বিচ্ছেদের ভারী ব্যথা নীরবে স’য়ে জেগে থাকা ঘুম চোখে স্বপ্নে দেখি ভোরকে,অপেক্ষায় থাকি।হৃদনিথরে মনের কথা মনকে বলি,
মনই শোনে আয়না চোখে। মুখপুড়ি সেই যে গেল ফেরার নামটি নেয় না। এলোচুলে ব্যথা-যন্ত্রণায় ছিঁড়েছি চুল বেহাল সাজে,
মুখে মেখেছি ধূলিকাদা।তবুও দেয়নি উঁকি এ মরা চোখে।পুরু নিস্তব্ধতায় চুপিসারে দূরে পালিয়ে ভেবেছ কী ভুলে গেছি?
ভুলিনি,অগনিত গভীর আলোর ঝংকারে।
ভোর, এবারে বেড়িয়ে এসো,পিঠে-পুলির দেশ থেকে,তক্ষক অপেক্ষায় তোমার স্বজন,আমার কুজন।
পাষাণী হয়ো না,বাঁধবে না সে লোহার শিকলে,বেঁধেছে যে বুকের পাঁজরে,জেগে ওঠা পাখির কূজনে,
ব্যাকুল কুমারী ভালোবাসার আনন্দ উৎসবে।
৩৮টি মন্তব্য
অরণ্য
মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার লেখা বুঝি। একটু পরেই মনে হয় বুঝিনা। ভাল লিখেন আপনি।
বনলতা সেন
ভাল লিখি বলে বুঝতে পারেন না ! আমার মনে হয় সুন্দর করে আপনাদের মত লিখতে পারি না বলেই
বুঝতে সমস্যা হয় আপনাদের। এ সবই পড়তে হবে কষ্ট করে।
শিশির কনা
ভোর আসুক আপনার কাছে।লোহার শিকলের চেয়ে শক্ত বাঁধনে বাঁধা পরুক সে।
বনলতা সেন
যে জায়গায় বাঁধা পড়ার কথা সেখানে বাঁধা আছে কঠিন করে।
গান দিচ্ছেন না অনেকদিন।
খেয়ালী মেয়ে
ভুলে যাওয়াটা আসলেই কঠিন কাজ..এতো অপেক্ষা যার জন্য সেই ভোর এবার বোধ হয় আসবে..
বনলতা সেন
চাইলেও ভুলে যাওয়া যায় না সব কিছু। দেখি এবারে বেড়িয়ে এসে আমাদের কী বলে।
ব্লগার সজীব
বিচ্ছেদ কেন আবার?ব্যাথা ভালু না। 🙁
বনলতা সেন
ব্যথা নয় ভোর এবার পিঠে খেতে গেছে।
প্রহেলিকা
ভোর নিশ্চিন্তেই বেড়িয়ে আসতে পারে আপনি যখন তাকে অভয় দিলেন। আসুক বেড়িয়ে আমরা না হয় একটু দূর থেকেই পারলে দেখে নিবো।
বনলতা সেন
দেখি খেয়েদেয়ে আমদের জন্য কী নিয়ে আসে।
শুন্য শুন্যালয়
অগনিত গভীর আলোর ঝংকারেও তাকে ভুলে থাকা যায়না। এমন ভৈরব বোস্টমী ভালোবাসার মানুষ পেয়েও কিভাবে দূরে থাকে সে !!!
ভুল করিনি, যোগ্য প্রেমিকার হাতে তুলে দিয়েছি। আদর আহ্লাদে, ব্যথায় যন্ত্রনাতেও ঠিক আগলে রাখবে, রাখে। লোভাতুর করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, দুজনে মিলেই ঘুরে আসুন, শিকলে বাঁধা পরলেও সমস্যা কি? বুকের পাঁজরে যে বন্ধন তার চাইতে শক্তিশালী আর কি আছে?
ছোট লেখা ছোট নয়; অপেক্ষা, মনের কথা আর বিচ্ছেদের ভারে নুহ্য।
বনলতা সেন
আপনার হয়েই ভোরকে ভেবে পিঠে খেতে আপনার কাছেই পাঠালাম।
শত হলেও সে তো আপনারই। এবারে ভোরের সাথে আপনার কী হয় আমাদের ও একটু জানিয়ে দিয়েনছোট্ট ভাবনা ছোট্ট বেদনা ছোট্ট ভালোবাসা ।বড় লেখা আসবে কোত্থেকে।
শুন্য শুন্যালয়
লেখা ছোটো হলেও ভাবনা, বেদনা, ভালবাসা কোনটাই ছোট প্রকাশ পায়নি ম্যাডাম। সে আমার হলেও আপনার ভয়ে আমাকে থাকতেই যে হয়।
ভোরের সাথে কি হয়েছে হালকার উপর ঝাপসা বললাম। পুরোটা বলা যাবেনা, মানা আছে 🙂
বনলতা সেন
আপনার ও দেখি মানা সিস্টেম চালু হয়ে গেছে। এখন ই ভয় পেলে হবে না।
ছারপোকা
পাষাণ হবে না আর,লোহার শিকলে ও আর বেঁধে রাখবে না, বুকের পাঁজরের শক্তিশালী বন্ধনের কাছে যে এবার হার মানতে হবে ।
নতুন ভোর আসবে এবার অগনিত গভীর আলোর ঝংকারে ।দূর থেকেই দেখবো নতুন ভোর টা কে ।কি এমন জাদুটানা আছে এই ভোরে তা জানার যে অধীর আগ্রহ ।
বনলতা সেন
ঠিক আছে ,এবারে এলে ভোরের কাছেই জানতে চাইব জাদুটা কোথায় লুকানো।
জিসান শা ইকরাম
ভোরকে নিয়ে কত ভাবনা সবার…………।।
আমিই শুধু ভোর দেখলাম না।
নেটের যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে গেলাম।
বনলতা সেন
ভোর সবার দেখা ঠিক না। সবার জন্যও না।
যন্ত্রণা আর যন্ত্রনা। এ তল্লাটে নেট সমস্যা নেই।
ছাইরাছ হেলাল
পিঠে-পুলির আনন্দোৎসবে আমরাও যেতে চাই।
বনলতা সেন
কেউ নিষেধ করছে না, দাওয়াত ও দিচ্ছে না।
নুসরাত মৌরিন
ব্যাকুল কুমারীর আনন্দ উৎসবে মাতুক ভোর,মাতুন আপনি।
সেই উৎসবে আমাদেরও সাথে নিতে ভুলবেন না যেন…।
বনলতা সেন
কিন্তু যেখানে এই উৎসব সেখানের দাওয়াত ঠিকঠাক ভাবে পাচ্ছি না যে।
পেলে আপনাকেও মনে করব।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভোর বেড়িয়ে না এলে অনেক কিছুই যে পাওয়া হবেনা আমাদের।আসতেই হবে তাকে।
বনলতা সেন
আমিও বেড়িয়ে আসার অপেক্ষায় আছি।
প্রজন্ম ৭১
একজনের লেখার প্রথম কথা,অন্য জনের লেখার শেষের কথা একই।ব্রাকেট ব্রাকেট ক্লোজ মনে হচ্ছে 🙂 আমরাও ভোর দেখতে চাই।
বনলতা সেন
আপি দেখুন, ভাল করেই দেখুন।
তা সাজুয্য হতেই পারে।
মিথুন
ভোর তো দেখি সোনেলার আইকন হয়ে গেলো। একা একা এভাবে পিঠে-পুলি খেতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, আমরা কি ফাউ?
বনলতা সেন
ভারের মালিক কিন্তু আমি না।আমার আত্মীয়।ছুডাইয়া নেই মাঝে মাঝে।না না আপনারা ফাউ হবেন কেন?
দাওয়াত নিয়ে চলে যান।হেভভি খানাপিনা চলছে ওখানে।
নীতেশ বড়ুয়া
ডিজেল, তোর লেখা আবার এতোদিন পরে তাও এইভাবে! আহা… ডেইলি তোরে এইখানে চাই মাই ডিয়ার সিজু 😀
বনলতা সেন
মনে হয় ভুলে মন্তব্য করে ফেলেছেন ভুল জায়গায়।
নীতেশ বড়ুয়া
উফফস… আমি মহুয়া সিজেলের নিক বনলতা সেন কে আপনার নিকের সাথে গুলিয়ে ফেলেছি… যাই হোক নাম উহ্য রেখেই আবারো লিখছিঃ আহা! 😀
বনলতা সেন
ভালো থাকুন,আমি সিজেল নই।
রাইসুল জজ্
একান্ত অনুভুতি শুধুই নিজেই । সে কারনেই আপনার মত করে ভেবে পুরোটা বুঝতে পারি নি । 🙁
বনলতা সেন
তবুও পড়ছেন তাতেই আনন্দিত।
ফাতেমা জোহরা
বাহ্… চমৎকার লাগলো।
বনলতা সেন
পড়ার জন্য শুভেচ্ছা জানালাম।
স্বপ্ন
ভোর চলে আসবে,এমন আকুল আবেদন উপেক্ষা করবে কিভাবে সে?
বনলতা সেন
আমি সে অপেক্ষায় আছি। উপেক্ষা করতেই পারে না।