ছাত্র -ধর্মঘট ঠিক কি!?
লাঠালাঠি ,হুড়োহুড়ি রক্তারক্তি করে অগ্নিতপ্ত প্রতিবাদী আন্দোলন
না
কলেজ চত্ত্বরে জোট বেঁধে হোক চুম্বন ,
হোক সঙ্গম ,হোক উলঙ্ঘন ,করে সামাজিক ,মানসিক পরিবেশ নষ্ট করে
মিডিয়ার সামনে মুখ দেখিয়ে বিকৃত
আনন্দের অধিকারী হয়ে প্রকৃত যোদ্ধা
মনে করা!
#
পাঁচ বছরের ছেলে মনে মনে হাসে বলে
দেখ পাগলের কান্ড !!!
ভাবে শিক্ষিতের আবার এত বড়াই কিসে!?
#
একলব্যের মত গুরুপ্রেম মিলবে কি ভাঙ্গা সমাজে!
আর বাল্মীকি, দ্রোণাচার্যের মত গুরু
শিষ্যকে প্রাণপ্রিয় সন্তানের মতই ভালোবাসে!
কোথায় সেই ব্রহ্মচর্য আশ্রম !!দৃঢ় গুরুপূজো মাথা নোয়ানো অন্তরের ভক্তি!
কৃষ্ণ সুদামা প্রেম ,সুতপুত্র কর্নের গুরুভক্তি !
দ্রোণাচার্যের অর্জুনপ্রীতি ,
বুড়ো আঙ্গুল কেটে গুরু কে গুরুদক্ষিণা!?
আছে কি সেই রামরাজ্য হনুমানের গভীর
রামভক্তি!?
বুকের পাঁজরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাম নামের তপ্ত উচ্চারণ !
#
বশিষ্ঠ ,বিশ্বশ্রবা মুনির শিষ্য ভক্তি,
তপোবনের নির্মল মধুর প্রকৃতির সংগে
সেই নিষ্পাপ শিক্ষা !
গুরুপত্নী কে মাতৃজ্ঞানে পূজো করত,
আর গুরু কে পিতৃজ্ঞানে পূজো করে পা ধুইয়ে দিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছিয়ে
এক অনাবিল পবিত্র শান্তি অনুভব করত!
#
কোকিলটা বর্ণপরিচয়ের পাতা মুচড়ে মুচড়ে খাচ্ছিল!
তুমি সেটা দেখতেই পেলে না/
কারণ তুমি মাদকীয় আন্দোলনের নেশার
ঘোরে উন্মাদ ছিলে!
যার ফলে ছোটো ভাই অনিমেষ প্রেসিডেন্সীতে ফেল করল!
#
তুমি কি জানো ঠিক কার কতটা ক্ষতি হল!
তিন ঘন্টা ট্রেনে ধাক্কা খেতে খেতে আসা
ছেলে মেয়েদের ঠিক কতখানি বিদ্যে
মাথায় ঢুকলো!
দলের ক্যাপ্টেন রা ঠিকঠাক থাকলেও
বাকিরা অনশনের কষ্ট ,চুম্বনের থুতুর ছিটে,
আর পুলিশের লাঠির গুঁতো র থার্ড ডিগ্রীর ফার্স্ট ডোজ পেয়ে বাড়ি ফেরে!??
#
ইতিহাস বইয়ের পাতাতে হোক কলরবের
রণদামামা তীক্ষ সুরে বাজতে থাকে
কখনো বাঘের নখের থাবার মত
আবার কখনো ঠান্ডা মাথার রাজনৈতিক লড়াই
সার্কাস শো এর মত দোষারোপ আর টুপি পরানোর খেলা!?
#
আমি ঠিক আন্দোলন করতে পারি না!?
বন্দে মাতরম ধ্বনিটা গুমরে গুমরে মরে গেছে!
বক্তৃতা র দোষারোপ ,মিডিয়ার হাত মাথা ঝঁাকুনি ,টেলিভিশনের পর্দায় মুখ দেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা , পুলিশের হাতের
লাঠি ঘোরানো দেখেই
আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়!?
আর সংগে থাকে রাস্তার কুকুরদের ঘেউ
ঘেউ চিৎকার!???
#
বুকে পাথর চাপা রেখে পাবলিক বাছুরের
গলা কাটার মতো কতদিন সমাজের গোমাংসের সাপ্লাই দেবে!???
মুখে কাপড় বঁাধা জঙ্গী দের
শাস্তি না দিয়ে খোলা মেক আপ করা মুখগুলিকে নরকের হাজার রকমের শাস্তি অনেক মঙ্গলদায়ক!?
কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনামের পূণ্যি ঘটে!
ব্রম্ভার সৃষ্টিতে অসুরদের বিনাশ ঘটিয়ে
ইশ্বরপুত্র যিশু প্রহ্লাদদের জন্ম ঘটতে পারে!!!!
===========
কোলকাতা
৭ সেপ্টেমবর ২০১৫
২০টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
গুরুপত্নী কে মাতৃজ্ঞানে পূজো করত,
আর গুরু কে পিতৃজ্ঞানে পূজো—- এমন আর নেই, এটি আর ফিরে আসবেনা।
আপনি অনেক সাহসী একজন কবি। আপনাকে অনেক সমালোচনার মুখে পরতে হতে পারে।
অরুণিমা
সেইদিন আর আসবেনা ফিরে।সমালোচনায় জর্জরিত আমি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কবিতার হাত তো বেশ শক্তিশালী।
অনেক কিছু না ফিরে আসলেও আমরা আশাবাদি হব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে।
অরুণিমা
আশির্বাদ করবেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
স্বপ্ন
এত বড় কবিতায় বক্তব্যের তীব্রতা কমেনি কোথাও। ভাল লেগেছে কবিতা।
অরুণিমা
চেষ্টা করেছি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।ধন্যবাদ স্বপ্ন -{@
অরুনি মায়া
যে দিন হারিয়েছে তা আর ফিরে আসবেনা।
হয় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে নয়তো সব জঞ্জাল পুড়ে গিয়ে নতুন সভ্যতার জন্ম নিবে।
একলাব্যিয়া বা আর্জুন রা বার বার পৃথিবীতে আসেনা,,,
অরুণিমা
আশায় আছি একদিন সব জঞ্জাল পুড়ে গিয়ে নতুন সভ্যতার জন্ম নেওয়ার।ধন্যবাদ দিদি।
জিসান শা ইকরাম
আপনার যত গুলো লেখা আমি পড়েছি
এই লেখাটি আপনার সেরা লেখা মনে হচ্ছে।
লিখুন নিয়মিত।
অরুণিমা
লেখবো,ধন্যবাদ দাদা।
ইমন
যুগের সাথে উদাহারণও পাল্টান কবি। একই সংগীত আর কতো :p
অরুণিমা
কিছু উদহারন পাল্টানো যায় না দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
নীতেশ বড়ুয়া
“‘Gabbar is Back’ ছবিটি দেখে ভেবেছিলাম আজকালের তথাকথিত আন্দোলন, প্রতিবাদ আর বিপ্লবের মুখে ছাই দিয়েছে এই ছবিটি। অন্যায়ভাবে, অন্যায় পথে শুদ্ধতার অভিযান করে আদতে যে আরো কিছু অশুদ্ধতার জন্ম হয় তা এই ছবিটিতেই পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে আর সেই সাথে যে পথই হোক না কেন তা যদি শুদ্ধতার অভিযানে অন্যায়ের পথ ও পদ্ধতিতে হয় তবে সেটাও অন্যায়।”
এতোগুলো কথা ছবিটির প্রচার বা মুগ্ধতায় নয় বরং সিনেমা নামের রুপালী জগতের ভাবনাও যে বাস্তবতার সাথে ও বর্তমানের মানুষের চিন্তা চেতনার সাথে এক তাই বলতে এতো কথা বলা।
দারুণ লিখেছেন। কবিতা তেমন বুঝি না আর ইদানীং কবিতা বিমুখতায় পেয়ে বসেছে বলেই আপনার এখানে পোস্ট করা কবিতাগুলো শুধু ‘পড়ে’ যাওয়া হয়েছে কিন্তু এই পোস্ট পড়ে মন্তব্য না করে পারলাম না।
আমাদের বর্তমানের প্রতিবাদ যে বাজারী ও প্রচারের লোভে এবং মোহের কারণে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে তাই একেবারে বুঝিয়ে দিলেন নানান উপমায় ও নানান চরিত্রের উপস্থাপনে। দারুণ…
আপনার ভাবনার জয় হোক, আমাদের প্রতিবাদ, বিপ্লবের ভাবনা মুক্ত হোক।
অরুণিমা
আমার লেখায় আপনার দেয়া এত বড় মন্তব্য আমার খুব বড় প্রাপ্তি দাদা।এভাবেই যেন লিখতে পারি।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক শক্তিশালী লেখা আপনার। এমন লেখা আমার কম্ম নয় কোনকালে 🙁
আপনার লেখাতেই রয়েছে সত্যদের ধর্মঘট। (y)
অরুণিমা
আপনার লেখা আমি পড়েছি শুন্যদি।আপনি খুবই ভালো লেখেন,ছোট ছোট লেখায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
লীলাবতী
এক কথায় অসাধারণ।
অরুণিমা
ধন্যবাদ লীলাদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
কালবেলায় এমন লেখা, এমন ভাবনার প্রয়োজন। আরোও প্রয়োজন প্রয়োগ করা। সমাজ বদল শ্লোগানে-পোষ্টারে, আন্দোলন তো যত্রতত্র চলছে।
প্রতিবাদ কেন, কি কারণে যদি জানতো সামাজিক মানুষ! নেংটো রাজনীতি চলছে সেই দ্বাপর থেকেই। বলি হচ্ছে কারা? দ্রোণ-অর্জুন-বাল্মিকী-কর্ণ-বশিষ্ঠ নামগুলোই চলছে, মহাভারত-রামায়ণ যুগের শেষ আজও হয়নি। রাম চাইনা, মেঘনাদ চাই। বিভীষণের চেয়ে ঢের ভালো রাবণ।
রাজনীতির যুপকাষ্ঠে বলি হচ্ছে শিক্ষা।
জানিনা কি লিখেছি। কবিতার সাথে যাচ্ছে কিনা, সে জানবেন কবি আপনি। দৃষ্টি তবু যদি খোলে, যদি আমাদের মনটা সত্যিকারের মানুষ হতো। অনেক অনেক ভালো লাগা প্রতিবাদী কবি। (y) -{@
অরুণিমা
আপনার মন্তব্য কবিতার সাথে গিয়েছে নীলাদি।এমন মন্তব্য মাথায় তুলে রাখি।আশির্বাদ করবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।