অশরীরী ছোঁয়ায়
……শরীর কাঁপে!
বুকের পাঁজর
ক্ষত বিক্ষত,
অশরীরী আঁচড়ে!
অশরীরীরা আসে
অস্তিত্ব কাঁপিয়ে!
ছায়ার দেয়ালে
ধোঁয়াটে রক্তিম চাহনিতে!
চাতালে পাতালে
অশরীরী পদচারণ,
অশরীরী আলোড়নে
আতঙ্কিত শ্বাপদ;
আলোর মরণ!
পঁচা, বীভৎস
অনুভূতিরা নাচে
অশরীরীয় উল্লাসে,
মৃত আত্মার
অবৈধ অনুপ্রবেশ
খুবলে খাওয়া
শারীরীক অভিলাষে!
চোখ ঠিকড়ে
অন্ধকারের আলোড়নে
অশরীরী তীব্রতা
ছিঁড়ে ফেলে
সুতীক্ষ্ণ মৌনতার
বৃথা আস্ফালনে!
অশরীরীরা আসে
দেহের দেয়ালে
ছায়ার আবেশে
বাতাসের অন্তরালে,
অশরীরীরা উড়ে
দেয়াল এফোঁড় ওফোঁড় করে,
দেহাত্মা শতচ্ছিন্ন হয়
সাদাটে অবয়বের অন্তিম প্রয়াণে!
অশরীরী বাঁচে
ভয়াল অনুভুতির
ছায়াতলে
অশরীরী হাসে শরীরী পরাজয়ে!
১৯টি মন্তব্য
বন্য
দারুন ছন্দে কবিতা লিখেন আপনি, পড়তে বেশ লাগে, ছন্দের দোলায় দোলে মন, শব্দের গাঁথুনিও বেশ সুন্দর এক কথায় অসাধারণ। শুভেচ্ছা সহ অভিনন্দন কবি। -{@
ভোরের শিশির নীতেশ
আবারও কবি বলে!!!!!!!!!! আমি কবি না…
ছন্দ পারি না 🙁 অনেক অনেক বেশী কঠিন ছন্দে লেখা। :'( তবে কিভাবে কিভাবে যেন অন্ত্যমিল ঘটে যায় কিছু কিছু লাইনে 😛
বন্য
আপনি কি ইচ্ছে করেই লাইনগুলো কে একের পর এক করেছেন নাকি অনিচ্ছাকৃত? ছন্দ ছাড়া কি কবিতা হয় নাকি? সব কবিতাতেই ছন্দ থাকে ভাঙ্গা যায় বলেই মনে করি।
ভোরের শিশির নীতেশ
ইচ্ছে করেই লাইন ভাঙ্গি… এই একটি কাজই কিছুটা পারি 😀 বাকিটা লেখার সময়ে নিজে নিজে আবৃত্তি করে বুঝে ‘নি… ^_^
বন্য
হা হা হা অনেক কিছুই পারেন আপনি, “অনুভূতিরা নাচে, আতঙ্কিত শ্বাপদ, ছায়ার দেয়াল” এমন শব্দবন্ধ যার হাতে সৃষ্টি হয় সে অনেক কিছুই পারে, বোদ্ধা পাঠক না হলেও কিছুটা আঁচ করতে পারি কবি।
শুন্য শুন্যালয়
কি সব ভাঙাভাঙির কথা বলছেন? লেখা আবার ভাঙে কেমন করে? কবিতা লিখা এতো কঠিন ক্যানে? 🙁
ভোরের শিশির নীতেশ
ইইইইইইইইইইইইইইইইহ >_< :@ আমি বলছি আমি কবি না!
অনুভূতি নাচেই তো… "তিরতির করে চোখের পাতা নাচা" একটা অনুভূতির জন্যেই, এগুলো সবাই পারে… আর আমার এমনি এমনি হয়ে যায়… কিন্তু আমি কবি না @বন্য।
কবিতা লেখা এখন অনেক সহজ…যা ইচ্ছে তাই লিখে গেলেই হয়, সবাই কবিতা মেনে নেয়… 😛 @শুন্য শুন্যালয়।
বন্য
আচ্ছা আপনি কবি না, মেনে নিলাম তবে এভাবেই নাচাতে থাকুন চোখের পাতা আমারও কিছু লেখা পাই আপনার থেকে।
ভোরের শিশির নীতেশ
😀 😀 থ্যাঙ্ক্যু থ্যাঙ্ক্যু 😀
শুন্য শুন্যালয়
মৃত আত্মার অনুপ্রবেশেও অনুমতি লাগে নাকি?
এবার আবার ছোবল নিয়ে এলেন।
তবে পড়তে পড়তে দুলুনি এসেছে বেশ একটা। ভাল্লাগছে।
ভোরের শিশির নীতেশ
অবশ্যই…পাক পবিত্র দেহে কি কেউ প্রবেশ করতে পারে? তাই অনুপ্রেবেশ 😛
ধন্যবাদ ভেবেছেন বলে 😀
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ছোট লাইনে সুন্দর কবিতা।
ভোরের শিশির নীতেশ
থ্যাঙ্কিয়ু মনির ভাইয়া ^_^
খেয়ালী মেয়ে
দারুন লিখেছেন (y)
ভোরের শিশির নীতেশ
ধন্যবাদ 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর দাদা।
জিসান শা ইকরাম
ভালো লেগেছে —
ফেইসবুক বা ওয়ার্ড থেকে কপি করে এখানে পেষ্ট করার পুর্বে, এইচটিএমএল এ ক্লিক করে নিলে,
ডাবল স্পেস থাকবে না 🙂
ভোরের শিশির নীতেশ
থ্যাঙ্ক্যু জিসান ভাইয়া… মেনে চলবো 😀
ভোরের শিশির নীতেশ
থ্যাঙ্ক্যু জিসান ভাইয়া… মেনে চলবো 😀 😀