খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সিলেটের জাফলং সারাদেশে এক নামে পরিচিত । পিয়াইন নদীর তীরে এর অবস্থান । সীমান্তের ওপারের পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানি, পাহাড়ে ঘন সবুজ গাছ , সব কছু মিলিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয় একটি স্থান।
সিলেট থেকে বাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যাওয়া যায় জাফলং । ৬২ কি:মি: দূরত্বে দেখতে পাওয়া যাবে সড়কের দুপাশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । সময় লাগবে ১ ঘন্টা হতে ১.৩০ ঘন্টা।
ভাড়াঃ বাস -জনপ্রতি ৫৫ টাকা , মাইক্রোবাস- ১৭০০-২০০০/-টাকা , সি এন জি চালিত অটো রিক্স্রাঃ ৭০০/ টাকা। আমি গিয়েছিলাম একটি প্রাইভেট কারে , ভাড়া নিয়েছিল ১৬০০ টাকা , সারাদিন। মাঝে গোয়াইন ঘাট থেমেছিলাম চার ঘণ্টার জন্য – গিয়েছিলাম লালাখাল।
সবার জন্য থাকার তেমন ভালো ব্যবস্থা ওখানে নেই। জেলা পরিষদের একটি ডাকবাংলো আছে- আগে থেকে অনুমতি নিতে হয় । তাই সিলেটে থাকাই সবচেয়ে ভালো।
কিছুদিন আগে খুব স্বল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম জাফলং । লালা খাল এ সময় কাটিয়েছি বেশী।
জাফলং এর কয়েকটি ছবি
জাফলং এর পথে তামাবিল এর ঠিক আগেই এই পাহাড়ি ঝর্না দেখা যাবে
চিকচিক করা নদীর পানি এবং সবকিছুতেই শুধু মুগ্ধতা
ভারত থেকে পাহাড়ি পানিতে ভেসে আসা পাথর , সারা বছরই জমে থাকে এই নদীতে । মুলত এই পাথর উত্তোলন ও বিক্রিকে কেন্দ্র করেই এই স্থানটি সবার নজরে আসে।
সৌন্দর্যের লীলাভূমি
পাথরের জন্য অপেক্ষমাণ সারিসারি নৌকা
ইচ্ছে করলে আপনি নদী পার হয়ে ওপারেও যেতে পারেন , ঘুরতে পারেন ইঙ্গিন চালিত নৌকায়
১৫টি মন্তব্য
জবরুল আলম সুমন
বাড়ির পাশের দৃশ্যগুলো এখানে দেখে ভালো লাগছে। যারা জাফলংয়ে আসতে চান তাদের জন্য এই পোষ্টটি বেশ সহায়ক হবে।
যাযাবর
কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম , নতুন ছবি এগুলো ।
সিলেট গেলে এখানে যাইই একবার ।
জিসান শা ইকরাম
এবার বেশিক্ষন থাকা হয়নি ওখানে। বেশিক্ষন ছিলাম লালা খাল ।
জাফলং টা সবসময় টানে আমাকে।
জবরুল আলম সুমন
এবার আপনি যে সময়টাতে গিয়ে এই সময়ে জাফলংয়ের আসল রূপ দেখা যায়না। সৌন্দর্য্যমন্ডিত জাফলং দেখতে হলে আপনাকে আসতে হবে নভেম্বরের মাঝা মাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝা-মাঝি সময় পর্যন্ত মানে শীত কালে… এখন পানি থাকায় তেমন কিছু দেখা যায়না তবে পাহাড়ে গায়ে মেঘের ধাক্কা ধাক্কিটা এই সময় ছাড়া খুব কমই দেখা যায় এ এক বেহেস্তী দৃশ্য… 🙂
জিসান শা ইকরাম
এটা ঠিক , শীতের সময়েও এর আগে অনেকবার গিয়েছি। পরিবার সহ গিয়েছি একবার।
তবে বর্ষার সময়ে এবার প্রথম গেলাম। এর ভিন্ন সৌন্দর্য ।
লালা খাল এর নীল পানি সম্পূর্ণ দেখিনি- ওটা নাকি শীতে দেখা যাবে । এবারে অবশ্য মাঝে মাঝে দেখেছি।
sadia
onak shundor pic
জিসান শা ইকরাম
ছবি দেখে আসলে এই জায়গার আসল সৌন্দর্য বুঝানো যায় না।
বাস্তবে অনেক সুন্দর জাফলং ।
ছাইরাছ হেলাল
ঝর্নার ছবি দেখে ভাল লাগল ।
আসলে বার বার যেতে ইচ্ছে করার মতই প্রতিটি জায়গা ।
জিসান শা ইকরাম
ছাইরাছ হেলালের ক্যামেরায় একই সময়ে তোলা অনেক ফটো আছে ।
দেখতে চাই সে সব ফটো ।
মোস্তাকখসরু
তোমার ছবিগুলি সংগ্রহে রাখলাম। শরীর নিয়ে পারি ছবিতেই কাজ চালাই। মনে মনে ঘুরে বেড়াই নদীর পার ধরে সে এক অব্যাক্ত আনন্দ যা করো সাথে সেয়ার করা যায় না।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ সংগ্রহ রাখার জন্য ।
মনে মনে কেন ঘুরবেন ? শরীর নিয়ে কি লিখলেন বুঝিনি। হয়ত অসুস্থ আপনি।
তেমন হলে দোয়া করি দ্রুত সুস্থ করে দিক আল্লাহ ।
শুভকামনা আপনার জন্য ।
মনির হোসেন মমি
জানা থাকল। সময় পেলে চলে যাব। চমৎকার সব ছবি সহ সুন্দর উপস্থাপনা।
কামাল উদ্দিন
ব্যাপার কি! ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিনা কেন ভাই?
তৌহিদ
আহা! ছবি দেখতে পারছিনা। সাইজ বড় ছিলো ছবিগুলির?
সুরাইয়া পারভীন
আমিও গিয়েছিলাম জাফলং
সেখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে
মুগ্ধ হয়ে আবৃত্তি করতে শুরু করেছিল
“মেঘ বললো রাবি
অনেক দূরের গেরুয়া নদী”
আর তাতেই ঘটলো বিপত্তি
শেষে আর উপভোগ করতেই পারি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য