আমাদের দেশে নারী স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চলছে। শুধু আমাদের দেশ বললে ভুল হবে, সমগ্র পৃথিবীতেই এ সংগ্রাম জারী আছে। সভা সমাবেশও কম হয় না। কিন্তু আমার প্রশ্ন নারী কি সত্যিই স্বাধীনতা চায়? অন্যভাবে বলতে গেলে নারী কি স্বাধীনতার অর্থ বুঝে? না কি রাস্তায় স্লোগান দিয়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরে পুরুষের নির্ভরতা কামনা করে?
নারীর স্বাধীনতা কি শুধু পুরুষের কষ্টার্জিত অর্থ তার ইচ্ছা মত ব্যয় করবে তাতে কেউ বাধা দিতে পারবে না? সংসার, সন্তান সন্তুনী ফেলে তার ইচ্ছানুযায়ী মুক্ত ঘুড়ির মত উড়ে বেড়ানোই কি নারী স্বাধীনতা? আর পুরুষ তার শ্রমে অর্জিত অর্থ নারীর ইচ্ছায় খরচ করতে না দিলেই কি নারী নির্যাতন? নারীর অধিকার হরণ ও নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ?
আজ আমরা দেখি পরিবারের পুরুষটি সকলের অন্ন যোগানের জন্য, তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ ও সামাজিক মর্যদা প্রতিষ্ঠার জন্য, ভাল পরিধানের জন্য, সুখের জন্য, ভবিষ্যত আর্থিক নিরাপত্তার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে ব্যাস্তায় সন্তানদের সময় দিতে পারেন না। আর মা স্বাধীনতার নামে ঘর মুখো হন না। এমবতাবস্থায় সন্তান একটু ভালবাসার জন্য, একটু মমতার অণ্যেষনে ঘুরতে ঘুরতে অন্ধগলিতে নিপতিত হয়ে জীবনের অর্থই হারিয়ে ফেলে। মা-বাবকে পর্যন্ত খুন করে অপরাধী হয়ে সাজা ভোগ করে। এমনকি ফাঁসিতেও ঝুলে। এর সব দায় কি শুধুই পুরুষের? না কি তথা কথিত নারীর স্বাধীনতাও কিছু অংশিদার?
আমার এ লেখা কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। যদি কাকতালীয় ভাবে কাহারো সাথে মিলে যায় সেটা নেহাতই কাকতালীয়। এর জন্য আমি দায়ী নই।
৮টি মন্তব্য
মিথুন
নারী স্বাধিনতা ব্যাপারটা এতো সিম্পল নয় দাদু ভাই। আপনি যে অংশটার একটু বর্ণনা দিলেন, সেটা কোন মতেই শুধু নারী স্বাধিনতা নয়। আরেকটু বিস্তৃত করে দেখলেই বুঝতে পারবেন কেনো নারী স্বাধিনতা চায়, আর কতটাই বা পায়।
দাদু ভাই
নারী পুরুষ উভয়কেই প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে যার যার অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হয়ে জীবন যাপনকেই আমি স্বীয় স্বাধীনতা বলে মনে করি।
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে লিখলেন দাদু ভাই।
আপনি লেখায় যা বলল্লেন, তা আসলে নারী স্বাধীনতা নয়।
এটি অনেক ব্যপক। আসল হচ্ছে মর্যাদা, সন্মান।
নারীদের আমরা মানুষ ভাববো- এটিই স্বাধীনতার মুল কথা।
দাদু ভাই
নারীকে মানুষ ভাবতে কখনও কার্পণ্য করিনি কিন্তু এমন কিছু ঘটনা দেখেছি যা এ লেখা লিখতে বাধ্য করেছে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নারীদের আমরা মানুষ ভাবব এটাই স্বাধীনতা জিসান ভাইয়ের কথায় সহমত তবে স্বাধীনতার নামে জীবন সংসারে বে খেয়াল তার নাম নারী স্বাধীনতা নয়।আর কেউ যদি ভাবেন পুরুষের সমান্তরাল তবে তা কখনও হবার নয় কারন সব সৃষ্টির শুরুতে পুং লিঙ্গ বিদ্যমান।
দাদু ভাই
নারীদেরকে মানুষ ভাবতে আমার আপত্তি নেই তবে অতিমানুষ ভাবা সম্ভব না। ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
খসড়া
আপনি সব খিচুরী পাকিয়ে ফেলেছেন। স্বাধীনতা শব্দের অর্থ স্ব এর অধীন। নারী চাকরী করুক বা না করুক, নারী সারাদিন ঘরে থাকুক বা না থাকুক এটা তো প্রশ্ন নয়। নারী তার যোগ্য মর্যাদা পারে, নারী তার সম্মান টুকু পাবে।নারী পুরুষ তারে একে অপরকে সম্মান করে পথ চলবে। এটাই মুখ্য। আপমার পোস্ট পড়ে মনে হল আপনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নারীকে মর্সাদাটুকুই দিতে নারাজ। আমি পথ চলতে পারি স্বাভাবিক ভাবে। আমার কাজে কোন বাধা আসেনা তুমি নারী এই অজুহাতে। নারী তার জায়গায় সম্মানের সাথে আসীন হলেই সম্মানীত হলেই আমাদের সন্তান সব নারীকে সম্মান করবে জাতি মাথা তুলে দাঁড়াবে। নারী যদি ভাল চাকরি করে তবে পুরুষের ও উচিত হয় তার সাথে তাল মিলিয়ে বাসায় সময় দেয়া অথবা নিজের স্ত্রীকে চাকুরী ছাড়ার কথা না বলে নিজে চাকুরী ছেড়ে বাচ্চা সামলাবেন।
দাদু ভাই
আমি কিছুই খিচুরী পাকাইনি। স্বাধিনতার অর্থ দায়িত্বশীলতা বলেই আমি বিশ্বাস করি এবং মানিও। স্ত্রী চাকুরী করুক বা সংসার সামল দেউক সেটার ভিতর অবশ্যই দায়িত্বশীলতা থাকতে হবে। ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।