খুটি নিয়ে খুঁটিনাটি
বর্তমানে সবই চলছে খুটির জোরে ।
কেমন ? যেমন
আপনার কথাই ধরুন এখন যে চেয়ার টাতে বা বেডে শুয়ে এই লেখাটা পড়ছেন সেটাও খুঁটির জোরে দাঁড়িয়ে আছে মানে এটাও খুঁটির উপর নির্ভরশীল । চেয়ারের চার পায়া)
আপনি এখন যদি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান আপনিও দুই খুঁটি মানে পায়ের উপর নির্ভরশীল হবেন ।
এবারে আসুন ছোট থেকেই শুরু করি
স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন অনেক ঝামেলা । কিন্তু যদি আপনার একটা শক্ত খুঁটি থাকে (মামা চাচা অথবা নেতা বড় ভাই) তাহলে আর কোন চিন্তা নেই ।
পড়া শেষ চাকুরী দরকার, সমস্যা নেই । এখানেও আছে খুঁটির ক্যারামতি । ইন্টারভিউ ফিটনেস স্মাটনেস কিছুই লাগবে না । দরকার শুধু শক্ত একটা খুঁটি । (বেশী হলেও সমস্যা নেই) অন্তত একটা অবশ্যই লাগবে ।
চাকুরী তো পেলেন এবার ট্রান্সফার আটকাতে হবে । চিন্তা করে লাভ নেই সঠিক স্থানে আসল খুঁটি ধরতে পারলে আপনি এ যাত্রায় রক্ষা পাবেন ।
এবার আপনার বয়স শেষ । মোটা টাকার পেনশন আর সারাজীবন সরকারি চাকুরি করে মানুষকে অনেক সাহায্য করেছেন । তারা খুশি হয়ে বিভিন্ন সময় আপনাকে অনেক ভালবাসা দিয়েছেন সেটাও টাকার অংকে কম নয় । সব মিলিয়ে হাতে বেশ কিছু নগদ অর্থ জমা হয়েছে । আপনি ভাবলেন শেষ বয়সে অন্তত নিজে একটা বাড়ি তৈরি করি । ইঞ্জিনিয়ারের কাছে গেলেন সেখানেও খুঁটির কারবার । ড্রয়িং দেখলেন বিশাল আলিশান বাড়িটা কয়েকটা খুটির উপর (কলাম) দাঁড়িয়ে আছে । হায় খুঁটির একি কেরামতি ।
এরপর বাড়ি বানালেন আরও বৃদ্ধ হলেন শেষে মারা গেলেন ।
খুঁটির খেল এখনো শেষ হয়নি ।
মরার পর চার খুঁটির খাটিয়ায় আপনাকে কবর স্থানে নেয়া হবে ।
খুঁটির আগায় কোদাল সেট করে মাটি কাটা হবে । এর পর চির নিদ্রায় শায়ীত ।
হিন্দু হলে চাঁর খুঁটির উপর চিতা সাজিয়ে শেষকৃত্য সমাপন ।
খ্রীস্টান হলে আপনার সমাধির উপর ক্রুশ চিহ্নিত খুঁটি স্থাপন করা হবে ।
জীবনটা খুঁটিময় ।
৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
বাহ !
এমন ভাবে ভেবে দেখিনি কখনো ।
ভালো পোষ্ট ।
জীবনটাই খুটিময় ।
সঞ্জয় কুমার
সবই তাঁর ইচ্ছা । ধন্যবাদ ।
ব্লগার সজীব
গুড পোষ্ট । (y)