আবার শুরু সেই যন্ত্রণার।চামড়ার নীচে।আস্তে আস্তে এখন আমার চামড়া খুলে যাবে।আমি পরিণত হব একটা নগ্ন মাংসপিণ্ডে।যন্ত্রনা ,বড়ই যন্ত্রণা।মাঝে মাঝে বমি আসে।বড় বীভৎস আমার সে রুপ।সপ্তাহে একবার এ কি অবস্থা হয় আমার!!??ভাগ্যিস কেউ জানে না তা।কেউ হয়ত জানবেও না।হয়ত বা জানবে!!কি হবে তখন???আমি কি বিতাড়িত হব এই সমাজ থেকে?হয়ত.. একটা জন্তু যা প্রতি সপ্তাহে নতুন একটা রুপ পায়,যার বীভৎসতায় সে নিজেই ভীত।তাকে নিজের মাঝে কোন সমাজ রাখবে???ওহ যন্ত্রণা।কেন এমন হল।যদি এই আমার পরিনতি হয়!!তবে মানুষের মাঝে মানুষ রুপে কেন আমার জন্ম???? কেন?কেন??কেন???কেন পুরো একটা রাত আমার এক টুকরা মাংসপিণ্ডের ন্যায় কাটাতে হয়।কেন এই অসহ্য যন্ত্রণা??যদি আমি মানুষ না হই তবে কেন আমার নিজ গোত্রের লোকেরা আমাকে খুজে নেয় না।মানুষের মাঝে এখন আর ভাল লাগে না।এটা আমার জন্য খারাপ।খারাপ সাধারন মানুষের জন্য।কেননা যতই আমি তাদের থেকে দূরে যাচ্ছি,ততই তাদের প্রতি অদ্ভুত একটা আকর্ষণ আমার তৈরি হচ্ছে।এই আকর্ষণটা খারাপ।এই আকর্ষণ তাদেরকে আমার নিজের মাঝে বিলিন করে দেয়ার,তাদের রক্ত মাংস নিজের মাঝে নেয়ার আকুতি তৈরি করে।আমি কি দানব?!আমি কি দানব!!?? কেও আমাকে রক্ষা কর।কেউ!! কেননা তোমাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাকে রক্ষা করা জরুরি।এই থলথলে মাংসপিণ্ডে পরিণত হওয়া থেকে আমাকে রক্ষা করা জরুরী………
১৪টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
ভাই , ভাল বুঝলাম না ।
একটু যদি হিন্টস দিতেন ।
অরণ্য পুলক
ভাই আমি চিন্তা করছি আর হিন্টস দিব না।সব মানুষের আলাদা কল্পনা আছে।নিজের কাছে যে যার যার মতো এটা ব্যাখ্যা করুন। 🙂
তন্দ্রা
এটা কি বর্তমান রাজনৈতিক রহস্য নিয়ে ভাই, তাহলে এই দানব গুল আসলে সমসজের হিংস্র দানব।
অরণ্য পুলক
নিজের মতো করে বুঝে নেন……। 😀
নীলকন্ঠ জয়
মানুষের বিবেক কখনো দানব হয় কখনো বা মানব হয়। অসাধারণ ভাবার্থ যুক্ত লেখা। -{@
অরণ্য পুলক
সত্য কথা বলসেন ভাই……। 😀
শুন্য শুন্যালয়
মনের দানব ভয়ংকর ….একে আটকানোর উপায় যে আমাদেরও জানা নেই…
অরণ্য পুলক
আসলেই জানি না ভাই।এটা বড়ই যন্ত্রণার ভাই। (y)
মর্তুজা হাসান সৈকত
ভালো লাগলো পড়তে। ভালোই লিখেছেন কিন্তু।
অরণ্য পুলক
আমি লিখি নাই ভাই।কেউ আমার দ্বারা লেখাইসে। 🙂
😀
শিশির কনা
যন্ত্রনা উপলব্দি করেছি , মানবই তো এখন দানব (y)
খসড়া
ভয়ংকর বাস্তবতা।
জিসান শা ইকরাম
ভালো লিখেছেন ।
চিন্তায় ভিন্নতা আছে ।
প্রিন্স মাহমুদ
ভালো লেগেছে । ভিন্নধারার সাবলীল প্রকাশ