কোথায় ছিলে এতো দিন?
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে পা ধরে এলো যে,
চলো চলো একসাথে এ বেলায় যাই, ঐ ও বেলার কাছে।
চকিতে সুযোগের বখাটেপনায় ভাগ বসাতাম
‘যাহ দুষ্টু’ শোনার জন্য, আবছা অন্ধকারে টেনে নিয়ে।
রাত্রির শেষ প্রহরে খুঁটে খাই দু’দানা শস্য, খুঁজি জলে ভাসা মুক্তো, দূষন রাত্রির পাষাণ ভার নেমে গেছে আজ, জ্বর নেই, নেই জলপট্টির ভেঁজা ভাব; তরতাজা শরীরে কাক স্নানের চড়ুই সঙ্গম চাই না, চাই সর্পশৃঙ্খলে ঝর্ণার গভীরতর অবগাহন, অসমাপ্ত ধূসর ধ্বনির কাক ডাকা ভোর এলো বলে,
চলো, পলায়ে যাই, স্পন্দিত আতরগন্ধা বুক বেয়ে,
ছোঁয়াদের সাথে আড়ি রাখছি না আর, এ বেলার এই দুষ্টু আঁধারে!!!!!
৪১টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
মন্তব্য করতে এসে মন্তব্য করার ভয়ে আবার আমি ফিরে গিয়েছিলাম। কি বলতে কি বলে ফেলি তখন যদি লেখক মহাশয় রেগে গিয়ে আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়ে আমার হৃদয় ভেেঙ দেন। কিন্তু আবার ফিরে এলাম শুধু এই কথা টা জানতে যে,
আচ্ছা ভাইয়া “যাহ দুষ্টু ” এই কথাটি বলার জন্য আপনি রাতের আধার কে বেছে নিয়েছিলেন কেন?????? ;?
অরুনি মায়া
স্যরি বলার জন্য হবেনা। হবে শোনার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে পেরেছি।
ছাইরাছ হেলাল
এ ভাবে বেমাক্কা প্রশ্ন করে বেকায়দায় ফেলা ঠিক না।
একটু আড়াল না হলে এমন কথা আমরা কি আদৌ শুনতে পাই?
আর, লেখায় একটু-আধটু ভাব আনতে কথার ভাব- চক্কোরের দরকার পরেই।
আপনার লৌহ জালিকা হৃদয়ের অক্ষুন্নতা অবশ্যই বজায় থাকবে।
আপনি এগিয়ে চলুন।
অরুনি মায়া
জীবনের এতটা পথ পার হবার পর আজ একটা বিষয় আমার বুঝে এসেছে তা হল প্রশ্ন সরাসরি করাই ভাল,,,, মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখলেই জড়তা চলে আসে,,,
ছাইরাছ হেলাল
লুকোনোতে লাভ নেই, তাও বুঝে ফেলেছেন?
অরুনি মায়া
গোপনে আফসোস করার চাইতে “যো হোগা দেখা যায়েগা” এই মনোভাব নিয়ে চলি সেই ভাল। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আফসোস করবো না!!!
আচ্ছা।
ব্লগার সজীব
আহ্বানে ভয় না পায় আপনার ভোর।
ছাইরাছ হেলাল
ভয়হীন ভাবে পলায়ে যাওয়ার ডাক তো দেয়াই আছে।
আজকাল আর কেউ ভয় পায় না। সবাই বীরাপ্পন।
ইমন
আসেন কিছু চমৎকার রোমান্টিক শব্দের সাথে পরিচিত হই: ” সুযোগের বখাটেপনায় ” ” চড়ুই সঙ্গম ”
” সর্পশৃঙ্খলে ঝর্ণার গভীরতর অবগাহন ” ” স্পন্দিত আতরগন্ধা বুক ” \|/
ইয়ে মানে আমি ছোটো মানুষতো তাই এমন রোমান্টিক কবিতা বেশি বেশি চাঁই 😀
ছাইরাছ হেলাল
মানুষ ছোট তাই বুঝি!
এগুলো ছাড়াও এখানে অনেকগুলো শব্দ আছে, সে দিকেও নজর রাখুন।
কি ডিজিটাল জামানা এলোরে বাবা।
ইমন
\|/
জিসান শা ইকরাম
কবি মনে কত কথা বলে যায়।
ভালো লেগেছে কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
আউল-ফাউল ভাবনা ও ভাবনা।
ফেলে দেয়া ঠিক না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
দারুণ -{@
চলো, পলায়ে যাই, স্পন্দিত আতরগন্ধা বুক বেয়ে,
ছাইরাছ হেলাল
পালাতে পারলে মন্দ হোত না।
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার পোস্ট পড়ে পরে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় :p
ছাইরাছ হেলাল
পরে কেন এখুনি পালিয়ে যেতে পারেন,তবে পলায়ে যেতে হবে।
নীতেশ বড়ুয়া
আহা পালাতে হলে তো আপনার পোস্ট সাথে লাগবে নিয়মিতো 😀
শুন্য শুন্যালয়
কিছু কি পেলেন? গভীরতর অবগাহনে কখনো সবকিছু শুন্য মনে হয়। আপনার শব্দ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, জমা করেছি অনেককিছু নিয়ে। লেখা ছুঁতে গিয়ে আড়ি চলেই আসে, সে আপনি যতই আড়ি না রাখুন। এমন করে সর্পশৃংখলে আঁটকে থাকুন, তা চাইনা। আপনি ভালোবেসে মরে গেলে আমাদের কি হবে? একান্ত অনুভূতি কই পামু? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়া, আড়ি আপনি দিতেই পারেন, তবে তা ঠিক হবে কিনা অবশ্যই ভাবতে হবে।
আমরা কিন্তু অনেক কিছুই পেতে চাই, সব না পেলেও, তবে চেষ্টা কিন্তু জারি রাখতেই হয়।
আপাদের রেখে মরিতে পারিব না, আপনাদের জন্যই বেঁচে আছি,থাকিও।
লীলাবতী
যেথাই ছিলো তা জিজ্ঞেস করে এই রকম সুন্দর মুহুর্ত নষ্ট করা উচিৎ না।যেই আসুক তাকে এবার শৃঙ্খলিত করতেই হবে 🙂 কিছু কবিতায় মিল দেখতে পাচ্ছি। সাবধান হয়ে যান।পাহাড়েরও কান আছে :p (ঝড়ে বক মারার অপচেষ্টা)
ছাইরাছ হেলাল
কিছু কিছু মিল আছে বলেই আমরা মিলি, মিলাবে মিলিবে সিস্টেম আরকি।
শৃঙ্খলিত আমরা হতেই চাই। পারছি কই?
সাবধান হতেই হবে, পাহাড় সামলানো কঠিন কাজ।
আপনাকে আজকাল দেখ যাচ্ছে না ভত্তাবতী।
ঐ ঐ দিকে খুব ব্যস্ত নাকি!!
লীলাবতী
এই তো আছি,ভত্তা বানাই,খিচুরি খাই।ভাবছি এবার খিচুরি নিয়ে কিছু লিখবো।সবাই সব কিছু নিয়ে লিখছে, খিচুরি নিয়ে কেউ কিছুই লিখলো না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দেরি কেন, আমাদের তো তর সইছে না,
শুরু করে দিন।
মিথুন
ভাইয়া এখানে বড়দের কোন কথা লেখা আছে নাকি?আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।বুঝতে হলে বড় হতে হবে মনে হচ্ছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো ছোট মানুষ, ছোট ছোট ভাবনা,
ও আপনি বুঝি বড় বড় ভাবছেন? আমি তো কিছুই পাচ্ছি না,
একটু ধরিয়ে দিলে ভালো হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এ কয়দিন আসা হয়নি ব্লগে আবারও কঠিন করে শুরু করেছেন লেখা? ভাইগো আপনাকে আর কিভাবে বোঝাই,
আমি খুবই অশিক্ষিত এসব কবিতার ব্যাপারে? এতো ধৈর্য নেই যে বহুবার পড়বো(কয়েকবার পড়া অবশ্য হয়ে গেছে), পড়লেও মনে হয়না পাশ করবো। যাক ওই নামেই বলি কাক ডাকা ভোরের সাথে যোগাযোগ নেই সে বহু বছর চা’ বাগান ছাড়ার পর। আর কিছু বলতে পারছি না।
তবে কিছু শব্দ দেখে আপনার চরিত্র তো সুবিধার মনে হচ্ছে না! ;?
কবিতা নাকি মনের কথা বলে! ;? বলবেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি মুরুব্বী মানুষ, এ সব কী বলছেন ভাই?
তবে সঙ্গ দোষে যা হয়, চরিত্র আর ফুলের মত রইলো না।
মনে হয় আপনি না আসাতেই লেখার এই হাল,
একটু নিয়মিত হোন প্লিজ, জাতি বাঁচতে চায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
মুরুব্বী বলতে!!! নিজেকে কি ভাবেন কিশোর নাকি তরুণ?
আর সঙ্গ-দোষ বলতে কি বোঝায়? কার সাথে মিশছেন? আমার তো মনে হয় আপনি যার সাথে মিশবেন
তার চরিত্রেরই বারোটা বাজবে।
আমার জন্যে লেখার এমন অবস্থা!!! তা নইলে এভাবে বন-বেড়ালেরও চাষ কেউ করে? জম্মেও শুনি নাই।
যাক তাহলে তো আসতেই হয়!
ছাইরাছ হেলাল
মুরুব্বীকে তো মুরুব্বীই বলতে হয়।
আমি যুবক মানুষ মাত্র।
আমি যাদের সাথে মিশি তাদের চরিত্র নামক দূর্লভ বস্তুর অস্তিত্ব আছে কিনা আমি নিজেও সন্দিহান।
আপনি?
আপনি এলে উকুনের চাষ হবে তা আমি নিশ্চিত।
উকুন চাষে স্বাগতম।
নীলাঞ্জনা নীলা
যাক ব্লগে অবশেষে আপনাকে পাওয়া গেলো। আজকাল লেখা দিয়েই উধাও। কোথায় থাকেন বলুন তো?
যুবক কি বলছেন! আপনি তো সদ্য তরুণ। প্রেম করার সঠিক বয়স। যাক কবিতার মানে বুঝিয়ে দিন। উকুন চাষ নিয়ে ভাবতে হবেনা।
জিসান শা ইকরাম
আপনার আশার ভোর যদি হইতে পার্তাম গিবনটা ধন্য হইয়া যাইত 🙂
আমার এই গিবনে আর ভোর হওয়া হইত না
আমি কি এই গিবন চাইছিলাম? 😀
ছাইরাছ হেলাল
এ কঠিন কাজে না যাওয়াই উত্তম।
খুপ কঠিন।
মেহেরী তাজ
;? মাঝে মাঝে ব্লগে আমার না আসা হলেই কিছু লেখা আর বুঝতে পারি না। মানে বোঝারর ছন্দপতন হয় আর কি।
আমার কি হবে??? :'(
ছাইরাছ হেলাল
অনুপস্থিতির জন্য অবশ্যই শাস্তি পাওনা হয়েছে।
অতি দ্রুত লেখা দিয়ে দিন, সব মেঘ কেটে যাবে।
মেহেরী তাজ
দিয়েছি ভাইয়া। দেখি কবে মেঘ কাটে!
ছাইরাছ হেলাল
মেঘ এবার পালিয়ে বাঁচবে।
অরুনি মায়া
অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা | আগেও পড়েছি আবারো পড়লাম | প্রিয়তে নিলাম | যাবার আগে অফুটন্ত ভালবাসা রেখে গেলাম (3
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কোন লেখা না।
তবুও নিচ্ছেন জেনে আনন্দিত।