আনন্দ-উৎসবের জন্যে প্রতিটি মানুষ অপেক্ষায় থাকে। একেকটি উৎসব আমাদের জীবনে ভোরের শিশিরের মতো দ্যুতি ছড়ায়। ফুরিয়ে গেলেও রেখে যায় তার রেশ। যেমন আশ্বিন আসার আগে থেকেই পুজো পুজো গন্ধ বাতাসে। তারপর ঢাক-ঢোল বাজনার সাথে, শঙ্খ এবং উলুধ্বনি দিয়ে মা দূর্গাকে বরণ করে নেয়া হয়। এক এক করে ষষ্ঠী-সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী এবং সবশেষে দশমী। অবশেষে ছুটি শেষ। আবার পরেরদিন থেকেই একই রকম জীবন-যাত্রা। পুজোর আনন্দ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়। যে অপেক্ষা থাকে পুজোর, আর তো মাত্র কয়েকটা দিন, ওই তো মা আসছে। সেই অপেক্ষার পালা শুরু হয় নতূন করে পরের বছরের জন্য। চাকরী পাবার পর দ্বিতীয় দূর্গাপুজো আমার। গতমাসেই ছুটির এপ্লাই করেছিলাম। সেই ছুটির আনন্দ উপভোগ করলাম টরেন্টোতে। আর আজ সেই গল্পই বলতে এসেছি।
২০ অক্টোবর তারিখে সকাল সাড়ে সাতটার বাস ধরে গেলাম জ্যাকসন স্কয়ারের টিম হর্টনে আমি আর তীর্থ। ওখানে ঊর্মী আর ওর মেয়ে কাঁকন এলো। ঊর্মী আর আমি কফি-পিনাট বাটার কুকি খেলাম। তীর্থ-কাঁকন ওদের জন্য আলাদা খাবার নিলো। অবশেষে হ্যামিল্টন গো স্টেশন থেকে বাসে করে অলডারশট গো ট্রেন ষ্টেশনে, তারপর ট্রেনে টরেন্টো।সঞ্জয়দা(ঊর্মীর বর) অপেক্ষায় ছিলেন আমাদের। ওহ বলে নেই দাদা আমার বান্ধবীর বর শুধু না, আমার ভাইও। তাই ছোট বোন হিসেবে স্নেহ পাই উনার। গিয়ে পৌঁছে রেডি হলাম মন্দিরে যাবার জন্যে। শুধু অষ্টমীর অঞ্জলি নেবার জন্যেই অনেক ভোরে উঠে রওয়ানা হতে হয়েছিলো টরেন্টোর পথে। যাক অবশেষে বাংলাদেশ-কানাডা হিন্দু কালচারাল সোসাইটির পুজোতে গেলাম। ওখানে অঞ্জলী নেবার পর বেশ খাওয়া-দাওয়া হলো। আর অবশ্যই ফটোশেসন। এবারকার ছবিগুলো এতো দারুণ তুলেছে তীর্থ। সকলেই বললো ও নাকি ভালো ফটোগ্রাফার হবে। আসলে আমি তো জানি ওর ছবি তোলায় কোনো শখই নেই। তবে ও আজকাল নিজের সেলফি তোলে :p । ঘটনা কি সেটা বুঝতে পারছিনা ;?।
যাক অনেকের সাথে দেখা-গল্প-কথা। তবে আমি আবার সবার সাথে সেভাবে কথা বলতে পারিনা। যাদেরকে চিনি তাদের সাথেও ওই হাই-হ্যালো ছাড়া আর বেশীদূর চলেনা। টরেন্টোর পুজোর একটা অদ্ভূত মিল খুঁজে পাই দেশের সাথে। ঢাক-ঢোল বাজে, আরতি হয়। আর অনেক জায়গাতেই পুজো দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। জাপানে একদিন পুজো আর তাও হল ভাড়া করে। একদিনেই সব আনন্দ উপচে পড়তো আর তার রঙ ছড়াতে না ছড়াতেই শেষ। বেলজিয়ামে মন্দিরে পুজো হলেও তেমন আপন লাগেনি আমার। কেমন জানি কৃত্রিম। টরেন্টোতে কাউকেই সেভাবে চিনিনা, কিন্তু ভালো লাগে। এখানে মন্দিরটা অনেক পরিচ্ছন্ন এবং অনেক ভীড় হলেও ধাক্কাধাক্কি নেই। তাছাড়া খুবই সুশৃঙ্খলভাবে অঞ্জলী নেয় এমনকি খাবার লাইনেও একই। মন্দিরের পাশের রুমেই শাড়ী-জামা-কাপড়-জুয়েলারির মেলা বসে। যে যেমন পারে কেনে। আমি কানে পড়ার জন্যে খুবই ছোট্ট একটা ঝুমকা কিনেছি(এবং অবশ্যই গোল্ড নয়, বড়ো অপছন্দের জিনিস গোল্ড)। বান্ধবী ঊর্মীকেও দিলাম কিনে। আমাদের মধ্যে একটা দারুণ ব্যাপার কাজ করে। যেমন ও বলবে, “কিনে দে ওটা।” আমি বলবো, “তোর শ্বশুর কি টাকা দিয়ে গেছে আমায়?” বলে দিতে হবে তোকে। আমাদের কথা কোনো অপরিচিত জন যদি শোনে তাহলে কনফার্ম ভুল বুঝবে। আর যারা পরিচিত তারা জানে ঊর্মী আর নীলা মানিকজোড় নাকি রত্নাজোড়(মানিক আর রত্না :p )?
তবে তীর্থটার জন্যে খারাপ লাগছিলো, কেউ নেই ওর সঙ্গী। একা একা ঝিম মেরে বসে শুধু গান শোনে ওর আইপডে। ওই বয়সটা কাটিয়ে এসেছি আমি, তাই বুঝি। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। কোথায় রেখে আসবো? তরুণ নিউ ফাউন্ডল্যান্ডে চাকরী পেয়ে ওখানে চলে গেছে। আর বাবার সাথে ছেলের ভাব বেশী। যাক মন্দিরে বেশী সময় থাকা হয়নি। আসলে এতো ক্লান্ত ছিলাম। সঞ্জয়দার বাসায় ফিরে রেষ্ট নিলাম। তবে সবাই ঘুমুলো। আমি দুপুরে কিছুতেই ঘুমোতে পারিনা। সেলফোনে সোনেলায় কিছুক্ষণ, ফেসবুকে। বিরক্তি এসে গেলো কেউ কোথায় নেই। একটু পর পর ডাকছি ও ঊর্মী ক্ষিদে পেয়েছে। ঘুমের চোখে বলছে “ডিম ভেঁজে খেয়ে নে।” আসলে খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে অল্প খাবার নিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম প্রতিবার নষ্ট করি এবার কমই নেবো। যাক কিসের কি, ও উঠলো সেই সন্ধ্যা ছয়টায়। উঠতেই বললাম তুই কিন্তু আমার বৌদি, ননদের সেবা করা তোর কর্তব্য। বলে, “প্রণাম কর বড়ো ভাইয়ের বৌ।” বললাম লাত্থি খাবি কিছু খাওয়া। ডিম ভাঁজলো, পরোটা। এরই মধ্যে সঞ্জয়দা চলে এলেন কাজ থেকে সাথে আলুর চপ, পেঁয়াজু, চিকেন ফ্রাই আহ! এত্তো খাবার! পেট ভরা নড়তে পারছিনা। তবু রেডি হতে হবে রাতের অনুষ্ঠান দেখতে হবে যে।
জীবনে অনেক মোহনীয় সন্ধ্যা পার করেছি। সেদিনকার অষ্টমীর সন্ধ্যেটা ছিলো অতুলনীয়। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনার পর শুরু হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিনৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা। পরিবেশনায় ছিল ইত্তেলা-মিঠুন ক্রিয়েটিভ ল্যাব আর পরিচালনা করেছেন উমামা নওরোজ ইত্তেলা। অসাধারণ ছিলো পরিবেশনা। চিত্রাঙ্গদার ভূমিকায় বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অরুণা হায়দার এবং অর্জুনের ভূমিকায় মিঠুন রেজা। প্রবাসের মাটিতে এমন একটি পরিবেশনা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় বের করে করা সত্যি কঠিন। কোরিওগ্রাফি এককথায় দারুণ, পোষাক নির্বাচন এক কথায় সবকিছু মিলিয়ে অনবদ্য পরিবেশনা ছিলো। মন ভরা আনন্দ নিয়ে রাতে সঞ্জয়দার বাসায় ফিরে এলাম। দীর্ঘসময় চললো আড্ডা-গান-হাসি। সে গল্প পরের অংশে হবে, কেমন?
নদীর পাড় ভাঙ্গছে সারাটি রাত্রিভর—
ঘুমের নিঃশ্বাস এতো যন্ত্রণার হতে পারে বুঝি?
ফিরে যাবার তাড়া, চোখের পাতা ছুটে যাচ্ছে দূর থেকে দূরে
যেখানে একেকটি অক্ষর হাসায়-কাঁদায়।
এ কি!
অন্ধকারে লেপের ভেতর হো হো করে হেসে ওঠে পুরোনো অভিশাপ—
অপেক্ষা, অপেক্ষার ভেতরেই শুয়ে থাকে
ওদিকে জেগে ওঠে নতূন ভোর।
(টরেন্টো, কানাডা//২১ অক্টোবর, ২০১৫ ইং। ভোর রাত ৪টার সময় লেখা)
**নীতেশ বড়ুয়া দাদার আব্দারকে যত্ন করে ঠাঁই দিয়েছিলাম মনে, তাই লেখা সম্ভব হলো।
কিছু ছবির কৃতিত্ত্ব নভোনীল তীর্থের, আর কয়েকটি এখানকারই রিঙ্কু বৌদি, ঊর্মী, লিমা বৌদি, সুমা, ঝুমুদির তোলা।
২৫ অক্টোবর, ২০১৫ ইং
হ্যামিল্টন, কানাডা।
৫৭টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
পুঁজার সব ছবিই মোটামুটি ফেসবুকে দেখেছি। ভেবেছিলাম একটা চমৎকার বর্ণনা তো থাকবেই। তার অপেক্ষাই ছিলাম। পেয়েছি। তবে আমার এবারের পুঁজাতে কোন প্রতিমা দেখা হয় নি। কেমিন যেনো পানসে গেছে সব কিছু। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু সুন্দর বর্ণনা পারিনি গো দিতে।
আমি আনন্দ করেছি, কিন্তু একটা পিছুটান বারবার টানছিলো।
শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা তোমাকে। -{@ (3
ব্লগার সজীব
টরেন্টর দুর্গা পূজা দেখলাম আপু। ওখানে এমন হয় জানা ছিল না।ধন্যবাদ আপু।পূজার শুভেচ্ছা নিন -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি যা লিখেছি তার চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর হয়। বুঝেছো ভাভু বাইয়া?
বিজয়ার শুভেচ্ছা। -{@
শুন্য শুন্যালয়
এক একটা অক্ষর কাঁদায়-হাসায়। এমন অক্ষর সবার দ্বারা হয়না। পূজোর আনন্দ উচ্ছ্বাস লেখায় ছড়িয়েছ, যারা দেখতে পায়নি, তাদের জন্য বিষাদের কি ব্যবস্থা রেখেছ?
ছবিগুলো দিতে এত্তো তাড়া কেন নীল ফুল? ছবিগুলো তোমার আরো সুন্দর কিছু ক্যাপশান চায়। যাক সব ঘুমের নিঃশ্বাসের দোষ।
তোমারে এমন লাইফটাইম অভিশাপ কে দিলো? চলো আবার নতুন করে শাপমোচন দেখি।
নীলাঞ্জনা নীলা
লাইফটাইম অভিশাপের কথাটাই চোখে পড়লো তোমার দুষ্টু মেয়ে? :@
শুন্য আপু গো তোমার কানে কি খবর পৌঁছায় না কেউ?
মিসিং গো আপুউউউউউউউউউউউ -{@ (3
যারা দেখতে পায়নি আমার মনের দিকে চাইতে বলো, বিষাদও পেয়ে যাবে। যার যেটা প্রয়োজন তা আছে এই মনে।
আনন্দ চাইলে আনন্দ, বিষাদ চাইলে বিষাদ।
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপু গো, আমি যেদিন আসতে পারিনা, সেদিন এসে কান্নাকাটি করলে হবে? 🙁 আর শোন মেয়ে, এতো ভালোবাইসো না যে দম বন্ধ হয়ে মইরা যাই, শেষে ভালোবাসা ফেরত না পেয়ে আমারে গালমন্দ আর অভিশাপ দিবা। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু মাথা খারাপ নাকি আমার তোমায় মেরে ফেলবো? মজা পেলাম তোমার কথায়। এতোটা ভালোবাসতে নাই যাতে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। আচ্ছা আপু ভালোবাসলে তো পুরোটাই চলে আসে, ভালোবাসা কি সেভিংস একাউন্ট? কি জানি!
দ্বিতীয়াংশ আসছে তাড়াতাড়ি। শেষ করতে পারলে বাঁচি। এতো ধারাবাহিক উফ আমি মইরা যামু। কিন্তু কৈ মাছের প্রাণ কতোবার যে মরার হাত থেকে বেঁচেছি গো।
ভালো থেকো। -{@ (3
নীতেশ বড়ুয়া
বর্ণনায় মনে হচ্ছিলো-ইসসসসসসসসসসসসসস…
ছবি দেখে মনে হলো- ^:^ আর কই ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
ও দাদা এতো ছবি দিলাম তাও মন ভরেনি?
হায়রে! 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আরো লাগবে, হুম… আরতি দেওয়ার ছবি, ধূপ ধুনোয় বাজনার সাথে ছবি, নারকেলের নাড়ুর ছবি, সন্দেশ মিষ্টি, প্রসাদের ছবি :p
নীলাঞ্জনা নীলা
দাদা গো ওসব তোলা হয়নি। আরতির সময় যাওয়া হয়নি এবার। আসলে গাড়ী ছিলোনা তো, ট্যাক্সি নিয়ে আসা-যাওয়া অনেক দূরের পথ। তবে আমি বাপি-মামনির নামে ভোগ দিয়েছিলাম তার ছবি আছে বান্ধবীর কাছে। ওহ হ্যামিল্টনের পুজোর কিছু ছবি দিতে পারি। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
বাই দ্য মন্তব্য, তীর্থ-কাঁকন কে দেখে অহম-তিরি ভাবতে ভাল্লাগছে :p
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহা।
কাঁকন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। আর তীর্থ গ্রেড ৮-এ। 😀 :D)
নীতেশ বড়ুয়া
তাতে কি! চোহের সামনে অমন জলজ্যান্ত অহম তিরি দেখে ভাবতে আমার কোন আলস্য নেই 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D)
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ 😀 \|/
অরুনি মায়া
ভালোই মজা করলে আপু 🙂
ছেলে খালি সেল্ফি তোলে তারমানে ঘটনার ভিতর ঘটনা আছে | :p
ছবি গুলো খুবি সুন্দর | তীর্থ চমতকার ছবি তোলে দেখছি,,,
তীর্থর জন্য (3
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু গো সেটাই তো চিন্তা। ছেলে আজকাল বেড়াতে গেলে হেয়ার জেল লাগায়, ডিওডোরেন্ট দিয়ে হেভি মাঞ্জা মারে গো। 🙁
তোমার জন্য -{@ (3
নীতেশ বড়ুয়া
ছেলে বড় হয়েছে। চোখে এখন স্বপ্ন আঁকে 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা স্বপ্ন দেখুক, আমারও মজা লাগে ভাবতে তীর্থর গার্লফ্রেন্ড হবে। আমার কাছে এসে বলবে ওর গল্প। আমি যেমন বাপিকে বলতাম। :p
নীতেশ বড়ুয়া
:D) মা কা বেটা, কুছ নেহি তো পেয়ার কা তাঢ়কা :p
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D)
বেটা কি শুধু বাপের মতোই হবে? 😀
নীতেশ বড়ুয়া
iইয়ে ইয়ে…ইয়েএএএএএএএ ইয়েয়েয়েয়্যেয়ে, ইয়ে ইয়ে ইয়েএএএএএএ \|/ \|/ \|/ এইসবে মায়ের মতো হতে হবে :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশী বেড়েছেন। এরপরে কিন্তু খবর আছে। :@ :@
নীতেশ বড়ুয়া
বারোটা বাজার খবর আসতে কিছু দেরি আছে :D) :D) :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
তা জানি। আমার ঘড়ি এখন রুটিনে বাঁধা, বুঝেছেন? 😀 :D)
নীতেশ বড়ুয়া
উঁহু, বুঝি নাই :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি রুটিনিষ্ট 😀 :D)
নীতেশ বড়ুয়া
আমি বুঝিনিষ্ট :D) 😀 :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি ঝাটানিষ্ট :p 😀 :D)
অরুনি মায়া
হা হা হা তুমি আমার ভাগ্নে রে বিরক্ত কম করবা কিন্তু | সে এখন বড় হচ্ছে | তুমি ঘ্যানর ঘ্যানর প্যানর প্যানর মা হবানা বলে দিলাম,,,
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু গো মাথা খারাপ? শুধু ভাবছি তীর্থর গার্লফ্রেন্ড কেমন হবে? আর ও কিভাবে প্রপোজ করবে, ইস ভাবতেই আনন্দ হয়। 😀
অরুনি মায়া
হা হা হা আমি জীবনেও এমন মা দেখিনি যে কিনা ছেলের গার্ল ফ্রেন্ড আছে শুনে খুশি হয় :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু আমি এমনই। আজীবন এভাবেই থাকতে চাই। অস্থির-চঞ্চল। এই আমায় যে মেনে নিতে পারবে থাকবে, নয়তো গুডবাই। বুঝেছো? 😀
অরুনি মায়া
জি বুঝেছি তাই অনেক আগেই মেনে নিয়ে ধন্য হয়েছি | ভেবেছিলাম তোমার ছেলের সাথে আমার মেয়ে বিয়ে দিব,কিন্তু তা আর হল না ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে হবে না কেন? ওদের মিলিয়ে দেবো, তারপর দুজনে প্রেম করতে চাইলেই করবে। \|/
জিসান শা ইকরাম
তীর্থর সেলফি তোলায় ঘটনা কি আবার,সেলফি এমনি এমনি তোলে সবাই 🙂
উর্মি আর নীলা হচ্ছে মানিক আর রত্না। ছবি কথা বলে 🙂
বেশ আনন্দ উচ্ছেসেই এবারের পূজা টা পালন করলে বুঝতে পারলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমার ছেলের চরিত্র সুবিধার ঠেকছে না গো ^:^
হুম একটা পিছুটান নিয়ে পুজার আনন্দ সাজিয়েছি।
বিজয়ার প্রণাম নিও নানা। নানীকেও জানিয়ে দিও। -{@ (3
আগুন রঙের শিমুল
ইচ্ছে করেই পুজোয় যাইনি এবার … এতো দানবের ভীরে এক মহিষাসুর বধে কি ফারাক হবে ।
ছবি আর প্রাঞ্জল বর্ণনা ভাল্লাগছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি পুজোতে যাই, যাতে আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ছেলে দেখে-শেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। তবে আপনার লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ। -{@
রিমি রুম্মান
পড়ে ভাল লাগলো। যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম পুজোর অনুষ্ঠান। আমার বাসার সামনে এবং পিছনে দু’টো বিশাল মন্দির। পরিচ্ছন্ন। আমি প্রতিবারই যেতাম। এবার যাওয়া হয়নি শুধু। আফসোসটা কেটে গেল বর্ণনা পড়ে। সাদা লাল শাড়িতে ছবিগুলোতে চোখ আটকে ছিল। আমার প্রিয় রঙ কিনা ! -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু সাদা শাড়ীটা বন্ধু ঊর্মী দিয়েছে এবারকার পুজোতে। হুম সাদা আমারও প্রিয় রঙ।
আর তাঁতের শাড়ী সাদা-লালে খুব টানে আমার।
আপু বিজয়ার শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন। -{@
ছাইরাছ হেলাল
মানিক+ রত্না অমর রহে, যুগ যুগ জিয়ো, আহা খুবই মনোহর জুটি!!
খুব ই প্রাণবন্ত বর্ণনায় আনন্দ ভ্রমণের রূপ ফুটে উঠেছে।
আবার পরে লিখব।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্লাসটা আবার কেউ ধরে রেখেছে।
আপনি মনের কথা আর মুখের কথা আলাদা করে রাখেন এটা কিন্তু ঠিক না।
কারণ লেখাটা এমন প্রাণবন্ত লাগেনি আমার কাছে।
অবশ্যই লিখবেন। অপেক্ষায় রইলাম। এই নিন আপনার জন্য -{@
ছাইরাছ হেলাল
আসলে লেখার ভাল মন্দ নিয়ে ভাবিনা, খুঁজিও না, একটি লেখা একজন লেখক
প্রাণের যে গভীর ভালোবাসা থেকে তুলে আনেন সে দিকে তাকালে ভালমন্দ বলে কিছু থাকে না।
তারপর ও যে বলার একদম কিছু থাকে না এমন নয়, তবে তা বলতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না।
মা প্রতিবারে ন্যায় এবারেও এসেছেন নিয়ম করে নিয়ম মেনে। প্রাণবন্ধুকে সাথে নিয়ে বিভূঁইয়ে
মায়ের আশীর্বাদ নিয়েছেন পেয়েছে তাতে ঈর্ষা করতে ইচ্ছা করে।
মানিক কে ও শুভেচ্ছা। ইসসিরে,
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝেছি তার মানে আপনার কেমন লেগেছে। তবে যতোটুকু জানি ব্লগে সত্যকথন পাওয়া যায় লেখা সম্পর্কীয়। ফেসবুকিং যারা করে যেমন আমিও করি তবে এখন কম। শুধু প্রশংসাবাণী। তাই আশা করি আপনাদের মতো লেখকদের থেকে। সঠিক সমালোচনা লাভই এনে দেয়, ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে না।
ধন্যবাদ আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। -{@
স্বপ্ন
লেখায় ও ছবিতে অনেক ভালো লাগা একটি পোষ্ট।আপু আপনাকে দেবী দেবী লাগছে 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বপ্ন ভাইয়া গো অনেক অনেক ভালোবাসা।
দেবী আমি? ভাইয়া আমার মনে হয় আপনার চোখ অনেক পবিত্র। তাই এমন বলছেন। -{@
নাসির সারওয়ার
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে কি খাবার নিয়েছিলাম ভুলে গেছি। আর সব মনে আছে। আমিও অনেক মজা করেছি সেদিন, সেখানে।
আপনি অনেক ভাল একজন গাইড। ভাল থাকুন ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ু লেখা কোথায়? এমন করলে তো চলবে না।
লেখা দিন তাড়াতাড়ি। আমার মন্তব্য রেডি করা, কালই লেখা চাই কিন্তু। -{@
নাসির সারওয়ার
কে একজন বলেছিলেন, আমি জেনো “নিয়মিত অনিয়মিত” ভাবেই থাকি সোনেলাতে। যে বলেছিলেন তার অনেক গেয়ান। হুম…।।
নীলাঞ্জনা নীলা
কে কে কে? আমি নিশ্চয়ই না?
ভাইয়ু গো মনকে গুরুত্ত্ব দেবেন। কারো কথায় না।
তা নইলে জীবন বরবাদ।
গেয়ান দিলাম 😀
নাসির সারওয়ার
ভুল জায়গায় মেরেছি আমি। হেলাল ভাই বলেছিলো আনি যখন সোনেলাতে আসি।
আপনার কাছ থেকে কিছু হলেও গেয়ান নেবো। এখানে থাকার বিশেষ কারন হবে এটা।
কবিতা লেখার যদি একটু গেয়ান দিতেন, খুবি শখ।
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D)
ওটা উনার মহানুভবতা। জ্ঞান নেবার জন্যে আমি উনার শিষ্যত্ত্ব গ্রহণ করার এপ্লাই করেছি। আগে শিখে নেই, তখন নয় ভালো করে জ্ঞান দেবো ভাইয়ু। :p 😀
লীলাবতী
নীলাদি আপনার চোখে দেখতে পেলাম টরেন্টের পূজা,প্রতিমা আর পূজারীদের।ভালো লেগেছে দিদি।বিজয়ার এত্তগুলা শুভেচ্ছা আপনাকেও -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ভালো থাকুন নিরন্তর। আচ্ছা নতূন পোষ্ট কোথায়? এসব স্তুতিবাক্যে মন ভরে না। লেখা চাই-ই-চাই। -{@ (3