মিয়ান্বমারে জাতি নিধন চলছে আর বাংলাদেশ সেই জাতিকে আশ্রয় দিচ্ছে, সেখানে ফুটে উঠেছে মানবতা, মানুষ মানুষের প্রতি দ্বায়বধতার এক ফুটন্ত গোলাপ। আর বিশ্ব বেহায়া মোড়লরা প্রসংশার বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। এতে আমরা পুলকিতও।
কি দরকার এই প্রসংশার। এই জাতির জন্য প্রয়োজন তাঁদের নিজস্ব ভুখন্ডে বসবাস করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তা কি বিশ্ব বেহায়া মোড়লরা করার জন্য কোন উদ্যোগ নিচ্ছে , না তা নিচ্ছে না তাঁরা নিলজ্জ বেহায়া হয়ে দেখছে। আর সহায় সম্বল, ঘরবাড়ী ও সম্পদে ভরপুর থাকা মানুষ বিপন্ন মানুষ হয়ে পথে পথে ঘুরছে, মরছে গায়ে বল না থাকার জন্য। আজ তাঁরা দেশান্তরি হয়ে পথে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, না আছে খাবার, না আছে পরনের কাপড়, আর নায় মাথা গুছবার ঘর।তাই মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে তাঁর দৃঢ় কন্ঠে বলেছেন।
আমাদের মহাননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরে আমাদের ওপর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল; তেমনি মিয়ানমারের শাসকেরা রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি সেখানকার সেনাসদস্য ও সীমান্তরক্ষীদের ওপর একটি চক্রের হামলা তুলে ধরতে যেমন ভুলেননি; তেমনি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত আক্রমণের কথা দ্বিধাহীন চিত্তে, সাহসিকতার সঙ্গে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি, তাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। অবশ্যই মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের নিজ বাসভূমিতে ফেরত নিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষকে আমরা খাওয়াতে পারি; তার সঙ্গে ৫-৭ লাখ লোককে খাওয়াতে পারব। তিনি আরও বলেছেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিশ্ববিবেকের কাছে এ ইস্যুটি তিনি তুলে ধরবেন।
তাই এই নির্মম নির্যাতনকারী মিয়ানমার সরকারের উপর অর্থনৈতিক, বানিজ্যিকভাবে তাঁদের উপর অবরোধ জারি অতীব জরুরী। তাঁর জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কূটনীতি ও মানবিকতার এ ভারসাম্যের জয়ের অপেক্ষায় গোটা বাংলাদেশ।
তাঁর এই ভাষণ একটি মেইল ফলক বলে মনে করি। তিনি সাহসকতার সাথে তাঁদের পাশে আছেন। তাই বিশ্বনেতাদের প্রতি আবেদন সকল দেশের মানুষের থাকার ব্যাবপ্সথা করুন। তাঁরা যুগ যুগ ধর ঐ দেশের অধিবাসী। জরুরী ভিত্তিতে সেখানে জাতিসংঘের বাহীনি মোতায়েন জরুরী। তাই প্রশংসা রেখে তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন।
১৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
(y)
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইজান, সরকার প্রধান শক্ত মানবতার জন্য। তাঁর এই তুলনা গত সিরিয়াতে জারমান, ইতালী পারেনি।
ইঞ্জা
ঠিক বলেছেন ভাই
গাজী বুরহান
আমরা কি মিয়ানমার রাষ্ট্র থেকেও দুর্বল? ১৮ বার আকাশসীমা অতিক্রম করার পরও আমাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। উল্টো ওদের ৩ লাখ নাগরিক কে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। আর তারা তো এইটাই চাইছিল।
মোঃ মজিবর রহমান
বুরহান ভাই, আমাদের সরকার বিশ্ব মোড়লদের চোখে বিষ হয়েছে আমার মনে হয়। আবার সাজানো হয়েছে বাংলাদেশকে বিপথে ফেলার জন্যই।
নিতাই বাবু
তা তো হয়েছে দাদা। তবে এবার বিশ্বকে দেখতে হবে।
মৌনতা রিতু
একদম ঠিক কথা ভাই। প্রধানমন্ত্রির এই ভাষনটি খুবই ভাল লেগেছে আমার। দেখা যাক কি হয় পরে।
তবে সবারই নিরাপত্তা চাই।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ সবার নিরাপদ আবাসন চাই।
জিসান শা ইকরাম
চরম চক্রান্তের মাঝে পরেছি আমরা, আমাদের দেশ।
” নির্মম নির্যাতনকারী মিয়ানমার সরকারের উপর অর্থনৈতিক, বানিজ্যিকভাবে তাঁদের উপর অবরোধ জারি অতীব জরুরী।” – একমত ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ ভাইজান, আন্তর্জাতিক চরম চক্ওরান্তও আমাদের দেশকে ঘিরে ধরেছে আমাদের কুনঈতিক বৃন্দ এর সমাধানে অগ্রনী ভুমিকা রাখতে পারে। চীন ভারত দুই প্রতিবেশি আরও চাপে রাখছে আমাদের। কাউকে ছাড়তেও পারা যাবেনা আবার কাজেও লাগাতে হবে কূটনৈতিক কৈশলে।
আল্লাহ আমাদের এই সব চক্রান্তও থেকে মুক্তির পুথ দেখাবেন ইন শাল্লাহ।
রেজওয়ান
সুন্দর বলেছেন ভাই।
কিন্তু এই সমস্যা অতি দ্রুত সমাধান না হলে আমরে অথৈ জ্বলে পরে যাব 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ আমাদের সমস্যার শেষ নেই, মাঝে এই মারাত্বক সমস্যা কি হইবে জানিনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লিখেছেন মজিবর ভাই। এই সমস্যার সমাধান কী হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায়।
মোঃ মজিবর রহমান
সমাধান আমাদের বোঝা বইতেও হবে। কম বেশি।