তোমার তো সব আছে।
আমার শুধু তুমি নাই।
চার দেয়ালে বন্দী আমার ঘরে থালা বাসন আসবাব পত্র আমার
তোমার বিশাল আকাশ চায়ের দোকান গলির মোড়ের আড্ডা
আমার একটা টিভি আছে
তোমার আছে পার্ক উর্বশীদের এলোমেলো চুল
কফি সপে মিথ্যা কথার ঝুড়ি
নারীর প্রতি তোমার ভীষণ টান।
আমার আছে সেলাই মেশিন
তোমার কত্ত কাজ
ফোন করলেই বিজি থাকো, “অফিসে অনেক কাজ”।
দিনের শেষে ক্লান্ত তুমি আমার কাছে এসে
তোমার অনেক ঘুমের নেশা,
সময় নেইতো চেয়ে দেখার
আমার বালিশ ভেজা চোখের জ্বলে।
তোমার অনেক সপ্ন আছে আকাশ ছোঁবে তুমি।
আধার এলে দিনের শেষে আমার সপ্ন খুঁজি।
তোমার একটা নদী আছে সাঁতার কাটো রোজ।
আমার কথা ভাবো তুমি নিয়েছো কি খোঁজ।
এখন আমার আর কিছু নেই
তোমায় দিয়েছি সব
ভালোবাসার ইচ্ছা টুকু মরেই গেছে কবে
তোমার এখন সবই আছে
আমার আছে কী?
আমার জীবন তোমর হাতে সঁপে দিয়েছি।
২১টি মন্তব্য
শাহরিন
ভালোবাসার মানুষের উপেক্ষা খুবই বেদনার। লেখায় বেদনা সসম্পূর্ণ ভাবেই ফুটে উঠেছে ।
শিরিন হক
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
তৌহিদ
এতকিছুর পরেও আমরা ভালোবাসি তাকে। এটা উপেক্ষা নয়, জীবনের পরিক্রমায় ভালোবাসার ধরন পরিবর্তিত হয়।
ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে আপু। শুভকামনা জানবেন।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
MASUDCHOYON
প্রিয়জন এবং প্রয়োজন একসূত্রে গাঁথা।প্রিয়জন ছাড়া জীবনকে নির্জন প্রেক্ষাপট মনে হয়।ভালো লিখেছেন।
শিরিন হক
ধন্যবাদ এভাবে পাশে থাকবেন।
বন্যা লিপি
“আমার আছে কি?
আমার জীবন তোমার হাতে সঁপে দিয়েছি।*
উপেক্ষিত নয় বরং প্রয়োজনে প্রিয়জনের জীবনের সাথে অভ্যস্থতায় জড়িয়ে থাকার আরেক নামই সংসার জীবন। মিতা অনেক গভীর অনুভবের শব্দে গেঁথছো জীবনের গল্প।সবসময় তোমার জন্য শুভ কামনা 💕💕
শিরিন হক
তোমার প্রতি ভালোবাসা অফুরান
রাফি আরাফাত
ভালো লাগছে।
রাফি আরাফাত
তোমার তো সব আছে
আমার আছে কি?
অসাধারণ ছিলো
শিরিন হক
ধন্যবাদ
সঞ্জয় মালাকার
তোমার তো সব আছে
আমার আছে কি?
চমৎকার লিখেছেন দিদি।
শিরিন হক
ধন্যবাদ জনাব
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দিদি শুভেচ্ছা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
তার এতো আছে তবুও আমার জীবনটা তাকেই সপে দেই কেনো বলুনতো ? ফেরত নিয়ে নিলেওতো পারি। তবুও নিতে পারিনা, কারন আমার যেটা আছে সেটাতো তার নেই ! ভালোবাসা সবার মাঝে থাকেনা। যার নেই তাকে দিলেও যা, না দিলেও তা। সে কেবল উপেক্ষা করে যাবে, কিন্তু ফিরতি ভালোবাসার জন্যে অপেক্ষা করা আমাদের ফুরাবেনা।
খুব ভালো লিখেছেন শিরিন। নিয়মিত এলে এই ভালো ভালো লেখা গুলো বেশি বেশি পড়তে পেতাম। লিখুন বেশি করে। শুভ কামনা, 🌹🌹
ইঞ্জা
উপেক্ষা কারোরই পছন্দ নয়, এরপরেও মেয়েরা সংসারের কথা ভেবে সব কিছুই আঁকড়ে থাকে, দারুণ লিখলেন আপু।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমার আছে কী?
আমার জীবন তোমর হাতে সঁপে দিয়েছি।
বাহ্
দারুণ লেখনী দিদি।
আরজু মুক্তা
সঁপে না দিলে হতোনা! আমরা নারীরা এতো বোকা কেনো?ওদের কে জিতিয়ে দিয়ে নিজেরাই হারাই!!
জিসান শা ইকরাম
বিয়ের পর অনেক পুরুষরা মনে করে – বিয়ে তো করে ফেলেছি , এখন টাকা বাড়ি গাড়ি এসব করার পালা। কিন্তু বিয়ের পর যে তার জীবনের সাথে আরেকটা জীবন জড়িয়ে গিয়েছে এবং সেই জীবনটারও দেখা – শোনা করা দরকার সেটা তারা বুঝে না বা বুঝতে চায় না । একটা মানুষ ঘরে সারাদিন খেটে মরে আরেকটা মানুষ বাহিরে তাঁদের মাঝে মনের কোন লেন দেন থাকে না , থাকে শুধু স্বামী স্ত্রী নামক একটা সম্পর্কের দুটা নাম , পুরুষটা হয়তো চার দেয়ালের বাহিরে একটা নতুন দুনিয়া তৈরী করে নিতে পারে কিন্তু নারী চার দেয়ালের ভীতরে বসে সেটা পারে না , ধীরে ধীরে সে নির্জীব হয়ে পরে তার ওই মরা বাঁচার দায়িত্ব ওই পুরুষের আচরণেই নির্ভর করে।
লেখাটি মনে দাগ কেটেছে, তাই মন্তব্য একটু বড়ই দিলাম।
এমন লেখা আরো চাই।
শিরিন হক
একটা ভালো মন্তব্য লেখকের লেখনীর খুদা বাড়িয়ে দেয়।
রেহানা বীথি
এমনই তো বেদনায় ভরা প্রায় সব মেয়ের জীবন আমাদের সমাজে। পারস্পারিক বোঝাপড়ার বড্ড অভাব। সারাজীবন সংসার করে একজন স্বামী হয়তো জানতেই পারে না, স্ত্রীর পছন্দের খাবার কোনটি। কিন্তু স্ত্রীটি ঠিকই খোঁজ রাখে, স্বামী সন্তানদের পছন্দ অপছ। এটা খুবই দুঃখজনক। এসব বিষয় অতি নগণ্য মনে হলেও, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব বিষয়েই গড়ে ওঠে মায়ার বাঁধন। পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধও সম্পর্কের ভিত্তি। আর এসব যখন অনুপস্থিত থাকে, তখন স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক হয়ে যায় শুধুই একসঙ্গে বসবাস।
বড় ভালো লাগলো আপনার উপস্থাপনা