অভিনন্দন! পরিবর্তনের এই উত্থানকে!!
ভারতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিকে হারিয়ে প্রথম মেয়র হলের তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি মাধু বাই কিন্নর।
গতবছরই ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ‘হিজরা’দের তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নির্বাচনে তিনি রীতিমতো প্রতিদ্বন্ধিতা করেই এসেছেন, মানুষের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন।
বাঙলাদেশ সরকার ১১ নভেম্বর ২০১৩ তে হিজরা’দের তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা এখনো তাঁদের অবহেলার দৃষ্টিতেই দেখি। আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায়, হিজরা’দের নিয়ে মানুষজনের মধ্যে কেমন যেনো একটা উসখুস ভাব কাজ করে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাঁদের সাথে একটু সদব্যবহার করে দেখুন, তাঁরাও স্বাভাবিক আচরণই করবে। বরং বলা যায়, আমরা তাঁদের সাথে অস্বাভাবিক আচরন করি বলেই তাঁরা এমন হয়ে গেছে। জীবিকার প্রয়োজনে তাঁরা উপায়ন্তর না পেয়ে অস্বাভাবিক আচরন করে বসে, সময়ে সময়ে ব্ল্যাকমেইলও করে।
ঢাকায় থাকার সুবাদে আমাকে প্রায়ই ট্রেনে করে বাড়ি যেতে হয়। যাতায়াতকালে মাঝেমধ্যেই হিজরা’দের গ্রুপের সাথে আমার দেখা হয়। দেখতে পাই মানুষজন কি বিরুপ আচরণটাই না করে তাঁদের দেখলে। মানুষের আচরণে মনে হয় যেনো হিজরারা ভিনগ্রহের কোন প্রাণী। তাঁদের নিয়ে রীতিমতো হাসি-ঠাট্টা চলে আর তখনই তাঁরা আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে, বেপরোয়া ভুমিকা রাখে, এটা তাঁদের কৌশল। পেটের দাযে এমন হীন কৌশল তাঁরা অবলম্বন করে অথচ আমি কম করে হলেও ১০/১২ বার তাঁদের মুখোমুখি হয়েছি, আমি দেখেছি চাহিদামতো তাঁদের টাকা দিয়ে দিলে, তাঁরা কোনপ্রকার বিরক্তই করে না, আবার চাহিদাও যে খুব বেশি থাকে; তা নয়। আরে! ওরাও তো মানুষ!! ওদেরও তো আমাদের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে ইচ্ছে হয়, ওদেরও জীবিকার সন্ধান করতে হয়। আমরা যদি সামাজিকভাবে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করে রাখি, আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি, তাহলে পেটের দায়ে তো তাঁদের বিকল্প পথের সন্ধান করতেই হয়।
কাজেই হিজরা’দের আমরা আলাদা করে না ভেবে আমাদের মতোই মানুষ ভাবি!
মানুষ হিসাবেই তাঁরা বেঁচে থাক এ ধরনীতে।
সুত্রঃ মাধু বাই কিন্নর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
৪৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সহমর্মিতাই ওদের বাঁচার একমাত্র উপায়। অরাও আমাদের সমাজের ই একজন।
আমাদের ই আত্মীয়। যা আমরা ভুলে থাকি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক তাই। সহমর্মিতা তো বটেই।
তাও যদি না করতে পারি, অন্তত স্বাভাবিক আচরণটুকু করি কিন্তু বেশিরভাগই দেখা যায় স্বাভাবিক মানুষ হওয়ার পরও আমরা তাঁদের সাথে অস্বাভাবিক আচরণটাই করি।
মেহেরী তাজ
আমাদের দেশে এদেরকে নিয়ে ভীতিকর অবস্থায় থাকি আমরা।এদেরকে নিয়ে আসলে সমাজের কোন দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয়না।ভারত যে আমাদের থেকে কত অগ্রসর একটি দেশ,কিন্নরের মেয়র নির্বাচিত হওয়া এর প্রমাণ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মনস্তাত্বিকভাবে আমাদের অবস্থান? হিজরা’রা শারিরীকভাবে বিকলাঙ্গ কিন্তু তাঁদের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ আমাদের মানসিক বিকলাঙ্গতারই পরিচয় বহন করে।
মরুভূমির জলদস্যু
পৃথিরী প্রায় সব দেশেই এরা অবহেলিতো তবে অনেক যায়গায়ই এরা বেশ ভাল আছে। তবে ভালো থাকতে হলে নিজেকেই আগে ভাল থাকার চেষ্টা করতে হয়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনুধাবন করে দেখুন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসাবে আপনার কোন দুর্বলতা নেই, হীনমন্যতাও নেই। অথচ জন্মগত ত্রুটির জন্য তাঁরা দায়ী নয় জেনেও সামাজিকভাবে আমরা তাঁদের বাকা দৃষ্টিতে দেখি। কি করে তাঁরা স্বাভাবিক থাকে? ভালো থাকে?
হৃদয়ের স্পন্দন
সচেতনতা মূলক পোষ্ট লিখেন নি শুধু মনে করিয়ে দিয়েছেন তাদের মুখ থেকে শোনা গল্প আমার। লিখবো সময় করে
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমি সেই গল্প শুনতে চাই।
তাদের মুখ থেকে কোন গল্পগাঁথা আমি শুনিনি কিন্তু হৃদযঙ্গম করি তাঁদের করুন যন্ত্রনাকে।
অপেক্ষায় থাকলাম শুনার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
খুব ভালো একটি লেখা। মনমানসিকতায় আমরা কএক কোটি গুণ পিছিয়ে আছি। দিনরাত ধর্ম নিয়ে হানাহানি করছি, আর বিধাতার একটি সৃস্টি কে মেনে নিতে আমাদের এতো আপত্তি। তাদের সংগঠন আরো জোরদার হবে, একদিন পরিবর্তন হবে তাদের অবস্থানের, এটা বিশ্বাস করি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জাতিগতভাবে আমরা ধর্মতন্ত্রে বিশ্বাসী কিন্তু ধর্মের অনুশাসন মানতে রাজী নই। ধর্মকে হৃদয়ে লালন করার থেকে প্রকাশেই যেনো সওয়াব বেশি। ভালো থাকুক সবাই।
স্বপ্ন নীলা
খুবই সময় উপযোগী একটি লেখা–। আমরা তাদেরকে অবহেলার চোখে দেখি যা কখনো করা ঠিক নয়।
আসা করি সময়ে স্রোতে একদিন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে — আমরা সেই সময়ের অপেক্ষায় রইলাম—তবে সমাজের বিত্তবান ও সমাজসেবকদের এগিয়ে আসা উচিত
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কোন বিত্তবান ও সমাজসেবকদের এগিয়ে আসতে হবেনা। শুধু মনস্তাত্বিক পরিবর্তন দরকার, সামাজিক সচেতনতা দরকার।
ব্লগার সজীব
এমন পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই আপু।আমরা ভুলে যাই যে এরা আমাদের পরিবার থেকেই এসেছে।এদের প্রতি সদয় থাকিনা আমরা। ” অভিনন্দন! পরিবর্তনের এই উত্থানকে!! ” (y) -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পরিবর্তনের এই উত্থান ঘটুক আমার সমাজেও, আমার দেশেও।
শিশির কনা
অত্যন্ত সময়যোগী লেখা।এমন চিন্তা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু। তারাও তো মানুষ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ শিশির কনা। ভালো থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এমন পোষ্ট দেয়ার জন্য।
থাইল্যান্ডে গিয়ে এদের সম্পর্কে আমার ধারনা পালটে গিয়েছে,
ওখানে বেশ সম্মানের সাথে আছে এরা।
ব্যাংক,মানি একচেঞ্জ, সেলস, টুরিস্ট গাইড,বিনোদন এ এরা এমন ভাবে প্রতিষ্ঠিত যে চিন্তাই করা যায় না।
ভেবেছিলাম এসব নিয়ে লিখবো কিছু, সময় করে উঠতে পারিনি।
ভারতের জনগন প্রমাণ করেছেন তারা কতটা মানবিক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমার মনে হয়, ওদের প্রতি আমরা যে আচরণ প্রকাশ করি, তাতে আমাদের দৈনতাই প্রকাশ পায়। প্রকৃতি ওদের অসম্পূর্ণ করে রেখেছে। অসম্পূর্ণ তাঁদের সাথে আমাদের এমন আচরণ, প্রতিক্রিয়া হিসাবে তাঁরা আমাদের সম্পূর্ণতাকেই বরং উপহাস করে।
প্রকৃত শিক্ষার আলো যত বাড়বে, এসব দৈনতা তত কমবে বলে আশা করি।
নীতেশ বড়ুয়া
তৃতীয় লিঙ্গদের নিয়ে আমার কিছু ছোট্ট ছোট্ট অভিজ্ঞতা আছে। সাধারণত ওরা বিভিন্ন ফুটপাতের দোকান বা রাস্তার পাশের দোকান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে যেহেতু ওদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এখনো কোন পথ কোথাও হয়নি এই দেশে। এই অর্থ সংগ্রহের সময়ে ওরা প্রচন্ডভাবে যেই ব্যাপারটির স্বীকার হয় তা হচ্ছে যথেষ্ট ঘৃণা থাকা স্বত্বেও এরা পুরুষদের ধররষণকামী দৃষ্টির কোপানলে পড়ে। এরপরে হয় টিটকারি… আমি দেখেছি অনেক পুরুষ টাকা দেওয়ার সময়ে ওদেরকে অনাবশ্যক যৌনতা নিয়ে প্রশ্ন করে বা গায়ে হাত দেয়!। মেয়েরা দেখলে মুখ আড়াল করে হাসে আর দ্রুত সরে যায়।
আমি বেশ কয়েকবার ওদের মুখোমুখি হয়েছি। প্রতিবার টাকা চাইতে এসে বিভিন্ন জায়গায়। খেয়াল করলাম যে ওদেরকে এভাবে টাকা দেবো না বলে যতোবার এসেছে কাছে ততোবার চোখে চোখে রেখে না হেসে স্বাভাবিকভাবে ‘না’ করলেই ওরা দ্বিতীয় কোন শব্দ উচ্চারণ না করে চলে যায়। আবার এও শুনেছিলাম ওরা যারা ভালো তাদের সাথে খুবই ভালো, খারাপদের সাথে খারাপ, এমনকি কেউ যদি বলে যে ‘আমি আছি, সমস্যা নেই!’ তবে ওরা ঠিকই পাশে দাঁড়ায় সেই ব্যক্তির যাকে কথা দিয়েছিলো। এর প্রমাণও আমি পেয়েছি। যে কোন কারণে একই ব্যক্তির সামনে পড়েছি বেশ কয়বার এবং এইবার সেই ব্যক্তিকে ফেরাতে পারিনি তার কথায়। হেসেই ১০ টাকা দিয়েছিলাম। সে আমার হাসি দেখে বলেছে ‘লক্ষ্মী ভাইটা আমার’! পরের বার আবার দেখা হওয়াতে খুচরো ছিল না বলে সে ১০ টাকা নিয়ে নেয় এবং বলে- “যদি পরেরবার আসিস আর দেখা হয় তবে বলিস, আমি টাকা নেবো না”। বেশ কিছুদিন পরে আবার দেখা এবং সে টাকা চাইতে এলে বলিঃ “তুমি তো বলেছিলে নিবে না কারণ সেইবার ২০ টাকা নিয়ে বলেছিলে পরে দেখা হলে দিতে হবে না?” সেও উত্তর দিয়েছিলো হেসে-“বাহ্ বাহ্! মনে রেখেছিস তাহলে!!” বলেই চলেই যায়। অর্থাৎ ওরা জনে জনে টাকা চাইলেও কথা রাখে অন্য সাধারণ যে কারো চাইতে বেশী!
এই কিছু অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিঃ
১। তৃতীয় লিঙ্গ সহানুভূতি বা সহমর্মিতা চায় না
২। ওরা চায় সেই জায়গা যা আমি, আপনি এবং আমরা পাচ্ছি
৩। ওরা বাঁচতে চায় খেটে, কাজে আর সবার মতই।
আসুন আমরা ভুলে যাই তার লিঙ্গ কি? মনে রাখি সে আমার, আপনার এবং আমাদের মতো একজন মানুষ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
**”খেয়াল করলাম যে, ওদেরকে এভাবে টাকা দেবো না বলে যতোবার এসেছে কাছে ততোবার চোখে চোখ রেখে না হেসে স্বাভাবিকভাবে ‘না’ করলেই ওরা দ্বিতীয় কোন শব্দ উচ্চারণ না করে চলে যায়। আবার এও শুনেছিলাম ওরা যারা ভালো তাদের সাথে খুবই ভালো, খারাপদের সাথে খারাপ”…………ঠিক এমনটি আমারও পর্যবেক্ষনে এসেছে।
১। তৃতীয় লিঙ্গ সহানুভূতি বা সহমর্মিতা চায় না
২। ওরা চায় সেই জায়গা যা আমি, আপনি এবং আমরা পাচ্ছি
৩। ওরা বাঁচতে চায় খেটে, কাজে আর সবার মতই।
আসুন আমরা ভুলে যাই তার লিঙ্গ কি? মনে রাখি সে আমার, আপনার এবং আমাদের মতো একজন মানুষ।……১০০% একমত প্রকাশ করছি।
প্রকৃতি আমাদের শারিরীক সম্পূর্ণতা দিলেও, মনস্তাত্বিকভাবে আমরা নিজেদের অসম্পূর্ণতাই ফুটিয়ে তুলি।
অরণ্য
আমাদের ভাবনার পরিবর্তনও হচ্ছে দিনে দিনে।
ভাল শেয়ারিং।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ইতিবাচক পরিবর্তনই কাম্য।
ধন্যবাদ।
বনলতা সেন
মুখে বড় বড় বুলি আউরে আমারা ওদের সাহায্য করছি না,করছি হেনস্থা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হেনস্থার মধ্য দিয়েই নিজেদের দৈনতার চরম রুপ প্রকাশ করছি।
প্রজন্ম ৭১
এরাও মানুষ,এই চিন্তা ভাবনাই নেই আমাদের। এদেরকে নিয়ে আপনার এমন পোষ্ট ভালো লেগেছে আপু।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মানুষ হিসাবে মানুষকে বিবেচনা করাই কাম্য।
সঞ্জয় কুমার
সচেতনতা মূলক লেখা । । মানুষের একমাত্র আসল পরিচয় সে মানুষ । এতটুকুই যথেষ্ট । এর বেশী খুঁজতে গেলেই বিপত্তি ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক তাই।
মানুষ মানুষের জন্য।
খেয়ালী মেয়ে
ওদের দেখলে আমার মাঝে মাঝে ওপরওয়ালার উপর খুব রাগ হয়, কেনো উনি ওদেরকে এভাবে হাসির খোরাক করে বানাল 🙁
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আপনি কষ্ট পান, সেজন্য ওপরওয়ালার উপর আপনার রাগ হয়। কিন্তু যারা ঠাট্টা করে. তারা কি একবারও নিজের সম্পূর্ণতার জন্য শুকরিয়া আদায করে? যদি মনের মধ্যে নিজের সম্পূর্ণতার জন্য কৃতজ্ঞতাবোধ জাগতো তাহলে এমন করতে পারতো না।
ফাতেমা জোহরা
খুবই সচেতনতামূলক পোস্ট… হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলেও আমাদের দেশের প্রায় ৯৭% মানুষই বিরূপ মানসিকতা পোষণ করে থাকে যা তাঁদের সাধারণ জীবনযাপনের সবচাইতে বড় প্রতিবন্ধকতা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জাতিগতভাবে মনস্তাত্বিক পরিবর্তন না ঘটলে, সদিচ্ছা এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও সরকার কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না। সেজন্য সামাজিকবাবে সচেতনতা তৈরী করা প্রয়োজন।
প্রহেলিকা
অভিনন্দন পরিবর্তনের এই উত্থানকে! কোনো সহানুভুতি নয় এটি তাদের অধিকার বেচে থাকা এই ধরনীতে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা খুব জরুরী। ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্য আপনাকে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সামাজিক সচেতনতাই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
সাইদ মিলটন
এই রকম কাহিনীর একটা হিন্দি মুভি দেখলাম কিছুদিন আগে 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হুম, আমার দেশেও ’শিখন্ডী কথা’ নামে সচেতনতামুলক চলচিত্র তৈরী হয়েছে, কিন্তু কজন আমরা তা দেখছি বা খোঁজ রাখছি।
’শিখন্ডী কথা’র কাহিনী সংক্ষেপ (দুটি মেয়ের পর তৃতীয় সন্তান ছেলে হওয়াতে রমজেদ মোল্লা এবং রামেলার সংসারে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। ছেলেকে সাত রাজার ধনের সাথে তুলনা করে রমজেদ তার নাম রাখে রতন। শৈশব থেকে কৈশোরে উত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে রতনের দেহের অসংগতি প্রকট হতে শুরু করে। তার পরিবারের লোকজনসহ গ্রামের সবাই বুঝতে পারে রতন আসলে পুরুষ না, হিজড়া। স্কুলে বন্ধু ও গ্রামের লোকদের তিরস্কারে অতিষ্ঠ রতনকে ভালোবাসার কথা বলে সান্ত্বনা দিত নিতাই নামের এক লোক। হিজড়াদের ডেরা থেকে রতনকে নিতে এলে রামেলা তাদের তাড়িয়ে দেয়। রতনের বড় বোনের বিয়ের সময় বর পক্ষের লোকজন মেয়ে সাজে রতনকে দেখে বিয়ে ভেঙে দিয়ে চলে যায়। বিয়ে ভাঙার পর রমজেদ মোল্লা রতনকে মারে। মার খেয়ে রতন বুঝতে পারে, এ সমাজের কেউ তাকে আশ্রয় দেবে না। বাধ্য হয়ে রতন আশ্রয় নেয় হিজড়াদের ডেরায়। সেখানে তার নাম দেওয়া হয় রত্না। কালী মাসির তত্ত্বাবধানে হিজড়া ডেরায় আরো অনেক হিজড়ার সাথে বেড়ে উঠে রত্না।)
এভাবেই হিজড়ারা আমাদের মতো সম্পূর্ণ মানুষদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে একবুক জ্বালা নিয়ে নিজেরা সংগবদ্ধ হয়, আর আমাদের সম্পূর্ণতার প্রতি উপহাস করতে থাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ পোষ্টদাতাকে সুন্দর সময়োপযোগী একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ আপনাকেও।
নুসরাত মৌরিন
সবসময় নিপীড়িত এই মানুষগুলোকে নিয়ে এমন সুন্দর পোস্টের জন্য অভিনন্দন। 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মিথুন
ভারতের ১০০শো কোটি মানুষের মানসিকতা এক হতে পারলো, আর আমরা ১৫ কোটি মানুষের মন মানসিকতা ১৫ কোটি। ওদেরকেই আগে সংগঠিত হতে হবে, নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কোন সিদ্ধি হয়না। আমাদের মানসিকতারও একদিন পরিবর্তন আসবে। আপনার পোস্টগুলো ভাবায় আপু———
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মানসিকতার পরিবর্তন আনয়নে সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। এই যে এখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি, এখান থেকেই হয়তো অনেকের মনোজগতে পরিবর্তন আসতে পারে। এমনিভাবে চলার পথেও আমরা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরী করতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ।
নওশিন মিশু
মিশনারী স্কুল দিয়ে আমার লেখা-পড়া শুরু। সেখানে ক্লাস ফোর পর্যন্ত ৩য় লিঙ্গের ১জন ক্লাসমেট ছিল আমার, ওর নাম ছিল সুমন। আমরা কেউ খুব বেশি ওর সাথে খেলতাম না, কথা বলতাম না। বড় হয়ে যতবার ওর কথা মনে হয়েছে ততোবার লজ্জিত হয়েছি, মনে মনে ক্ষমা চেয়েছি। আপনার লেখা পড়ে ওকে মনে পরলো সাথে আমার শৈশব …..।
সব বঞ্চিত এই মানুষগুলোকে নিয়ে এমন সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু ….. -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
যাক, শৈশবকে মনে করিয়ে দিলাম।
নিপীড়িত, বঞ্চিতদের প্রতি দুর্বলতা আমার চিরকালের। শিশুকালে চলার পথে না বুঝে এমন অনেক ভুল আমরা হয়তো সকলেই করেছি। তখন বিবেকবুদ্ধি সেরকম জেগে উঠেনা। কিন্তু বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরাও যে ওদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে।
সঞ্জয় কুমার
এমন সচেতনতা মূলক লেখা আরও চাই । সুন্দর হয়েছে ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ। মানুষ হিসাবেই সমাজে তাঁদের মূল্যায়ন হোক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধনাবাদ। মানুষ হিসাবেই তাঁরা পরিচিতি পাক।