চাই শিল্পসম্মত নিরাপদ ভালোবাসা, ধমকা-ধ্মকি, রাম চিমট ও নখর বিহীন উষ্ণ ভালোবাসা। ছলার কলা বিহীন এক চিমটি সাদামাটা ভালোবাসা, অমৃতের অমরত্ব চাই না অসম্ভব সমুদ্র মন্থনে।
রক্ত-কুয়াশার বোধ এড়িয়ে।
তীর্থের কাক, চাতক অপেক্ষা হয়ে থাকুক নিপাতনে সন্ধি। সহস্রাব্দের কাল ঘেঁষে নির্বাসনে থাকি, বিশ্বাসের চোরাবালিতে ফেলে রেখে কোথায় হারালে, কোন সে দূরে? এঁকে দেয়া এয়োতির তিলক মুছে ফেলে পাহাড়ের দেশে কেন পাঠালে আমায় ছায়াপথে একাকীর ভিড়ে। ওগো রাগী আহ্লাদী তন্বী ধ্রুপদী বাঁশিওয়ালা ঘুর পথের চোরা কোন গলিপথে সামান্য সময়ের জন্য হলেও ফিরিয়ে নিতে পারতে,
এখানে যে নিথর তপ্ত বৈশাখী শূন্যতার অবিরাম কোলাহল।
চিত্রাঙ্গদা, তোমাকেই বলছি।
৮৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
উষ্ণ ভালোবাসায় নখর থাকবেই। সব সরিয়ে লেখায় বাঁশির সুর শুনতে পাচ্ছি। আপাততঃ শুনি।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, নখর থাকবে!! আবার বাঁশি ও শুনবেন!! শুনুন।
শুন্য শুন্যালয়
বাঁশির সুর তুলতে অনেক শ্বাসের প্রয়োজন হয়। শুনেছি বাঁশুরিয়ারা অনেক সময় রেসপিরেটরি ডিজঅর্ডারে ভোগে। বুঝলেন তো ভালোবাসায় কিভাবে নখর থাকে?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বুঝি ভালুবাসার দাকতার?
শুন্য শুন্যালয়
ভাবছি এ সাবজেক্টে একটা ডিগ্রী নিয়ে ফেলবো। সোনেলাতেই অনেক পেশেন্ট পেয়ে যাব। আইডিয়াটা কেমন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
মহাত্মা, সে আপনার ডিগ্রি না নিলেও আমাদের চিকিৎসা চালাতে পারবেন।
রোগীর অভাব হবে না। আর অভাব হলে রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে রোগ সহ
রোগীদের হির হির করে টেনে নিয়ে আসবো। চিকিৎসায় ভালো করে তুলে
আবার পুনঃপুন রোগী বানিয়ে ডাক্তারের পসার জমিয়ে ফেলবেন।
আইডিয়া…………।
শুন্য শুন্যালয়
জোস আইডিয়া। আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম ভাইরাস ছড়ানোর ফ্লাইং বাদুড় আমাদের সোনেলাতেই আছে। যে পণ করেছে প্রাপ্তি চাইই চাই। চিকিৎসায় ভালো করে তোলা আমার দায়িত্ব, আবার পুন: পুন: রোগী বানানোর জন্য আপনি তো আছেনই নিত্য নতুন ভাইরাস নিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, বাদুরবিলাশের খবর রাখছেন যেনে আনন্দিত,তবে একটি দায়িত্ব
যে আপনি নিজ গুনে নিয়ে নিয়েছেন সে আমাদের আগের জন্মের পূন্য ফল।
ডাক্তার পেলে ভাইরাস কোন ব্যাপার না। ডাক্তারদের রাগহীন সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
শুন্য শুন্যালয়
কবিতার কি হবে তবে?
কোথায় যেন লিখেছিলেন– রাগ=কবিতা, বেশি রাগ=ভালো কবিতা, বেশি বেশি রাগ= দারুণ সব কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা কবিতার জায়গায় কবিতার মতোই থাকবে।
তবে এবারে শুধু রাগ পাল্টিয়ে হাসি বসিয়ে ও আপনি একই সমাধান পেতে পারেন
অতএব হাসির দাঁত নিয়ে পূর্ন শক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন, আর দেরি নয়।
আবার এতই মধ্যে যদি ঝাঁপাতে শুরু করে দিয়ে থাকেন, হাসিটি বজায় রেখে
কাজ চালিয়ে যান।
শুন্য শুন্যালয়
চেষ্টা তো থাকে 100% সফলতা থাকেনা। কবিতা লিখে সবাইকে কাঁদিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে, এমন যে কবে লিখবো!!
রম্যের সাথে সাথে কান্না বিভাগ নেই কেন সোনেলায়? লেখা পড়ার আগেই চেহারায় একটু কান্না কান্না ভাব থাকবে 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের কাঁদিয়ে-পেঁদিয়ে মেরে ফেলতে চান!! এ কেমন কথা!
আপনি হাসি (অট্ট থেকে মুচকি থেকে ফিচকে) বিভাগের দাবী ও জানাতে পারেন।
একটু ফিক ফিকে হাসি থাকবে।
মন্তব্যে মাশাল্লা পি এইচ ডি ডিগ্রি, লেখায়, মন দিয়ে লিখুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আজ মন্তব্য করবো না। পড়েছি। আগামীকাল মন্তব্য।
কুয়াশার চাদরে মোড়া একেকটি অক্ষর।
আবার বলা যায় ভেঁজা ভেঁজা শরত কালের শিশির-বিন্দুতে মোড়ানো শিউলী ফুল,
কিংবা নাহ থাক। কাল বলবো।
🙂 😀
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করতেই আছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার অপেক্ষার সমাপ্তি ঘোষণা করুন এখন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি, আচ্ছা,অপেক্ষার সমাপ্তি ঘোষনা জানাচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
বেঁচে গেছেন মনে করেছেন? অতো সহজে আপনার মুক্তি নেই। \|/
ছাইরাছ হেলাল
এ কেমন কথা, দেশে ভুত-প্রেতের(প্রেতিনী) সংখ্যা ক্রমবর্ধমানতা দেশ জাতি ও ব্লগের জন্য হুমকি সরূপ। জাতীয় তাবিজ/মাদুলি প্রদান কর্মসূচী সত্বর গ্রহণ করা হউক বিশিষ্ট কাপালিকের নেতৃত্বে। আসুন নিজ জীবন বাঁচানোর তাগিদে তাবিজ গ্রহণে এগিয়ে এসে শয়তানীদের কবল থেকে চির মুক্তি লাভ করি।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিতরণ কর্মসুচীতে চোখ রাখুন।
অন লাইন আবেদনের ব্যবস্থাও আছে জনাব। তবে এই মুহূর্তে পেতে চাইলে
জায়গায় দাঁড়িয়ে আওয়াজ দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের ব্যার্থ চেষ্টা করতে পারেন।
বিদ্রঃ আমি সামান্য এজেন্ট মাত্র। ওস্তাদ আশে-পাশে পাশে পাশেই আছেন।
মা কালী কী জয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
পারেনও বটে! মা কালী পালিয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
পালিয়ে রক্ষা রবে না।
আর্বনীল
আপনার লেখা পড়তে ভালোই লাগে। তবে বেশীর ভাগ লেখার অর্থই আমি বুঝতে পারিনা… বেশ কঠিন লাগে… 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি আসলে তেমন কোন লেখক নই।
অর্থ-ফর্থ নিয়ে ভাবার কিছু নেই, চোখ বুলিয়ে যাবেন, তাতেই হবে।
শুন্য শুন্যালয়
পরিপাটি গলিপথে বাঁক বাঁকানো ধারা। চিত্রাঙ্গদা বনবাসে ঠেলে নিজেও কেঁদোনা, এখানে কোলাহলে ভরা আগুন তাপের বৈশাখ। যে ছলার কলা জানেনা, নিখাঁদ ভালোবাসার একটু অসম্ভব তাকেও বুঝতে দাও। বড্ড মায়া লেখা জুড়ে, হাহাকার।
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়া বিপদে পড়লে এই হাহাকার বের হয়েই আসে। প্রাপ্তির নিখাদতাও চায় সবাই।
এ চাওয়া পাওয়া সম্ভব অসম্ভবের তোয়াক্কা করে না। ভালোবাসা প্রকারন্তরে এক রকম মায়া মমতাই।
লেখা কবে দিচ্ছেন?
শুন্য শুন্যালয়
প্রাপ্তি, প্রাপ্তির কি কোন শেষ আছে? নিজেকেই নিজের ঠেলে দেয়া এই পাহাড়ের দেশ থেকে মুক্তি কোথায়? ধ্রুপদী বাঁশিওয়ালা -এমন লেখা দিয়ে আমার লেখা চাওয়া কি ঠিক? এমন লেখা পড়লেই আমার ভাগতে ইচ্ছে করে নিজের ছাইপাশ সহ। বলতে পারেন একাকীর ভিড় কি করে হয়?
ছাইরাছ হেলাল
শেষ নেই জেনেও প্রাপ্তির সাধ পেতে চাওয়ার ইচ্ছে থেকেই যায়।
নিজেকে ইচ্ছা করে বিপদে ফেলে কী লাভ!
লেখা, আপনার অনুমতিক্রমেই দিয়েছি,আর লেখা আগে থেকেই তৈরি রেখেছেন তাও
আপনি আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের ফেলে ভেগে যাবেন এ পাথর হৃদয় কবে
কোত্থেকে সংযুক্ত হলো এবং কোন চোরা গলি পথে এটি আনয়ন করলেন তা আমরা
জানতে চাইতেই পারি। এ অধর্মের কাজ আপনি করতেই পারেন্না।
একাকীত্বের বাড়বাড়ন্ত হলেই ভিড়ভাড় বারে জনাব।
শুন্য শুন্যালয়
কিঞ্চিত ভুলভাল হয়েছে, আমার বোঝানোয়, আপনার বুঝে। আমার লেখা তৈরি হলে এক সেকেন্ডেই বাবা সোনেলায় এসে হাজির হয়। পাথর হৃদয় হলে কবেই হস্পিটালে এডমিট হতাম 😀
আজকাল চোরাগলিতে খুব ঘোরাঘুরি হচ্ছে বুঝতে পারছি। এত একাকীত্ব থাকলে একা হবার চান্স কই? তা বাঁশিওয়ালা আপনাকে এখনো নিতে আসেনি?
ছাইরাছ হেলাল
আমার ভুল আমি মেনে নিচ্ছি জনাব, অবশেষে জানলাম আপনার হৃদয়েও
হৃদয় বাস করে।
হ্যা, আপনি তো দেখে ফেলেছে সেখানের সেই চোরা পথে,আপনাকে এড়ানোর সাধ্য নেই। একা বলেই একাকীত্বেরা চেপে ধরে।
বাঁশিওয়ালা ব্যস্ত এখন অন্য কাজে, যদিও অভ্যাসটি বজায় রাখছে এ ই সান্তনা।
শুন্য শুন্যালয়
অভ্যাস নাকি কার্ডিয়াক মাসলের কারসাজি না বুঝতে পারলে অই ছায়াপথেই ঘুরে বেড়াতে হবে। কোন বাঁশিওয়ালাই নিতে আসবেনা।। তা চিত্রাংগদা তোমাকেই বলছি বলে যতই কাঁদুন। বলেছিলাম পাঠের অভ্যাসটি ধরে রাখুন, নইলে আঙ্গুল দিয়ে ধরে ধরে পড়ালেও হাই তোলা আর চোখ কচলানোই সার হবে।।
ছাইরাছ হেলাল
আসবে কী করে? আমার সন্দেহ হচ্ছে বাঁশিওয়ালাকে কেউ কানপড়া দিয়েছে।
আমি পাঠ অভ্যাস ধরে না রাখলেও তিঁনি নূতন অভ্যাসটি বজায় রাখছেন,
তাতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি, ছায়াপথের আশেপাশে।
শুন্য শুন্যালয়
শুনলাম বাঁশিওয়ালা কে কানপড়া দিয়ে কে যেন হারমোনিকা ধরিয়েছে 😀
ছাইরাছ হেলাল
কানপড়াদের দল ভারী হচ্ছে, প্রতিনিয়ত।
ব্লগার সজীব
চাইলেই কি ধমকা-ধ্মকি, রাম চিমট ও নখর বিহীন উষ্ণ ভালোবাসা পাওয়া যায়? আপনি যা চাচ্ছেন তা আসলে নেই কোথাও। অপ্রাপ্তির হাহাকার বা স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।
ছাইরাছ হেলাল
না পেলেও এর কমে আমার কিছুতেই চলবে না। কোথাও থাকুক বা না থাকুক।
স্বপ্ন দেখেই যাব। না পেলেও।
সীমান্ত উন্মাদ
চিত্রাঙ্গদা ভালই লাগছে। তবে মামা উষ্ণ প্রেমে চিমটি না খেলে মজাক নাই, প্রেম মানেই জ্বলন এইটা প্রমান করতে আঁচড় খাইতেই নাকি হয়।
চিত্রাঙ্গদার জন্য বলা কথায় ভাললাগা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখনও কিছুই খান নি মনে হচ্ছে!! আমাদের সাথে কিন্তু শেয়ার করাই যায়।
আপনার সিরিজের ফাঁকে ফাঁকে এ সব বিষয়ে আচড় কাটলে মন্দ হয় না।
সীমান্ত উন্মাদ
এইখানেই তো সমস্যা আমার মত উন্মাদরে কেউ আঁচড় কাটতে আসেনা। কি করতাম কন? আমি চিন্তা করছি একখান ডাক্তার মেয়ের লগে প্রেম করমু, তারপর বিয়া করমু কারন সে রোগির সেবা করতে করতে আমারে আঁচড় কাটার টাইম পাইবো না, আর আমি কোথাও হতে আঘাত পাইলে চিকিৎসা লগে লগে পামু, বুঝলেন মামু। আইডিয়া খারাপ না কি বলেন? \|/
:p :p :p
ছাইরাছ হেলাল
আইডিয়া ভালোই, তবে একখানা কথা মনে রাখতে হবে।
ওদের কাছ থেকে লাশের গন্ধ বের হয়। রেগে গেলে মোটা সুঁই বসিয়ে দিতে
পারে চোখ বরাবর। অতএব ভুক্তভোগি হিসাবে বুদ্ধিটি লইবেন কিনা চিন্তুক
হয়ে ভাবতে পারেন।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি অবাক হয়ে চেয়ে রই 😮 ;?
ছাইরাছ হেলাল
বেশি অবাক হলে চলবে না,
আমরা অবাক নয় আনন্দিত হচ্ছি নীতেশ আমাদের সময় দিচ্ছে।
চালু থাকবে ? নাকি আমাদের হাপুস নয়নে চেয়ে থেকে চোখ মুছতে হবে।
নীতেশ বড়ুয়া
:p
আছি… ধীরে ধীরে মজা পাচ্ছি সোনেলার 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের জন্য সুখবর চিরস্থায়ী হোক।
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ (3 (y) -{@ 😀
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীতেশ বড়ুয়া
আপনাদের ধন্যবাদ সোনেলাতে আমাকে নিয়ে আসার জন্যে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখন আমাদের পরিবারের নিয়মিত সদস্য
ভাবতে ভালোই লাগে। সাথে আছি, থাকবো ও।
নীতেশ বড়ুয়া
পরিবারের অলিগলি খুঁজে বেড়াচ্ছি এখনো… 😛 😀
ছাইরাছ হেলাল
ছোট্ট পরিবার, বেশি গলি-ঘুপচি নেই। হয়ে যাবে চেনা, সব পথ।
নীতেশ বড়ুয়া
(3 -{@
মেহেরী তাজ
সোনেলায় কি আমাকে তালিম দেওয়ার কেউ আছে। অন্তত ছাইরাছ ভাইয়ার লেখা গুলোর মানে যেনো বুঝতে পারি। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ধু্র, কী না কী বলে!!
ফেলে চলে গেছে, আবার দেখা হোক সামান্য হলেও তাই চাচ্ছে।
আর কিছুই নেই।
খেয়ালী মেয়ে
একটু আধটু না বুঝলেও বেশিরভাগই বুঝেছি 🙂 সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে (y)
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সব না বুঝলেও চলবে।
অবশ্য না বোঝার ও তেমন কিছুই নেই।
ভাল বলেছেন তাতেই হবে।
খেয়ালী মেয়ে
কিছু যখন পড়ি সেটা বুঝার চেষ্টা করি–না বুঝতে পারলে খারাপ লাগে এতোটুকুই–অবশ্যই এটা আমার নিজেরই ব্যর্থতা……
ভালো থাকবেন………..
ছাইরাছ হেলাল
ব্যর্থতার কিছু নেই, আমি নিজেই কত্ত কিছু বুঝি না।
লিখছেন না কেন!
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, দেখুন নীচে তাকিয়ে। আপনি লেখা বুঝতে চেয়েছেন, ভালো কথা, নীচের
এই মন্তব্য আমাকে কে বুঝিয়ে দেবে আপনি ই বলুন।
খেয়ালী মেয়ে
সাংঘাতিক 😮
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভয় পেয়ে আপনাকে ডাকলাম।
খেয়ালী মেয়ে
আমিও এবার অনেক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ককককক কঠিন করে কিছু একটা লেখার ইচ্ছে পোষণ করছি মনে মনে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করছি আপনার কঠিন লেখার জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালাকে এখানে চিরন্তন ধ্রুপদী লয়ে নিয়ে এলেন? এখন কৃষ্ণকে কোথায় পাবেন কিংবা রাধিকাকে? হ্যামিলনও নেই, বৃন্দাবনও নেই। অমরত্ত্ব চাওয়ার জন্যে ভালোবাসা, সে তো সত্য-ত্রেতা-দ্বাপরে গেলে পাবেন। এই কলি যুগের ভালোবাসা অন্যরকম। সুনামীর মতো ভাসিয়ে নিয়ে, পরক্ষণেই একেবারে পদ্মার চর। বুঝলেন?
“না চাহিলে যারে পাওয়া যায়
ত্যায়াগিলে আসে হাতে”—-আরে চেয়েই পাওয়া যায়না, বুড়ো বলে কিনা ত্যাগ করার পর হাতে আসে। এ কি সম্ভব!
আর আপনি বুড়োর মতোই এমন ভালোবাসা চাইছেন?
এবারে আসি কবিতায়। এতো কঠিন কবিতা কেন লেখেন বলুন তো? ভাবতে ভাবতে মাথার চুল পড়ে যে গেলো আজ অনেকগুলো, টাকলু হলে কি অবস্থা হবে আমার বলুন তো? ;? শুনুন ভালো কবিতা লিখছেন সে সত্য, যাঁরা বোঝেননা তাঁদেরকে বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ত্ব থাকে কবির। দেখেননি স্কুলে থাকতে কবিতার সারমর্ম আসতো পরীক্ষায়? কবিতা অনেক কঠিন একটা বিষয় কিন্তু। বেশ জ্ঞান দিলাম, দেখবেন রাগ-টাগ করে আবার যেনো গালমন্দ না করেন কিংবা লেখাই যেনো থামিয়ে না দেন। আপনাকে মিস করবো না, কিন্তু আপনার কবিতার মেহজাবীন-চিত্রাঙ্গদাকে মিস করতে চাইনা।
যাক এবারে আসি আসল কথায়। তাও যতোটুকু মাথা কাজ করলো তাতে বুঝেছি প্লেটোনিক ভালোবাসা নয়তো! উহাই শিল্পসম্মত এবং নিরাপদ উষ্ণ ভালোবাসা। চিত্রাঙ্গদা-মেহজাবীনকে নিয়ে লিখছেন আবার শিল্পসম্মত উষ্ণ ভালোবাসাও চাইছেন। কেমন একটা দো-টানা। ভালোবাসা মানেই শাসন, স্নেহ-আদর-মায়া-মমতা-মান-অভিমান-রাগ-বন্যতা এবং অবশ্যই অপেক্ষা।
ভালোবাসা নিয়ে পি.এইচ.ডি করবো ভাবছি। ;? কবিতার বিষয়-ভাবনা (y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
টাকলু মাথায় কামান বসিয়ে দিলেন? তাও গোলাগুলি শুদ্ধ। আত্মঘাতি সিস্টেম করে।
এ কাজ শয়তান ও মেনে নেবে বলে মনে হয় না। দুর্বলের উপর জ্ঞানীর অত্যাচারের এটি নমুনা হিসাবে
জাদুঘরে বা জিরো পয়েন্টে লটকিয়ে রাখা যেতেই পারে।
কিছুই পাওয়া যাবে এক লহোমায় বুঝিয়ে দিলেন! শয়তানীর পক্ষ নিলেন! কিছুই পাওয়া যাবে না ছলার কলাটুকু
ছাড়া! আপনি মনের কথাই বলেছেন, এ কলি কাল।
রবিঠাকুর মহাজ্ঞানী মহাজন,তাঁরা কত কিছুই চান আবার পান ও। অধমেরা ভাব ধরে ফেলে যাওয়া কিছু পেলেই
বেঁচে যাবে এ ঠুনকো জীবন।
গো মূর্খের লেখা নিয়ে ভাবনার কী আছে? এগুলোতে কবিতার কিছু নেই। তাছাড়া আপনার তো আছেনই
অনুগ্রহ করে একটু ফুঁ মেরে দিলেই আমার রেহাই মেলে। আপনারা বড় বড় ডাক্তাররা এগিয়ে এলেই সবাই
বেঁচে যাই। এ শর্মাও শ্বাস নিতে পারে।
ভাই, বুঝতে পারছি দুন্নাইতে ভালুবাসা নেই। যা ছিল লইয়া পলাইছে। ঠাকুরের কাছে বিচার দিলাম মেহজাবিনের
হৃদ মাঝে বিষ তীর ছুড়ে!!
জয় মা তারা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মাথা টাকলু নাকি? জানতাম না।
কে যে দূর্বল আর কে যে জ্ঞানী সে তো সোনেলা’র সকলেই জানে। আর শয়তান মানুষ আমি, মোটেও ভালো নই। বলতে গেলে পঁচা, ঘুরিয়ে-প্যাঁচিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি 😀 , সে তো শয়তানীর পক্ষই নেবে। তাই না?
আর গো-মুর্খের লেখা বললেন নিজের লেখাকে? আমি যতোটুকু জানি আমার লেখা মূর্খের থেকেও অধম। প্রচুর লেখা আছে আমার যেখানে আপনার মন্তব্য পাইনি। তার মানে ডাল ম্যা কুছ কালা তো হ্যায় জরুর :p
এটা একেবারে ঠিক বলেছেন পৃথিবীতে ভালোবাসা নেই। মানুষ অন্যের আবেগকে ভাবে দূর্বলতা।জানেন নাকি ওই ঈশ্বরের চেয়েও অনেক বেশী শক্তি এবং ক্ষমতা আছে মানুষের নির্ভেজাল-নিঃস্বার্থ এবং সৎ আবেগের? তাই জয় মা তারা ডাকুন আর শয়তানী ডাইনিকেই ডাকুন মেহজাবিনের হৃদয়ে বিষ তীর ছুঁড়তে, উল্টে তীর ঝুলে থাকবে বাতাসে। আপনার ওই মেহজাবিনের সত্যিকারের আবেগ আছে বলেই তো লিখতে পারছেন তাকে নিয়ে কবিতা।
কেমন হলো মন্তব্য? এবার উত্তর কি দেবেন, তার অপেক্ষায় থাকলাম। ;?
শুন্য শুন্যালয়
কার মাথা টাকলু, কে কেশবতী জানিনা। তবে এইসব মন্তব্যে ঢুকলে আমার মাথা জরুর টাকলু হবে। ভাগি।
ছাইরাছ হেলাল
না না, কিছুতেই আপনি টাকলু হবেন না, আপনার চুল পা অব্দি
জড়িয়ে যাবে সে আপনি একটু লক্ষ্য করতেই দেখতে পাবেন।
অতএব ভাগোয়াট দেয়ার কিচ্ছু ণেই।
শুন্য শুন্যালয়
লীলাবতীর চুলের মতো? থাক এর চাইতে টাকলু হলেই ভালো। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় এখন টাকলুদের ডিমান্ড চলছে। ভাইজ্ঞা যামু কই? যাওনের জায়গা নাই। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
যাক,ভেগে যাচ্ছেন না যেনে প্রাণ একটু পানি পাচ্ছে।
সবই তেনার কৃপা।
ছাইরাছ হেলাল
টাকলু হতে যাব কোন দুঃখে, লেখাটি একটু মুরাদ টাকলা টাইপের তা বোঝাতে
চেয়েছি। সেই গুন্ডির দলে জোট পাকিয়েছেন তা তো দেখতেই পাচ্ছি।
বিপদে শত্রু চেনা যাচ্ছে। আমার জানি দুশমনের পক্ষ নিয়েছেন, এ দিন দিন না আরও
রাত আছে তখন দেখা যাবে কার আঙ্গুলে কত নখ। দেখবেন নিজের ঢোল হলেও
সাবধানে ঘা দেবেন।
দুন্নাইতে ভালুবাসা আছে বা আছে তার প্রমাণ মেহজাবিন ইতি মধ্যেই কড়ায়গণ্ডায়
বুঝিয়ে দিয়েছে, তার পক্ষে আপনি যতই সাফাই দেন না কেন কাজ হবে না।
তারা…তারা…।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার জানি দুশমন মেহজাবিন নাকি আমি? শোনেন কবি ভাই বেঁচে গেলেন। পার্টিতে যাচ্ছি। সময় নেই তাই…ফিরে এসে দেখেন কি করি!
ছাইরাছ হেলাল
ভয়ে পা-হাত কাঁপা কাঁপা।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখনও কি কাঁপছেন ভয়ে?
ছাইরাছ হেলাল
কাঁপনের কি শেষ আছে?
নীলাঞ্জনা নীলা
কাঁপতে থাকুন। আমি \|/ 😀
ছাইরাছ হেলাল
দাঁত সামলে রাখুন প্লিজ।
বয়স যখন আড়াই কুড়ি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওটা আর কি এমন বয়স? দাঁত নিয়ে ভাবিনা। এখন দাঁত ভেঙ্গে গেলে ফিক্সড করা যায়। 😀
ছাইরাছ হেলাল
বয়স কোনো ব্যাপারন্না!!
সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
জয় বজরাংবলী।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে ছবি তো ছবি।
লেখাও লেখা
জয় কবিওয়ালা।
আজিম
লেখা পড়তে খুব ভাল লাগে আপনার, এটাও সেরকম।
ছাইরাছ হেলাল
সাকুল্যে আটটি শব্দের তোহফা আমার জন্য ও আনন্দের।
আপনার মতই বাইশ অক্ষরে লিখলাম।
লীলাবতী
এমন ভালোবাসা টেলিস্কোপেও ধরা যাবে না 🙂 আচ্ছা চিত্রাঙ্গদা কি আর একটি উপখ্যান?কত উপখ্যান আছে কবির,কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
খুব দামী টেলিস্কোপ হলে ধরা যাবে।
আগে থেকে সব বলা যাবে না। কিছু জমা করে রাখতেই হয়।
অনিকেত নন্দিনী
মাত্রই বলতে চেয়েছিলাম, “চিত্রাঙ্গদা! মেহজাবিনকে এত তাড়াতাড়িই বাদ দিয়ে দিলেন? :@ ” আর অম্নি দেখি লীলাবতীর মন্তব্য। :D)
লীলাবতীর সাথে একমত। সত্যিই, কে জানে কবির কতো উপাখ্যান! সেই উপাখ্যানের আবার ধারা-উপধারা আছে কিনা তাইবা কে জানে? ;?
নখরবিহীন ভালোবাসায় চিহ্ন থাকে কই? গায়ে যদি আঁচড়ই না লাগলো তাহলে আর সেই ভালোবাসার ছাপ পড়লো কোথায়? ছাপবিহীন ভালোবাসা মানে তো তার অস্ত্বিত্বের সংকট। -:-
ছাইরাছ হেলাল
আগে বলুন আমাদের ফেলে কোথায় হারালেন!
পাঠক আপনার লেখা ও সুন্দর মন্তব্য থেকে বঞ্চিত।
বানিয়ে-ছানিয়ে গল্পকথার আবার মাথা-মুণ্ডু থাকে নাকি!!
অনিকেত নন্দিনী
হারালাম মানে? হারালে এখানে মন্তব্য করছি কেমন করে?
আর নেহাতই যদি চান হারিয়ে না যাই তাহলে বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে লাল-নীল সুতো বেঁধে দিয়েন, আর হারাবোনা। 😀
বানিয়ে ছানিয়ে গল্পকথার মাথা মুন্ডুর সাথে সাথে লেজও তো দেখতে পাচ্ছি। :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সাথে কথায় পারার জো নেই।
দিলাম, সাত নয় ছ’রঙয়ের সূতা বেঁধে। হারানোর বা পালানোর আর পথ পাবেন্না।
আপনার চোখের নিন্দা নয় পাঁচ মুখি প্রশংসা করছি এখানেই।
ইমন
আহা কি আহ্বান। সেই হইছে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
এমন আহ্বানে চিড়ে ভেজাতে পারছি বলে মনে হচ্ছে না।
অরুনি মায়া
হুম ভালবাসা বিহীন হাজার বছরের জীবনের চাইতে ভালবেসে পাশাপাশি একটি দিন,,,,,,,,,, সেও অনেক ভাল।
ছাইরাছ হেলাল
ভালো বলেছেন, আমরা সবাইকেই ভালোবাসবো।
দেখুন এখানে আমরা সবাই মিলে কতো মজা করি।