আমাদের দেশে একটি কন্যাশিশু বেড়ে উঠে বাবা-মা’র আদর আর ভালোবাসায়। বিয়ের আগ পর্যন্ত কন্যাদের সকল কাজ নানান অজুহাতে মায়েরাই সম্পন্ন করে থাকেন। কখনো পড়াশুনার ক্ষতি হবে এমন ভাবনা করেন মায়েরা। কখনোবা ভাবেন, স্বামীর বাড়ি গেলে তো অবধারিত ভাবে সংসারের কাজ করতেই হবে, নিস্তার নেই। অতএব যে কয়দিন বাবা-মা’র সাথে আছে, থাকুক আরাম আয়েশে। এভাবেই আমাদের বাঙালি মমতাময়ী মায়েরা তাদের কন্যাদের আগলে রাখেন গভীর মমতায়। আমার এখনো মনে আছে, কখনো কখনো দাদু বাড়ি থেকে মুরুব্বীস্থানীয় কেউ আমাদের শহরের বাড়িতে বেড়াতে এলে মাকে বলতো, ‘ বউ, তোমার মেয়েদের সংসারের কাম না শিখাইলে পরের বাড়ি গিয়া তো তোমার নাম ডুবাইব। সবাই তোমারেই দোষারুপ করবো, এত্তো বড় মাইয়া, অথচ সংসারের কোন কাম কাজ শিখায় নাই মা। ক্যামন মা ! ‘ তবুও মায়ের যেন টনক নড়তো না! আমাদের কোন কাজের আদেশ দিতেন না। বলতেন, যখন নিজের উপর যে কাজ এসে পড়বে, ওরা আপনা থেকেই শিখে নিবে। তবে, যেহেতু আম্মা কর্মজীবী ছিলেন, একহাতে সংসারের সব কাজ সামলাতে হিমসিম খেতেন তাই আমরা দুই বোন অবসরে নিজ আগ্রহেই ঘরদোর গুছিয়ে রাখতাম। মা অফিস থেকে ফিরে এমন পরিপাটি ঘর দেখে খুশি হয়ে যেতেন। মায়ের ক্লান্ত চোখে মুখে প্রশান্তি খেলে যেতো, আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠত। মায়ের এই আনন্দিত মুখখানা দেখার জন্যেই আমরা সংসারের ছোট ছোট কাজ এগিয়ে রাখতাম।
এক গ্রীষ্মে সপরিবারে ক্যানাডা বেড়াতে গিয়েছিলাম ভাগ্নির বাসায়। বেশ বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম, দেশে থাকতে যে মেয়েটি ভার্সিটি, পড়াশুনা নিয়ে পড়ে থাকতো রাত দিন, বেলা করে ঘুম থেকে উঠত, আয়েশ করে আধবোজা চোখে নাস্তার টেবিলে বসে মায়ের বানানো সকালের চা পান করতো, সেই মেয়েটিই দিনের আলো ফোটার আগেই ঘুম ভেঙ্গে সকলের জন্যে চা, নাস্তা তৈরি করে! বাচ্চাদের খাইয়ে ডে কেয়ারে দিয়ে অফিসের দিকে ছুটে। অফিস শেষে আবার ডে কেয়ার থেকে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ফিরেই রান্নাঘরে ব্যস্ত হয়ে উঠে। সংসারের দেখভাল, অতিথি আপ্যায়ন সবকিছুই দ্রুত গতিতে করে চলছে বিরামহীন ! ক্লান্তিহীন ! কোথায় পেলো এই শিক্ষা ? কোথায়ই বা পেলো এতো শক্তি ? কিছু শিক্ষা পরিবার থেকেই আসে। তাকে হয়তো হাতে ধরে ঘর গেরস্থালীর কাজ শিখানো হয়নি। কিন্তু মানসিকভাবে সকল পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলতে পারার শিক্ষাটা কিন্তু পরিবারই শিখিয়েছে। পিতৃগৃহে প্রতিটি কন্যাই বাবা-মায়ের আদর আহ্লাদে বেড়ে উঠে। আর সেই কন্যাটি যখন বিদেশ বিভূঁইয়ের যান্ত্রিক জীবনে প্রবেশ করে, তখন আপনা থেকেই সে হয়ে উঠে যুদ্ধক্ষেত্রের অসীম সাহসী নিবেদিতপ্রাণ সৈনিকের মতো।
প্রতিবার দেশে গেলে নতুন কিছু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। যখন স্বজনদের যে বাসাতেই বেড়াতে যাই না কেন নিজের প্লেট, গ্লাস নিজেই পরিস্কার করতে রান্নাঘরে যাই। অমনি হৈ চৈ পড়ে যায়। ওদের নিয়মটা ভিন্ন। খাবার শেষে ব্যবহৃত প্লেট, কাপ, গ্লাস জমিয়ে রাখা হয়। সব পরিবারেই একাধিক সাহায্যকারী থাকে। এসব তাদেরই কাজ। একইভাবে গোসলে গেলেও আমি নিজের ব্যবহৃত কাপড় নিজেই ধুয়ে বেলকনিতে মেলে দেই। স্বজনরা চেঁচিয়ে উঠে। হায় হায়, রেখে আসলা না কেন, বুয়া আছে না ? প্রতিউত্তরে বলি, ‘ আমি এতেই অভ্যস্ত, খামোখা ক’দিনের জন্যে আর অভ্যাস বদলাতে চাই না। বিদেশে ফিরে গেলে তো সাহায্যকারী ছাড়া বিপদে পড়ে যাবো, তখন কী হবে ? ‘ আমার ধারণা যারা দেশের বাইরে বসবাস করেন, তারা সকলেই এমন নিজের কাজ নিজে করে অভ্যস্ত। যখন যেখানে যে পরিস্থিতি, সেখানে সেভাবে মানিয়ে নেন।
আমি যখন ম্যানহাঁটনে একটি স্টোরে কর্মরত ছিলাম, সেই সময়ে প্রতি রবিবার কোন ওভারটাইম করতে চাইতাম না। সূর্য ডোবার আগেই ঘরে ফিরতে চাইতাম। কৃষ্ণাঙ্গ সহকর্মী মনিকা জানতে চাইতো কেন এতো তাড়া প্রতি রবিবারে ? বলতাম, বাড়ি ফিরে লন্ড্রি করতে হবে, রান্না করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্যেও সপ্তাহের এই দিনটি ধার্য করেছি। সে খুব বিস্ময়ের সাথে বলে উঠত, ‘ তুমি একাই কেন সব কাজ সামলাচ্ছ ? তোমার স্বামীকে অর্ধেক কাজ ভাগ করে দাও, নিজের উপর চাপ কমাও। ‘ কিন্তু আমরা নারীরা সম্ভবত প্রবল মমতা আর বুকভরা ভালোবাসা নিয়ে জন্মাই। আমরা নিজেরাই সংসারের সমস্ত কাজ নিজের কাঁধে তুলে নেই সেচ্ছায়, হাসিমুখে। স্বামী কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের আরাম আয়েশে রাখতে ভালো বোধ করি। আর এতেই যেন নারীরা খুঁজে পায় নিজের সুখ ! এভাবেই সংসারে পুরুষরা নারীর প্রতি পুরপুরি নির্ভরশীল হয়ে উঠে।
আবার একজন পুরুষ যখন তার কর্মঘণ্টা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন, স্ত্রী, কন্যা কিংবা মা ছুটে এসে তৃষ্ণা মেটাবার জন্যে তাকে জল এগিয়ে দেয়। পাশে বসে খাবার পাতে তুলে দেয়, পরনের কাপড় এগিয়ে দেয়। কিন্তু একইসাথে একজন নারী যখন কর্মস্থল থেকে ফিরে তৃষ্ণার্ত থাকে, তার জন্যে কেউ অপেক্ষায় থাকে না জল এগিয়ে দেবার, খাবার বেড়ে দেবার। তাকে তৃষ্ণা মেটাতে নিজেকেই জল ঢেলে পান করেতে হয়। অতঃপর কোমর বেঁধে রান্নাঘরের কাজে নেমে পড়তে হয়। একজন পুরুষ লেখকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, লেখালেখিতে স্ত্রীর সহযোগিতা কতোটুকু পাচ্ছেন। তার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘ আমার স্ত্রী লেখালেখির সময়টায় আমায় নিরিবিলিতে লিখতে দিতে সংসারের সকল সমস্যা নিজেই দেখভাল করে থাকে। ‘ একজন পুরুষ লেখক কর্মস্থল থেকে ফিরে আয়েশ করে ধোঁয়া উঠা গরম কফিতে চুমুক দিতে দিতে লেখায় মনোযোগী হয়। কখনো জানালায় কিংবা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে অমাবস্যা, পূর্ণিমা দেখে। উদাস মনে লিখে ফেলে হৃদয় গহিন থেকে উঠে আসা কালজয়ী কোন গল্পকথা কিংবা কবিতা। অথবা ভার্সিটি জীবনের পুরনো প্রেমের স্মৃতি রোমন্থন করে লিখে ফেলেন, বিরহী বিষণ্ণ কিছু লাইন। দিনশেষে কেউ কেউ স্ত্রীকে সেইসব পড়ে শোনায়, মতামত নেয়। প্রয়োজনে পরিবর্তন, পরিমার্জন করেন। ব্যাবচ্ছেদ করেন। কিন্তু একজন নারী লেখক ?
নিজেই যেহেতু টুকটাক লেখালেখির সাথে জড়িত তাই নিজের কথাই বলি না হয়!
খুব ভোরে পরিবারের সকলের ঘুম ভাঙ্গার আগে অর্থাৎ চারপাশে ভোরের আলো ফোটার আগেই উঠে যেতে হয়। বড় পুত্রকে খাইয়ে সাবওয়েতে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরেই আবার ছোটজনকে সকালের খাবার খাইয়ে স্কুলে পৌঁছে দেই। তাদের বাবার কোনদিন ব্যাংকে, কোনদিন সেলুনে, কোনদিন অটো পার্টস এর দোকানে যেতে হয়। ড্রাইভার হিসেবে দায়িত্বটা আমার কাঁধেই পড়ে। কেননা সবখানেই নাকি পার্কিং এর সমস্যা! আমি গেলে কাজটা সহজ হয়। সময় কম লাগে। বাড়ি ফিরে রান্নার আয়োজনে শাশুড়িকে সহযোগিতা করতেই দুপুর। এবার একে একে ছেলেদের স্কুলশেষে বাড়ি আনবার পালা। সন্ধ্যাকালীন খাবার শেষে বাপজানেরা তাদের পড়াশুনায় ব্যস্ত হলে ভাবি, এই তো সুযোগ লেখার! খাতা কলম নিয়ে বেশ আয়েশ করেই বসি। এক লাইন লিখতেই কর্তা বলে উঠেন, ‘ চা নাস্তা কিছু দিবা না ? ‘ উঠে গিয়ে ঝটপট বানিয়ে নিয়ে এসে আবারো লিখতে বসি। দুই লাইন লিখতেই বড় বাপজান সামনে এসে দাঁড়ায়। ‘ আম্মু, আমার সুইমিং এর জিনিষপত্র সব ব্যাগে দিসো ? ‘ মনে পড়ে, হায়! এখনো তো ব্যাগটি গুছিয়ে রাখা হয়নি! দ্রুতই সেটি গুছিয়ে রেখে আবারো এসে লাইনখানেক লিখি। এইবার বাথরুম থেকে দরজা সামান্য ফাঁক করে উঁকি দিয়ে কর্তা হাঁক দেন, ‘ আমার একজোড়া নতুন মৌজা আর একটা গেঞ্জি হাতের কাছে রাখিয়ো তো ‘। ক্ষণিক বাদে শাশুড়ি এসে বলে, ‘ এ মাসের ওষুধের রিফিল উঠানোর সময় হইসে নি ?’ দৌড়ে নিচে গিয়ে গতমাসের ওষুধের লেবেলে তারিখ দেখি। বলি, না আম্মা। সামনের সপ্তাহে ওষুধ উঠানোর সময় হবে। রাতের খাবার শেষে ছেলেদের ঘুমাতে পাঠিয়ে ভাবি, এই তো মোক্ষম সময়! রাতের নিস্তব্দতায় নির্জনে যে কোন লেখা হৃদয় গহিন থেকে উঠে আসবে। কম্পিউটার অন করি। টাইপ করি, গল্পের শিরোনাম, ‘ আকাশে মেঘের ঠোঁট ‘…। অমনি পাশের বিছানা থেকে ছোট বাপজানের আকুতি, ‘ আম্মু, তুমি আমার পাশে শুবে না ? I want to stay with you. I love to talk with you… ‘ এমন দরদী ডাক উপেক্ষা করার সাধ্য পৃথিবীর কোন মায়ের আছে কিনা জানা নেই। কীবোর্ড পড়ে থাকে তার জায়গায়। এক মুহূর্ত দেরি না করে তার পাশে গিয়ে শুয়ে থাকি। মাথায় হাত বুলাই গভীর মমতায়। সে দু’হাত ক্রস করে নিজের বুকের উপর দেখিয়ে বলে, ‘ ইউ আর দ্যা বেস্ট মম ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড, আই লাভ ইউ, আম্মু ‘। যেন সে বুঝতে পারে ভালোবাসা বুকের ভেতরে থাকে! অতঃপর তার শ্রেণি শিক্ষক মিস ইব্রাহীমের গল্প বলে, সহপাঠী ড্যানিয়েলের গল্প বলে। প্রতিটি লাইন বলা শুরু করে এইভাবে, ‘ ইউ নো হোয়াট, আম্মু … ? ‘ সেইসব শুনে আমি কখনো বিস্ময় প্রকাশ করি। কখনো বা হাহা হোহো করে হেসে উঠি। এই যে ছোট ছোট আবেগ, বিশুদ্ধ অনুভূতি, তা কী আমি মিলিয়ন ডলার দিয়েও কিনতে পাবো ? এইসব সচেতন অনুভূতির কোন অজুহাত কিংবা ব্যাখ্যা আমি দাঁড় করাতে পারি না। সে ঘুমিয়ে গেলে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত আমিও হাই তুলতে তুলতে ভাবি, কাল না হয় লেখা যাবে।
তবুও জীবন সুন্দর। ফুলের মিষ্টি সুবাস কিংবা সূর্যের মিষ্টি রোদের মতোই সুন্দর। শীতের কুয়াশা, ফাগুনের পলাশের মতোই সুন্দর। শরতের কাশফুল কিংবা আষাঢ়ের কদমের মতোই সুন্দর। কারো কন্যা, কারো পুত্রবধু, কারো স্ত্রী, কারো মা, সব পরিচয়েই একজন নারী হিসেবে নিজেকে বিশেষ (স্পেশাল) ভাবতে ভালো বোধ করি। সবাইকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
রিমি রুম্মান
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
১৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
” একজন পুরুষ যখন তার কর্মঘণ্টা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন, স্ত্রী, কন্যা কিংবা মা ছুটে এসে তৃষ্ণা মেটাবার জন্যে তাকে জল এগিয়ে দেয়। পাশে বসে খাবার পাতে তুলে দেয়, পরনের কাপড় এগিয়ে দেয়। কিন্তু একইসাথে একজন নারী যখন কর্মস্থল থেকে ফিরে তৃষ্ণার্ত থাকে, তার জন্যে কেউ অপেক্ষায় থাকে না জল এগিয়ে দেবার, খাবার বেড়ে দেবার। তাকে তৃষ্ণা মেটাতে নিজেকেই জল ঢেলে পান করেতে হয়। ”
— চোখ আঁটকে গেলো এখানে। আমরা নারীদেরকে এমন ভাবেই দেখি, ভাবি।
নারীর কাজের পরিধি পরিমাপ করা সম্ভব নয়, একজন নারী সকাল থেকে রাতে ঘুম অবধি যে কাজ করেন, তা লিখে রাখলে বুঝা যায় তিনি কত কাজ করেন।
আমাদের পারিবারিক সামাজিক চিন্তা চেতনার কারনেই নারীকে এই সমস্ত কাজের জন্য নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে। এটি কেবল আমাদের এই উপমহাদেশেই সম্ভবত। কি পুরুষ কি নারী সবাইই একই চিন্তা ভাবনার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি আমরা, এবং সেভাবেই নারীকে প্রয়োগ করছি।
নারী দিবসের শুভেচ্ছা তোমাকেও দিদি ভাই।
রিমি রুম্মান
তোমাকেও শুভেচ্ছা, দাদাভাই।
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন আগে নারী ব্লগারদের নিয়ে ডিসকাশন করছিলাম। নারী ব্লগাররা হয় অবিবাহিত অথবা ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গিয়েছে, চাপ কিছুটা কম এরকম (ব্যতিক্রম আছে)। কেন এই মিডল টাইমের সময়ের নারীরা তাদের ক্যারিয়ার, তাদের লেখালেখি তাদের নিজস্ব সত্বা নিয়ে ভাবতে পারেনা, তার কারন কিন্তু স্পষ্ট। তুমি একজন ফাইটার আপু, এত কিছুর ভেতরেও তুমি পেরেছো, সবাই পারেনি, পারেনা।
আপু আবেগ কমাতে হবে, ছেলে শিশুকে একদম ছোট থেকে ঘরের সব কাজ করবার সুযোগ দিতে হবে। ওরা শিখবে আমাদের কাছ থেকে, ওদের ফ্যামিলি লাইফেও ওরা এপ্লাই করবে তা।
“ইউ নো হোয়াট” আমার ছেলেটাও এইভাবে বকবক শুরু করে। 🙂
তোমাকে শুভেচ্ছা আপু।
রিমি রুম্মান
কিছু কাজ তো শিখাতেই হয়। বাকিটা জীবনযুদ্ধে শিখে নিবে। আর কাজের মাঝেই নিজের ভালোলাগা সময় খুঁজে নিতে চাই। শুভেচ্ছা আপু।
তৌহিদ
আমি নিজেও মাঝেমধ্যে ভাবি অফিস শেষে ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরি তখন মা কিংবা বৌ হাতের কাছের জিনিস এগিয়ে দেয়, খাবার, পানি কিংবা পড়নের কাপড়। কত ভালোলাগা এতে। অথচ নিজে থেকে খুব কমই এসব কাজ তাদের জন্য করা হয়। মেয়ে মানেই যেন সংসারের সব দ্বায়িত্ব তার। এমন মানসিকতা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।
আপনার মত সাহস নিয়ে উদ্যমী হয়ে উঠুক আমাদের সকল নারী। অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো।
রিমি রুম্মান
নারীরা আসলে পরিবারের সকলের জন্যে কাজ করে এমন করেই সুখ খুঁজে পায়।
তৌহিদ
জ্বী আপু, এটা হয়তো তাদের জীনে মিশে আছে।
ব্লগার সজীব
নারী দিবসের শুভেচ্ছা নিন আপু। নারীর মুল্যায়ন হোক তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে একজন মানুষ হিসেবে।
রিমি রুম্মান
নারী এগিয়ে যাক আপন আলোয়।
মনির হোসেন মমি
নারী দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
রিমি রুম্মান
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ছাইরাছ হেলাল
অন্য দিকে যাচ্ছি না,
এক জন লেখকের লেখার প্রতি কতটুকু প্রগাঢ় মায়া থাকলে এমন জটিল অবস্থায়-ও সে লেখা চালিয়ে যায়।
চালু থাকুক আমৃত্যু এমন করেই।
রিমি রুম্মান
ব্যস্ততা আমাদের জীবনেরই অংশ। এভাবেই ভালোলাগাগুলো খুঁজে নিতে চাই।