প্রায়শই আমাদের মুঠোফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক কমে আসে, ব্যাটারি প্রচুর পরিমাণে ড্রেইন হতে থাকে। অবস্থা এমন হয়ে দাড়ায় সময় সময় যে ব্যবহারের আগেই ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়। আর এমন বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্যে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন দারুণ এক সমাধান। এতে করে ব্যাটারির স্ট্যাবিলিটিরও উন্নতি ঘটে।
বেশ কয়েকটি পদ্ধতিকে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করা যায়।। তবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ক্যালিব্রেট করলে ক্যালিব্রেশনের সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ম্যানুয়াল ক্যালিব্রেশন পদ্ধতিঃ
আপনার ডিভাইসটি সম্পূর্ণ চার্জ শূন্য করুন। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ডিভাইসটি চলতে চলতে একদম বন্ধ না হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ননস্টপ ব্যবহার করতে থাকুন। সাধারণত এভাবে ব্যাটারি ফুরনো দারুণ কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ। চাইলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই কাজটি করার জন্যে এ্যাপের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। Google Play store-এ ব্যাটারি দ্রুত ডিসচার্জ করার অনেক ধরণের এ্যাপ পাওয়া যায়, তার যে কোন একটি ব্যবহার করে কাজটি করা সম্ভব। “Fast Discharge” এমনই একটি এ্যাপ। এ্যাপ ব্যবহার ছাড়াও ব্যাটারি দ্রুত ডিসচার্জ করতে অনলাইনে ব্রাউজ বা ইউটিউব এ ভিডিও দেখার কাজ করা যেতে পারে।
ব্যাটারি সম্পূর্ণ ডিসচার্জ হবার পর সেটটি নিজে নিজে বন্ধ হয়ে গেলে ডিভাইসটি চার্জ দিতে শুরু করুন। বন্ধ অবস্থাতেই চার্জিং এর কাজটি সম্পূর্ণ করুন।
১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার আগে ডিভাইসটি চালু করা থেকে বিরত থাকুন। ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার পরও অতিরিক্ত কিছু সময় (১০/১৫ মিনিট) ডিভাইসটি চার্জ করুন। এরপর চার্জ শেষে ডিভাইসটি চার্জার থেকে আন-প্লাগ করে চালু করুন।
ডিভাইসটি চালু হবার পর ব্যাটারি ইনডিকেটর চেক করুন।। দেখুন শুধুমাত্র চালু হবার পর ব্যাটারির চার্জ ১০০% থেকে গিয়ে ৯৯% বা ৯৮% এ নেমে এসেছে কি না। যদি শুধুমাত্র ডিভাইস চালু হতেই চার্জ কমে গিয়ে থাকে তাহলে পুনরায় ডিভাইসটি বন্ধ করে চার্জ দিতে শুরু করুন। পুনরায় ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হলে অতিরিক্ত আরও ১০/১৫ মিনিট চার্জ করুন। এরপর চার্জার ডিসকানেক্ট করে ডিভাইস চালু করুন।
এভাবে কয়েকবার করে ব্যাটারির ইনডিকেটর দেখে চার্জ করতে থাকুন, যতক্ষণ না এটি বন্ধ থেকে চালু হওয়া পর্যন্ত ১০০% চার্জ না দেখায়।
ডিভাইস বন্ধ অবস্থায় চার্জ করে চালু করার পর ১০০% চার্জ ইন্ডিকেট করলে আপনার ক্যালিব্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে, বুঝতে পারবেন।
এ্যাপের সাহায্যে ক্যালিব্রেশন পদ্ধতিঃ
প্লে-স্টোর থেকে ব্যাটারি ক্যালিব্রেট করার এ্যাপ ডাওনলোড করে ইন্সটল করুন। ক্যালিব্রেট করার জন্যে প্লে-স্টোরে অনেক এ্যাপ রয়েছে। “Battery Calibration” তেমনই একটি এ্যাপ।
এরপর ডিভাইসটি একদম চার্জ শূন্য করে পুনরায় চার্জ করুন।
১০০% চার্জ হবার পর Battery Calibration এ্যাপটি চালু করুন।
“Start Calibration” বাটনে ক্লিক করুন এবং অপেক্ষা করুন, এ্যাপ নিজে নিজেই আপনার হ্যান্ডসেটের মডেল এবং তার তথ্য যোগাড় করে ক্যালিব্রেশন শুরু করবে। ক্যালিব্রেশন শুরু করার আগে আপনার নেট কানেকশন চালু করে নিতে হবে।, নয়তো এ্যাপটি ক্যালিব্রেশন প্রসেস রান করবে না। ক্যালিব্রেশন চলার সময় বিভিন্ন এ্যাড দেখাতে পারে, এড গুলিকে স্কিপ করেই ক্যালিব্রেশন চালাতে হবে।
ক্যালিব্রেশন শেষে এ্যাপটি থেকে বের হয়ে আসুন এবং ডিভাইসটি বন্ধ করুন।
বন্ধ অবস্থায় পুনরায় চার্জার সংযুক্ত করুন, এবং ১০০% চার্জ করুন।
১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার পরও আরও কিছু সময় (১০/১৫ মিনিট) চার্জ করুন।
চার্জ সম্পূর্ণ হবার পর ডিভাইসটি চালু করুন। ডিভাইসটি ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে।
ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন শেষে পুনরায় উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ডিভাইসটি চার্জ শূন্য করে আবার চার্জ সম্পূর্ণ করুন। আশা করি এরপর আপনার ব্যাটারি ড্রেইনিং সমস্যা অনেকাংশেই কমে আসবে।
এর সাথে ব্যাকগ্রাউড এ্যাপ গুলিকে বন্ধ রাখার জন্যে “Greenify” এ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি একই সাথে ব্যাটারি ড্রেইনিং কমাতে এবং ডিভাইসের মেমরি অপটিমাইজ রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে।
এই ক্যালিব্রেশন পদ্ধতি কী সবসময়ই করতে হবে? আমার ব্যাটারি ১৫% এর নীচে গেলেই মানে রেড হলেই এরপর চার্জ নিতে প্রচুর সময় নেয়, একারনে কখনোই ১৫% নীচে যেতে দেইনা সাধারনত, যদিও আগেই পড়েছিলাম একদম চার্জ শুন্য করলে স্থায়িত্ব বাড়ে। কিন্তু কি যেন সমস্যা হচ্ছিল রেড হলে।
প্রতিবারই এরকম বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কিনা জানিয়েন।
না, ক্যালিব্রেশন সবসময়ের জন্যে প্রযোজ্য নয়, আবার প্রতিবারই ব্যাটারি চার্জ শুন্য করাও্র ভালো নয়। যখন আপনার প্রয়োজন হবে তখনই ক্যালিব্রেশন করা উচিৎ। তবে ব্যাটারির লাইফটাইমের কথা চিন্তা করলে মাস ৩ পর পর এক বার করে ক্যালিব্রেশন করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে অনেকে 🙂
আমার মোবাইলের ব্যাটারীর আসল সমস্যা এবার খুঁজে পেলাম। কাজ আরম্ভ করে দিয়েছি।
Greenify ইন্সটল করেছি, যদিও এর সেটিংটা বুঝতে পারছি না।
ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
ড্রেইনিং নানা কারণে হতে পারে, আমি শুধু তার মধ্য থেকে একটি বলার চেষ্টা করেছি। ড্রেইনিং বন্ধ করতে প্রকৃত কারণটা বের করা জরুরী। নয়তো এই পদ্ধতি খুব একটা কাজে আসবে না 🙂
৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
প্রিয়তে নিলাম -{@
অলিভার
কৃতজ্ঞতা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এই ক্যালিব্রেশন পদ্ধতি কী সবসময়ই করতে হবে? আমার ব্যাটারি ১৫% এর নীচে গেলেই মানে রেড হলেই এরপর চার্জ নিতে প্রচুর সময় নেয়, একারনে কখনোই ১৫% নীচে যেতে দেইনা সাধারনত, যদিও আগেই পড়েছিলাম একদম চার্জ শুন্য করলে স্থায়িত্ব বাড়ে। কিন্তু কি যেন সমস্যা হচ্ছিল রেড হলে।
প্রতিবারই এরকম বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কিনা জানিয়েন।
অলিভার
না, ক্যালিব্রেশন সবসময়ের জন্যে প্রযোজ্য নয়, আবার প্রতিবারই ব্যাটারি চার্জ শুন্য করাও্র ভালো নয়। যখন আপনার প্রয়োজন হবে তখনই ক্যালিব্রেশন করা উচিৎ। তবে ব্যাটারির লাইফটাইমের কথা চিন্তা করলে মাস ৩ পর পর এক বার করে ক্যালিব্রেশন করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে অনেকে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ অলিভার। এছাড়া কী ১৫% এ যাবার আগেই চার্জ দেয়া উচিৎ?
জিসান শা ইকরাম
আমার মোবাইলের ব্যাটারীর আসল সমস্যা এবার খুঁজে পেলাম। কাজ আরম্ভ করে দিয়েছি।
Greenify ইন্সটল করেছি, যদিও এর সেটিংটা বুঝতে পারছি না।
ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
অলিভার
ড্রেইনিং নানা কারণে হতে পারে, আমি শুধু তার মধ্য থেকে একটি বলার চেষ্টা করেছি। ড্রেইনিং বন্ধ করতে প্রকৃত কারণটা বের করা জরুরী। নয়তো এই পদ্ধতি খুব একটা কাজে আসবে না 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
জানলাম কিন্তু করা লাগবে দেখছি।
ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
অলিভার
কৃতজ্ঞতা 🙂