ঘুঘু ডাকা ভোর, শেষ বিকেলের কুহুতান, গ্রীষ্মের নিষ্প্রভ নক্ষত্র, উত্তাল ঝোড়ো হাওয়া, রূপোর জ্যোৎস্না সবই আছে যেমন ছিল, চারণভূমির ঝর্ণাটিও। শিশির-ভোরের রোদ্দুর, নিঃশব্দ ডানায় দ্রুত উড়ে যাওয়া বিভ্রান্তির প্রজাপতি, ঘুম জাগা ফুল, জেগে-ওঠা পাখিদের কুজন, কাস্তের কানাকানি, ক্রুশ বেঁধা যীশুমূর্তি,
শুধু সানন্দের ভোর-আনন্দে নেই ফিংয়ে পাখিটি, সকালেই দুপুর-ক্লান্তি, খুঁজছে নিভৃত নীরবতার ছায়া, নেই কবিতাগুচ্ছের ওড়াউড়ি, সুনীল অপরাজিতা বা দোপাটি ফুলেরা অপেক্ষার চোখে আলো ফেলছে বনদ্বীপের অন্তরালে!
সময়ের যাঁতাকলের প্রকাণ্ড যাঁতা পাথরের ঘর্ষণ শব্দ ঠিক তেমন ই আছে নিরীহ অশরীরীর বেশে, সুদীর্ঘ সেই সময়কাহন অস্তরাগ ভুলেছে মায়া, নিয়মের বেড়াজালে।
১৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
নায় শুধু মানুষের মাঝে সকলের প্রতি সকলের ভাল বাসা। আসুক জেগে সকলের বুকে মানবতার আলোকছটা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই মানবতা জয়ই হবে অটুট ভালোবাসায়।
মোঃ মজিবর রহমান
এই অপেক্ষার পথ চেয়ে আছি।
ছাইরাছ হেলাল
সবাইকেই অপেক্ষা করতেই হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘুঘু ডাকা দুপুর শুনেছি, ভোর এই প্রথম শুনলাম।
আপনার ফিঙে পাখী মনে হয় বড়ো বেশী অভিমানী। এত্তো জ্বালায়! এই না হলে প্রেম! 😀
মন খারাপ করবেন না, চলে আসবে উড়তে উড়তে। এবারে এলে খাঁচায় আটকে রাখবেন। বুঝেছেন কুবিরাজ ভাই? 😀
ছাইরাছ হেলাল
শুনবেন শুনবেন, কত্ত কী শুনবেন! সজনার যে অনেক বাকী!
ঘুঘুরা শুধু দুপুরেই ডাকে না, আরও অনেক সময়ই ডাকে, কান পাতুন (যদি তা থাকে),
অনেক পাখিরাই জ্বালায়, আজকাল আর জ্বালাতে প্রেম-ফ্রেম লাগে না,
হাঁটাপথে নিত্ত নূতন কত্ত পাখি, দেখতে ভালই লাগে,
নীলাঞ্জনা নীলা
কান নষ্ট। মেশিন কেনার টাকা নাই। 🙁
ভগবান জানে পাখীরা জ্বালায়, না আপনে পাখী গো নিয়া মজা লন, কি জানি! 😀
ছাইরাছ হেলাল
ক্ষ্যামতা! নেই বুঝে পাখিরাই এখন মজা লয়, হায় ঈশ্বর!
কলি কাল,
নাসির সারওয়ার
“সবই আছে যেমন ছিল”, খুবই ভালো কথা। এরপর তো “শুধু তুমি নাই” কথা আসার কথা। তা না লিখে উনি লিখলেন, “সকালেই দুপুর-ক্লান্তি”। বাহ, তাহলে সন্ধে বা রাতে কিসের ক্লান্তি পড়বো!!
বেশী বোঝা ভালুনা।
ছাইরাছ হেলাল
এই না হলে কুবি! কিসের পর কী সব বুঝে যাচ্ছে,
আপনার হবে হবে/হয়েছে, দ্রুত কাজে নেমে পড়ুন। ক্লান্তির সাথে দেখা হলে বুঝতে পারবেন
কোন্টার পর কোন্টা আসে,
আচ্ছা, না বুঝেই এই অবস্থা!
অলিভার
দারুন অনুভূতি!
“গ্রীষ্মের নিষ্প্রভ নক্ষত্র, উত্তাল ঝোড়ো হাওয়া, রূপোর জ্যোৎস্না সবই আছে যেমন ছিল, চারণভূমির ঝর্ণাটিও” –শিহরিত করে যায় এমন কয়েক জিনিষ এক টানে বলে গেলেন। পড়তে পড়তেই যেন চোখের সামনে চলে আসছিল স্মৃতি থেকে।
ছাইরাছ হেলাল
দারুণ মন্তব্য,
যখন যেভাবে মনে পড়ে তাই লিখতে চেষ্টা করি,
স্মৃতি কাতরতা দেখতে পেয়ে আনন্দিত হচ্ছি,
অলিভার
দারুন প্রতিমন্তব্য! 😋
লিখুন, লিখে লিখে কালো অক্ষর দিয়ে সব ছেয়ে ফেলুন। আপনারা না লিখলে আমরা শিখবো কোথা থেকে! 😃 😃 😃
ছাইরাছ হেলাল
কে যে কাকে কখন কী ভাবে শেখায় কে জানে!
ল্যাখার! চেষ্টা-অপচেষ্টা চালু আছে, থাকবেও। দেখিনা কী হয়!
আবু খায়ের আনিছ
কোন মন খারাপ করা চলবে না, সবই যেমন আছে তেমনি থাকবে, তার মাঝেই হারানো চাঞ্চল্যকে খুজেঁ নিতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
মনের খারাপ বা ভাল এর সাথে কিন্তু সরাসরি সম্পর্কিত না।
চাঞ্চল্যের কোন অভাব নেই, ছিলও না,
আবু খায়ের আনিছ
শুভ কামনা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা।