কামলা কথন

নূর হোসেন ২৫ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ০৫:৩৯:৩০অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৫ মন্তব্য

একদিন আমারে কইছিলেন,
‘তোমারে ছাড়া বাচমু না’
অহন তো ঠিকই বাইচা রইছেন,
সংসার করতাছেন,
সন্তান জন্মাইছেন;
স্বামী-শ্বাশুড়ীর ফরমাইশ খাটছেন,
কামের ভুলে গালি হুনছেন,
রান্নায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন!
সুখে হাসছেন–দুঃখে কাঁদছেন,
নিজের জন্য বাইচা আছেন বাইচা থাহেন আমারে কামলা ডাকার লাইগা অইলেও।

মাইনষের মুখেত্তেন হুনি আন্নের ম্যালা সুখ,
গোলা ভরা ধান–পুকুর ভরা মাছ,
গঞ্জে জামাইর মোদীর দোহান!
আমি ধানের ক্ষেতে কাঁচি চালাইতে চালাইতে কল্পনায় দেহি,
উওরমূখী বারান্দায় বইয়া,
শ্বাশুড়ী বেটির পাকা চুলে ঘাইসা দিচ্ছেন গন্ধরাজের তৈল;
দু’চোখ ভইরা দেহি পরাণে শান্তি পাই,
আন্নের সুখ-আহ্লাদ দ্যাহার তৈফিক দিয়া মাবুদ আমারে ভূবনে পাঠাইছে।

বাপের বাড়ী নাইওর আইলিপরে,
আমাগো ঘরের ভাঙা জানালা দিয়া উঁকি মাইরা দ্যাহেন, ঘরে বিবি-বাচ্চা কেউ নাই;
কামলাডায় আগের লাহান ছেড়া চাদর জড়াইয়া চিৎ অইয়া শুইয়া রইছে!
আপনার আমার পুরাইনা কথা গুলান মনে অইলে,
আসমানের দিকে চাইয়া বিড়বিড় কইরা কই;
কামলার হাতে কাঁচি ধরাইয়া দিয়া ধানক্ষেতে পাঠান যায়,
আঁচল দিয়া ঘাম মুইচা দেওন যায়,
ভালবাইসা আদরও করান যায়;
দেড়শো টাকা হাজিরা বইলা বিয়া করান যায় না।

১৭১১জন ১৬০০জন

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ