একটা একান্ত ব্যক্তিগত মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে আমি ক্রমশ ঘুমিয়ে পড়ছি। এটা ঠিক আত্বহত্যা না। আমি আমার শরীরকে খুন করতে চাই। আমার আত্বাকে না। এই পথটা ঠিক ঠাউরে পাইনা। আমি তাই ব্যতিক্রমী কোন গল্প শুরু করি সিজোফ্রেনিয়াতে ভোগা কোন মাতাল মেঘের সাথে। সে আমাকে গতরাতে শুনিয়েছে বুনো কোন নক্ষত্রের প্রেমে পড়ে যাবার গল্প। আকাশগঙ্গার কোন প্রাচীন মানচিত্রে তাদের সংসারের গল্প। আমি তাকে কি শোনাবো?
আমার তো কিছুই নেই। না আমাকে দেওয়ার। না তোমাকে। আমার শুধুমাত্র কয়েকটা নার্সিসাসে ভোগা আমি আছে। আমার একটা ছাদ আছে। একটা একলা চিলেকোঠা। দূর কোন মফস্বলে যখন দুর্বিনীত কার্পাস ফেটে যায়, একটা ঝাউয়ের পাতা অন্য কোন পাতায় আছড়ে পড়ে তখনো আমি আমার ছাঁদে জেগে থাকি বিশুদ্ধতম আবেগ, শাদা সিগ্রেটের প্যাকেট আর এক ফ্লাক্স কফি নিয়ে। বরাবরের মত। এই গল্পটা ভীষণ একঘেয়ে!
৮টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্পটা মোটেও একঘেঁয়ে নয়। রাশিয়ান গল্পের মতো ঠান্ডা, কিছুটা অন্ধকার এবং ময়াল সাপের মতো ধীর।
তাই ভালো লেগেছে।
তেলাপোকা রোমেন
রাশিয়ান গল্পের মতো ঠান্ডা, কিছুটা অন্ধকার এবং ময়াল সাপের মতো ধীর।
দারুন লেগেছে এই মন্তব্যটা। এত দারুণ ভাবনা নিয়ে কীভাবে মন্তব্য করেন? রাশিয়ান গল্প আমি পড়িনি। এমন কয়েকটা গল্পের নাম জানাবেন ? মৃত্যর নত জমাট স্রোতের গল্প?
নীলাঞ্জনা নীলা
রাশিয়ান গল্প পড়ার তো কথা আপনার!
ওয়ার এন্ড পিস
আন্না কারেনিনা
ডক্টর জিভাগো(আমি সিনেমা দেখেছিলাম)
মাদার
এই কয়েকটির নামই মনে এলো। আসলে অনার্স থার্ড ইয়ারে বিশ্বসাহিত্য ছিলো আমাদের। তখন পরীক্ষার জন্য পড়েছি। তবে সিলেবাসের বাইরে গিয়েও পড়েছি। ভালো লাগতো বিভিন্ন দেশের গল্প পড়তে।
নীহারিকা
নিজের একটা ছাদ আর চিলেকোঠা থাকলে আর কি লাগে?
আমারতো মনে হয় এই যথেষ্ট।
তেলাপোকা রোমেন
হ্যা। আমার আছে। আমার ছাঁদে আপনার নিমন্ত্রণ রইল।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সিজোফ্রেনিয়া রোগটিকে অনেক ভয় করি।
তেলাপোকা রোমেন
আমি বোধহয় এটাতেই ভুগছি দাদা 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। এটা মনোবলের ব্যাপার। রুগি যদি ইচ্ছে করে সে নিজে নিজেই ভালো হতে পারবে। যদি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে না গিয়ে ঘঠিত ঘটনাকে মামুলি মনে করে তাহলে চাপ অনেক কমে যায়। সমস্যা হচ্ছে বেশীর ভাগ রুগি বুদ হয়ে থাকতে চায়। এসময় খুবিই বিচক্ষণ ও ধর্যশীল সঙ্গী দরকার।
এখানে মনের উপর আরেকটা মন চেপে বসে। পরগাছা টাইপ ঐ মনটি আসল মনকে গ্রাস করে। বের হয়ে আসা ক্রিটিক্যাল বটে তবে অসম্ভব নয়।
সৃস্টিকর্তা চাইলে কিছুই অসম্ভব নয়। আপনার জন্য দোয়া করি।
মনে রাখবেন আপনার জীবনের জন্য আপনি যেটাকে চুড়ান্ত মনে করেছেন সেটাকে হয়তো সৃস্টিকর্তা চুড়ান্ত মনে করেননি। কারণ কোনটিতে আপনার কল্যাণ নিহিত আছে তা আপনার চাইতে আপনার সৃস্টিকর্তা ভালো জানেন। তিনি যা করেন তা বান্দার কল্যানের জন্যই করেন। এটাকে যারা মানতে চায না তারা বোকা।
হয়তো বেশী বলে ফেলেছি। কিছু মনে করবেন না।
(3 (3 (3