বাড়ি থেকে হোস্টেলে এসেছি বেশ কিছুদিন হলো! আমার রুমমেট দের ও আসার কথা ছিলো আমার সাথে একই দিনে। কিন্তু কি যেনো কারনে কেউই আসে নাই আজ প্রায় নয় দিন হলো।শীত ও পড়েছে বেশ। বেশি মানুষের উপস্থিতি উষ্ণতাকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুন। শীতের জন্য আমাদের ফ্ল্যাটের মেয়ে সংখ্যা বাড়ছে না বরং কমছে। সন্ধা নামার পর থেকেই কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে গান শোনা আর হাতে হুমায়ন আহম্মদ বা হেনরী রাইডার আবার কখন ও স্টাডি বুক নিয়ে শিমুল তুলার লেপের নিচে আশ্রয় নেই।রুমের চারটা বাল্বই জ্বালিয়ে দেই রুম গরম করার জন্য। কিন্তু আজ সামান্য ব্যতিক্রম হয়েছে। একটা জানালা সামান্য খুলে রেখেছি। যার ফলে ঠান্ডা বাতাস এর সাথে সাথে রুমে অনেক পোকাও ঢুকেছে।
একটা গল্পের বই আমার হাতে। সেটা পড়তে পড়তে কখন যে ১১:৩০ মিনিট পার হয়ে গেছে সে খেয়ালই করি নাই। ভাবলাম অনেক রাত হয়েছে এবার বরং জানালাটা লাগিয়ে ঘুমিয়ে যাই। কিন্তু দেখতে পেলাম দরজার ছিটকানি লাগাতে ভুলে গেছি । দরজার ছিটকানি টা তুলে দিতেই পেছনে কি যেনো কাঁচের একটা জিনিস পড়ে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যাওয়ার শব্দ পেলাম। কিন্তু আমার জানা মতে কাঁচের কোন জিনিস আমাদের রুমে নাই শুধু জানালার কাঁচ ছাড়া। পেছনে তাকানোর সাহস হারিয়ে ফেললাম।ভয়টা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিজেকে কয়েক মিনিট সময় দিলাম।এর মাঝেই ছিটকানিটাও তুলে দিলাম।আস্তে আস্তে ঘুরে পেছনে তাকালাম। মেঝেতে পড়ে থাকা ভাঙ্গা বাল্বের সেড এর টুকরা গুলো দেখে বুকের মাঝে চেপে রাখা নিশ্বাস টা হুস করে ছেড়ে দিলাম।কাঁচ থেকে পা বাঁচিয়ে এবার জানালার পাল্লাটা লাগালাম। এবার কাঁচের দিকে ঘুরেই একটা ধাক্কা মত লাগলো।টলতে টলতে নিজের বিছানাই এসে ধপ্ করে বসে পড়লাম। আশ্চর্য এখানে রক্ত এলো কি ভাবে?? আর বাল্ব টাই বা অক্ষত কেনো???
এসব ভাবতে ভাবতেই সব গুলো বাল্ব নিভিয়ে লেপের নিচে ঢুকলাম। আর নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। ” আজ শুক্রবার, তুমি পারবে ভুত এফ এম শুনতে? ” ভয় আমি পাই না সেটা প্রমান করতেই ভূত এফ এম শোনা শুরু করলাম। একটা গল্প শুনলাম সেটার মূল কাহিনী হলো” রাতের বেলা কে যেনো খুব ভারি আর ধারালো চাকু নিয়ে পা টেনে টেনে ছাদে হাটে”। এটাতে ভয় পাওয়ার বিশেষ কিছু নাই। কিন্তু স্টোরির সাথে সাথে তারা যে সাউন্ড টা এড করে তা মোটামুটি সাইকো মুভির অট্ট হাসি হয়ে থাকে যা শুনে রক্ত জল হয়ে যাবার উপক্রম হয়। এবার পরের গল্পটা শুরু হওয়ার আগেই আর জে কয়েক বার করে বলে দিলো এটা আগের টার চেয়ে কয়েক’শ গুন বেশি ভয়ংকর। অতএব আমার মন, প্রাণ,অন্তর আত্মা, দেহ এবং চোখ সবায় বলছে” তাজ এটা ঘুমের সময়, দেখ তোর খুব ঘুম পাইছে। ঘুমের চেয়ে বড় এই দুনিয়াই কিচ্ছু নাই”। আমি সবাই কে উপেক্ষা করে তো আর ভূতগপ্প শুনতে পারি না। তাই ভাবলাম এই গল্প টা আমি রেকর্ড করে পরে শুনতে পারি। তাই রেকর্ডার চালু করে কান থেকে হেডফোন খুলে পাশে রেখে দিলাম। চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু বেশ কয়েক মিনিট পার হয়ে গেলেও ঘুম আসছে না।কি যেনো একটা অস্বস্তি অনুভব করছি। কিন্তু সেটা ধরতে পারছি না। এপাশ ওপাশ করতে করতে যখন বুঝে ফেলেছি তখন আমার মনে হচ্ছিলো একটা ঠান্ডা কি যেনো আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নিচে নেমে গিয়ে পায়ে আশ্রয় নিচ্ছে। কারন আমি পা নাড়াতে পারছি না। আমার রুমের কোথাও যেনো শক্ত হাড় চিবানোর শব্দ পাচ্ছি। মন থেকে সব ভয় দূর করে ( ডাহা মিথ্যা কথা,ভয়ে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো) উঠে বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসলাম। এবার আস্তে আস্তে অন্য একটা বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। রাত ১ টা বাজে। এই সময় ফ্ল্যাটের সব্বাই কে ডেকে একটা কেলেঙ্কারী করতে চাই না। এমনিতেই এখানে সবাই ভূতের ভয়ে রাতে টয়লেট যায় না। কি হচ্ছে সেটা নিজেই দেখতে চাই। ভয়ে ভয়ে একটা আলো জ্বালালাম নিমিষেই সব বন্ধ হয়ে গেলো। আবার আলো নিভালাম কয়েক সেকেন্ড বাদের আবার সেই শব্দ। এভাবে বেশ কবার দেখার পর আমার নিজের বিছানাই ফিরে এসে লম্বা হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরদিন সকালে ঘুম ভাঙলে যেটা আমার সবার আগে মনে হয়েছে সেটা হলো ফোনের রেকর্ড টার কথা। সেটা শুনতে গিয়ে শো শো শব্দ ছাড়া অন্য কিছুই পেলাম না।
# একটা আমার সাথে গতবছর শীতে ঘটে যাওয়া সত্যি ঘটনা। একবছর পর তা গুছিয়ে লেখার ধৈর্য, সাহস এবং সময় পেলাম।
উত্তর :
১। কারেক্ট এর ভোল্টেজ হঠাৎ বেশি আসার জন্য এবং বাল্বটা অনেকক্ষণ ধরে জ্বলছে বলে সেটা সেড সহ হোল্ডার থেকে ছিটকে এসে প্রথমে টেবিলের উপর পড়েছে তারপর লাল কালার নেইলপালিশটা কে নিয়ে নিচে পড়েছে। নেইলপালিশ টা টেবিলের পাশেই আটকে গেছে। সেড এর কাজ বাল্ব কে রক্ষা করা,শেষ পর্যন্ত সেড তার কাজ করেছে।
২। আমি আগেই বলেছি রুমে অনেক পোকা ঢুকেছে এবং আমাদের জানালাটা কাঁচের । জানাল বন্ধ করে বাল্ব অফ করাতে পোকা গুলো জানালা দিয়ে আলো আসছে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছে শেষ পর্যন্ত যার ফলে কাঁচে বারি খেয়েছে। এবং ফল হাড় চাবানোর শব্দ পেয়েছি।
৩। কান থেকে ইয়ার ফোন খুলে রাখলে ফ্রিকুয়েন্সি ঠিক থাকে না। তার ফল শো শো শব্দ।
৬৪টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
উচিত হইসে… চোরে দশদিন তো থুক্কু দুষতের দশদিন তো শিক্ষা একদিন… খুব ভাল হইসে :D)
কিন্তু ঘটনাটা এতো গোছানো হইলো ক্যাম্নে ;?
নাকি তাজাপুর গুছিয়ে লেখার দক্ষতায়! :c
মেহেরী তাজ
উফ ফাইনালি নিজের পোষ্টের মন্তব্য দেওয়ার মন্তব্যর জবাব দেওয়ার সময় পেলাম।
আমি কি ভয় পাইছি নাকি??? :@
গোছালো হইছে কি না জানি না। নিজের মত করে লিখেছি। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ভূতের ভয় পেতে পেতে পাই নাই। কারণ জানি আর যাই হোক তাজাপু ভূতের কিছু বলা মানে শেষান্তে কিছু একটা আছে :p
অনেক গোছানো লেখা এটা খুবই সত্যি -{@
মেহেরী তাজ
হায় হায় আমার চেয়ে আমার উপ্ররে দেখি আপনার বেশি কনফিডেন্স। :p
নীতেশ বড়ুয়া
যে নিজের ভূতের খেল দেখায় সে কি আর ভূতে গল্পে মূল চরিত্র হয়ে ভয় পেতে পারে! :D)
মেহেরী তাজ
:D) :D) :D) :D)
ও এই কাহিনী??? হা হআ হহাহা
নীতেশ বড়ুয়া
😀 :D) \|/
লীলাবতী
বাব্বাহ তুমি তো দেখছি খুবই কঠিন মনের মানুষ।এটি সত্যি ঘটনা!! এরপরেও ঘুমিয়েছো তুমি?আমি হলে চিৎকারে সমস্ত হোটেল জাগিয়ে দিতাম।
সমস্ত লেখার জট খুলেছে উত্তরে।উত্তর লিখে না দিলে এটি অজানাই থেকে যেতো,কিভাবে এটি সম্ভব হলো।
ছবি দেখে ভয় পেয়েছি 🙁
অরুনি মায়া
তোমার তো আম্মু লাগে রাতে ওয়াশ রুমে যেতে 🙂
লীলাবতী
এভাবে সবার সামনে বলতে পারলেন আপু?আমার কান্না পাচ্ছে 🙁
অরুনি মায়া
হা হা হা কাঁদেনা লক্ষি আমরা আমরাই তো :p
লীলাবতী
আমাকে সহজ সরল নরম পেয়ে সবাই মজা নিচ্ছে 🙁
মেহেরী তাজ
অরুনি আপু আর বলবে না হ্যা?? দেখেন লীলা আপুর কি মন খারাপ হইছে। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
:D)
সিকদার
:D)
মেহেরী তাজ
আপনারা দু জনে ৬৪ টা দাঁত বের করে হাসছেন কেনো??? লীলা আপু কে কি একা পেয়ে পচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন?? ভুলে যান আমি আছি উনার সাথে। :@
নীতেশ বড়ুয়া
ভূতনি আছে সাথে! লীলাপ্পু তো তাইলে রাত হবার আগেই :D)
মেহেরী তাজ
এহ বলছে আপনাকে!
লীলা আপুর সাথে আমি আছি । আপনি বেশি হাসলে খবর করে দেবো হ্যা….!
নীতেশ বড়ুয়া
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) 😀
মেহেরী তাজ
:@ :@ :@ :@ :@ :@ :@ :@ :@ :@ :@ :@
নীতেশ বড়ুয়া
\|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/
মেহেরী তাজ
^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^
নীতেশ বড়ুয়া
(3 -{@ (3 -{@ (3 -{@ (3 -{@ (3 -{@ (3 -{@ (3 -{@
মেহেরী তাজ
;? ;? ;? ;? ;? ;? ;? ;? ;? ;? ;? ;?
( পালাও সামনে মহা বিপদ)
নীতেশ বড়ুয়া
:D) :D) :D) :D) :D)
মেহেরী তাজ
🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
;? ;? ;? ;? ;? -{@
মেহেরী তাজ
:p :p :p :p
নীতেশ বড়ুয়া
😀 😀 😀 -{@ 😀 \|/
মেহেরী তাজ
আপু ভূতপ্রেত আছে নাকি যে খুব ভয় পাবো।?? হোস্টেলে কখন একা থাকতে হয় কেউ জানেনা। এভাবেই অভ্যাস হয়ে যায়।
উত্তর গুলো না দিলে খুব প্রশ্নের সম্মুখীন হইতে হতো তাই দিয়ে দিয়েছি।
আমিও খুব ভয় পাইছি। :p
অরুনি মায়া
হা হা হা এজন্যই ভূত এম এম আর শোননা তুমি। বুঝি বুঝি ভীতু কোথাকার। হি হি হি আমি এখন শুনব। আমার কাছে চলে এসো।
খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বর্ণনা করেছ ঘটনা টির।
শঙ্খুনি ওই দেখ তোর পিছনে কি যেন,,,,,, 🙁
অরুনি মায়া
ছবিটা খুব সুন্দর 🙂
মেহেরী তাজ
আপু তাইলে কিছু হইলো?? এটা ভয় পাওয়াই তে দিছি আর আপনি ভালো পাইলেন! 🙁
মেহেরী তাজ
আপু ভূত এফ এম একটা জিনিস হইলো। আজাইরা! ঘুম নষ্ট হয়। আমি ভয় পাইনা। উক্কে?!
আর আমার পেছেনে কেউ নাই সাইডে আছে আমার ছায়া। 🙂
অরুনি মায়া
তবুও কেন যেন ভূত এফ এম টা এভোয়েড করতে পারিনা। অভ্যাস হয়ে গেছে 🙂
মেহেরী তাজ
আপু ” বুঝেননা সে বুঝেনা” যেমন নেশা এটাও তেমনই একটা। ছেড়ে দেন। ভূত এফএম স্বাস্থের জন্য ভালু হয়ে।
মেহেরী তাজ
টাইপিং মিচটেক! ভালু নহে!
ছাইরাছ হেলাল
এই রাতে আমাদের ভুতের গল্প শোনালেন?
দায়-দায়ীত্ব আপনার।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া ভয় কি আছ না গেছে??
আচ্ছা নিলাম দায়িত্ব নিলাম। সোনেলায় সবাই অনেক সাহসী আমি জানি। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব কঠিন সত্যি আমি ভুতের গল্প পড়তে খুব ভয় পাই। আর সিনেমা দেখতে তো আরোও। পিচ্চি আপু হলে থাকতে ওয়াশরুমে যেতাম গীতাকে নিয়ে। রাতে একা আমি ওয়াশরুম? কাভি নেহি। 😀 :D)
তোমার এতো সাহস ক্যান গো? 😮
মেহেরী তাজ
হাহাহাহা
আমি খুব সাহসী নয় আপু। সামান্য একটু লজিকাল। যা টিকে থাকার জন্য দরকার। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু অনেক রাতেও আমি পথে ভয় পাইনা, কিন্তু অন্ধকার ঘরে একা থাকা ওরে বাবা
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকে মিস ফেলুদা তো আর এমনি বলিনাই। একা একা পরের কএক রাত কিভাবে কাটিয়েছিস আল্লাহ্ মালুম। যা একটা ছবি দিয়েছিস আর যা শোনালি, ভাগ্যিস সকাল বেলা পড়ছি। ভূত এফএম আমি শুনিনাই কখনো, শুনে দেখতে হবে। হাসি পাবে নাতো?
তুই সলিড আর স্ট্রং, আবারো প্রমাণ করলি। ভূতের গপ্পে যুক্তি দেস ক্যান? সবগুলারে জানলা খোলা বন্ধ করিয়ে দে, দেখনা এটুকুতেই কাঁপছে, আমি না কিন্তু।
মেহেরী তাজ
পরের কয়েক রাত ঘুমানো খুব ইজি ছিলো। যেমন সন্ধার শুরুতে খেয়েদেয়ে বাত্তিগুলা নিভায়ে ঘুম। :DD
আমার তো ভূত এফএম শুনলে মোটামুটি হাসিই পায়। আপনিও ট্রাই করতে পারেন।
যুক্তি দেবো না?? তাহলে তো আলাহা করে উত্তউত্তর দিতে দিতে আমি শেষ হয়ে যেতাম। এখানে সব্বাই যে পরিমাণ ভয় পাইছে তাতে উত্তর না দিলে দু একজন ফুল ফিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো তাই আর কি। আচ্ছা ঠিক আছে পরের বার থেকে আর দেবো না। কেউ ফিট মারলে আমার দোষ নাই। :D)
নীতেশ বড়ুয়া
ঐ তাজু! তুমি এদিকে হাসছো আর ঐদিকে শুন্যাপুকে নিয়ে গোপনে ধুন্ধুমার লেগে গিয়েছে! সেদিকে নজর দাও দিকি।
মেহেরী তাজ
আমার শুন্য আপুকে নিয়ে কে কি বলছে???? :@
নীতেশ বড়ুয়া
আমরা বলছিঃ শুন্যাপু, পোস্ট দিতেই হবে!
আপনিও রাজি থাকলে বলতে থাকেন।
মেহেরী তাজ
ও আচ্ছা এই কাহিনী?? আমিও আপনাদের সাথেই আছি।শুন্য নতুন পোষ্ট চাই।
নীতেশ বড়ুয়া
সবাই বলো একই সাথে
শুন্যাপু পোস্ট দিতে হবে,
সবাই বলো একই তালে
শুন্যাপু পোস্ট দিতেই হবে,
সবাই চলো একই স্লোগানে
আমাদের দাবী মেটাতেই হবে 😀 \|/
মেহেরী তাজ
হুম ঠিক।
এক সাথে বল সবাই
শুন্য আপুর পোষ্ট চাই।
পোষ্ট না দিলে হবে না
রাস্তা ছেড়ে যাবো না……
জিসান শা ইকরাম
হরর গল্পেও তো বেশ অগ্রসর তুমি!
দারুণ উপস্থাপনা
তোমার নার্ভ খুবই শক্তিশালী
আমারো মাঝে মাঝে কিছুটা অস্বস্তি হয়… অদ্ভুৎ কিছু শব্দে
যে বর্ননা দিলে,তাতে একা ঘুম আসার কথা নয়
তুমি যুক্তিবাদী মানুষ, তাই ঘুমাতে পেরেছ।
এমন লেখা চালু থাকুক…………
শুভ কামনা -{@
মেহেরী তাজ
নার্ভ শক্ত না হলে হোস্টেলে থাকা যায় না দাদা।
অনেক ধন্যবাদ। আরও লেখার চেষ্টা করবো। 🙂
সিকদার
ভাই আপনার গল্প পড়েত টয়লেট থেকে ভয়ে বের হতে পারছি না । ( আপনার লেখাটা এখানে বসেই পড়েছি ।) ;(
মেহেরী তাজ
ভূতের গপ্প পড়ার জন্য টয়লেট একটা ফালতু জায়গা। অসময়ে দেখবেন ট্যাপ টা কাজ করছে না( মূলত হাত টা), দরজার ক্যাচ ক্যাচ শব্দ হচ্ছে( বাতাসে জন্য)। এরকম আরো কত কি। আর তখন মাথাটাও কাজ করবেনা। এবার থেকে নিজের রুমে বসে ভূতের গপ্প পড়বেন উক্কে??
সিকদার
একন আমার কি হপে ? ভভভভভ য়েয়ে যেযেযেযে বের হতে পা………… ( বেহুশ )
মেহেরী তাজ
আপনার কি হপে সেটা তো আমার জনার কথা নয় :p
নাসির সারওয়ার
বাঁশ ঝাড়ে ভুত থাকে
যখন শুধু জোনাকি জলে!
আমি দেখেছি বড় বড় জ্বলজ্বলে চোখ!
মেহেরী তাজ
ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নাই। আপ্পনি যার চক্ষু দেখিয়াছেন সে একটা শিয়াল। হা হা হা হা হা
সাবধান শিয়াল কে ঘাঁটাবেন সে কিন্তু ভুতের চেয়েও ভয়ংকর। :D)
ব্লগার সজীব
ওস্তাদ গো, আপনার পা দুখানা কোথায়? একটু পায়ের ধুলা নেই।আমার মাথায় হাত দিয়ে একটু ফু দিয়ে দেন ওস্তাদ,আমি যেন আপনার মত সাহসী আর শক্তিমান হতে পারি।আমি কত ভাগ্যবান তা বুঝতে পারছি এখন। আপনার একমাত্র শিষ্য আমি 🙂 আর শিষ্য বাড়াবেন না কিন্তু ওস্তাদ।যত শ্রদ্ধা সন্মান দরকার আপনার সবই তো আমি দিচ্ছি,আর শিষ্য কি দরকার তাই না? 🙂
মেহেরী তাজ
আমার পা আমার সাথেই আছে শিষ্য। পদধূলি নিতে হবে না আমি তোমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিচ্ছি সাহসী হও, শক্তিশালী হও। আমি আপাতত শিষ্য বাড়াচ্ছি না নু টেনশন। 🙂
স্বপ্ন
এপরেও আপনি ঘুমিয়েছেন?আপনার নার্ভ দেখি ভীষণ শক্ত।ভয়ের সময়ে আপনি যুক্তি দিয়ে তা বিশ্লেষণ করতে পেরেছেন!!
ভয়ে যুক্তি কাজ করেনা আমার।পরে অবশ্য লজ্জা পাই :p
মেহেরী তাজ
ভাইয়া সব সময় যুক্তি তর্ক আসে না। কিন্তু হোস্টেলে থাকতে হলে একটু তো সাহসী বা লজিকাল হতেঈ হবে। তাই আর কি। 🙂
ফাতেমা জোহরা
পিচ্চিকালে মেলা ভয় পাইতাম, কিন্তু এখন আর কোন ভয় পাইনা। রাতে একা উঠোনে যেতেও ভয় পাই না। আর বলতে গেলে আমার মনেহয় ছোট থেকেই ভয়ডর কম 😀
মেহেরী তাজ
ভয় থেকে খুব ভালো কিছু হয় না তাই ভয় না পাওয়ায় ভালো। 🙂