কোনটা বাস্তব, আর কোনটা সত্য কোনটা আবার প্রয়োজনীয়? বিচার করুন ব্লগারগন।
মানুষ সমাজে বাস করে বলেই মানুষ সামাজক জীব। এই সমাজে মানুষের যা লাগে সবই প্রয়োজনীয় বা মানুষের অপরিহার্য্য উপাদান।
জন্ম থেকে মানুষ প্রয়জনের কাছে বন্ধী। আমরা কাউকে বলি পুরুষবাদী কেউ হয় নারীবাদী। যখন যার অভিযোগ শুনি মনে হয় সেই সঠিক। কারো যেকোন চাহিদা জাগ্রত হওয়ামাত্র।
কেউ সামাজিক বন্ধনে অধিকার আদায়ে । ক্রয় বা বিনিময় দ্বারা আদান-প্রদান করে, কেউ আপসে, কেউ পটায়ে। আবার কেউ প্রেমবন্ধনের আবেগে, আবার কেউ বলাৎকার করে চাহিদা পুরন করে।
সে ছেলে মেয়ে যেই হোক না কেন। (যখন যার পাওয়ার তখন সেই ক্ষমতাশালী)
আপসে করলে অভিভাবক বা পরিবার পরিজনের মন ভরলে ভাল না ভরলে একে অপরের দোষ দিবে। সেটা তাঁদের ব্যাক্তিগত বিষয় বলার কিছু নাই। সে যে পক্ষই হোক না কেন। ক্ষমতা থাকা লাগবে।
গত কয়েক দিন চায়ের আড্ডাখানার পাশের চা দোকানি নিখোঁজ। এক মায়ের পক্ষ থানায় কেস করেছে চা দোকানির বিপক্ষে। যে সে ভুলায়ে ফুসলিয়ে আমার সহজ সরল মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে, নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং অলংকার সহ গেছে । জামাই বেটা কুয়তে আঙ্গুল চোষা আর কি লাভ। মেয়ে জামাই এবং সংসার ফেলে যে মানুষ সব ভুলতে পারে তারে কি বলবেন??????????????
আর চা দোকানি লোভ লালসার আকর্ষণে অন্যের বিবাহিত বউকে এক বাচ্চার মাকে নিয়ে ভেগেছে তাঁকে কি বলবেন?????????????????
একই গপ্পসপ্পে আরেক জন বলল নাম মনে নাই এক রিকশা চালকের বউকে আরেক রিকশা চালক নিয়ে গেছে, কাকে কি বলব, কে কার লোভে কার সাথে কিসের লোভে গেছে? তারাই জানে।
পানে চুন খসলেই সব শেষ!!!!! জীবনে কত কিছু ছিন্নভিন্ন হয়েছে কে খোজ করে, কে রাখে কার খবর! এই ব্লগিং জগতে ও অনেক মানুষ অনেকের আত্মাকে জয় করে রক্তহীন সম্পর্কে জটিল আত্মার সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে চলছে সংযুক্তভাবে। আমার ব্লগে পড়ার কয়েক বছরে অনেকের সঙ্গে বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এবং অটুট রয়েছে তবে কেন রক্ত, আত্বীয় সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে? কিন্তু সমাজে বাবা-মা, ভাইবোন , স্বশুড় শাশুড়ি, শালা দুলা ভাই সম্পর্কে থাকতে পারছেনা কেন?
আমার পরিবারের ছোট্ট এবং সরল একটি ঘটনা বলি। আমার পিতা তাঁর মেজ ছেলেকে তাঁর পিতার ভিটে বাড়ী লিখ দিলো বাকী আমরা তিন ভাই কোন প্রতিবাদ করিনি। বাবা তুমি অন্যায় করেছে, তাও বলিনি বাবাকে। আবার কেউ বলে বাবার জমি ছাড়বি কেন? আমি সোজা বলেছি কখন মরব তাই জানিনা, জমি কি হবে। সে আর কোন জবাব দেয়নি । বাবা আজ অসুস্থ মেজ ভাই আব্বার সেবা করছে কিন্তু আমার কাছে সেটা পরিপূর্ণ তাও মনে করিনা। আবার ভাবি সে যেটুকু করছে কর্ম কারনে আমি তাও পারি না। মাঝে মাঝে আল্লাহর নিকট পার্থনা করি আল্লাহ বাবাকে তোমার নিকট নিয়ে যাও আর বেশি অসুস্থ হওয়ার আগে, এতো কষ্ট সইতে পারি না।
স্বামি স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবন একত্রে চলছে না কেনো? এইসব আজে বাজে প্রশ্ন মনে জাগ্রত হয়, কার নিকট প্রশ্ন করে উত্তর পাব ভেবে পাই না। একটি নাটকে ডায়ালক “ভাবি সন্তান হল সংসারে কাঠালের আঠার মত” তাহলে সন্তান স্বামী-বউ ঘরে থাকার পরও কেন দূর দূর অবস্থা। সমাজে কেউ কেন সংসারের জন্য কষ্ট স্বীকার অরতে পারছেনা। এটা কি সহনশীলতার অভাব?
হিরক রাজার দেশে শেষ অবস্থা “দড়ি ধরে মার টান রাজা হবে থান থান।”
ষড় ঋতু মানুষকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে? এখান থেকে বাহির হয়ার উপায় কী??
ষড়রিপু ৬ টি ।
১ কাম যাকে সেক্স শারীরিক চাহিদা পুরনের মনে জাগ্রত হয়।
২ ক্রোধ যা রাগ বা খোপ প্রকাশ করে একে অপরের প্রতি।
৩ লোভ পরের দ্রব্যের প্রতি টান আকরষন।
৪ মদ অহংকার, গর্ব, আত্মগৌরবে অন্যের প্রতি অবহেলা প্রকাশ করা।
৫ মোহ মায়া, বিভ্রম কোন বস্তু, দেহ বা কোন কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া।
৬ মাৎসর্য পরশ্রীকাতরতা, অন্যের ভালো দেখতে না পারা
এরা তাঁদের সকল কম্ম করছে আর আমরা আমাদের সকল মনুস্য উপাদান অমুল্যায়িত করে সকল রিপুকে কিভাবে হার মানা যায় সেই রেসে নেমেছি।
মানুষ নৈতুকতা, আদর্শ, ন্যায় নীতি, আচার আচরন, ভাল কর্ম ও সকল সুন্দর ও ভাল কাজ থেকে দূরে সরে সকল অমঙ্গল কাজে দোড়াচ্ছি কেন?
সমাজে সমাজপতিরা এর সকলদায়েদ্বায়ী নয়কি? সকল মানুষ সমাজে নিজ নিজ অবস্থানে ঠিক থাকলে সব সমস্যার সমাধান সহজ হত কিন্তু সমাজপতিরা ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাঁদের স্বার্থের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৯টি মন্তব্য
খসড়া
আপনার লেখায় প্রচুর ভুল। বানান এত ভুল যে কি বলতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ট হচ্ছে না। আপনি কোন সমস্যা তুলে ধরেছেন বুঝতে পারছিনা। অবৈধ সম্পর্ক নাকি, সম্পত্তির ভাগ নাকি বৃদ্ধ পিতা মাতার সেবা নাকি বিভিন্ন জৈবিক চাহিদা। এছাড়া এখানে তো দুইজন ব্লগার কে কে হবে তাও বলেননি।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু আমি সমাজের অনাসৃষ্টি তুলে ধরতে চেয়েছি এক্ষেত্রে কে কি কারণে এই অনাসৃষ্টি করছে সেটা জানতেি এই লেখা।
যেখানে সকল সমস্যায় জর্জরিত সমাজে।
প্রধান হল স্বার্থ। যে স্বার্থের জন্যই সমাজের এই অনাসৃষ্টি।
আপু বানান অনেক চেস্টা করেও প্রথমে পারিনাই পরে কিছু কিছু করতে সক্ষক হয়েছি।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আবু খায়ের আনিছ
স্বার্থ যেখানেই বাসা বাধেঁ সম্পর্ক সেখানেই নষ্ট হয়। ব্লগারদের সম্পর্ক টিকে থাকার একটা কারণ হতে পারে এটা।
জীবনের উচ্চাকাংক্ষা পূরণ করতে গিয়ে সিড়িঁ ভেঙ্গে উপরে যাওয়ার চেষ্টা করে যায় সবাই প্রতিনিয়ত। নিজের অবস্থানে নিজেকে সুখি ভাবতে না পারাটাও সংসার ভেঙ্গে দিচ্ছে।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর বলেছেন আনিস ভাই।
এই স্বারথই সকল অনাসৃষ্টির মুল।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্বার্থহীন পৃথিবীতে কোন কিছুই নেই,তবুও মানুষ বাচে বাচার তাগিদে। -{@বিচিত্র্র দুনিয়ায় আরো বিিচিত্র হয় মানুষের চরিত্রগুলো আর এটাই হয়তো পৃথিবী সৃষ্টির নিয়ম।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের সামাজিক পরিবেশটাই এমন,
অনেক কিছু বুঝি, জানি কিছুই বলতে পারিনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
বানানে ভুল অনেক মজিবর ভাই। ঠিক করে নিলে বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে আরোও।
এমনিতে ভালো।
লীলাবতী
ভাইয়া বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। আপনি কথার ছলে সহজ করে লেখুন। সমাজের অনাসৃষ্টি দূরে চলে যাক। (y) -{@
দীপংকর চন্দ
//সকল মানুষ সমাজে নিজ নিজ অবস্থানে ঠিক থাকলে সব সমস্যার সমাধান সহজ হত//
অনেক জটিল বিষয়কে স্বল্পপরিসরে উপস্থাপনের প্রয়াসের প্রতি শ্রদ্ধা থাকছে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।