ইতিহাস বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত গল্পের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লেখনী যার হাতে সেই মূল চরিত্র। আর লেখনী তার হাতেই থাকে যে বিজয়ী। তা না হলে শেষমেশ রাবনই হতো দেবতা। দেবতার হিংসা দ্বেষ ক্রোধ ঘৃণা দম্ভ সবই বীরত্বের প্রতীক। আর বিপরীতে পরাজিতের গৌরব তার পতনের মূল কারন হিসেবে চিহ্নিত।
সিনেমায় খল নায়কের রক্তপাতে দর্শকের হর্ষধ্বনিই রচয়িতার সার্থকতা। খল নায়ক আদ্যোপান্ত “খল নায়ক”।
যখন লোকের ঘৃণা কুড়িয়ে জীবিকা চালানো লোকটি একাকী তার ঘরে ভীষন নিরীহ ভঙ্গিতে আহার শেষে থালা থেকে ডালটি চুমুক দিয়ে খায়, তখনো সে আয়েশী ভঙ্গীতে রিমোটের বোতাম টেপা দর্শকটির ভীষন ঘৃণার পাত্র। “নায়ক” হবার জন্মগত ব্যার্থতাই তাকে প্রতিনিয়ত পরাজিত করে চলে তিন ঘন্টার প্রেম-পুজারী ভদ্র সমাজের কাছে।
৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
সবাই চাইলেই নায়ক হতে পারে না , যেমন পারেনা ভিলেন হতেও।
ইতিহাসের ভার বিজয়ীদের হাতেই থাকে।
ব্লগার সজীব
এমনই হয়ে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। সত্য বলেছেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বাহ!চমৎকার বর্ননায় জীবনের গল্প
জিসান শা ইকরাম
ইতিহাসটাই এমন ।
নিকট অতীতে জিয়া হত্যা দিয়ে অভ্যুথ্যান সাথে সাথে সফল হলে, বিএনপির নাম ভুলে যেতো মানুষ।
তারপরেও বুদ্ধিমান এবং চিন্তাশীল মানুষ কিন্তু সঠিক ইতিহাসটা মনে রাখে
সঠিক ইতিহাস খুঁজে বেড়ায়।
মোঃ মজিবর রহমান
কয় লাইনে অনেক কিছু জিবনের।
সুন্দর।
কৃন্তনিকা
আমার ইতিহাস ও পুরান এর বেশ কিছু খলনায়কের প্রতি বরাবরই দুর্বলতা।
মহাভারতের কর্ণ ও দুর্যোধন(যদিও দুর্যোধন আসলেই দুরাচার), রামায়ণে মেঘনাদ(ইন্দ্রজিত), ইলিয়াডের হেক্টর, প্রতিটি চরিত্রের জন্যই আমি অনুভব করি। কিন্তু তাঁরা খলনায়ক…
আপনার লেখা বেশ মনে ধরেছে… (y)
মেহেরী তাজ
অনেক কঠিন একটা লেখাতে মন্তব্য করার সিধান্ত নিয়েছি।
আমার খল নায়ক দের ও বেশ লাগে। কারন আমি মনে করি অভিনয় টা তো একটা শিল্প। এখানে মিউজিকের সাথে দুচারটা নাচের স্টেপ তোলা নায়কের জন্য যেমন কঠিন তেমন মানুষের চোখে সবচে খারপ ভাবে উপস্থাপন করা টা খল নায়কদের জন্য ও তেমই কঠিন।
আমি যাই ভাবি না কেনো ইতিহাস আপনার বক্তব্যের সাক্ষী। উপস্থাপনা আমার বেশ লেগেছে। 🙂