
নবান্ন এলে,
ডাইনিরা নেমে আসে সবার অলক্ষ্যে রাতের দিঘলে, গোল গোল চোখে, দল বেঁধে, দল ভেদে,
এই উৎসবে ঝালিয়ে নেবে অনুপুঙ্খ-খণ্ডকালিন-প্রেম, প্রেম প্রেম খেলার ছলে; তাড়নার অনাবরণে, শরম-বিহীন সুপ্ত লুপ্ত নোনা-হাতছানিতে, এ যেন মেলে-ফেলে রাখা উন্মুক্ত নৈবেদ্য!কৃষক আঙিনায়,
কৃষকের খিড়কি-ঘেঁষা নিঝুম পালঙ্কের আলস্য শয্যায় আকণ্ঠ মদিরাময় বিনিদ্র-প্রেম,
খণ্ডকালিন-প্রেম হবে অন্তঃসত্ত্বা, ধীরে হেঁটে যাওয়া পাখিডাকা ভোরের আগেই;
অসহায় পরাস্ত ব্যর্থ ব্যাহত সোনা-ধানের কৃষক দম্পতি, বিরল সংক্ষোভে নিভৃতে কাঁদে,পরস্পরের গা-বেয়ে ঝরে পরে অভিসম্পাত।
ঘাড় মটকে চুষে-শুষে ফেলে দেয়া মুন্ডুবিহীন-প্রেম একাকী হেঁটে যায়
অতলের গহীন অন্ধকারের পথে।
অকস্মাৎ যেন কারাগার ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসে, সম্বিৎ ফিরে পাওয়া এক ছায়ামূর্তি, ঔপনিবেশিকতার গ্লানি মুছে ধীর-লঘু পায়ে সহনশীল-আশ্বাসের মিষ্টি-উচ্চারণে, সোনালী কৃষকের দ্বারে, পিদিম হাতে অবিরাম মুসাফিরের বেশে।
৩০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
ডাইনিরা তাদের স্বভাব-অভাব বদলায়/ বদলেছে,
শুনেছে কে-কবে!
যদি তারা হতো দলবদ্ধ পরী
তবে কি বৈরাগ্য আসিতো মানবে?
খিড়কী-উঠোন আগলে রাখা
কৃষান-কৃষানীর দায় ,
নবান্নের হাসি তাই ডাইনির অন্তরে
জ্বলন উস্কায়।
পিদিম-মুসাফির অক্লান্ত জেগে রয়
শান্তির নীড় পাহারায়…
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিরা রূপ বদলায় ক্ষণে ক্ষণে
এ কথা সবাই বলে জনে জনে,
পরীরা আসবে পরীর বেশে অন্য বচনে
নবান্নের ঝুম-আনন্দ উৎসবে।
পরীদের সাথে দেখে হবে নিশ্চয়ই।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবি – ডরাত্নক ! ভয়াত্নক ! মারাত্নক!!
বানান ভুল হলে আমার দোষ নাই 😒
ছাইরাছ হেলাল
আরে! এতো সাজুগুজু ডাইনি!
আপনার আবার দোষ!
আরজু মুক্তা
নবান্ন শেষে মনিবরা তো আসবেই পাওনা বুঝে নিতে। তাইতো গুটি পায়ে শীত আসে, যেনো কৃষকেরা তার কান্না লুকাতে পারে।
ক্রন্দন ভরা রোদন
ছাইরাছ হেলাল
কৃষক বিড়ম্বনা তো নিত্য সহচর, আমাদের জীবনে।
তবুও শীতের অপেক্ষা আমাদের থাকেই।
মোঃ মজিবর রহমান
ঘাড় মটকে চুষে-শুষে ফেলে দেয়া মুন্ডুবিহীন-প্রেম একাকী হেঁটে যায়
অতলের গহীন অন্ধকারের পথে।
পাওনা তো দিতেই হই, তা বৈধ আর অবৈধ যাইহোক।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য-ই দক্ষিণা তো দিতেই হবে! ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
তাহলে তো আমাদের এখনি পালাতে হয় আমাদের
ছাইরাছ হেলাল
পালিয়ে বাঁচতে পারবেন বলে মনে হয় না।
কামাল উদ্দিন
কম খারাপ কন নাই বড় ভাই 😀
ছাইরাছ হেলাল
হা হা!!
নিতাই বাবু
বাহান্ন’র নবান্ন তেপ্পান্নতেই শেষ! বাদবাকি সময় শুধু কৃষকের কান্না, আর চোখের জল। সেই নোনা পানিতে সোনালি ফসলের খেত ভিজে যায় সবার অগোচরে।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের কৃষক থেকে যায় চির অবহেলায়
নবান্নোর বুকে।
অনন্য অর্ণব
ওয়াও … নবান্নের ডাইনিরাও আজকাল প্রেম করে 🙂
তাইতো বলি আমার কপালে প্রেম জোটে না কেন ?
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনির সহবতে থাকুন
প্রেমের পাঠ শিখুন।
এস.জেড বাবু
ডাইনিদের বিউটি পার্লারে যাওয়া উচিত।
অন্তত মানব সমাজের জন্য ছবির পোজ দেয়ার আগে।
ওরা খালি নবান্নে আসে কেন ? কালবৈশাখি রাত্রিতে কই থাকে?
এই ডাইনিরা সূদখোর টাইপের কেউ নয় তো ?
ছাইরাছ হেলাল
এত সাজুগুজু ডাইনি, পোজ-পাজ কোন ব্যাপার না।
এই ডাইনিরা সব সময় ই আসে/থাকে বহু কাল ধরেই,
ডাইনিদের নিয়ে এখানে আমার অনেক লেখা আছে।
ডাইনি সখ্যতা খুব পুরনো!
নাহ্, এ ডাইনিরা ভালো! একটু হিংসুটে মাত্র।
এস.জেড বাবু
ডাইনি বিদ্যায় দীক্ষা নিবো আপনার লিখা পড়ে পড়ে গুরু।
আশির্বাদ কইরেন মন চাইলে।
ছাইরাছ হেলাল
খুব-ই সাবধানে বাছা!
জিসান শা ইকরাম
ডাইনিরা এত কিছু করে, জানলেন কিভাবে আপনি?
ডাইনি বিদ্যায় পন্ডিত হলেন মনে হচ্ছে!
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিদের সাথে করি বসবাস,
শীত গ্রীষ্ম বারো মাস!
তৌহিদ
নবান্নে সবার মুখে হাসি ফোটেনা। ডাইনীরুপে বর্গাদার আসে তার পাওনা বুঝে নিতে। শীতের পিঠাপুলি উৎসব বেদনার পর্যবেসিত হয়।
ডাইনীরা নিপাত যাক, কৃষাণীর মুখে হাসি ফুটে উঠুক।
ছাইরাছ হেলাল
সোনা-ধানের কৃষক, সে হাসবেই।
রেহানা বীথি
এই ডাইনিগুলোকে “হীরক রাজার দেশে” সিনেমার সেই “যন্তরমন্তর” ঘরে ঢুকিয়ে মগজ ধোলাই করা যায় না?
ভালো লাগলো আপনার ডাইনিনামা।
ছাইরাছ হেলাল
প্রিয়দের ধোলাই কেমনে দেই বলুন!
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
ভালো লাগলো দাদা ডায়নি পড়ে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন আপনি।