দস্তার থালায় ক্ষুদ – চালের ভাত,লবন
আর ডয়রা কলার বীজ ছাড়িয়ে,ভাতের
দলা পাকিয়ে হাঁসের মতো গিলে নিচ্ছে,
মাঝে মধ্যে গলায় আটকালে জল ছাইছে,
গামছা গায়ে যে মেয়েটি এক গাল হাসি
নিয়ে বলবে ,এই হেবলা,কেমন খেলি
বল?ভালো লাগেনি তাই না?আমারগা
বাড়িতে পোলাও হয় না!এই মেয়েটির
নাম গঙ্গোত্রী! সবাই ওকে গঙ্গা বলে ডাকি!
পোড়া উনুনের কলঙ্ক কালি কেখে,
কাজল পরে,খোপায় বেলা ফুল এঁটে,
ভাঙা জানালার ফাঁক দিয়ে বলবে,
এই গুছিয়ে নে কলে যাবি আমার সঙ্গে!
কতদূর ,ঐ পাড়ায়, ঈশ্বরী যেখানে থাকে!
তোর মাটির কলসি নিতে হবে না!
ভেঙে ফেলবি!
তুলসি পাতার পায়ে হাঁটতে হাঁটতে
বলবে,তোরা নাকি অনেক ভদ্রলোক
দিনের আলোয় অনেক লেখাপড়া করিস!
দেখি তোর চশমা,চোখ তা একটু পুরি!
বন্ধু মানে কি?দিন রাত!কেন?
রাতের কাছে দিনের পরণ লাগে না!
জল ভর্তি কলসি নিয়ে,এই গোমড়া মুখো
কাঁধে তোল!তুলতে গিয়ে ঘর-কুনো যুবকের
হাত ফসকায়, জলের ধারায় লবন,কাঁদা
আজ ও দিন-রাত গঙ্গা বুকে বয়ে যায়!
@ বাড়ি,
তারিখ-২৫/০৪/১৩
সময়-৬ঃ২২ সন্ধ্যা
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
অনেক সুন্দর কবিতা ।
বনলতা সেন
ভালো লেগেছে খুব।
যাযাবর
কবিতায় প্লাস
শিশির কনা
সুন্দর