আধ খাওয়া চাঁদটাকে দেখতে দেখতে রাত পার হয়ে যায় শান্তর । এলোপাথারি অনেক ভাবনা মাথায় এসে ভর করছে। শুভ্রাকেও যে ভালো লাগতে পারে সেটা সে কখনই কল্পনা করেনি। এটা কি প্রেম নাকি অন্য কিছু সেটা বুঝতে পারছে না শান্ত। প্রেমের মত ফালতু বিষয়ে নিজের জীবনটা জলাঞ্জলী করার মত ছেলে শান্ত নয়। তবে কেন এত শুভ্রা কে ভাবছে- সে হিসাব মেলাতে পারে না সে।
মনে পড়ে,বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় গুলোর কথা। শুভ্রাকে সে কখনই পাত্তা,টাত্তা দেয়নি। বরং শুভ্রা কখনও সহপাঠি হিসেবে কথা বলতে এলেও এড়িয়ে গেছে। শুভ্রা সেটা ঠিক বুঝতে পেরেছিল। তাইতো সেও আর পরবর্তিতে শান্তর সাথে কথা বলতে আসে নি।শান্তর মত স্মার্ট আর হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে মেয়েরা কথা বলার জন্য অজুহাত খোঁজে,সেটা সে ভালোই বোঝে। তার শুধু একটা কথায় মনে হয়েছে, আর যাই হোক শুভ্রাকে ভালোবাসা দূরে থাক বন্ধুত্বও করা যায় না।
ক্লাসে জেরীন ভীষণ সুন্দর আর স্মার্টও বটে! জেরীনের সাথে তার সখ্যতাও ছিল চোখে পরার মত। ভার্সিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে ওদের একসাথে অংশগ্রহণ ছিল অপরিহার্য বিষয়। আড্ডা,রেঁস্তোরায় খাওয়া,সিনেমা দেখা সবকিছুই হতো একসাথে। যেকোন পুরুষের হৃদয়েই ঝড় তোলার জন্য যথেষ্ট জেরীন। জেরীনের রূপের কাছে শুভ্রা তো অতি সাধারণ!শুধু দেখতেই সাধারন নয়।পোশাকেও আনস্মার্ট।ওর চলাফেরা নিয়ে বন্ধুদের সাথে কত হেসেছে, ব্যঙ্গ করেছে, কটূ কথা বলেছে তার কি হিসেব আছে?
জেরীনের সাথে সম্পর্কটারও ব্যাখা তার কাছে অন্যরকম। জেরীনের সাথে ঘুরতে,সময় কাটাতে ভালো লাগতো ।কিন্তু মনের ভিতর কখনো কোনো টান সে অনুভব করেনি। জেরীনের ক্ষেত্রেও মনে হয় ব্যাপারটা সেরকমই ছিল। শুধুমাত্র সময় কাটিয়েছে তার সাথে।অনার্স ফাইনালের আগেই একদিন এসে সবাইকে বললো তার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ছেলের সাথে।বিয়ের পরপরই চলে সেও চলে যাবে। সবাইকে ঘটা করে দাওয়াত দিল। এবং বেশ খুশিও দেখাচ্ছিল তাকে। বন্ধুদের ভিতর অবশ্য কানাঘুষা হচ্ছিল।এটা কিভাবে সম্ভব। তারা তো ভেবেছিল শান্ত আর জেরীন একে অন্যকে খুব ভালবাসে। এসব কথায় শান্তর কোনো ভাবান্তর হলো না। এমনকি জেরীনের জন্য কোন কষ্টও অনুভব করলো না।
যেদিন অনার্স ফাইনালের রেজাল্ট হলো সেদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্লাসে সবচেয়ে বেশি নম্বর নিয়ে ফার্স্টক্লাস পেল শুভ্রা।ক্লাসে শিক্ষক দারুণ খুশি হলেন শুভ্রার উপর। তিনিই সর্বপ্রথম শুভ্রাকে অভিনন্দন জানালেন। শিক্ষক চলে যাবার পর ক্লাসে সবাই শুভ্রাকে অভিনন্দন জানালো। সবাইকেই সে হাসিমুখে ধন্যবাদও দিল। কিন্তু শান্ত যখন শুভ্রার কাছে এল অভিনন্দন জানাতে শুভ্রা কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। শুভ্রার এমন ব্যবহারে শান্তর মনে হলো,শুভ্রা যেন প্রতিশোধ নিল!
এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যেন ভোর হয়ে গেল। পূবের রক্তিম সূর্যের আভা যেন কিছুটা হলেও মন ভালো করে দিল। ভোরের স্নিগ্ধ আলো জানালার শার্সিতে এসে পরে। পাখিদের কিচির মিচির বেশ ভালোই লাগে।সারা রাত না ঘুমিয়ে খুব ক্লান্ত বোধ করে শান্ত।একটু চা খাওয়া দরকার। মা ফজরের নামাজ শেষ করে রান্নাঘরে কাজ করছেন তা বেশ বোঝা যাচ্ছে রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা টুং টাং শব্দে। রান্নাঘরে গিয়ে মা’কে বললো শান্ত, মা চা হবে? মা তো অবাক।কি রে বাবা এত সকালে উঠে গিয়েছিস? শরীর ভালো আছে তো? এইতো মা ভালো আছি। চোখ লাল কেন বাবা? ঘুমোস নি রাতে? ঘুমিয়েছি মা।মিথ্যে বলে কোনোরকম মায়ের সামনে থেকে পালালো যেন।
চা খেয়ে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিল শান্ত। সকাল ১০টায় সজলের সাথে দেখা করার কথা। সামনেই মাস্টার্স পরীক্ষা। কিছু নোট পত্র তৈরী করতে হবে।নাস্তা সেরে ৯টায় ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের দিকে বের হয়ে গেল সজলের সাথে দেখা করার জন্য। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখেই শুভ্রাকে দেখতে পেল। সঙ্গে রাশেদ। দুজনে বেশ হাসছে। দেখেই শান্তর ভেতরে কি যেন হলো। কষ্ট নাকি ঈর্ষা? ওরা দুজন একসাথে কেন? বার বার সে প্রশ্ন মনে উঁকি দিল। ভীষণ রাগ হচ্ছিল শুভ্রার উপর। এত হাসার কি আছে? ইচ্ছে করেই ওদের দিকে এগিয়ে গেল শান্ত। আরে রাশেদ যে,কি খবর তোর? অনেকদিন পর দেখা হলো? তো এখানে কি করছিস? চল না, ক্যাম্পাসে সজল আছে ।একসাথে আড্ডা দেব। রাশেদ বললো, নারে দোস্ত আজ থাক,আজ একটু কাজ আছে।খুব সুন্দর ভাবে তাকে এড়িয়ে গেল। আর শুভ্রা তো তাকে দেখেই প্রায় এক ক্রোশ দূরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে!
ক্যাম্পাসে সজলের সাথে দেখা।সে তো কখন থেকেই নোট পত্র নিয়ে বসে আছে।শান্ত কে দেখে এগিয়ে এল।কিরে দেরী করলি যে? নিশ্চয় বলবি রাস্তায় জ্যাম ছিল? শান্ত কোন উত্তর দিল না। শুধু জিজ্ঞেস করলো শুভ্রার সাথে রাশেদের কোনো কিছু চলছে নাকি রে? শুভ্রার কথা জানতে চাওয়ায় সজল বেশ অবাকই হলো। শুধু বললো, কৈ এমন কিছু তো জানি না।সেদিন শান্ত কে সারাটা সময় অন্য মনস্ক দেখা গেল। সকালে ঝকঝকে রোদ থাকলেও আকাশ কালো করে মেঘ নামলো। প্রকৃতি যেন বৃষ্টির অপেক্ষায়।সেই সাথে শান্তও। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো । সে বৃষ্টিতে অনেকক্ষণ ভিজলো শান্ত। মনের কষ্ট যেন চোখের জল হয়ে বৃষ্টির সাথে মিশে গেল। ইউনিভার্সিটি থেকে বাড়ি ফিরলো বৃষ্টিতে ভিজে। ওকে এই অবস্থায় দেখে মা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার শান্ত? এ কি? সারা পথ ভিজে এলি, রিক্সা পাস নি?কোনো কথা না বলে নিজের ঘরে ঢুকলো শুভ্র। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারলো তার ভীষণ জ্বর আসছে।
রাত টা বেশ খারাপ কাটলো।একে তো জ্বর তারপর সারারাত ঘুম হলো না।আধো ঘুমেও বারবার যেন শুভ্রাকে স্বপ্ন দেখলো।
পরদিন বিকেলে সজল এল শান্তর বাসায়। শান্ত জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে ছিল। ওর গায়ে তখনও হাল্কা জ্বর।নানারকম ভাবনা এসে মাথায় ভর করছিল। মাস্টার্সের ক্লাস প্রথম যেদিন শুরু হল সেদিন সব মেয়েরাই শাড়ি পরে এসেছিল। সেদিনের কথা আজো তার মনে আছে। শুভ্রা সেদিন নীল একটা শাড়ি পরেছিল।চোখে কাজল আর কপালে ছিল নীল টিপ। শুভ্রাকে কখনও এরকম সাজে দেখেনি শান্ত।কি স্নিগ্ধ! কি যেন টান অনুভব করলো বুকের ভেতর। কৈ আগে কখনও তো এমন লাগেনি কারো জন্য।শুভ্রার জন্য একেবারেই না। কত মেয়ের সাথে আলাপ তার ।কখনও কাউকে ভালবাসতে পারেনি। শুভ্রার ওই চোখে কিসের মায়া যেটা শান্তকে অস্থির করে তোলে? শুভ্রা যে এত সুন্দর হাসতে পারে সেটাও কি সে আগে খেয়াল করেছিল? মনে পরে, ক্যাম্পাসে কোনো এক অনুষ্ঠানে বন্ধুরা সবাই মিলে মঞ্চের বাইরে বসেই আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ একটি কন্ঠস্বর-আমি যখন ছোট ছিলাম/খেলতে যেতাম মেঘের দলে/ একদিন এক মেঘ বালিকা প্রশ্ন করলো কৌতুহলে….মুগ্ধ হয়ে শোনে শান্ত। জয় গোস্বামীর “মেঘ বালিকা”।এত চমৎকার করে কে আবৃতি করছে? শুধু সেটা জানার জন্যই মঞ্চের কাছে দাঁড়ায়। শুভ্রা! মেয়েটা এত চমৎকার আবৃতি করছে!সে শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখেছে শুভ্রাকে আর ভেবেছে কি আছে ওর ভিতর? কেন এমন হয় ওকে দেখলেই?
ভাবনায় ছেদ পড়লো সজল যখন ওর পিঠে হাত রাখলো। চমকে উঠলো শান্ত। কখন সজল এসেছে খেয়ালই করে নি। কিরে এই অবস্থা কেন তোর জানতে চাইলো সজল। চোখ লাল কেন?ঘুমোস নি নাকি? না রে তেমন কিছু না। তোর কি হয়েছে রে শান্ত?খুব অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে তোকে।আর ক’দিন পরেই কিন্তু পরীক্ষা।এমন করলে পরীক্ষায় ফেল করবি। প্রেমে পড়িস নি তো? মাথা নিচু করে রইলো শান্ত। কিরে ?আমার ধারনা তাহলে ঠিক? মেয়েটা কি শুভ্রা ? শান্তর নিরবতা দেখে সজল বলে, দেখ শান্ত শুভ্রার মত মেয়ে হয়না। লেখাপড়ায় বল আর আচার আচরনে,ওর সাথে কাউকে তুলনা করা উচিত হবে না। কিন্তু তুই ওর প্রেমে পড়লি কেন? ওকে তো তোর সাথে মানাবে না।তুই তো অনেক হ্যান্ডসাম ছেলে । তোর জন্য অনেক মেয়েই পাগল । শুভ্রাকে অনেক তাচ্ছিল্য করেছিস,মনে নেই তোর? শান্ত লজ্জায় যেন মিশে যাচ্ছিল।
আর কিছুদিন পরেই মাস্টার্স ফাইনাল। পরীক্ষার জন্য শান্তর কোনো প্রস্তুতি নেই।পরীক্ষা দেয়ারও কোনো ইচ্ছে নেই ওর। উপায় না দেখে সজল বাধ্য হয়েই নিজ থেকে শুভ্রাকে জানালো শান্তর মনের অবস্থা। সব শুনে শুভ্রা স্তম্ভিত। কি আবোল তাবোল কথা বলো সজল? এসব কথা আর কখনো বলো না। খেয়ালী ছেলে, যখন যা আবদার করবে সেটা প্রশ্রয় দিতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই।তাই না? শুভ্রা কোনো কথা না বলে সামনে এগিয়ে গেল।সজলও নিরুপায়।কিছু করার নেই তার।
সবাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।আর শান্ত এই শহর ছেড়ে পালাতে চাইছে। এই শহর কখনই শুভ্রাকে ভুলতে দেবে না। শান্তর খালু একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর। শান্ত র ইচ্ছায় তাঁর প্রতিষ্ঠানে একটি চাকরীর ব্যবস্থা করে দিলেন।পোস্টিং চিটাগং। এক সপ্তাহ পরেই জয়েনিং।বিকেলে সজল এল শান্তর বাসায়।ওকে বোঝালো পরীক্ষা দেয়ার জন্য। কিছুতেই শুনলো না কথা। ফিরে যাবার সময় সজল শুধু বললো,”যার জন্য পরীক্ষা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিস তাকে জানালেই তো পারিস। একবার অন্তত বলে দেখ।প্লিজ।”
আজ সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি। শান্ত বেশ সকালেই ঘুম থেকে উঠেছে। আজ রাতের ট্রেনে চট্টগ্রাম চলে যাচ্ছে সে।কিন্তু কিছুই ভাল লাগছে না।নিজের সাথে নিজেরই চলছে যুদ্ধ।সারাটা দিন একরকম অস্থিরতার মধ্যেই গেল। একপর্যায়ে একটা সিদ্ধান্ত নিল শান্ত।একবারের জন্য হলেও দেখা করবে শুভ্রার সাথে।
সারাদিনের বৃষ্টি শহুরে কর্মচঞ্চল জীবন কে থামাতে পারে নি। বৃষ্টিতে হুড তোলা রিক্সার টুং টাং শব্দ আর টং এর দোকানের ছাউনিতে চায়ের আড্ডা এক মায়াবি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যেন। শান্ত বৃষ্টিতে ভিজেই ভার্সিটির পথ ধরলো। ডিপার্টমেন্টের সামনে সজলের সাথে দেখা। বেশ অবাক হল। কিন্তু কিছুই জিজ্ঞেস করলো না।শান্ত অপেক্ষা করছিল শুভ্রার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যে শুভ্রা এল। ওর সামনে দাঁড়ালো। চোখে মুখে রাজ্যের বিরক্তি। কি হয়েছে? সজল তোমার সাথে দেখা করতে বললো। কি সমস্যা তোমার? এই বৃষ্টিতে ভিজে কি প্রমাণ করতে চাইছো? শান্ত একটু হাসলো। শুধু বললো তোমাকে দেখতে এসেছি। শেষ বারের মত। শুভ্রা বলল, মানে? মানে একেবারে চলে যাচ্ছি। আর কখনও তোমার সামনে আসবো না। বলেই ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু শুভ্রার প্রশ্ন শুনে থামলো।ভালোবাস? যখন যেমন খেয়াল হয় তখন তেমন আচরণ কর বুঝি? কথার মাঝেও ঝাঁঝ মিশে আছে। শান্তর চোখের পানি শুভ্রা দেখতে পায় না। কিন্তু চোখের ভাষা যেন বুঝতে পারে। চমকে ওঠে শুভ্রা। মাথা নিচু করে থাকে পরমূহুর্তেই। শান্ত শুভ্রার কাছাকাছি আসে।শুভ্রা,তুমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাস?ভিজবে? আমার সাথে? হাত বাড়িয়ে দেয় শান্ত।আকাশ ভেঙে যেন আরো বেশি বৃষ্টি নামে।শান্ত কোমল স্পর্শ টের পায়। এ জীবনে আর কিচ্ছু চায় না সে।শুধু এই মূহুর্তটা বেঁচে থাক।
পুনশ্চঃ চট্টগ্রামগামী আজ রাতের ট্রেনের”খ” নাম্বার বগীর ১৩ নাম্বার আসন টা আজ খালি যাচ্ছে
২০টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
অতুলনীয় প্রকাশ। ভীষণ ভালো লাগলো
সাদিয়া শারমীন
আমারও ভালো লাগলো আপনি গল্পটি পড়েছেন বলে ।ধন্যবাদ অশেষ।
খাদিজাতুল কুবরা
দারুণ রোমান্টিক গল্প। কার কখন কাকে ভালোলাগবে সেটা আগে থেকে বোঝা দায়।
গল্পের শেষটা খুব ভালো লেগেছে। ভালোবাসা সত্যি হলে অপরপক্ষ অনুভব করবেই।
অনেক শুভকামনা রইল
সাদিয়া শারমীন
আমার খুব ভালো লাগছে আমার লেখা প্রথম গল্পটা আপনি পড়েছেন ।হ্যাঁ এটা আমার লেখা প্রথম গল্প এবং বলতে পারেন প্রথম রোমান্টিক গল্প সুতরাং আপনাদের উৎসাহ আমার জন্য অনুপ্রেরণা।
খাদিজাতুল কুবরা
আমি ও প্রথম গল্প লিখলাম সোনেলা পরিবারের অনুপ্রেরণায় পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
সুন্দর রোমান্টিক গল্প।
গল্পের শেষটা আসন খালি রাখাটা খুব ভালো লেগেছে। সত্যিকারের ভালোবাসার মৃত্যু নাই।
অনেক শুভকামনা রইল
সাদিয়া শারমীন
অনেক ধন্যবাদ দাদা ।আমার লেখা প্রথম গল্প পড়েছেন, খুব ভালো লাগছে।
রেজওয়ানা কবির
গল্পের শেষটায় মন ভরে গেল।ভালোলাগা, ভালোবাসা কখন আসবে তা আগে থেকে কেউ জানে না।আমারও নিজের ভার্সিটি লাইফের কথা মনে পড়ে গেল,মনে পড়ে গেল,টি এস সি,কলাভবন,হাকিমচত্ত্বর, কার্জনহল আরও কত জায়গা?কত স্মৃতি? ভালো থাকবেন।শুভকামনা।
সাদিয়া শারমীন
আমার লেখা পড়ে যে আপনি স্মৃতিকাতর হলেন এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোবাসা তৈরি হয় অবচেতন মনে। সঠিক সময়ে তার প্রকাশ ঘটে। রোমান্টিক গল্পটা অনেক ভালো লাগলো। এমন গল্প আরও চাই 🙂
ভালো থাকুন, শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹
সাদিয়া শারমীন
অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনাদের উৎসাহে অনুপ্রাণিত হই।
আরজু মুক্তা
গল্প ভালো লেগেছে।
শুভকামনা
সাদিয়া শারমীন
ধন্যবাদ আপু ।ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার গল্প তবে আকর্ষণ নেই———————–
সাদিয়া শারমীন
গল্পটি ভালো লেগেছে এই জন্য অশেষ ধন্যবাদ চেষ্টা করব আগামীতে ভালো কিছু দেয়ার।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার গল্প তবে শেষটা গৎবাঁধা হয়ে গেল। জোর করে মিলানো হলো কপোত কপোতীকে। কখন কাকে ভালো লাগে কেউ তা জানে না এটাই স্বাভাবিক। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
সাদিয়া শারমীন
আপনার মন্তব্য সবসময় অনুপ্রাণিত হই। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই একজন লেখক এর লেখা কে এগিয়ে নিয়ে যায়। আশা রাখি আগামী তে ভালো কিছু লিখতে পারবো।
শামীম চৌধুরী
লিখেছেন ভাল। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আরো ভাল লাগতো।
তৌহিদ
আপনি এত সুন্দর গল্প লিখতে পারেন এ লেখাটি না পড়লে জানাই হতোনা! ভালোবাসা অমলিন। এর মৃত্যু হয়না, প্রত্যেকের মনের কোনে বাসা বেঁধে থাকে।
লিখুন লিখুন, আরো গল্প পড়তে চাই আপু।
উর্বশী
রোমান্টিক গল্প। ভালই। লেখা চালিয়ে যান লিখতে লিখতেই এক সময় লেখার মোড় ঘুরে যাবে, আরও মোহ্ নীয় হবে। ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।