অবস্থানের চূড়ান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় ,
এখনোও অতলেই পড়ে আছে ।
এ কি গন্তব্য , নাকি পথ চলা !
শুরু নাকি শেষ !
আচ্ছা ভোরের যাত্রায় চোখে দুপুর লাগে কেন ?
ওখানে তো ঘুম ঘুম স্বপ্ন থাকার কথা !
স্বপ্ন-ঘুমে কারুর কাছে কি তপ্তবেলা আসে ?
অবাক হতে হয় ,
যতোটুকু সময় দী্র্ঘ হচ্ছে ,
ততোই যেনো সারাটি মুখ জুড়ে ছোট ছোট ব্রণ ।
কুৎসিত রূপ মেনে নেয়া যায়—
কিন্তু বড়ো ভয়ঙ্কর মুখের দিকে চোখ রাখার মতো শাস্তি আর কিছুতে নেই
থেমে থেমে কোথায় যাচ্ছে আধবেলার জীবন !
কোন মরিচীকার পেছনে ছুটে চলছে !
নির্লজ্জ্বের মতো সকাল-দুপুর কাটিয়ে দিয়ে ,
অস্তাচলের একটু আগের গোধূলীকে জড়িয়ে গন্তব্য কি পেয়ে গেলো পাখী ?
নাকি শূণ্যতার কাছেই আবার ডানা মেলা ?
সেটা জানে পাখীর আগামী ভোর ।
**জীবনের অনেক গভীর থেকে কথাগুলো উঠে এসেছে । সেই যে আমাদের জন্ম হলো , এক অন্ধকার (মায়ের গর্ভ তো অন্ধকার) থেকে আরেক অন্ধকারের পথে ছুটে চলছি আমরা…এরই মধ্যে কতো পাওয়া , কতো হারানো , কতো স্বপ্ন , কতো স্বপ্ন-ভঙ্গ ! আসলেই কি আমাদের কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য আছে ? থেমে যাওয়া মানে যদি গন্তব্য হয় , তাহলে মৃত্যু কি একরকম গন্তব্য ? মনে হয়না…কারণ আমরা সবাই পরের ভোরের অপেক্ষায় থাকি , বেঁচে থাকাটাই আমাদের একমাত্র গন্তব্য…**
হ্যামিল্টন , কানাডা
৭ সেপ্টেম্বর , ২০১৩ ইং ।
২০টি মন্তব্য
তওসীফ সাদাত
সেভাবে বলতে গেলে আসলে বলা চলে, জীবনের গন্তব্য বলতে কিছু নেই। জীবন একবার শুরু হয়, এর শেষ নেই। মৃত্যুর পর কি হয়, সেটা আমরা জানিনা। মৃত্যু পর্যন্ত তো ছুটতে থাকি আমরা, অবিরাম। মৃত্যু কে কি শেষ বলা যায় ? যেহেতু জানিনা, মৃত্যুর পর কি হয়, সেহেতু মৃত্যু কে কি শেষ বলতে পারি ?
নীলাঞ্জনা নীলা
“শেষ হইয়াও হইলো না শেষ” বলা যায়…
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে বাস্তব কিন্তু কঠিন এক জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়ে গেলাম ।
মৃত্যুহীন এক জীবনের স্বপ্ন দেখি।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে তো এ কথা বলা যায়… “মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান…”
আদিব আদ্নান
আপনাকে হতাশ দেখলে ভালো লাগে না ।
আমাদের ভুলে থাকেন কী করে ?
নীলাঞ্জনা নীলা
এই হলো কপাল আমার…আমি রাগ করলে বন্ধুরা বলে তোকে মানায় না…আবার হাসি ছাড়া একটু থাকলে বলে তোর চেহারা কি জঘণ্য ! আমার অবস্থা বড়োই করুণ ! ;(
ভুলবো কি করে ? মস্তিষ্কের ভেতরে যে ঘিলু আছে ওটা বড়ো তরতাজা… 😀
খসড়া
খুব ভাল লাগলো। আনমনা করা কবিতা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনমনা মন
চুপ থাকে সারাক্ষণ
কি ভাবে যে কখন ?
জীবনে তাই এতো অণুরণন… চেষ্টা করলাম গান লিখতে…কিন্তু ফেইল… 🙁
এই মেঘ এই রোদ্দুর
চমৎকার কবিতা…….অনেক ভাল লাগা রইল
নীলাঞ্জনা নীলা
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর রোদ্দুরের চিঠি…কতো মন ভালো করা গান হয়ে যেতো…তাই না ? 🙂
জিসান শা ইকরাম
অসাধারন কবিতা
কিছু প্রস্নের জবাব আসলে হয়না ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক ঠিক ঠিক…এই যেমন জিসান শা ইকরামের নাত্নীটা অতো শয়তান কেন ? 😀 আর নানাটাও সুবিধার না , খালি শয়তানী করার সুযোগ দেয়…
বনলতা সেন
এত কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চাই না ।
এত দিন পর ?
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্যস্ততা বড়ো জ্বালায়…কি যে মরণ প্রবাসে সেবিকা হওয়া… 🙁 তবে রোগীর মুখে হাসি দেখলে প্রাণটা \|/ ওঠে
সীমান্ত উন্মাদ
চমৎকার কাব্য কথায় অনেক ভালোলাগা। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকা হোক প্রতিক্ষণ… 🙂
প্রিন্স মাহমুদ
আহারে! কি দারুন লেখা !! শুভকামনা
নীলাঞ্জনা নীলা
দারুণ মন্তব্য আপনারও…ধন্যবাদ 🙂
আফ্রি আয়েশা
অসাধারন লেখা
নীলাঞ্জনা নীলা
অশেষ ধন্যবাদ… -{@