তিনি – সোনালী সেই মুখ

জিসান শা ইকরাম ২২ এপ্রিল ২০১৩, সোমবার, ০৮:৩৯:০৯পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৩ মন্তব্য


এবারের বাংলাদেশ গেমসের কাঠবিড়ালীটাকে দেখে সেই ছোট বেলার কাঠবিড়ালীটাকে মনে পরে গেল। কাজী নজরুল ইসলাম এর ছড়াটা দিনে কত বার মনে মনে বা জোড়ে আবৃত্তি করেছি তার হিসেব নেই। মনে হত এটি আমারই কাঠবিড়ালী । ছোট বেলায় কান্নাকাটিতে আব্বা বাধ্য হয়েছিলেন একটি কাঠবিড়ালী এনে দিতে। ছোট ছোট দাত দিয়ে কুটুস কুটুস করে খাবার খাওয়া এবং ওর চঞ্চলতা এত ভালো লাগতো ! সেই ভালো লাগাটা এখনো জীবন্ত হয়ে আছে মনের মাঝে। একটি সোনালী কাঠবিড়ালী বাস করে আমার মাঝে । যাকে আমি মরতে দেইনি। থাকবে আমৃত্যু ।

কাঠবিড়ালী! কাঠবিড়ালী! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!

বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!

কাঠবিড়ালী! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!

হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি-কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!

কাঠবিড়ালী! তুমি আমার ছোড়দি’ হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!

এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ’মা দেখে যাও!-
কাঠবিড়ালী! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

* ভেসে আসে কিছু সোনালী মুখ। উজ্জল নক্ষত্র।
তিনি – সোনালী সেই মুখ। লিখে ফেলবো পরিচিত কিছু মানুষের কথা।

৬০৭জন ৬০৭জন
0 Shares

১৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ