অনেক দিন আগে পড়েছিলাম হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের ক্লিওপেট্রা বইটির বাংলা অনুবাদ। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির অনুবাদক সায়েম সোলায়মান। অনুবাদক চমৎকার অনুবাদ করেছেন সাবলীল শব্দচয়নে।
কাহিনী সংক্ষেপ:
মিশরের প্রাচীন এক রাজবংশে জন্ম নিলো একটি ছেলে সন্তান “হারমাচিস”। তার মা স্বপ্ন দেখলেন একদিন তার ছেলে মিশরের রাজা হবেন, যেমন তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন। যেদিন হারমাচিসের জন্ম হল সেদিনই, তখনকার রাজার ঘরে জন্ম নিলো এক শিশুকন্যা “ক্লিওপেট্রা”।
হারমাচিসের মা তার স্বপ্নের কথা জানিয়ে দিল হারমাচিসের বুড়ি দাইমার কাছে। এক’কান দু’কান কেরে এই কথা পৌছে গেল রাজার কানে। রাজা কথাটা শোনা মাত্রই সৈন্য পাঠাল ছেলেটাকে মারা জন্য। সৈন্যরা যখন হারমাচিসকে মারতে এলো তখন বুড়ি দাইমা তার নিজের নাতিকে হারমাচিস বলে চিনিয়েদিলেন সৈন্যদের। সৈন্যরা বুড়ির নাতীর মাথা কেটে নিয়ে গেল রাজাকে দেখাতে। এভাবেই বেঁচে গেলো হারমাচিস। রাজাও কাটা মাথা দেখে ভুলে গেলেন সব।
হারমাচিস একটু বড় হবার পর একদিন তার বাবার কাছে জানতে পারলো তার মার দেখা স্বপ্নের কথা, একদিন মিশরের রাজা হবে সে। তাই তার বাবা যেকিনা প্রধান পুরোহিত, ছেলে হারমাচিসকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য হারমাচিসের মামার নিকটে পাঠিয়ে দিলেন। পাঁচ বছর একমাস মামার কাছে থেকে নানান ধরনের শিক্ষা ও জাদুবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠে হারমাচিস। বাবার কাছে ফিরে এলে বাবা তাকে এবার দেবতাদের বিষয়ে অজানা ধ্যান সাধনার কথা বলেন। এর কিছুদিন পরেই হারমাচিস প্রধান পুরোহিত হিসেবে দীক্ষা নেন, এবং একটি গোপন মিটিঙে মিশরের বিভিন্ন পুরোহিত ও প্রধান প্রধান ব্যক্তিবর্গ হারমাচিসকে মিশরের ফারাও বা রাজা হিসেবেও মনোনিত করেন।
ইতোমধ্যে রাজার মৃত্যুর পরে তার কন্যা ক্লিওপেট্রা মিশরের রাণী হয়ে সিংহাসনে বসে। তাই হারমাচিসের উপরে দায়িত্ব পরে, ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করার। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় বিদ্রোহ ও হত্যার মাধ্যমে হারমাচিসের রাজা হবার। রাণী ক্লিওপেট্রার খাস দাসী চারমিওন ছিল হারমাচিসেরই চাচাতো বোন। চারমিওনের সাহায্যে হারমাচিস রাণীর নেকনজরে আসে এবং রাণীর খাস জ্যোতিষী হিসেবে নিযুক্ত হয়। রাণী হারমাচিসের রূপ দেখে তাকে ভালো বেসে ফেলে, আবার হারমাচিসও নিজের কর্তব্যের কথা ভুলে যায় ক্লিওপেট্রার রূপ দেখে। ক্লিওপেট্রার ছিল মিশরের সেরা সুন্দরী।
হারমাচিস আর রাণী ক্লিওপেট্রা ভালোবেসে ফেলে একে-অপরকে। কিন্তু হারমাচিসকে সকলেই বারবার মনে করিয়ে দিতে থাকে তার কর্তব্যের কথা। একদিন হারমাচিস ও চারমিওন মিলে ঠিক করে রাণীকে ছুরি মেরে হত্যা করবে হারমাচিস। সেই মোতাবেক হারমাচিস যায় রাণীর কক্ষে, কিন্তু চারমিওনের বিশ্বাস ঘাতকতার কারণে ধরা পরে যায় হারমাচিস। তারপর শুরু হয় তার নতুন আরেক উপলব্ধি।
শেষপর্যন্ত হারমাচিস কি পেরে ছিল ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করতে……
রাজা হয়েছিলো হারমাচিস……..
চারমিওন কেন বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলো……..
১৬টি মন্তব্য
মামুন
এই লেখকের শী, দ্য রিটার্ণ অব শী, নেশা এগুলোর সাথে এটাও পড়েছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে পুরনো কিছু নস্টালজিয়ায় ভোগাবার মত একটি পোষ্ট দেবার জন্য।
মরুভূমির জলদস্যু
জ্বি মামুন ভাই ঐ তিনটা আমিও পড়ে ছিলাম। বিশেষ করে শী এর কথা মনে হলে আজও অন্যরকম ভালো লাগা অনুভব করি।
শিশির কনা
খুব অল্প কথায় বললেন। পুরোটা লিখুন, আপনার দৃষ্টি কোন থেকে। এমন পোষ্ট ভালো না লেগে পারেনা।
মরুভূমির জলদস্যু
আমার দৃষ্টিকোন থেকে বলার কিছু নাই, এখানে শুধু বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপে দেয়া হয়েছে।
খেয়ালী মেয়ে
(y)
মরুভূমির জলদস্যু
-{@
সায়ন্তনু
বই পড়িনি এখনো।
মরুভূমির জলদস্যু
কি বলেন ;?
সোনিয়া হক
পুরো কাহিনীটা লিখবে কে জনাব ? লিখে ফেলুন পরের অংশ 🙂 (y)
মরুভূমির জলদস্যু
অল্পই বাকি আছে, বইটা পড়ে ফেলেন।
অরণ্য
ভাল লিখেছেন কাহিনী সংক্ষেপ।
মরুভূমির জলদস্যু
ধন্যবাদ অরণ্য
জিসান শা ইকরাম
ভালোই লিখছেন রিভিউ।
চলুক —
মরুভূমির জলদস্যু
চলবে….
শুন্য শুন্যালয়
এইটা কোন রিভিউ হলো?? এখন এই বই আমি কোথায় পাই?
মরুভূমির জলদস্যু
পিডিএফ আছে নেটে।