যতোবার ভাবি নাহ আজ থেকে আর লিখবো না।
কি হবে লিখে শুধু শুধু শব্দ খরচ করে!
অক্ষর-কপাটে “ত যোগ উ-কার” এবং “ম যোগ ই-কার” তালা দিয়ে রাখি,
যাতে কিছুতেই “তুমি” শব্দটা ভাবনাকে বন্দী করে না রাখে।
নাহ! হয়না! কিছুতেই কিছু হয়না—
“তুমি” চলেই আসে।
আর “তুমি” মানেই দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস, না-পাওয়া, হাহাকার, হা-হুতাশ!
তাই প্রতিদিনই ভাবি এই এখন থেকেই আর লিখবো না,
তবুও লিখেই যাই—
কারণ যখনই থামিয়ে দেই লেখা, ঘাড়ের কাছে কেউ নিঃশ্বাস ফেলে
ফিসফিসিয়ে বলে, “এই মেয়ে, আমার জন্যে তুমি লেখো প্লিজ।”
ওকে এড়িয়ে যাবার মতো মনের জন্ম হয়নি আজও।
৩২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
মন ছুঁলেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া তাহলে এবারে গানটা ভাবীকে গেয়ে শোনান, “মন শুধু মন ছুঁয়েছে।” 😀
ইঞ্জা
তা কি আর বাদ আছে আপু। 😀 \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
তার মানে আপনি গান করেন! এবারে গান গেয়ে শোনান। তাহলে আর হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া বলে ডাকবো না। তা নইলে আরোও ভয়ঙ্কর নামে ডাকবো কিন্তু। 😀
ব্লগার সজীব
হুম, বুঝলাম আপনার তুমির অনেক শক্তি 🙂 উল্টা পাল্টা চিন্তা বাদ দিয়ে বেশি বেশি করে লেখুন নীলাদি। নইলে ‘তুমি’ এসে ঘাড় মটকে দিতে পারে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া উল্টাপাল্টা চিন্তা না থাকলে কি আর লিখতে পারতাম? আরে “তুমি”র অতো সাহস নেই। কারণ এই “তুমি”কে আমি-ই শব্দে সাজিয়েছি। 😀
আবু খায়ের আনিছ
“তুমি” মানেই দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস, না-পাওয়া, হাহাকার, হা-হুতাশ!
আবার সেই তুমির জন্যই লেখা, বেশ তো এমন হলে মন্দ হয় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া এবার থেকে শুধু আমার জন্যই লিখবো। কি কেমন হয় তাহলে? 😀
আবু খায়ের আনিছ
আবার সেই তুমি এসে কানের কাছে ফিসফিস করে বলবে যে, আমার জন্য লিখ তখন কি করবে দিদি?
নীলাঞ্জনা নীলা
কানে তুলো গুঁজে লিখবো ভাইয়া। আরে এড়ানোর অনেক পথ, আর কাছে টানার একটাই পথ। 😀
আবু খায়ের আনিছ
😀 😀 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
😀 😀 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
না না কিচ্ছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না,
ঝুল বারান্দায় ঝুলে থাকতেই হবে, মটকা মেরে!
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই ঠান্ডার সময় এসেই গেলো। ঝুলতে থাকুক ঝুল বারান্দায়। তখনই বুঝবে কতো শীতে কতো ঠান্ডা! 😀
প্রলয় সাহা
অক্ষর-কপাটে “ত যোগ উ-কার” এবং “ম যোগ ই-কার” তালা দিয়ে রাখি
লাইনটা দারুণ…
নীলাঞ্জনা নীলা
এই লাইনটার জন্যেই আসলে সবটুকু লেখা এসেছিলো। “তুমি”টা কোনো মানুষ নয়, দুটি অক্ষর, এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। 🙂
ভালো থাকুন দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
তুমি তুমিই লিখে চলে অবিরত নিশ্চুপ আনমনে……
ভাল লাগ্ল আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই তুমি শব্দটা মারাত্মক ভয়ঙ্কর, কি বলেন! 🙂
ভালো কাটুক প্রতিটি প্রহর।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু তুমির গুরুত্ব তুমিই ভাল জানে আমরা আবেগে উম্মাদ, আবেগে জ্বলন্ত বারজ কখন কাছে আশার বাহানা……………।!!!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশ বলেছেন মজিবর ভাই। (y)
লীলাবতী
তুমি মানেই না পাওয়া, একারনে আমার তুমি নেই, না পাওয়াও নেই। না পাওয়া নেই তাই এমন লেখাও নেই আমার 🙁 কত ছোট লেখা কত সুন্দর!!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি আমার আবার তুমি আছে। এক তুমি শুধু না, তিনজন তুমি! :p
এক তুমি আমার বুড়ো,
দুই তুমি আমার আনন্দ
তিন তুমি আমার নীল কবিতা
চার তুমি ছেলের বাবা তরুণ 😀
বুঝেছেন তো! আমার অবস্থা কেমন সঙ্গীন! ;(
ইকরাম মাহমুদ
“ত +উ-কার” ম+ ই-কার” লেখা ছেড়ো না প্লিজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা…। মোটেও ছাড়বো না। লেখা ছেড়ে দিলে আমার অবস্থা তো কেরোসিন হয়ে যাবে। 😀
ইকরাম মাহমুদ
তুমি শব্দটির বানান করে বলাকে লিখিত রূপে প্রকাশ অসাধারণ লেগেছে। মন্তব্যের স্বার্থে তুমি সম্বোধন করেছি। কিছু মনে করবে না জানি তবু অনুমতিটা এখনই নিয়ে রাখি।
দ+ ই-কার+দ+ই-কার,
আ+ম+ই-কার ত+উ-কার+ম+ আ-কার+ক+এ-কার ত+উ-কার +ম+ই-কার ব+ল+এ-কার ড+আ-কার+ক+ব।
নীলাঞ্জনা নীলা
দিদি আমি তোমাকে তুমি বলে ডাকব। 😀
কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্লগে আপনিটাই চলে। 🙂
অপার্থিব
কবিতাটা আবৃত্তির জন্য মনে হয় ভাল হবে। আবৃত্তি ইউটিউবের বদৌলতে শোনাবেন কি?
নীলাঞ্জনা নীলা
এই সেরেছে! আচ্ছা দেখি কিভাবে কি করা যায়! তবে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনার এই চাওয়াকে পূর্ণ করতে।
আগেও বলেছিলাম, আমি সেলফোনে ভয়েস রেকর্ডারে রেকর্ডও করেছিলাম। কিন্তু ইউটিউবে দিতে পারিনি ভিডিও বানিয়ে। কারণ কিভাবে সম্পাদনা করতে হয় আমার জানা নেই। তবু আবারও চেষ্টা করবো, “একবার না পারিলে দেখো শতবার” প্রয়োগ করে। 😀
আবু জাঈদ
‘তুমি’ একজন কবি’র সস্তা আবেগ। কিন্তু সমস্যা হল এই আবেগ যতই সস্তা হোক কোন কবিই তাকে ছাড়তে পারেন না।
থীমটা ভাল লেগেছে কবিতা ভাল লাগেনি :p
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মনের কথা বলার জন্য।
চেষ্টা থাকবে থিমসহ আস্ত লেখা ভালো করে লেখার। 😀
মৌনতা রিতু
তুমি তে তুমি। এই তুমি যখন বলে ওঠে,” না গো সব ঠিকই আছে, সেই আগের মতো” । কবিতার খাতায় আমার শব্দ নাচে।
আমার এক তুমি আছে। সে তুমি কখনো আমার উচ্ছল শব্দ কখনো বেদনার কালো রং। শব্দ তখন কালি ছড়ায় ঠিকই হেসে ওঠে না।
মিশরকন্যা নীলনদ সুন্দরী, প্রতিবারের মতোই ওয়াও হইছে।
ইশশশ, ঘোড়ারডিম! কেন যে এমন লিখতে পারি না আমি!
অনেক ভালবাসা নিও। অসুস্থতার জন্য তোমাকে দেওয়া ওয়াদা রাখতে পারিনি আপু। স্যরি।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্ত-সুন্দরী এভাবে মন্তব্য করলে তো সমস্যা! চরিত্রহীনা হয়ে যাবো। :p
এই কি ওয়াদা গো? ;?
এই দেখো আমি নিজেই ভুলে গেছে। ^:^
আর শোনো নিজের খেয়াল নেবে। আর যেনো না শুনি তোমার অসুস্থতার খবর বলে রাখলাম। :@
রাগ হয়েছিলো, এখন আবার চলে গেছে। -{@ (3