ইন্টারনেটের বদৌলতে কী না হতে পারে? মেয়েটিও পড়েছে অসম প্রেমে আমার বউ-বাচ্চা আছে জেনেও; কিন্তু আমার সাড়া নেই। রশিয়ার ইউক্রেন থেকে জুলিয়া নামের এ মেয়ে আমাকে নিবেদিত চিঠিসহ কবিতা পাঠিয়েছে। এর আগেও চিঠি দিয়েছিলো অনেকবার কিন্তু জবাব দেইনি বলে সে অভিমান করে একটার পর একটা কবিতা পাঠাচ্ছে। নিচে ৩য় কবিতাটি অনুবাদসহ তুলে দিলাম, কেমন লাগলো জানাবেন–
আমাদের সংযুক্তি এবং একাত্বতা
সময় ও দূরত্বকে মানিয়েছে হার
পরাভূত করেছে আমাদের জীবনকে আর
আমাদের জীবনের সব পরিবর্তন।
ব্যাখ্যাতীতভাবে পরাজিত ব্যাখ্যাসকল,
এতকিছুর মাঝেও থাকে শুধু এক ব্যতিক্রম,
সাধারন কোনো অসাধারনত্বে, আমরা পরমাত্মীয়।
আমার কাছে এর কোনও ব্যাখ্যা নেই,
শুধু অনুভবে বুঝি,
যখনই কথা হয়, যতবার কথা হয়
প্রফুল্লতা আমার ক্রমশই বেড়ে চলে—
তোমার কন্ঠস্বর আমায় সতত ঘরে ফেরায়।
কীভাবে, কোন উপায়ে, সত্যিই তা ব্যাখ্যাতীত।
যখনই আমরা হাসি,
উদ্বেলিত হই অনুভবে আর আনন্দে
তাও যেনো আমার ফিরে আসা সেইভাবে
আমারই আপন ভূবনে।
তোমার সাথে আমার থাকা, আমার সাথে তোমার,
তা যেনো ঠিক মহাবিশ্বের ছোট্ট এক টুকরো অবস্থান
আমার সাথে, আমার মাঝে,
যা থাকার কথা ছিল, শুধু এখানেই আর
আমার পৃথিবীর সব যেনো, ঠিক থাকে শুধুই তখন।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এ বিষয়গুলো সব
এবং তার সাথে আরো অনেক কিছুই-
আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে, দিয়েছে সে অনুভব,
তোমার আমার যে সংযুক্তি-সম্পৃক্ততা,
এটা সেই সে অলীক সেতুবন্ধন
এক জীবনে শুধু একবারই, যা সম্ভব ।
এটা সেই যোগাযোগ, এটা সেই কাঙ্খিত টানাপোড়ন
যা টিকে থাকে সতত,
শুধুই তোমার আর আমার মাঝে
এবং আমাদের হৃদয়ের গভীরে, আরো গভীরে।
এ আমি সহজাতেই জানি,
আমাদের সম্পর্ক এক বিরল উপহার
যা আমাদের মাঝে বয়ে আনে
অনন্য সাধারন সুখ আর সুখের ফল্গুধারা
আমাদের জীবনভর।
১৭টি মন্তব্য
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আসল লেখা এবং অনুবাদ দুটোই ভাল লেগেছে । হৃদয়ের আবেগ ফুটে উঠেছে কবিতায় । আমার মনে হয় , আপনি এই জুলিয়াকে ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করুন। এই লেখাগুলো ভালো হচ্ছে অন্য লেখার চেয়ে। পাঠকদের পছন্দের দিকে খেয়াল রেখে আপনার কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরী। এটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত। আপনি আপনার ইচ্ছেতে স্বাধীন । পরামর্শ বাধ্যতা মুলক নয় ।
শাহ আলম বাদশা
আমি পরকিয়ার চরম বিরোধী; তাই একতরফাভাবে আমাকে চাইলেই কি আমি আমার পরিবারের চাইতে নিজের সাধকে বা একতি অচেনা মেয়ের প্রাধান্য দিতে পারি?
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমি কি বলেছি,আপনি কি মনে হয় তা বুঝতে পারেননি ।
শাহ আলম বাদশা
হতে পারে বুঝতে ভুল কিংবা আমি বুঝেও অপ্রাসঙ্গিক দিকে মোড় নিয়েছি। আপনার ব্যাখ্যা ভালোই হতো
জিসান শা ইকরাম
ভালো লেগেছে খুব ।
প্রথম দিকের অক্ষরগুলো বড় এবং বোল্ড করায় চোখে লাগছে ।
শাহ আলম বাদশা
ধন্যবাদ এবং বোল্ড তুলে দিলাম
খসড়া
সে প্রেমে পরতে পারে কিন্তু আপনি আপনার প্রেমকে অপমান করবেন না। মনে রাখবেন আপনার প্রেমের ফসল আপনার সন্তানেরা চায় বাবা মার প্রেম পূর্ন জীবন।
শাহ আলম বাদশা
ধন্যবাদ। আমি পরকিয়ার চরম বিরোধী; তাই একতরফাভাবে আমাকে চাইলেই কি আমি আমার পরিবারের চাইতে নিজের সাধকে বা একতি অচেনা মেয়ের প্রাধান্য দিতে পারি?
মশাই
আপনার কি কোন ধারণা রয়েছে যে কবিতাটি কি তার নিজের কিনা?
অনুবাদ ভাল লেগেছে।
শাহ আলম বাদশা
তার অনেক কবিতা যা আম্র জন্য পাঠানো–সব তার নিজের লেখা মনে হয়না। বড় বড় কবির লেখাও আছে পড়ে মনে হয়।
কাজী সোহেল
বাহ… !
শাহ আলম বাদশা
অনেক ধন্যবাদ
আজিম
আমার মনে হয়, মিনিমাম একটা শালীনতাবোধ আমাদের থাকা উচিত লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে।
পাঠকের কাছে আমার উপস্থিতি খেলো হয়ে গেলে সেটা আমার জন্য বিরাট এক মান-সম্মানের বিষয়।
জনাব মশাইয়ের মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করিনা। কারন এই পত্রের লেখকের মত ব্যক্তিত্বের মানুষের ‘অবৈধ সম্পর্কে’র জন্য এতো লালায়িত থাকার কথা নয়।
শাহ আলম বাদশা
আপনার এ মন্তব্য আমার কাছে পরিস্কার হলোনা ভাই। তবে আমি আমার পরকিয়াবিরোধী মনোভাব শুরুতেই বলেছি। আর সাহিত্যটুকুই এখানে তুলে দিচ্ছি। একতরফা ও একান্ত পত্রের কিছুই এখানে লিখছি না এবং লিখবোনা। যেহেতু আমি জুলিয়ার জন্য আগ্রহী নই।
মশাই
যাইহোক। কিছু কথা আছে যা বলতে অথবা জানতে ইচ্ছে করছে। শ্রদ্ধেয় আজিম সাহেবের প্রতুত্তরে আপনি বললেন যে শুধু সাহিত্য টুকু আপনি তুলে ধরেছেন, কবিতাটি যারই হোক আপনার অনুবাদের প্রয়াস ভাল লেগেছে। তবে উপরে বর ফন্টের লেখাগুলোর প্রয়োজনীয়তা কি তা আমার বোধগম্য হল না আপনি একজন বিশিষ্ট মানুষ, আশা করি তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে সমস্যা হবে না কারণ আমরা পাঠক তা জানতেই পারি।
আচ্ছা!! আপনি বললেন তার প্রতি আপনার কোন আগ্রহ নেই, তাহলে তার অভিমানের সন্তাপে নিজে জ্বলছেন কেন? অভিমানী শব্দটি কিন্তু অনেক প্রেমময়। তার অভিমান থেকে কবিতার সৃষ্টিকে কি আপনি পাগলের প্রলাপ বলতে পারেন না??? নিশ্চই পারেন হয়তো তার প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে আপনার তাই নয় কি? তার সাথে হয়তো আপনি সম্পর্কে জড়াতে চান না কারো এই কাজটি অনেক আগেই শেষ এখন আপানর সংসার আছে। তবে সে আপনার প্রেমে পড়েছে, আপনি সাড়া না দিলেও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই নিশ্চই অভিমানী শব্দটি ব্যবহার করেছেন???
শুনুন বিশিষ্ট ছড়াকার এবং শিশু সাহিত্যিকশাহ আলম বাদশা সাহেব, মানুষের প্রতি মানুষ হিসেবে জুলিয়ার প্রতি আপনার নিম্নতম শ্রদ্ধাবোধটুকু প্রমাণ করে যাবেন আশা করব। তাহলে এবার বলুন আপনার জন্য যে এতো পাগল হয়ে আপনার সাড়া না পেয়েও আপনার জন্য কবিতা সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছে তাকে নিয়ে সবার সামনে উপহাস করাটা কি ঠিক? সে হয়তো বা আপনার প্রেমে পড়েছে সেজন্য তার এই প্রেমে পড়ার জন্য আপনি কি তাকে উপহাস করতে পারেন? যদি নাই পারেন তাহলে জুলিয়াকে নিয়ে গত দুটি পোষ্টের ইমো গুলোর মানে কি? সেই ইমো কেন ব্যবহার করলেন তা বলবেন কি দয়া করে?
১-https://sonelablog.com/archives/16709
২-https://sonelablog.com/archives/16887
এবার আপনি বলুন আমি আবার পরে আসব।
ব্লগার সজীব
জুলিয়াকে দেখতে তো বেশ ভালোই লাগছে । ভাইয়া আমার ই মেইলটা ওনাকে দেয়া যায় ? আমি সিংগেল 🙂 জুলিয়ার আবেগপুর্ন লেখা আর আপনার অনুবাদ ভালো লেগেছে । -{@
শাহ আলম বাদশা
আপনার ইমেইল কেনো তাকে দিতে হবে–বললে ভালো হতো। ভাল্লাগায় ধন্যবাদ