এখানে, এই সোনেলায় পুরনোদের মধ্যে তিনি আছেন ঔজ্জ্বল্যের স্ব-মহিমায়
ভাস্বর হয়ে, নিঃসঙ্কোচ আভিজাত্যের স্বপ্ন বিভোরতায়, অসুস্থ শরীরেও ভাড়ারের
দরজা খুলে রেখেছেন দরাজ হাতে। তিনি আছেন সোনেলার হৃদপিণ্ড জুড়ে,
যা আমরা টের পাই সোনেলা-ধমনীর প্রতিটি প্রবাহে, প্রতিটি প্রাণ-স্পন্দনে।
তিনি আমাদের নীলাঞ্জনা নীলা।
এই সুদীর্ঘ পথ যাত্রায় তাঁর অসংখ্য লেখায় তুলে ধরেছেন বিচিত্র অসংখ্য হাসি কান্না দুঃখ
কষ্টের সহৃদয় অনুভূতি, তাতে তার একান্ত ব্যক্তিগত পারিবারিক বিষয়, তাতে বাদ যায় নি কেউ-ই, স্বর্গীয় পিতা (বাপি) থেকে তার মা-মনি, একমাত্র ছেলে ও স্বামী। আমদের-ও করে নিয়েছেন তার পরিবার-যাত্রী, তার মা-মনিকে নিয়ে-ও একটি লেখা লিখেছিলাম,
টিকে আছে তা এই এখানেই।
আজ যা না বললেই না, তা হলো এই মহীয়সী কবির সাথে ব্লগের বাইরে কখনও-ই
কোন ফোরামে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি, হয়নি কোন কথা ফোনে, এমন কি ফেবুতেও চালাচালি হয়নি তথ্য-উপাত্ত। এ কথা বলছি এ জন্য যে শুধু মাত্র ব্লগিয় লেখা-লেখির এক জন কবি দারুণ আন্তরিকতায় আমাদের কাছে টেনে নিয়েছেন। কত ভাবে যে তাকে এখানে মন্তব্য দিয়ে উত্যক্ত করি/করেছি তা ভাবতে চাচ্ছি না।
তাঁর এ শোক-স্তব্ধতা আমাকে দারুণ ভাবে স্পর্শ করেছে।
জমাট কালো মেঘ আজ
নীলের আকাশে
স্তব্ধতার তীব্রতা ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে;
আড়াল-রোদ আবার-ও হাসবে,
আলোড়িত চাঁদ-সৌন্দর্য আবারও স্নিগ্ধ হবে।
১৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
নীলা প্রচন্ড পিরিমানে অসুস্থ্য। এই অসুস্থতা নিয়েও সে সোনেলার উঠোন দাপিয়ে বেরায়, কলকাকলিতে মুখরিত করে রাখে সোনেলা ব্লগ বাড়ি। তার পর্যায়ের অসুস্থতা নিয়ে আমি হলেও ব্লগে আসার চিন্তা করতাম না। সোনেলাকে কতটা ভালোবাসে সে, এতেই প্রমান পাওয়া যায়।
নীলার বাপির আত্মা শান্তি পাক।
ও যেন দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে এই প্রার্থনা করি।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তাঁর ও বাপির সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি,
প্রচণ্ড অসুস্থতাও যে ভালোবাসার ক্ষেত্রে কোন অন্তরায় না তা প্রমাণিত।
দ্রুতই তিনি ফিরবেন স্বমহিমায় এ আশা অবশ্যই রাখি।
সাবিনা ইয়াসমিন
নীলা আপুকে নিয়ে যতই লিখি কম হয়ে যাবে,,,তিনি সোনেলার প্রান। নীলা আপু তার লেখায়, কবিতায় তার পরিবারকে যেমন আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে রেখেছেন,, তেমনি আমাদের লেখায় -অলেখাতে মন্তব্য করে নিজের উদারতা ও অনুপম ব্যক্তিত্যের পরিচয় দেন। নীলা আর সোনেলা একে অন্যের পরিপূরক।
সোনেলার অন্যতম ব্লগার/ লেখক নীলাঞ্জনা কে নিয়ে লেখার জন্যে জনাব ছাইরাছ হেলাল সাহেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। -{@
ছাইরাছ হেলাল
বেশ সুন্দর করেই বলেছেন, তিনি ও সোনেলা দু’জনে দুজনার।
হ্যা, আরও অনেক-কে নিয়েই অকপট লিখতে চাই, হয়ত লিখব-ও!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আরো অনেককেই নিয়ে লিখুন কপট / অ-কপটে ,,আপনার মর্জি মতো ই । আমরাও পড়বো পড়ার মতো ইই ,,দাড়ি-কমা সহ।
মহারাজের লেখায় লিখিত হইবে যাদের মুখ,, আমরা তা দর্শন করিয়াই আনন্দিত থাকিবো। \|/
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে তো চাই-ই, লিখিও, কপট অকপটের মিশেলে, তবে কবিদের এড়িয়ে!!
অবশ্যই পড়বেন, পাঠক লক্ষ্মী!! তবে একটু সাবধানে, হাত-পা মাথা-মুথা সামলে।
অবশ্যই আনন্দে ঘন হবেন, তবে আয়না-বান থাকতে হবে কষ্ট করে!
রিতু জাহান
আপুকে ফোন করতেও ভয় করছে। ও কন্ঠ কি করে শুনব! নীলাআপুকে আমি ফলো করে করে লেখা শিখেছি। নীলাাপুর তুলনা একমাত্র নীলাআপুই।
কিছু আসলে বলার আর ভাষা নাই। কিছু বলতে পারছি না।
ছাইরাছ হেলাল
তাকে নিয়ে লিখে শেষ করা যায় না, যাবেও না,
শুধু তার কল্যান কামনা করছি।
রিতু জাহান
কথা হইছে নীলাআপুর সাথে। হয়তো যেতে পারি আপুর ওখানে।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের হয়ে তাকে সান্তনা দেবেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নীলাদি বাপিকে নিয়ে অনেক কিছুই সে ব্লগে সেয়ার করেছেন।তা থেকে বুঝতে পেরেছি তার বাপি ছিলেন একজন মাটির মানুষ।তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।সেই সাথে আমাদের প্রিয় নীলাদির শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা।আমার প্রতিটি পোষ্টেই একজন বোনের মতন উপদেশমুলক মন্তব্য করেছেন নীলাদি।তার মনের অবস্থা স্বাভাবিক হউক এই কামনা করছি।
এমনি করে সবাইকেই একদিন দিতে হবে পাড়ি এই নশ্বর ভূবনটারে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তার এবং বাপির শান্তি কামনা করছি।
এ পথের পথিক আমাদের সবাইকেই হতে হবে।