ভারতকে অতিক্রম করবে বাংলাদেশ। এরকম প্রত্যয়ে আসন্ন বিজয় দিবসে পাক বাহিনীর আত্মসর্পণের সময়টাতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
শুক্রবার ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘বিজয়-২০১৩’ উৎযাপন জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ৪টা ৩১ মিনিটে আত্মসর্পণ করেছিলো।
এক সঙ্গে গান গাওয়ার বর্তমান বিশ্ব রেকর্ডটি ভারতের দখলে। গত বছর ১ লাখ ২১ হাজার মানুষ সমবেত কণ্ঠে গান গেয়ে গিনেস বুকে নাম উঠায় ভারত। তাই এবার বাংলাদেশের বিজয় দিবসে তিন লাখ লোক সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে ভারতের রেকর্ডটি ভাঙতে চায় গণজাগরণ মঞ্চ।
প্রস্তুতি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজয় দিবস উৎযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এ কে খন্দকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত, সাংবাদিক আবেদ খান, সংগীত শিল্পী মোস্তফা জব্বার, মাহবুবু জামান, ইমরান এইচ সরকারসহ মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।
সমবেত কণ্ঠে সংগীত পরিবেশনের জায়গা হিসেবে পছন্দ করা হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, তৎসংলগ্ন মাঠ ও মানিক মিয়া এভিনিউ। ইতিমধ্যে তারা সেখানের পরিসংখ্যান চালিয়ে দেখেছেন, তিন লাখের বেশি মানুষ সেখানে এক সঙ্গে অবস্থান করে সংগীত পরিবেশ করতে পারবে। এছাড়াও নিরাপত্তার বিষয়টি থাকবে সুনিশ্চিত।
ইতিমধ্যে সেখানে বিজয় দিবস উৎযাপনের লক্ষ্যে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় ১০০১ সদস্য নিয়ে উপদেষ্টা ও ১০০১ সদস্য নিয়ে জাতীয় কমিটিরও ঘোষণা দেয়া হয়। উভয় কমিটির প্রধান করা হয় মুক্তিযুদ্ধের উপকমান্ডার এ কে খন্দকারকে। মূলত জাতীয় কমিটি করা হবে তরুণদের নিয়ে। সেই কমিটির উপদেষ্টা ও আহ্বায়ক করা হয়েছে আবুল বারাকাতকে।
এছাড়াও ১৪টি টিমে কার্যক্রমকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক টিমে একজন উপদেষ্টা ও সদস্য সচিব থাকবে। ৬৪টি জেলা থেকে একজন করে উপদেষ্টাও জাতীয় কমিটিতে রাখা হবে।
আলোচনা সভায় জানানো হয়, ঢাকা ছাড়া দেশের ৭টি বিভাগীয় শহর ও দেশের বাইরে ৩০টি শহরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের অনেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অলোচনা সভার শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নীরবতা পালন করা হয়।
সোনেলার সকল দেশপ্রেমিক বন্ধুদের আমন্ত্রণ মানিক মিয়া এভিনিউ প্রাঙ্গনে।
তারিখঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ইং।
সময়ঃ বিকাল ৪টা ৩১ মিনিট।।
আসুন সবাই একসাথে গেয়ে উঠি – বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা”:
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে–
(মরি হায়, হায় রে)
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা খেতে,
(আমি) কি দেখেছি মধুর হাসি।।
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো–
কী আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।।
মা তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো–
(মরি হায়, হায় রে)
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়ন জলে ভাসি।।
পোষ্ট কার্টেসিঃ বাংলাদেশ প্রেস
৪৮টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
সাবাশ বাঙ্গালী দেখিয়ে দাও বিশ্বকে আমরাও কম কি সে (y)
নীলকন্ঠ জয়
বাঙ্গালী এবার দেখিয়ে দিবেই।। (y)
বনলতা সেন
সুন্দর উদ্যোগ অবশ্যই ।
যদিও যেতে পারব না ।
নীলকন্ঠ জয়
না যেতে পারলেও একই সময়ে গলা মিলাবেন জাতির কন্ঠস্বর হয়ে যেখানেই থাকুন না কেনো।। ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
ইনশ আল্লাহ আমরা পরবো
আমরা গাইব
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
নীলকন্ঠ জয়
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি। -{@
হতভাগ্য কবি
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো–
কী আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।।
মা তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো–
(মরি হায়, হায় রে)
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়ন জলে ভাসি।। (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3 (3
নীলকন্ঠ জয়
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি। (3
ছাইরাছ হেলাল
যেতে না পারলেও সাফল্য কামনা করছি ।
নীলকন্ঠ জয়
যেখানেই থাকুন, একই সময়ে একই সাথে গলা মেলাবেন। -{@
রাতুল
আশা করছি … এই উদ্যোগ সফল হবে। আমরা পারবো 🙂
নীলকন্ঠ জয়
ইয়েস !! আমরা পারবোই।।
স্বপ্ন
অবশ্যই গাইব আমাদের প্রানের জাতীয় সঙ্গীত ।
নীলকন্ঠ জয়
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি। (y)
শুন্য শুন্যালয়
শুনেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে ..
ইশ যদি থাকতে পারতাম 🙁
নীলকন্ঠ জয়
অবশ্যয়ই থাকবেন। যে প্রান্তেই থাকুন না কেনো, কন্ঠ মেলাবেন একসাথে।।
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
আদিব আদ্নান
অবশ্যই সফল হবে এ শুভ উদ্যোগ ।
নীলকন্ঠ জয়
এদেশে কোটি কোটি দেশপ্রেমিক তারুণ্য আছে যেহেতু সেহেতু সফল হতেই হবে।।
তন্দ্রা
দেখা হবে বন্ধু
সংসদ প্লাজায়,
বিশ্বের মানচিত্রে দাড়িয়ে
থাকা বাংলাদেশকে আবার
নতুন করে চিনবে বিশ্ব।
আমার অনুরধ দেশের যতগুলো
চ্যানেল আছে সব গুলো এক সঙ্গে
সরাসরি সম্প্রচার করুক,
এবং দেশের বড় জেলা গুলতে বড় পর্দায় দেখানর ব্যাবস্থা করা হোক।
নীলকন্ঠ জয়
(y) হ্যা নিশ্চয়ই সকল চ্যানেল একযোগে প্রচার করবে।। দেখা হবে …
আমার মন
এই টিমে কাজ করতে চাইলে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে? জানেন নাকি?
নীলকন্ঠ জয়
দুঃখিত আমার জানা নেই। তবে জানার চেষ্টা করবো। জানলে অবশ্যয়ই জানাবো। 🙂 তার আগে চলে আসুন সমবেত জমায়েতে। এটাইতো অনেক বড় কাজ হবে তাই না? -{@
নীলকন্ঠ জয়
শাহাবাগ মিডিয়া সেলে সরাসরি যোগাযোগ করুন। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে।।
রিমি রুম্মান
ভাবতেই ভাল লাগছে…সশরীরে থাকতে না পারার হাহাকার হৃদয় গহীনে.. .
নীলকন্ঠ জয়
রিমি আপু দুঃখ ভুলে একই সময়ে গেয়ে উঠবেন যেখানেই থাকুন।।
খসড়া
ভাল উদ্যোগ।
নীলকন্ঠ জয়
-{@ থাকবেনতো?
তাপসকিরণ রায়
এটা একটা মহান উদ্যোগ সন্দেহ নেই–পূর্ণতয়া এর সফলতা কামনা করি–ব্যাপাটা হানাহানি দলাদলির বাইরের এক সফল প্রয়াস–ভবিষ্যতের একতার প্রতীক হয়ে থাকবে আশা করি।
নীলকন্ঠ জয়
দাদা এমন প্রত্যাশা হোক সবার। শুভেচ্ছা।। -{@
শিশির কনা
আমিও গাইব ।
নীলকন্ঠ জয়
আপনি,আমি, সবাই গাইবো একসুরে।
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি ।।
লীলাবতী
সাথে আছি । আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি (3
নীলকন্ঠ জয়
ধন্যবাদ।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ।। -{@
মেহেদী হাসান
সাথেই আছি
নীলকন্ঠ জয়
🙂 ধন্যবাদ ।।
তার ছেঁড়া
ভাল উদ্দ্যোগ !
আমার সোনার বাংলা
আমাই তোমায় ভালবাসি ।
আমি আমার দেশকে ভালবাসি , অনেক ভালবাসি ।
নীলকন্ঠ জয়
ভালোবাসা মুগ্ধ চোখে বিশ্ব দেখুক। -{@
তন্দ্রা
অংশগ্রহণ করব একথা সবাই এক বাক্যে বলেনা, কেন?
নীলকন্ঠ জয়
শুরুটা করার অপেক্ষায় ছিলো। এখন সবাই বলবে।
অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
নীলকন্ঠ জয়
-{@
এই মেঘ এই রোদ্দুর
ভাল
নীলকন্ঠ জয়
-{@ -{@
ব্লগার সজীব
আমিও গাইব , আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ।
নীলকন্ঠ জয়
-{@ (y)
যাযাবর
ইনশ আল্লাহ আমরা পারবো ।
নীলকন্ঠ জয়
(y) -{@
নীলকন্ঠ জয়
নোটিশঃ
জাতীয় সংগীতে রেকর্ড গড়ার প্রোগ্রামে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে ।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজার পরিবর্তে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। সময় অপরিবর্তিত।
আগামিকাল ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ , বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে ।
এছাড়া সকাল ১১টা থেকে পতাকা তলে বাংলাদেশ রেকর্ডের লক্ষে আমন্ত্রণ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড (পুরাতন বিমান বন্দর,ঢাকা)।
সবাইকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ রইলো।