কী ভালো লাগছে মাঝ ফাগুনের এই সুশীল রোদ্দুর। আজন্ম চেনা ঘর-বাড়ির দেয়ালগুলো যেন পিঠ পেতে আছে রোদের দিকটায়… পুরো একটা বছর পর, আমি আমার এলাকার গলিটা পেরুলাম! কি অদ্ভুত! যেন মনে হয় গতকাল সন্ধ্যায়ও এখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিয়েছি… এই যে শহীদ ফারুক সড়ক কতো আপন… আশৈশব বন্ধু আমার… যাত্রাবাড়ীর ধুলোও যেনো চেনা… কতদিন পর চোখ জুড়িয়ে দেখে নিচ্ছি সব… একটা সময় কাজে যাবার পথে কি কষ্টের ছিল পথের এই যানজট… অথচ আমি আজ আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি বর্ণিল রিকশাগুলো… নববধূর মতো তকতকে একটা টয়োটা থেকে দৃষ্টি সরাতেই ইচ্ছে করছিল না…দেখছি হাজার মানুষের মুখ… মাইক্রোর চালক কেনো জানি সুত্রাপুর, লক্ষ্মীবাজার হয়ে রাজ্যের পথ ঘুরে অবশেষে রায়সাহেব বাজারের দিকে এলো… এতে সহযাত্রীরা বিরক্ত হলেও ভালো লাগছিল আমার… তারপর, আমাদের কোর্ট… কতো চেনা মুখ… অনুশীলনে দেখা গেলো যে কোন কাজই সহজ হয়ে যায়… সিদ্ধান্ত ছিলো কিছুতেই আবেগকে মাথা চাড়া দিতে দেয়া যাবে না… তাকানোও যাবে না নিজের চেম্বারের দিকে… শেষ পর্যন্ত তাতে সফল হয়েছি প্রায় ৯৫ ভাগ… আজ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন, গতকালও ছিলো … ফোনে হাজারো জনকে বলেছি ভোট দিতে, যদি নিজেই দিতে না পারলাম, সকাল বেলাতে তাই গাড়ি, লোকজন আসতে একটু দেরি করায় হতাশ হয়ে পরেছিলাম … শেষটায় অনেক আয়োজনে ভোট দিয়ে এলাম… ভালো লাগলো… কতোটা ? কি করে বোঝাই… আমার বাসা থেকে কোর্ট কুড়ি/পঁচিশ মিনিটের পথ… এইটুকু পথেই প্রায় গোটা পঞ্চাশেক ছবি তুলেছি আমি মাইক্রো বাসের জানলা দিয়ে… কারো চোখে বিরক্তি দেখেছি… আমি দমিনি… সমস্যাটা যে আমার, ওরা তা বুঝবে কি করে! আজ এই আলোর সুখে অনুজ ও অগ্রজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি না … কেবল হৃদয়দিঘীর জল উপচে গেলো ওদের প্রতি ভালোবাসায় তা টের পাচ্ছি অন্তরে অনুক্ষণ…
৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
অভিনন্দন আপনাকে এখানে লেখার জন্য ।
বেশ নস্টালজিক হয়ে আছেন দেখছি ।
অগ্রজ ও অনুজকে বলে দিলেই ভাল হত ।
একজন কবি
ধন্যবাদ… @ ছাইরাছ হেলাল…
খসড়া
ভাল লাগলো। স্বাগতম ।
একজন কবি
ধন্যবাদ… @ ছাইরাছ হেলাল… @ খসড়া…
রিমি রুম্মান
ভালোলাগা রেখে গেলাম… শুভকামনা।
শুন্য শুন্যালয়
একজন কবিকে স্বাগতম সোনেলায়… ভালো লাগলো একান্ত অনুভুতি গুলো… -{@