নাস্তা না করেই পুলিশ কমিশনার কামরুল সাহেব বের হয়ে পড়লেন। শিশির বলল, “পিকলু হত্যার কেস নিয়ে ঝামেলায় আছে আব্বু”
তুষার বলল, “হুম”
শিশির বলল, “তোমাদের কি মনে হয় এই কেস সম্পর্কে?”
বৃষ্টি বলল, “কি মনে হবে আবার? He got what he deserved.”
“He deserved to die?” বলে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকালো তুষার। তারপর বলল, “যদি লোকটা ক্রিমিনাল হয়েও থাকে, even every criminal has his right to be judged by the law”
“তুই lawyer দেখেই বলছিস এমন কথা। তুই ভালমতই জানিস, Law has its own limit। পিকলুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটা হত্যা, চাঁদাবাজি, কর ফাকি এমন কি ধর্ষণের অভিযোগও আছে”
“কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয় নি”
“প্রবলেমটা তো সেখানেই”
“এবার শিশির বলে উঠল, “তোমাদের সব আলোচনা শেষপর্যন্ত এখানটাতেই শেষ হয়। Frustating! কেউ এই হত্যার পেছনের আসল মোটিভ ভাবছো না”
গল্পের বাকী অংশ পড়তে চলে আসুন বইমেলায়, সংগ্রহ করুন “অনুভূতি গেছে অভিসারে”।
৩৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আপনার কল্পনা শক্তির প্রশংসা করতেই হয়
কিছু কিছু চরম সত্যিকে এনেছেন লেখায়
ধর্ষনের প্রচলিত আইনে বিচার হওয়াটা অসম্ভব আসলে।
বিচার হয়ই না বলা চলে–
ইন্টারনেট, কম্পিউটার,সফটোয়ার, ইতিহাস,সত্য কিছু উপলব্দি সহ অসাধারন এক পোষ্ট।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
হুম… এই গল্পটি নিয়ে এক বছর ধরে প্রায় ভেবেছি, মাথায় সাজাতে পারি নি… অবশেষে পারলাম…
যেহেতু আপনার ভালো লেগেছে, সেহেতু আমার এক বছরের ভাবনা বৃথা যায় নি…
খুশি হয়ে গেলাম। 😀 😀 😀
স্বপ্ন নীলা
আপনার লেখায় শ্রদ্ধা রেখে গেলাম, যখন পড়ছিলাম তখন মনে হয়েছিল বোধ হয় দেখছি, অসাধারণ
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
অসাধারণ লেগেছে জেনে ভালো লেগেছে… 😀
লীলাবতী
যতই আপনার লেখা পড়ছি ততই আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি আপু।কতকিছু আনলেন লেখার মাঝে।ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি কে আছে এই খুনের পিছনে।
লেখার উৎস নারীর প্রতি যুদ্ধের সময় বা যুদ্ধোত্তর অসম্মান।অত্যন্ত নিপুণতার সাথে ফুটিয়ে তুলেন সবকিছু।ধর্ষন বন্ধে এমন দেবী চাই আমাদের।নতুবা এটি বন্ধ হবেনা।
কৃন্তনিকা
বেগম রোকেয়ার যেমন “সুলতানার স্বপ্ন” , তেমন “দেবী” আমার স্বপ্ন…
এক বছর ধরে ভেবেছি যদি পশুদের শাস্তি দেবার জন্যও কোন সংগঠন থাকতো…
দেবীর স্বপ্ন বোধ হয় প্রতিটি মেয়েই দেখে…
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ 🙂 🙂 🙂
নুসরাত মৌরিন
দূর্দান্ত লাগলো।আপনার প্রতিটা লেখাই আগেরটাকে ছাপিয়ে যায়।
অসাধারন অসাধারন এবং অসাধারন।আর কিছু বললাম না…।
কৃন্তনিকা
প্রশংসার পুকুরে তো ডুবে যাচ্ছি, নুসরাত আপুর নৌকা লাগবে যে বাঁচার জন্য 😛 যথেষ্ট বলেছেন, এতেই খুশি 🙂
দুর্দান্ত ও অসাধারণ লেগেছে জেনে ভীষণ পুলকিত হলাম 😀 😀 😀
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
স্বপ্ন
কম্পিউটারের কি সব প্রগ্রাম লিখলেন,প্রথমে বুঝতে পারিনি।দুবার পড়ে লেখাটি বুঝতে পারলাম।এমন বিচারই কাম্য আপু।অত্যন্ত ভালো লিখেছেন।
কৃন্তনিকা
আমি যতটা সম্ভব পেরেছি সোজা করে লিখেছি। চেষ্টা করবো সামনে থেকে আরো সহজ করে লিখতে।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। 🙂 🙂 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
প্রথমে বুঝতেই পারছিলাম না আসলে বিষয়টা কি–অনেক সময় নিয়ে পড়ে তারপর বুঝলাম কে এই দেবী, কি তার কাজ, কেনো করছে সে এই কাজ, তার উদ্দেশ্য কি–
বৃষ্টি/শিশির দুজনের চরিত্রটা খুব সুন্দরভাবেই উপস্হাপন করেছেন…
বরাবরের মতোই অন্য ধাঁচের লেখা..অন্য রকম ভালো লাগা রইলো আপনার লেখার প্রতি -{@
কৃন্তনিকা
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো 🙂
বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ছিল “সুলতানার স্বপ্ন”। তিনি নারিস্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। মানুষ স্বপ্ন নিয়েি বেঁচে থাকে। “দেবী” আমার স্বপ্ন।
অন্য ধাঁচের লেখার চেষ্টা করি, কতোটা হয় জানি না…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 😀
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কিভাবে এমন লেখেন? লেখা নিয়ে কতটা চিন্তাধারা কাজ করে আপনার মধ্যে আঁচ করতে পারছি।
এটা একটা ওয়াও টাইপ লেখা। “দেবী” স্বপ্ন আপনার পূরন হোক। অসাধারন।
কৃন্তনিকা
আপনার ‘ওয়াও’ শুনে খুশি হয়ে গেলাম 🙂 🙂 🙂
রেগুলার পোস্ট দিতে পারি না চিন্তার অভাবে… 🙁 অনেক দিন পরপর দেই, তাই হয়ত অন্যরকম লাগে 😀
পড়ার জন্য ধন্যবাদ…
শুন্য শুন্যালয়
এমন চমৎকার সব লেখার জন্য চিন্তাভাবনার প্রয়োজন অবশ্যই। অনেকদিন পর পর বলে নয়, আপনার সব লেখাই অন্যরকম।
কৃন্তনিকা
🙂 🙂 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা সবাই দেবী হলেও পারতাম :)কৃন্তনিকা আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন।
কৃন্তনিকা
হুম… দেবী হতে পারলে ভালোই হত…
লেখা চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবো।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
ইমন
বাহ! ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা।:)
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
আপনাকেও শুভেচ্ছা…
মারজানা ফেরদৌস রুবা
দুর্দান্ত লিখেছেন। পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছি। মনে মনে এমনই ভাবি।
আসলে কি বলবো? দুদিন যাবত এসবই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
যাহোক, অসাধারন লিখেছেন।
কৃন্তনিকা
হয়ত প্রতিটা মেয়েই এমন চায়, এমন স্বপ্ন দেখে, দেখে “দেবীর স্বপ্ন”…
‘দেবী’র অস্তিত্ব আমাদের বাস্তব জগতে নেই, কিন্তু আমাদের মনোজগতে আছে… আমরা প্রতিটি ধর্ষককে মনের মধ্যে এভাবেই বধ করি…
অসধারন লেগেছে জেনে ভালো লাগলো
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
অনিকেত নন্দিনী
বাব্বাহ! লেখকের জ্ঞানের পরিধি লেখায় উঠে এসেছে।
রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম। স্বীকার করছি অনেক কিছুই বুঝিনি কিন্তু সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। 🙂
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলেই বোঝা একটু কঠিন, ব্যাপার গুলো সাজাতে গিয়ে টের পেয়েছি…
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো 🙂
মেহেরী তাজ
এই লেখা তো আমি আরো কয়েক শতবার পড়তে চাই।
আমার প্রথম দিকে মনে হয়েছিলো ” বেশি বড়”। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এতো তারাতারি শেষ হয়ে গেলো কেনো।
কৃন্তনিকা
পড়ুন যতবার খুশি 🙂 🙂 🙂
কয়েকশ’ বার পড়তে চাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 😀
আশা জাগানিয়া
সম্পুর্ন ভিন্ন আঙ্গিকের একটি গল্প পড়লাম।বাস্তবেই যদি এমন হতো,অত্যন্ত খুশী হতাম আমি।সমাজ থেকে ধর্ষকরা নির্মুল হতো। আপনার সব লেখা পড়তে হবে বুঝতে পারছি 🙂
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 😀 😀 😀
আমরা সবাই এমনই চাই, কিন্তু বাস্তবতা হয়ত এমন হবে না কখনোই… 🙁
পড়ুন, ব্লগেই আছে সব লেখা। 🙂 আগের লেখা গুলো পড়লে খুশি তো হবো অবশ্যই…
ব্লগার সজীব
আপনার লেখাগুলো সব সময়ই ভিন্ন ধরনের হয়।কোথা থেকে কাহিনী কোথায় নিলেন।আপনি এর সদস্য নন তো? 🙂
কৃন্তনিকা নাম তো দেবীর কাজের একটি হাতিয়ার 😛
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
অত্যন্ত ব্যস্ততার জন্য সময়মত উত্তর দিতে পারি নি 🙁
“দেবী” বাস্তব হলে আমি অবশ্যই এর সদস্য হতাম সন্দেহ নেই… 🙂
স্বদেশী যোদ্ধা
সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার একটি লেখা । দিদি আপনার লেখাটা পড়ে ঠিক কি মন্তব্য করবো ঠিক বুঝে ঊঠতে পারছিনা । তবে আপনার জন্য আমার একটি মন্তব্য রইলো –
এগিয়ে যাও হে নারী শক্তি ,
তবেই ঘটবে তব মুক্তি ।
রাষ্ট্রে যুক্ত হবে নব শক্তি,
দূর হবে সব অপশক্তি ।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂 🙂 🙂
আপাতত বেশ অনিয়মিত হচ্ছি কাজের জন্য 🙁 তাই নতুন লেখা লেখা হবে না…
পুরোনোলেখা গুলোই পড়ার অনুরোধ রইল। 😀
ভালো থাকবেন।
লীলাবতী
ইচ্ছে হয় দেবী হয়ে যাই,আইন নিজের হাতে তুলে নেই।নতুন লেখা পাচ্ছি কবে আপু?
কৃন্তনিকা
হুম, আমারো ইচ্ছে হয়… কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিতে নেই :@
তাড়াতাড়িতেই পাচ্ছেন 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
এই প্রথম! হ্যাঁ, এই প্রথম আমি আপনার প্লটের মূল হোতাকে আগেই শনাক্ত করেছি বা বলা চলে আপনার প্লটের ‘শিশির; চরিত্রের মতোই আপনার লেখার মোটিভ অনুসরণ করে ‘কে হতে পারে’!
লীলাপুর মতই বলছি যে যতই আপনার লেখা পড়ছি ততোই আপনার ভক্ত হয়ে উঠছি এবং স্বীকার করছি আপনার লেখনীর চাইতে আপনার প্লটের অনুসন্ধিৎসু ভাবের প্রভাব পড়ছে আমার মনেও, আমাকে উৎসাহিত করছে এইভাবে এগিয়ে আসার জন্যে…
আপনার এইসব গল্পগুলোকে যদি বইয়ের মলাটে ছাপা অক্ষরে পেতাম?!
কৃন্তনিকা
সোনেলায় আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। সময়ের অভাবে আসা হয় না নিয়মিত।
আপনার মন্তব্য দেখে মন আরো আরো ভালো হয়ে গেল… 😀 😀 😀
আমিও চাই বইয়ের মলাটে ছাপা অক্ষরে রুপ দিতে। কিন্তু এই ইন্টারনেট-ব্লগের যুগে যখন বিনা মূল্যে PDF পাওয়া যায়, তখন আমার বই কি চলবে??? 🙁
সিকদার
ভাষা নেই মন্তব্য করার মত, তবু বলব আপনার েলখায় এমন কিছু আছে যা আপনার ভেতরের আগুন অন্যকেও জ্বালিয়ে দেয়ার অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার ভেতরে আগুন জ্বালাতে পেরেছে আমার লেখা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। -{@