পৃথিবীতে গন্ধেরও যে কত রকমফের আছে! খাবার দোকানের পাশ দিয়া গেলে মন ভালো করা খিদে জাগানিয়া খাবারের গন্ধ, ফুলের দোকানের পাশ দিয়ে হাঁটলে পাই বিবিধ ফুলের মিষ্টি ককটেল গন্ধ, স্টেশনারি দোকানে ঢুকলে সাবান স্যম্পুর মিশ্রিত ঝাঁঝাল গন্ধ! মসলার দোকানে গেলেই কেমন যেন উপটান উপটান গন্ধ! ফরমালিনের কল্যানে আজকাল আর ফলের দোকানের পাশ দিয়ে গেলে কোন গন্ধে মন উতালা হয়না!!! পারফিউমের দোকানে গেলে হঠাত্ দমকা হাওয়ার মত হুড়মুড় করে হাজির হয় অতীতের কোন এক সময়ের অসম্ভব ভালো কাটানো সময়ের গন্ধ!
লোকাল বাসে উঠলে আঁতর, ট্যালকাম পাউডার আর ঘামে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া অদ্ভুত ধরনের এক মাথা ধরা গন্ধ!
গন্ধ নিয়ে লিখতে গিয়ে মনে পড়ল নাটোর শহরে ঢুকতেই চিনিকলের উত্কট গন্ধ জানান দেয় গন্তব্যে পৌঁছার খবর, বাস থেখে নেমে রিক্সা নিয়ে একটু এগোলেই আখের গুড়ের গন্ধ! আরেকটু এগোলে গরু ছাগলের চামড়ার বিকট বিভত্স গন্ধ!
অনেকদিন পর ছুটিতে বাড়ীতে এলে মায়ের বুকে মুখ গুজলেই পাই তেল হলুদ লবন মেশানো এক আটপৌড়ে কিন্তু ভিষণ মায়াবি মা মা গন্ধ!
১৯টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
ভিষণ মায়াবি মা মা গন্ধ! -{@ (y)
মিসু
এর তুলনা নেই ।
খসড়া
মা মা গন্ধ খুবই প্রিয়। প্রতিটি মানুষের গায়ের গন্ধ কিন্তু আলাদা। বিভিন্ন জিনিস ব্যাবহারে ও অভ্যাসে একেই গন্ধ পাওয়া গেলেও প্রতিটি মানুঢ আলাদা গন্ধের অধিকারি। প্রিয়জনের গায়ের গন্ধ প্রিয়জনই চেনে।
মিসু
গন্ধ দিয়ে যায় চেনা 🙂
লীলাবতী
অনেক দিন পরে দেখলাম মিসু আপুকে । গন্ধ নিয়ে কত ভালো একটি পোষ্ট দিলেন ।
মিসু
যে পেশায় আছি , সময় পাইনা তেমন ।
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর মিসুর লেখার গন্ধ পেয়ে অনেক ভালো লাগল ।
মিসু
যত দিন যাচ্ছে ততই সময় সংকট দেখা দিচ্ছে ।
জিসান শা ইকরাম
দেখার প্রসারিত চোখকে অভিনন্দন।
প্তিটি দেশের গন্ধও আলাদা আলাদা।
মা এর গন্ধের তুলনা নেই।
লেখা ভালো হইছে ।
মিসু
গন্ধ দিয়ে যায় চেনা ।
সিনথিয়া খোন্দকার
গন্ধ দিয়ে কাউকে চেনা, কোনও জায়গা চেনা, কোনও ফেলে আসা সময়কে হুট করে চিনে ফেলা- এই ব্যাপারগুলো খুব অদ্ভুত। আর মায়ের কোলে যেই গন্ধ তা অনেক বছর পরে মায়ের থেকে অনেক দূরে গেলেও একটা নির্ভরতার অনুভূতি তৈরি করে।
সুন্দর লাগলো গন্ধ নিয়ে এমন বিশ্লেষন। (y)
মিসু
ধন্যবাদ আপু আপনাকে । আপনার এই মন্তব্যও আমার লেখার একটি অংশ হয়ে গেলো ।
বনলতা সেন
মায়ের তুলনা হয় না । শুধু গন্ধ কেন ! সব কিছুই ।
তারপর ও অন্য কোথাও অন্য কোন দেশ কাল পাত্র অথবা অন্য কোন জীবনের কাছেও
মুখ গুজে গন্ধ পেতে চাই , না পেলেও ।
উত্তর দিচ্ছেন না কেন ?
মিসু
খুব ভালো করে গুছিয়ে বললেন । আমি এমন গুছিয়ে বলতে পারিনা ।
সঞ্জয় কুমার
কিছু কিছু গন্ধ অতীতের গল্পমাখা । লেখার মধ্যে মমতার গন্ধ পাচ্ছি
মিসু
আপনার মন্তব্যের মাঝেও আন্তরিকতা পাচ্ছি ।
শুন্য শুন্যালয়
লালা, দুধ শুকিয়ে যাওয়া শিশুর গায়ের গন্ধ, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গন্ধ।
খুব ভালো লাগলো।
মিসু
আপনি দেখি গন্ধকে অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছেন আপু ।
শিশির কনা
মিসু আপু কেমন আছেন? আপনি এমন আলাদা বিষয় নিয়ে লেখা লিখেন প্রায়ই। ভালো লাগে খুব।