এ যেন অনেক কাল ধুন ধরে বসে থাকা
লিখব বলে,
কৈ? কিছুই-যে লিখছি না, পারছি না-তো লিখতে,
আনন্দ-বেদনার-নদী ছুঁয়ে এবারে রক্তাক্তের অনুভবে
লূ-হাওয়া,
সাঁতরে বেড়ানো জলনদীর ভেজাবালি শুকোতে না শুকোতেই
ঝড় এলো,
এলো ঝড়, আম পড় আম পড়, না, আম নেই-তো,
নেই বৃষ্টিধোয়া শ্বেতপাথরের ঝক্মকে জবরজ্যোৎস্না,
আছে, কাদামাখা জলচোখ,
ফিরে গেছি একাকীর সেই অরণ্যহাহাকারের নিঝুম দ্বীপে,
খাঁ খাঁ শূন্যতায় সাঁতরাতে সাঁতরাতে,
হে আমার একাকীত্ব, আঁচোলের ফেঁসোটা ছুঁড়ে ফেলে,
লেখাবুকে, এবার, আর একবার বাঁধ ওই আঁচল জুড়ে,
নাবালক প্রতীক্ষা শেষে
লিখে ফেলি, দু’এক কলম, যা হয়নি লেখা আজও।
১৫টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার মধ্যে কেমন জানি এক শূণ্যতার ঘ্রাণ পাচ্ছি।
লেখার ভাঁজে ভাঁজে বুনো প্রকৃতির মায়াময়তা ছড়ানো। নাবালক প্রতীক্ষা শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস বাতাসে, নয় কি? কি জানি! হয়তোবা অন্য কিছু।
কুবিরাজ ভাই এমন কুবিতা লিখলে তো মজা করাই যাবেনা।
তা এবারে মর্মকথা বলে ফেলুন।
আমি অবশ্য নাবালক প্রতীক্ষায় নাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
পেয়ে গেলে আর প্রতীক্ষার হাত-পা কে আর ধরে রাখে,
না পাওয়াদের আক্ষেপ থেকেই যায়।
মর্মের কথা বলতে পারা সহজ কম্ম নয়,
ফের যদি বলেন ‘বুঝিনি’ আপনার খবর আছে কিন্তু।
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝিনি। 😀
জিসান শা ইকরাম
এখনো লেখা হয়নি যা লিখতে চেয়েছেন?
এটি আপনার লেখা তো!? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, সে লেখার ধারে-কাছেও যেতে পেরেছি বলে মনে হয় না।
আমিও ভাবছি এটি আমার লেখা কিনা!
নিহারীকা জান্নাত
দেরী কিসের? চোখ বন্ধ করে সকল দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে লিখে ফেলুন।
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে কিন্তু চাই, লেখারা ধরা দিচ্ছে না,
তিড়িং- বিড়িং করে পুচ্ছ দুলিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে!
শুন্য শুন্যালয়
এটিতো আমি সেদিন লিখলাম নোটপ্যাডে, এরপর আমার মেইল হ্যাক। আজ দেখছি কবি ছাইরাছ হেলালের এক পোস্টে জুড়ে গেছে। এ কী সহ্য হয়!! জানিতো বড় গলায় বলবেন, চুরি করেছি তাতে হয়েছে টা কী!! 🙁
সব ঝড়ে কী আর আম পড়ে? অথবা যে ঝড়ে ঘর ভাঙ্গে, আম কী আর তখন চোখে পড়ে?
লেখারা ফিরে আসুক আঁচল বন্ধনে। কেমন লেখা যে চান তা কবিই জানে। একাকীত্বের সাঁতরানো আমরাও আবার দেখতে চাই ফিরে ফিরে।
শুধু আমার লেখাই হয়তো আর ফিরে আসবার নয়।
ছাইরাছ হেলাল
প্রাণ বাঁচানোর দায় থেকেই ছোঁড়াছুঁড়ি- চোরাচুরি চালু রাখতেই হয়,
তবে দেখবেন নিজেই নিজেঁকে চুরি করে ফেলবএন না যেন!
আম চোখে পড়ুক বা না পড়ুক ঘর কিন্তু ঝড়েই ভাঙ্গে!!
একটু অপেক্ষা দেখতে পাবেন অবশ্যই!!
বললেই হলো, ঘাড় নিয়ে আসব, পাঠক বলে কথা।
মিষ্টি জিন
আহারে এত কালেও কিছু লেখতে পারলো না কুবিরাজ । ;(
এই দুক্ষু রাখার জায়গা কই ? ;(
লেখেন লেখেন তাত্তারি.,,
অপেক্ষায় আছি।
ছাইরাছ হেলাল
কী যাতনা বিষে!!
অন্যেরা তা কী করে বুঝবে!
তাত্তারি বললেই লেখা ল্যাহা যায় নাকি!!
আবু খায়ের আনিছ
লিখে ফেলি, দু’এক কলম, যা হয়নি লেখা আজও।
লিখে ফেললেন শেষ পর্যন্ত, যাক লিখা তো হলো।
ছাইরাছ হেলাল
তা লিখেছি হয়ত,
কিন্তু যা লিখতে চাই, তা পারিনি এখনও,
আবু খায়ের আনিছ
লিখতে লিখতেই লেখা হয়ে যাবে একদিন, আর নাও হতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখি কী হয়,