ছাদ-উঁচু জানলার শার্সিতে চুম্বন শেষে
রোদের-ছায়ার হামাগুড়ি/লুটোপুটি অনেকটা জায়গা জুড়ে,
রোদ এসেছে ওপার থেকে এপারে, পাতাদের চিবুক ছুঁয়ে;
লুকোচুরির বেশে!
জানলা আগলে দাঁড়ায় বৃষ্টি, চোখ মটকায়,
সামান্য খেলা-ভাগ সে-ও চায়!
কে শোনে কার কথা, চলছে খেলা যথাতথা,
অকস্মাৎ কটমট শব্দ সহযোগে
শিলা-বৃষ্টি এসে দাঁড়ায়
ভাঙ্গবে এবার শার্সির মাথা,
এক লহমায়!
অনুজ্জ্বল ছায়া দীর্ণ বুকে উঠে আসে বারংবার
বলে, এটা তো আমাদের একান্তই আমাদের খেলা,
খেলার ছলে খেলা;
তবুও বলছ যখন, চল তলিয়ে যাই সবাই মিলে
অতলান্তের কোন তলে, ছায়া পথের ভিড়ে।
১৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
তবুও বলছ যখন, চল তলিয়ে যাই সবাই মিলে
অতলান্তের কোন তলে, ছায়া পথের ভিড়ে।
সব কিছু একত্রিত হয়ে আনন্দে মাতি। দারুন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দ আমাদের সবার হোক এটাই চাই।
তৌহিদ ইসলাম
এত সুন্দর কবিতা কি করে লেখেন ভাইয়া। অপুর্ব শব্দ বিন্যাস। শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কোন লেখাই না,
তবুও পড়ছেন সেটিই আনন্দের।
জিসান শা ইকরাম
শিলা বৃস্টিতে রোদ ছায়ার খেলা ভন্ডুল হবেই,
কি আর করা,
অসহায় আত্মসমর্পন।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে শুধুই আত্মসমর্পণ না, চরম প্রতিশোধের কথাও আছে।
মায়াবতী
তবু বলেছ যখন, চল তলিয়ে যাই সবাই মিলে
অতলান্তের কোন তলে … ছায়া পথের ভিড়ে… পৃথিবীর বুকে চিড়ে …..
কবি সাহেব কই থেকে আসে এই সব লাইন গুলো ! কবি হতে মুন চায় ক্যান ! ;?
ছাইরাছ হেলাল
পৃথিবীর বুক চিড়েই হয়ত সামান্য কিছু উঠে উঠে আসে,
আসতে চায়-ও, আসুক না!
তবে ম্যাম! কাকেরা সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভয় পায় না,
স্বাগত জানাচ্ছি আগাম!
রিতু জাহান
অতলান্তের ছায়া। রোদের এক খেলা। চমৎকার।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই খেলা, মরণ খেলাও বলতে পারেন,
জাহানজী/ রিতুজী;
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ প্রকৃতি যেনো নেচে উঠলো।
কোথায় গেলেন?
ছাইরাছ হেলাল
আইছে!!
এ নাচ নাচ না, মরণ নাচ!
যামু আর কোন চুলায়!
ভ্রমণ গাথা শুরু করে দিন দ্রুত,
বহু কিছু করছেন বুঝতে পারছি!
নীলাঞ্জনা নীলা
কিছুই লিখিনি। মাথার ভেতর কী যে চলতাছে! লিখতেই পারতাছি না। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, একটু ধাতস্থ হন, হবে, সব হবে,
আমরা তো পাশেই আছি/থাকিও।