ক্লিক করলে শুনতে পাবেন গানটি। ২০১৩তেই এ্যালবাম চলে আসে বাজারে।
আবারো দিলামঃ https://soundcloud.com/bandshohortoli/maa-by-shohortoli-band
আবু খায়ের আনিছ
আগে শুনা হয়নি গানটা, কিন্তু আজ শুনার পর মনে হচ্ছে এত সুন্দর একটা গান আমি মিস করে ফেললাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জাস্ট অসাধারণ লেগেছে গানটি। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আমার কাছে মনে হয়েছে মিশুর করা সুরটাই লেখাকে মাত্রা দিয়েছেন অনুভব করার জন্য আর সাথে সোহাগের সেই গল্পকথন। শহরতলীর প্রত্যেকেই এই লেখাটিকে গান হিসেবে নয় বরং তাঁদের সবার মায়ের জন্য ভেবেই করেছে বলে আমি খুবই পৃতজ্ঞ ওদের প্রতি, বিশেষ করে মিশুর প্রতি। কারণ সে চেপে না ধরলে আমি কিছুতেই লিখতাম না। ধন্যবাদ বা অনুভূতির স্পর্শ পাওয়ার দাবী শুধুই তাঁদের। আমি মাধ্যম মাত্র। -{@
ধন্যবাদ আনিছ ভাই ও রুপাপু 😀 -{@
আবু খায়ের আনিছ
দাদা আপনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ হল আগে কেন বলেন নি আমাকে এই গানের কথা। গত কয়েকদিন ধরে যতই শুনছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। সত্যি বলছি অনেক অনেক ভালো লাগছে যতই শুনছি গানটা।
নীতেশ বড়ুয়া
মাথা পেতে নিলাম এই অভিযোগ, শাস্তি গ্রহণযোগ্য 😀
নীতেশ বড়ুয়া
শহরতলীর অন্য গানগুলোও শুনবেন আশা রাখছি 😀
আবু খায়ের আনিছ
অবশ্যই দাদা।
নীতেশ বড়ুয়া
-{@
নীতেশ বড়ুয়া
আনিছ ভাই, আপনি অতো রাতে পোস্টটি পড়ে ছেন মনোযোগ দিয়ে এবং সাথে সাথে মন্তব্য করেছেন অনেক সময় নিয়ে। কৃতজ্ঞ আমি (3 -{@
আবু খায়ের আনিছ
দাদা, একটা কথা আছে অন্তরের শান্তি সবচেয়ে বড় শান্তি। সারাদিন ব্যাস্ত থাকা হয় ছুটির দিন বাদে। মাঝে মাঝে ছুটির দিনগুলোও ব্যস্ততায় কেটে যায়।
কিন্তু আমি পাঠক তাই আমি শান্তি খুজে পাই প্রতিদিন নিত্যনতুন কিছু পড়ে। বই পড়ার পাশাপাশি যখন সময় পাই তখনই ব্লগে আসি নতুন লেখাগুলো পড়ি সম্ভব হলে কমেন্টস করি। বিশেষ করে ঘুমের আগে আমি অবশ্যই ব্লগে আসব এটা অভ্যাস। আমার লেখা পাবলিশ হয় তিনটার আশে পাশে কোন এক সময়। শুভেচ্ছা রইল দাদা। (3 (3 -{@ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আপনি যদি ঢাকায় থাকেন তবে আপনার ছুটির দিনের কোন একটিতে নিশ্চয়ই আমাদের দেখা হবে 😀
আমি অনলাইন বলতে এখন শুধুমাত্র একটিতে আস্থা রাখি তা হচ্ছে সোনেলা। আর কিছুতেই আর, তাই সময়টুকু এখানেই রাখি।
শুভেচ্ছা আপনাকেও আনিছ ভাই -{@ (3 -{@ (3
আবু খায়ের আনিছ
দাদা, আমি ঢাকাতেই থাকি। মিরপুর এ থাকি। আপনার সাথে দেখা হওয়াটা আমার জন্য সৌভাগ্য।
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও মিরপুরের কাছেই, থাকি। 😀 তাহলে তো দেখা হয়েই যাবে। আড্ডা হবে, গল্প হবে গল্প নিয়ে \|/ -{@
আবু খায়ের আনিছ
তাহলে ত ভালোই হয়। একদিন সময় করে হয়েই যাক, বড় ভাইয়ের কাছে ছোট ভাই এক কাপ চা খেতে চাইতেই পারে। 🙂 🙂 \|/ \|/
নীতেশ বড়ুয়া
ভাই যখন বন্ধুর মতো তখন অতি অবশ্যই খাওয়া যাবে। গল্পের সাথে অবশ্যই :p
আবু খায়ের আনিছ
আপনার সুবিধা মত একটা সময় আর জায়গা ঠিক করুন। চলে আসব অবশ্যই।
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার সাথে কথা বলার মাধ্যমটির নং জিসান ভাইয়াকে দিলেই হবে। আমি পেয়ে যাবো আর ফিক্স হবে সোনেলার মিলন্মেলার আগেই আমাদের মিলনমেলা :p
আবু খায়ের আনিছ
আচ্ছা, আমি জিসান ভাইকে নং দিয়ে রাখব।
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ :T \|/
জিসান শা ইকরাম
কি বলবো বুঝতে পারছি না
মাকে লেখা আপনার আবেগ স্পর্শ করে গেলো গহীনে
মা বুঝতে পারেন সন্তানকে
শুধু যে সন্তানকে দেখে বুঝেন তাই নয়,দু এক সময় সন্তানের কোন দুর্ঘটনায় মা বুঝে ফেলেন কিছু একটা হয়েছে।
মা এর তুলনা কেবল মা।
শহরতলীর ‘মা’ শুনলাম,
কথা আছেই এখানে
গান সৃষ্টির পিছনের কাহিনি,কথা আর গান নিয়ে চমৎকার একটি অবস্থা।
জগতের সমস্ত মা ভালো থাকুক
সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আমি শরহতলী সবার কাছে প্রচন্ডভাবে কৃতজ্ঞ জিসান ভাইয়া।
জগতের সমস্ত মা ভালো থাকুক
সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা -{@
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় আমরা একবার উদ্যেগ নিয়েছিলাম সবাই যেন মায়ের কথা নিয়ে পোষ্ট করি মাঝে মাঝে।
না জেনে আপনি সে উদ্যেগের একজন অংশীদার হয়ে গেলেন।
নীতেশ বড়ুয়া
আমাকে বললেও আমি লিখতাম না কারণ আমি লিখতে পারি না কিন্তু আমার পছন্দের, শ্রদ্ধার ও ভাললাগার একজন মায়ের অসুস্থতায় কেন জানি না মনে হলো মা নিয়ে কিছু বলি…
স্বপ্ন
আপনি গীতিকার!!! শুভেচ্ছা আপনাকে।খুবই ভালো লাগছে আপনাকে এখানে পেয়ে,আপনার লেখা গান শুনে।
মা এর কথা যা লিখলেন, এমন লেখায় মন্তব্য করার সাহস নেই আমার ভাইয়া।আমাকে জন্ম দেয়ার যে কষ্ট মা সহ্য করেছেন,সে কষ্টের ঋণ কোনদিন শোধ দিতে পারবো না আমি।
নীতেশ বড়ুয়া
প্রথমত আমি গীতিকার নই মোটেও। গীতিকার গান জানেন, সুর জানেন, তাল, লয়, মাত্রা সম্পর্কে ভালোই ধারণা রাখেন। আর এইগুলো কিছুই আমি জানি না, ধারণা নেই। গান শুনি বলে শ্রোতা হতে পেরেছি মাত্র।
মায়ের কষ্টের অনুভূতি বুঝিনি কোনদিন কিন্তু তাঁর চোখের ভাষায় কিছুটা হলেও বুঝি তিনি কি অনুভব করছেন।
জগতের সকল মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব, কর্তব্য যেন সকলেই পূরণ করে। -{@
স্বপ্ন
জগতের সকল মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব, কর্তব্য যেন সকলেই পূরণ করে -{@
নীতেশ বড়ুয়া
:c -{@ (3 -{@
কৃন্তনিকা
…………………………………………………………………………
……………………………………………………………
………………………………………………
……………………………
আসলে বলার কিছু পাচ্ছি না। পোস্ট নিয়েও কিছু বলতে পারছি না। মাকে নিয়ে সবার অনুভূতিই বোধহয় এক, যা শব্দে রূপ দেয়া যায় না।
ভিডিও গানটি দেখলাম। ভালো লেগেছে… (y) (y) (y)
শহরতলীর গানটিও শুনলাম। ঠিক কি মন্তব্য করবো- বুঝে উঠতে পারছি না। তবে ভীষণ ভালো লেগেছে… (3
নীতেশ বড়ুয়া
শহরতলীর মা গানটি একটি ছেলে সন্তানের তার ‘মা’কে নিয়ে না বলা কথার গল্প। একটি মেয়ে সন্তানের হয়ে মায়ের প্রতি অনুভূতি কি তা আমার জানা নেই তাই ভিডিওটি দিয়েছি, কারণ সাগরিকার গাওয়া এই গানটিকেই আমি অন্যভাবে শুনি যেখানে আরো অনেক আছে ‘মা’ নিয়ে করা গান। তবুও কিছুই বলা হয় নি অনুভূতি নিয়ে, কিছুই না…
কৃন্তনিকাপু, আপনাকে অনেক মিস করছি সোনেলাতে-বলে রাখলাম।
-{@
ছাইরাছ হেলাল
আমি অনেকবার পড়েছি, আসলে এ লেখায় কী মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না।
আমার মা নেই, হারিয়েছি খুব বেশি দিন নয়,
সে বেদনা গনগনে। তাই সেখানে যাচ্ছি না।
আপনি গীতিকার তা জানতাম না, ভাবতে ভালই লাগে ,আপনার মত একজন গুণীর সহগামিতা পাচ্ছি।
এ ও অনেক আমাদের জন্য।
আপনার গান ও অন্য গানটি অনেকবার শুনেছি।
নীতেশ বড়ুয়া
প্রথমত আমি গীতিকার নই মোটেও। গীতিকার গান জানেন, সুর জানেন, তাল, লয়, মাত্রা সম্পর্কে ভালোই ধারণা রাখেন। আর এইগুলো কিছুই আমি জানি না, ধারণা নেই। গান শুনি বলে শ্রোতা হতে পেরেছি মাত্র।
গণজোয়ার ও মা এই দুইটি গানই আমার নয় বরং আমার সেই গায়ক বন্ধুদের। তারাই গান হিসেবে নিয়েছেন। আমার সৌভাগ্য যে আমি কিছু বন্ধু পেয়েছি যারা আমাকে ভাগ্যবান করেছেন 😀
মা হারানোর অনুভূতি নেই আমার। কিছুই বলতে পারবো না তবে ইদানীং মাঝে মাঝে বুকে ধাক্কা লাগে যে যদি!
আমি আপনাদের পেয়েছি বলে গর্বিত হেলাল ভাইয়া 🙂 -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মাকে নিয়ে অনেক লেখাই পড়েছি আপনারটি ব্যাতক্রম।এত উপমা এত স্মৃতি মনে রাখেন কি করে।প্রবাসে মা ভাল থকুক এই কামনা। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
প্রবাসে নয়, আমি আমার মা বাবা দুইজনকেই আমার কাছে দেখতে চাই…
উপমা স্মৃতি এইসব কিছুই বলা হয়নি। প্রত্যেকেরই মনে হয় এইতো সেদিনের কথা যখন আমার মা…………
আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারবো না কিছুতেই আপনি আমার কাছে অনেক শ্রদ্ধেয়। আপনাদের কাছ থেকেই শিখছি কিভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হয় গুরুজনদের।
-{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনুভুতিপ্রবণ লেখাটি পড়ে কেবল আবেগতাড়িতই হয়েছি।
শুধু একটা কথাই বলবো, সময় থাকতে প্রত্যোকে দায় শোধ করার চেষ্টা করুন, যদিও এ ঋণ শোধ করার মতো নয়। বয়সী মা’কে সন্তানতুল্য নজরে আগলে রাখার চেষ্টা করুন যেমন করে শিশুকালে তিনি রেখেছিলেন। এইসময়েই তাঁদের সন্তানকে সবচেয়ে বেশি দরকার।
ভালো থাকুন। শ্রদ্ধা মা’কে।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি আমার বাবা মায়ের সবচাইতে বেশী আদরের। শাসন বা অনুশাসন যাই হোক আমার বড় ভাইয়ের তুলনায় আমি ছাড় পেয়েছি সবকিছুতেই।
ঠিক কেন জানি না আমি নিজের দায়িত্ব নেওয়ার মতো অবস্থাতেও নেই বর্তমানে 🙂
মা’কে শুধু একটি কথাই বলিঃ আমি যা খাই, পড়ি তার সাথে তুমি তোমরা থাকবে আমৃত্যু। এর চেয়ে বেশী কিছু বলা হয়নি কোনদিন।
দায় শোধ নয়, সেভাবে আমি ভাবিনি কোনদিন কারণ আমি সন্তান হয়ে তাঁদের দায় বলতে মানতে রাজী নই কিছুতেই। তবে শিশু আর বুড়ো দুইই এক। আর তরুণ সদাই তরুণ। আমার বাবা মায়ের মতো কঠিন অথচ আধুনিক মনা আমি হতে চাই তাঁদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য এইটুকুই।
অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে হয় মন্তব্যের জবাবে কিন্তু কি বলতে কি বাদ দেই তাই ভেবে পাচ্ছি না।
ধন্যবাদ রুবাপু আপনার অনুভূতির জন। -{@
লীলাবতী
ভাইয়া,অনেকদিন পরে ফেইসবুকে গিয়ে আপনার এই লেখাটি শেয়ার দিলাম আমার ওয়ালে।মা নিজে মরে গিয়ে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখা একটি নাম।যেভাবে লিখলেন,চোখ পানিতে ভিজে যায়।
আপনি গান লেখা চালিয়ে যেতেন,কত সুন্দর হয়েছে গানটি।
আমার আপনার সবার মায়েরা ভালো থাকুক সুস্থ্য থাকুক।আমরা আমাদের মায়েদের সেবায় যেন নিজকে নিয়োজিত রাখতে পারি।
নীতেশ বড়ুয়া
মা’কে নিয়ে আমি কিছুতেই লিখতে পারি না। একে তো আমার গুছিয়ে লিখার অভ্যেস তেমন নেই, এলোমেলো হয়ে যায় সব, কিন্তু ব্যাপারটি যখন মা’কে নিয়ে তখনই ভাবনায় চলে আসে কি লিখবো! যাই লিখি না কেন কিছুইতো বলা হয়ে উঠে না আমার!
আমার পুরো ফেসবুক জীবনে মনে হয় আমি দুই কি তিনবার মা নিয়ে এক দুই লাইন লিখেছিলাম, তার মধে শেষবারেরটি মা বাবা দুইজনকেই নিয়েই কিছুটা বড় করে। মা নিয়ে লিখতে পারি না, একদম না। কোন লাইন আগে বলি আর কোনটি পরে সাজাবো তাই নিয়েই দ্বিধা কাজ করে বেশী।
আর এই লেখাটি আমার না দেখা কিন্তু পছন্দের, শ্রদ্ধার ও ভাললাগার একজন মায়ের দ্রুত পূর্ণ সুস্থতার কামনায় লিখে ফেলা। এ প্রার্থনা যতটুকু আমার মায়ের জন্য ঠিক ততোটুকুই সেই মানুষটির মায়ের জন্য এবং সবার জন্য।
‘একটি কথাই বলতে চাই- মা’ তুমি আমায় ক্ষমা করো কারণ আমি তোমায় নিয়ে লিখতে পারি না যেভাবে অনুভব করি নিজের মাঝে তোমাকে নিয়ে।
আমি গান পারি না তাই গান লেখা হয়ে উঠে না। কবিতা যাও বা লিখতে চেষ্টা করতাম সেটাও এখন পারি না নানান কারণে, অকারণে।
আমি কিন্তু আপনাকে আগের মতো পাচ্ছি না-শুধু এই কথাটি অতি অবশ্যই মনে রাখবেন লীলাপু!
আপনার, আমার এবং জগতে সকল প্রাণের মা’দের জন্য ভালবাসা ও প্রার্থনা। (3 -{@
নীতেশ বড়ুয়া
**আর এই লেখাটি আমার না দেখা কিন্তু পছন্দের, শ্রদ্ধার ও ভাললাগার একজনের মায়ের দ্রুত পূর্ণ সুস্থতার কামনায় লিখে ফেলা। এ প্রার্থনা যতটুকু আমার মায়ের জন্য ঠিক ততোটুকুই সেই মানুষটির মায়ের জন্য এবং সবার জন্য।**
লীলাবতী
এই লেখার পিছনের কাহিনীটি জেনেছে ভাইয়া।কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে -{@
নীতেশ বড়ুয়া
মায়েদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ??? অনেক কিপ্টুশ আপনি :@
অরুনি মায়া
আপনি গান লেখেন নীতেশ দা জানতাম না কিন্তু ,,
মা কে নিয়ে লেখা সহজ মোটেও নয়,,
ভাল লিখেছেন ,,
ও নীতেশ দা মন খারাপ? 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
অনেক 🙁 কোন পোস্টেই মনোযোগ দিতে পারছি না 🙁
অরুনি মায়া
কথা বলা পাখি হঠাত নিরব হয়ে গেলে এটা কিন্তু চোখে লাগে নীতেশ দা 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
মন দিতে পারছি না কিছুতে 🙂
আমার চাইতে বেশী চুপ আপনি -{@
ব্লগার সজীব
আপনি যে কত ভালো লিখতে পারেন,মা কে নিয়ে এই লেখা তা প্রমান করে।মা কে নিয়ে এত ভালো লেখায় কি মন্তব্য করা যায়?ভালোবাসি মা তোমায়।
আপনার মত গুনিকে এখানে পেয়ে ভালো লাগছে।
নীতেশ বড়ুয়া
এখনো কিছুই হয়নি বলা মনের মতোন যায় যা বলা। 🙁
আবারো আপনাকে পেলাম সজু বাইয়া… -{@ (3
ব্লগার সজীব
আপণাড় লেকা পরে আণন্ধিত আমী ণিতেষ ভরুয়া বাই 🙂 -{@
নীতেশ বড়ুয়া
ডোন্ট-নো-ভাড ষোজূ বাঈয়া :D)
নাসির সারওয়ার
সময় নিয়েছিলাম কিছু লিখবো বলে, হোলনা। মায়ের কথা খুব মনে পরে। এখনতো কেউ আমার মাথায় হাত দিয়ে জানতে চায়না, “তোর কি মন খারাপ বাবা?” কষ্টগুলো আরো কষ্ট দেয় যখন দেখি সে নাই যে কত সহজে ভালো লাগা এনে দিত।
গানের একজন ভালো শ্রোতা আমি। কথা গুলো অনেক গুছানো। সুর এর সাথে কথার মিশ্রণটা বেশ হয়েছে। এই লেখকটা আমায় ভাই বলে ডাকে, এতো আমার সৌভাগ্য।
নীতেশ বড়ুয়া
প্রবাস থেকে মা ফোন করলেই আমি ‘হ্যালো’ বলার সাথেই সাথে মা বুঝে ফেলেন আমি কেমন আছি!
মায়েরা এমন কেন! আমরা সন্তানেরা কেন মায়েদের ঠিক সময়ে ঠিক জায়গাটুকু দিতে পারি না!
আপনার পোস্ট পড়ার অপেক্ষা করছি নাসির ভাই। -{@
শুন্য শুন্যালয়
দাদা ভাই তোমার লেখা গান আগেও শুনেছি। সেটায় আগুন ছিলো আর এটায় যেন বরফ শীতলতা। কতো মমতা দিয়ে লিখেছ! মাকে নিয়ে লেখা সত্যিই ভয়ের, এ আবেগ প্রকাশ অনেক বেশি কঠিন। তবে তুমি তা পেরেছ নিপুনভাবে।
সাগরিকার এই গানটা আমার অনেক পছন্দের, কতদিন পরে যে শুনলাম ,থ্যাংকু দাদা।
তোমাদের গানটা নিয়ে নিউট্রালি বলতে গেলে, অসাধারন কথা (দেখতে হবেনা আমাদের দাদা ভাইয়ের) আর সুর। গল্প বলাটা এক্টু স্পিডি হয়েছে এমন মনে হয়েছে তবে আরো কএকবার শুনে তারপর বলবো।
আমার মাকে পাঠাবো গানটা 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
শেষ থেকে শুরু করি-
আমি আজ অব্দি আমার মা’কে এই গানটি শোনাইনি। সাহস হয় না!
বাবাকে নিয়ে লিখেছিলাম একই ভাবে প্রজেক্ট শরহতলী সুর করার জন্য কিন্তু ল্যাপ্পী মহাশয় মনে হয় অতো ভার নিতে পারেনি তাই ক্র্যাশিত হয়ে সব মুছে গিয়েছে। এরপরে বাবাকে নিয়ে আর একটি শব্দও বের হয় নি :p
গল্পটা বলাটা একটু স্পিডি ছিলো কেননা সময়ের একতা ব্যাপার আছে, ধীরে বললে গানের বাদ্য যন্ত্রের বাজনাগুলো একঘেয়ের মতো দীর্ঘক্ষণ বাজতো। হয় তো আর কিছুটা ধীরে করে আরেকটু ভালভাবেই করা যেতো। আসলে জানি না, ব্যক্তিগতভাবে আমি মিশুর কাছে এই গানের শুধুমাত্র এক্যুস্টিক (গীটার আর পিয়ানোর সুরে) গল্পকথাসহ শুনতে বেশী পছন্দ করি। তখন গল্পকথা ধীরে আর গানের কথাগুলো বলাটাও আরেকটু ধীরে হয়। অদ্ভুত লাগে মিশুর গলায় তখন।
সাগরিকার এই গানটা এতোটাই ভালবেসেছি যে মাঝে মাঝে ঘুম ভাঙ্গে মাথার ভেতর এই গান ঘুরঘুর করতে করতে!
‘গণজোয়ার’ গান নিয়ে ছোট্ট একটা কাহিনী আছে। সেটা আরেকদিন বলবো।
নিপুনভাবে মোটেও নয়, শুন্যাপু আমি নিজেই সন্তুষ্ট নই লেখায় 🙁
আপনাকে অনেক মিস করছি সোনেলাতে মন্তব্যে ও আপনার লেখনীতে।
শুন্য শুন্যালয়
দাদা ভাই তুমি মনেহয় জানোনা, সোনেলা আমার জন্য কি? যতোটা মিস করো আমি আরো কএকগুন বেশি। লিখবো, কি যে লিখবো তাইই বুঝিনা।
এ গানটা শুধু গিটারে খালি গলায় কেমন লাগতে পারে তার একটা আঁচ নিলাম, শুনতে পারবো নিশ্চয়ই একদিন।
তোমার মার এড্রেস দাও, আমি পাঠিয়ে দিই গান, আমি জানি কেন তুমি পাঠাওনি, মাকে কাঁদাতে চাওনা।
ল্যাপটপ কে জিততে দিলে হবে? তুমি বাবার লেখাটা লেখো আবার। এবার লেখা মুছে যাবার কষ্ট টা এড করে দাও, ভালো হবে দেখো, লেখো প্লিজ।
নীতেশ বড়ুয়া
মন থেকে শব্দ না এলে কি করে লিখি! এমনিতেই বাবাকে ভয় পাই তার উপর উনাকে নিয়ে লিখবো মনের মাধুরী মিশিয়ে! :D)
ঠিক কাঁদানো নয়, উনাকে নিয়ে লিখেছি এই শুনলেই কান্না করবে, হাসবে না শুনেই :p তবে না দেওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ কিন্তু আলাদা। সে বলতে পারছি না। অপেক্ষা করছি সময়ের জন্য শুধু। 🙂
এই একুয়েস্টিক ভার্সন পেলাম রেডিও লাইভ করেছিলো শুধু গীটার আর কীবোর্ডের সাথেঃ https://soundcloud.com/coloursfm/shohortoli-studio-purple-on-colours-fm-1016
‘মা’ গানটি টাইমফ্রেমের ১ঃ২৫ঃ২০ থেকে শুরু হয়।
আরো অনেক গানই ওরা করেছিলো সেদিন…
বুঝি বুঝি, আপনি সবচাইতে বেশী মিস করেন আর তাই আমাদের সব কিছু থেকেই বঞ্চিত করছেন (-3 (9)
শুন্য শুন্যালয়
এবার বুঝলাম ল্যাপটপ ক্রাশ হবার কাহিনী 😀
এক মুভিতে এক ছেলে ঘুম থেকে উঠে বলে স্বপ্ন মে হামেশা বাবা কিউ আতিহে 😀
আজ ভাবছি সোনেলার গান দিবস পালন করবো। সবার মন্তব্য থেকে লিঙ্ক নিয়ে নিয়ে গান শুনবো, সবার আগে নীতু দা কালেহে তো ক্যায়া হুয়া দিল ওয়ালে হে।
ভার্সন টা শুনে জানাবো 🙂
সময়ের অপেক্ষা আর করবোনা ছাই
পালা এবার আমার
অপেক্ষা নয় সময়কে এবার পেছনে আমার দৌঁড়িয়ে ছাড়বো ভাই।
নীতেশ বড়ুয়া
তথাস্তু।
তবে তাই হোক; তাই হোক,
পোস্ট দিয়ে সময়কে দৌঁড়ানো
শুরু হোক; শুরু হোক।
হামি কালা হইসে কিয়া হুয়েসে তো হৃদয়বান হাঁই :p হামভি অপেক্ষা অপেক্ষা পোস্টের জন্য কারতা হাঁই… :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
দাদা কি লিখছেন আপনি কি জানেন? মায়ের কথা। ওই একটা অক্ষরের কতো শক্তি বিশাল একটি শব্দের সৃষ্টি হয়েছে গভীর আবেগে।
কি লিখবো আপনার এই পোষ্টে? গতকাল দেখার পর থেকে কতোবার যে পড়েছি। মন ভরিয়ে দিলেন দাদা।
অফুরান ভালোবাসা সব মায়েদের জন্য। -{@ (3
দাদা তোমাকেও -{@
নীতেশ বড়ুয়া
মায়ের কথা না যায় শব্দে ধারণ করে প্রকাশ করা আর না যায় তা লিখে রাখা। যা করা যায় তা হচ্ছে অনুভূতিতে বুঝিয়ে দেওয়া।
আমার জন্য শুধু ফুল? ভালবাসা নাই??? 🙁
আপনার জন্য (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 ( 3 (3 (3 (3 (3 (3 -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোবাসায় বাসায় ভরিয়ে দিলাম।
ও দাদা তুমি কুতায় গেলে গো? ;?
-{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@
(3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3
নীতেশ বড়ুয়া
এই তো আমি নীলা’দি -{@ -{@ -{@ -{@ (3 (3 (3 (3 (3
মোঃ মজিবর রহমান
নীতেশ দা, মা এই শব্দের ব্যাখ্যা, উপমা, এর ভিতর বিচরন করা আমার আয়ত্বের বাহিরে,
মা বুড় হয়ে প্রায় ৭৫ পেরিয়ে আমাদের মা হারা করে চলে গেল এই ১৩ অক্টবর–১৫।
১২ অক্টবর মাকে সকালে কল্যানপুর থেকে গাড়িতে বসিয়ে বিদায় দিলাম মা তুমি যাও আমি আগামি ২১ তারিখে বাড়ি যাব তমায় দেখতে কিন্তু মা এইভাবে লুকচুরি করে চলে যাবে ভাবতেই পারিনি।
এটা আমার স্বপ্নের বাহিরে ছিল বিগিত ৪ থেকে ৫ মাস মা আমার নিকটেই ছিল কিন্তু কতটুকে মায়ের সেবা করতে পেরেছি জানিনা। চেষ্টা করেছি। ডাক্তার দেখিয়েছি। সুস্থভাবে পাঠালাম কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা বারধ্যক্য রোগ বাদে সুস্থভাবে নিয়ে গেল। মা গ্রামে গিয়ে খাওয়া, গল্প করে মাগরিব নামাজের অজুর পূর্বমুহূর্তে অসুস্থ বোধ করে এবং বমি তুলে ব্রেন স্ট্রোক করে ।
নীতেশ বড়ুয়া
মজিবর ভাই, আপনার মন্তবয়ের জবাবে বলার মতো শব্দ আমার নেই।
মায়ের আত্মা শান্তি পাক, আমীন…
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ দাদা।
এই পর্বে কাউকেই কিছু বলার থাকেনা।
নীতেশ বড়ুয়া
-{@ আর (3 মজিবর ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল (3 থাকুন -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আপনিও ভাল থাকুন মজিবর ভাইয়া 😀 -{@ (3
মেহেরী তাজ
নীতেশ দা আগেই এই লেখাটা পড়েছি। মন্তব্য করতে পারি নি…..
গান টা ভালো লেগেছে।
নীতেশ বড়ুয়া
;? ছেনিবাজ তাজ তবে নিয়মিত হইসে ;?
মিথুন
গানের কথাগুলো খুব টাচি। মা কে নিয়ে লেখা কঠিন, আমার সাহস হয়না।
আপনি তাহলে গীতিকারও। মা কে নিয়ে আবেগী কথাগুলোও টানলো। ভালো থাকুক সব মা………
নীতেশ বড়ুয়া
গীতিকার, কবি এইসব তাচ্ছিল্য করে বলা-শুনতে লাগে আমার কাছে। কারণ আজ আমরা সবাই কবি, সবাই নিজের লেখায় নিজেরাই গান করি।
সবার মা, সব মা’ই ভাল থাকুক।
ধন্যবাদ 🙂 -{@
মিথুন
গীতিকার, কবি তাচ্ছিল্য করে বলা শব্দ নয়, অনেক সম্মানের। কে কিভাবে বলছে তার উপর নির্ভর করবে। আমার টা অবশ্যই রেস্পেক্টের।
আপনিও ভালো থাকুন। মন ভালো আছে আপনার দাদা?
নীতেশ বড়ুয়া
গীতিকার গান জানেন, সুর জানেন, তাল, লয়, মাত্রা সম্পর্কে ভালোই ধারণা রাখেন। আর এইগুলো কিছুই আমি জানি না, ধারণা নেই। গান শুনি বলে শ্রোতা হতে পেরেছি মাত্র।-অতএব… 🙂
আমি অতি অবশ্যই ভাল থাকি, থাকার চেষ্টা করি, এবং ভাল আছি 😀
আপনিও নিশ্চয়ই ভাল আছেন? -{@