আমাদের কল্পনায় থাকা বিষয়, আর বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্যে ব্যপক অমিল বিদ্যমান। কল্পনাটা কল্পনায় থেকে যায়,আর বাস্তবে ঘটে যায় যা হওয়ার ছিলো। কিন্তু কল্পনার রেশ তখনও আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। তাই পরিশেষে আমরা বলি, সবকিছুতে কপাল লাগে বুজলা!
—
ছোটবেলায় আমাদের কল্পনায় থাকে বাবার অনেক টাকা থাকবে,একটা গাড়ি থাকবে,চাওয়া মাত্র সব পাওয়া যাবে,এমন একটা ছোটবেলা আমাদের কল্পনায়। আর বাস্তবে, বই পড়,এ ছাড়া কোন উপায় নাই।
—
যত বড় হই ততো চাহিদা বারতে থাকে আমাদের। রাতে ভাবি, কোনমতো মেডিকেলে চান্সটা নেই খালি,তারপর আর কিছু লাগবে না। কিন্তু বাস্তবে, তারপর দিন সকালে,ধুর এই মেডিকেল আমার দ্বারা হবে না, এতো পড়া যায় নাকি।
—
বইয়ের টেবিলে বই সামনে রাখে কল্পনায় ভাবছে, এ প্লাস তো পাবো, কিন্তু গোল্ডেনটা যদি খালি মিস হয়! তারপর দিন বাস্তবে ক্লাসরুমে, বইটাই তো এখনো খুলে দেখি নি,প্রথম অধ্যায়ের নাম কি যেন?
—
কল্পনায় ভাবছে, ভালো একটা পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পায়ে প্রতি মাসে টিউশনি করে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করবো, জীবন সুন্দর চলবে। কিন্তু বাস্তবে, ওরে আল্লাহ, একটা ইউনিটে ১ লাখ পরিক্ষা দিবে আর সিট মাত্র ২ হাজার, আমার দ্বারা চান্স পাওয়া সম্ভব নয়।
—
এসবের প্রধান কারন হলো, আমরা বাস্তবে কাল্পনিক। কথাটা একটু অন্যরকম লাগলেও এটাই সত্য। বাস্তবতা অনেক কঠিন, এই কথাটাও আমরা কল্পনায় থাকা অবস্থায় বলি। আর যারা বাস্তবে সফল হয়েছে তাদের সফলতার পিছনে সবই কল্পনা। কেন জানেন? সফল হওয়ার পর তারা বলে,আমি প্রতিদিন রাতে ভাবতাম এটা কিভাবে হলো,সারাদিন কি করলাম,কিন্তু এই ভাবতাম শব্দটার কারনেই যে তারা আজ পিছিয়ে সেটা তারা বুজছে না।
—
আমাদের কল্পনা থেকে বেরিয়া আসতে হবে। নিজেদের কাল্পনিক না করে, বাস্তবিক করে তুলতে হবে। কল্পনায় সব হওয়া যায়, কিন্তু কেউ তা জানতে পারে না,আর সেটা জানানোর জন্য বাস্তবতার সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু বাস্তবতার কাছে এই সাহায্যটাও আমরাও কল্পনায় নেই। এতো কিছুর বলার পর মনে হতে পারে, আমি হয়তো বাস্তবিক,”হাহা”, এই লেখাটাও আমি কল্পনায় নোবেল বিজয়ী লেখা ভেবে লিখতেছি।
[ সফল হতে হবে না,বাস্তবিক হয়ে উঠুন, সফলতা এমনি আসবে ]
৬টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
এসবের প্রধান কারন হলো, আমরা বাস্তবে কাল্পনিক। কথাটা একটু অন্যরকম লাগলেও এটাই সত্য। বাস্তবতা অনেক কঠিন, এই কথাটাও আমরা কল্পনায় থাকা অবস্থায় বলি।
কথাগুলি সত্য-
তবে চাঁদ নিয়ে সমস্ত কল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছিলো নীল আর্মষ্ট্রং এর চাঁদের পৃষ্ঠে পা রাখার মধ্য দিয়ে।
কি জানি- অথৈ নীল জলের শেষে কলম্বাস হয়তো একটুকরো মাটির কল্পনা করতেন, খুঁজে পেলেন আমেরিকা।
হবে হয়তো- নিজের নিজের সামর্থ আর কর্মের সাথে আনুপাতিক কল্পনা একদা বাস্তবায়ন যোগ্য।
আসলে আমি অতটা গভীরে বুঝিনা, তবে চমৎকার লিখেছেন আপনি।
অশেষ শুভেচ্ছা ভাইজান।
সুরাইয়া পারভিন
সফল হতে হবে না,বাস্তবিক হয়ে উঠুন, সফলতা এমনি আসবে,,,,একদম সঠিক।
কল্পনায় না ভেসে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে তবেই সফলতা আসবে।
সুন্দর প্রকাশ
ছাইরাছ হেলাল
এই তো আপনি কল্পনায় বাস্তবিক হচ্ছেন!
কল্পনা আমাদের লাগবেই। মিলে গেলে সব ঠিক, বেমিল হলেই সব ভজঘট!
আপনার লেখার তারিফ করতেই হচ্ছে।
তৌহিদ
চিন্তা করার জন্য কল্পনা করতেই হবে তবে তা যেন অলীক না হয় সেটাই লক্ষ্যনীয়। কল্পনাবিলাসী না হলে কাজ করবো কিভাবে? সাথে বাস্তবতার মিশেল জরুরী।
ভালো লিখেছেন ভাই।
আরজু মুক্তা
কল্পনা আর সেই লক্ষে এগিয়ে যাওয়া।
সফলতা আসবেই।
সঞ্জয় মালাকার
কল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাবে সাফল্যের পথে, শুভ কামনা দাদা।