রাত প্রায় দশটা। ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে ব্যস্ত এক ফ্লাইওভারে রেলিং এ হেলান দিয়ে। তীব্র গতিতে গাড়িগুলো হুস-হাস ছুটে যাচ্ছে তার গায়ে বাতাসের ঝাপটা দিয়ে।
প্রতিবার ছুটে চলা গাড়ির বাতাসের ঝাপটা লাগে, আর তার লোভ হয়। লোভ হয় কোনো একটা ছুটন্ত যন্ত্রদানবের সামনে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যেতে। ইচ্ছে হয় ব্রেক চেপে ধরে চালকের প্রানপন কসরত দেখতে। তারপর তাকে চাপা দেয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে চালকের মুখে ফুটে ওঠা অসহায় যন্ত্রনা বা আতঙ্ক কিংবা নির্বিকার ভাবটা হাসি মুখে দেখতে।
পা বাড়াতে গিয়েও পা টেনে নেয় সে। তার এখন কোনো একটা রেললাইনের পাশে যেতে হবে। সেখানেও হয়তোবা সে পা বাড়াতে গিয়েও পা টেনে নেবে। সে হাঁটতে থাকে রেল লাইনের খোঁজে, আর ভাবতে থাকে, কেন বাড়াইনি পা!
তার মনে হয়, দিতে চেয়েও দিতে না পারার যন্ত্রনাটা তার পা সামনে বাড়ায়। কিন্তু না দিতে পারা সেই ভালবাসা কোনও একদিন দিতে পারার আশাই আবার সে পা কে পেছনে টেনে নেয়।
সে হাঁটতে থাকে, আর ভাবতে থাকে, কোনও একদিন যদি আশাটা হেরে যায় যন্ত্রনার কাছে!? তবে সেদিনই কি দেখা মিলবে অজানা গন্তব্যের!?
১০টি মন্তব্য
মিথুন
কি ভয়ঙ্কর লেখা আর ভাবনা 😮
লেখার জন্য এ প্লাস আর ভাবনার জন্য এ মাইনাস.
বোকা মানুষ
🙂
নীলকন্ঠ জয়
বোকা মানুষ কি ভয়ঙ্কর নেশা চেপেছে আপনার? ভয়ঙ্কর সুন্দরের নেশা আছে বলতে হয় আপনার। সুন্দর একটি লেখায় অনেক ভালো লাগা। -{@
বোকা মানুষ
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
এ দেখছি আত্মঘাতী প্রবণতা ।
তবে লেখাটি সুন্দর ।
বোকা মানুষ
ধন্যবাদ ছাইরাছ 🙂
জিসান শা ইকরাম
লেখার ভিন্নতা দেখে মুগ্ধ হলাম ।
ভালো লিখেছেন ভাই ।
বোকা মানুষ
জিসান ভাই, ধন্যবাদ
খসড়া
আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এক অস্থির মানসিক সময় কে। কেউ কেউ এটাকে ভাবে তার অপরিহার্য জীবন পরিনতি , কেউ নেয় এ্যমেচার হিসাবে, কেউবা মজা করে যে যেভাবেই নিক এটা মনবৈকল্য ব্যাতিত আর কিছু নয়। খুব ভাল লাগলো লেখাটা।
বোকা মানুষ
সুন্দর বিশ্লষণের জন্য ধন্যবাদ