অনেকদিন পর আবারও সোনেলায়……। 🙂 সবাই কেমন আছেন? ভালোতো?
যাইহোক, গল্প শুরু করছি – – – –
একটা মেয়ে একটা ছেলেকে খুব ভালবাসে। ছেলেটা মধ্যবিত্ত ঘরের। তার উপর চাকরি-বাকরি নেই বেকার। এদিকে মেয়েটার মা নেই। বাবা আছে। বাবা চায়না এমন একটা ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে হোক। কিন্তু মেয়েতো সেই ছেলেটাকেই ভালবাসে। তাই সে ঠিক করল, বাবাকে না জানিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। তো একদিন সুযোগ বুঝে মেয়েটা ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে এল। ছেলেটার কাছে গিয়ে বলল, আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমাকে তুমি বিয়ে কর। ছেলেটা যেহেতু মেয়েটার এমনভাবে চলে আসার কথা আগে থেকে জানতো না। তাই সে বলে দিল তার পক্ষে এই মুহুর্তে বিয়ে করা সম্ভব না। সে মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিল।
প্রেমিকের এমন আচরনে মেয়েটি খুব কষ্ট পায়। তারপর রাগে দুঃখে মেয়েটা ঠিক করল সে সুইসাইড করবে। কিন্তু কিভাবে করবে? ভাববে ভাবতেই মাথায় বুদ্ধি এল। সে বনের ভেতর গিয়ে পাহারের চূড়া থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করবে। তো মেয়েটা সেই মতই এগুতে লাগল। বনের প্রায় মধ্যভাবে আসতেই মেয়েটার সামনে একটা সিংহ এসে দাঁড়াল। মেয়েটা ভয়ে ভয়ে তার সব কিছু সিংহকে খুলে বলল, সব শুনে মেয়েটার প্রতি সিংহের মায়া হল। এবং মেয়েটাকে ছেড়ে দিল।
মেয়েটা যেতে যেতে সামনে একটা নদী পড়ল। নদীটা পার হতে পারলেই বিশাল পাহাড়। যেখান থেকে সে সুইসাইড করবে। কিন্তু নদীতে একটাই মাত্র নৌকা আছে। মাঝি টাকা ছাড়া মেয়েটাকে পার করবেনা। কিন্তু পার হওয়ার মত টাকা মেয়েটার কাছে নেই। মাঝি বলল, তোমার গায়ের যে গয়নাগুলো আছে ওগুলো আমাকে দিয়ে দাও। তবে তোমাকে আমি ওপারে নিয়ে যাব। যেহেতু মেয়েটার ওপারে যেতেই হবে। সে আর বেঁচে থাকবে না। তাই সে মাঝির কথামত গায়ের যা গয়না ছিল সব দিয়ে নদী পার হল।
পাহাড়ের শেষ মাথায় মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে। লাফ দিতে যাবে ওমনি হঠাৎ করে তার ছোটবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ল। সে একবার স্কুল থেকে ফেরার পথে রিক্সা থেকে পড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তার পাশের বন্ধুটা ঠিক সময় ওর হাত চেপে ধরায় সে আর পরেনি। ঘটনাটা মনে হতেই মেয়েটা হেসে উঠল। তারপর আবারও লাফ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। লাফ দিতে যাবে ঠিক এইমুহুর্তে, কাকতালীয়ভাবে মেয়েটার ছোটবেলার সেই বন্ধুটা এসেই ওর হাত চেপে ধরল। বলল, এসব তুমি করতে যাচ্ছ? মেয়েটা তারপর সব কথা খুলে বলল। তার বাবা, বয়ফ্রেন্ড, এখানে আসার কারণ সব। সব শুনে বন্ধুটি বলল, ঠিক আছে তোমার আপত্তি না থাকলে আমি তোমাকে বিয়ে করব।
এখন গল্পের চরিত্রগুলো একটু লক্ষ করুন –
১) মেয়ে
২) মেয়েটার বাবা
৩) বয়ফ্রেন্ড
৪) সিংহ
৫) মাঝি
৬) ছোটবেলার বন্ধু।
এখন পুরো ব্যাপারটা মাথায় রেখে ভালো ভাবে একটু সময় নিয়ে ভেবে বলুন গল্পের কোন চরিত্রটা আপনার কাছে সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে?
.
.
.
.
.
.
এতক্ষনে নিশ্চয় ভেবে ঠিক করে ফেলেছেন কোন চরিত্রটা আপনার পছন্দের। তাহলে এবার লক্ষ করুন। আর মিলিয়ে নিন আপনি আসলেই এমন কিনা –
১) আপনার যদি ‘মেয়ে’ চরিত্রটা ভালো লাগে । তবে আপনি “আবেগী”
২) আপনার যদি ‘মেয়ের বাবা’ চরিত্রটা ভালো লাগে। তবে আপনি “বিচারসম্মত (Rational)”
৩) আপনার যদি ‘বয়ফ্রেন্ড’ চরিত্রটা ভালো লাগে। তবে আপনি “বাস্তববাদী”
৪) আপনার যদি ‘সিংহ’ চরিত্রটা ভালো লাগে। তবে আপনি “দয়ালু”
৫) আপনার যদি ‘মাঝি’ চরিত্রটা ভালো লাগে। তবে আপনি “ধনতন্ত্রবাদ”
৬) আপনার যদি ‘ছোটবেলার বন্ধু’ চরিত্রটা ভাল লাগে। তবে আপনি “যৌক্তিক”
আজ এখানেই শেষ করলাম। 🙂
#১১
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আমি তাহলে “যৌক্তিক” 🙂
শুন্য শুন্যালয়
একটা গল্পে কি আর মানুষের পরিচয় মেলে? 🙂 মানুষ অনেক অদ্ভুত জীব, সময়ে বহুরূপী …
আমার মেয়ের বাবা চরিত্র টাই ভালো লেগেছে, 🙂
পুষ্পবতী
সিংহ চরিত্রটা ভালো লেগেছে ,তবে আমি দয়ালু কিনা জানিনা -{@
লীলাবতী
৬ নং -{@