সময় সময় দেশে যখন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতো, সেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তখন সরকার আন্তরিকতার সাথে সেসব ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্নরকম ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যেতো। সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন, চাল, ডাল, তেল, লবণ-সহ নানারকম খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতো। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন-সহ দেশের বিত্তবান, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন সমাজসেবী ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতো। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা খুব তাড়াতাড়ি সংকটময় সময় থেকে সেরে ওঠতে পারে। মহান সৃষ্টিকর্তা না করুক- এখনও যদি এদেশে কোনও প্রাকৃতিক ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডোর মতন এমন দুর্যোগ দেখা দেয়, তাহলে কিন্তু সরকার হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবে না। শত সমস্যার মাঝেও সরকার দুর্যোগ মোকাবিলা করা-সহ দেশের জনগণকে বাঁচাতে এগিয়ে যাবে। এটাই কিন্তু সব দেশের সরকারের দ্বায়িত্ব কর্তব্য।
বর্তমানে মহান সৃষ্টিকর্তার দয়ায় আমাদের দেশে সেসব ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডোর মতন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়নি। তবে ইদানিংকালে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে যেই মরণঘাতী করোনা ভাইরাস দেখা দিয়েছে, সেটা এখন আমাদের দেশেও মহামারি আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। বর্তমানে এটাও আমাদের জন্য একরকম দুর্যোগ। এই দুর্যোগের কবলে পড়ে সারাবিশ্বের সব দেশের মতো আমারও কাবু হয়ে যাচ্ছি। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩৫জন। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
বর্তমানে আমাদের দেশের সরকার এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে এবং দেশের জনসাধারণকে এই রোগ থেকে বাঁচাতে নানারকম পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি রোগ বিশেষজ্ঞ-সহ চিকিৎকরাও নানারকম পরামর্শ দিচ্ছে। যাতে সচেতনতার সাথে ধৈর্যসহকারে খুব তাড়াতাড়ি এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস কেভিড-১৯ রোগ প্রতিহত করা যায়।
কিন্তু দুঃখের কথা দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, এর আগে আমাদের দেশে যখন কোনও দুর্যোগ দেখা দিতো; তখন সরকারের আদর- সোহাগ ভালোবাসা পাবার জন্য দেশের অনেক জননেতা, জননেত্রী ব্যানার টানিয়ে দুর্যোগ এলাকায় পরিদর্শন করতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করতো। পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট সমাজসেবকরাও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে নিজ নিজ তহবিল থেকে নানারকম সাহায্য করতো। অনেকেই দিতো নানারকম খাদ্যসামগ্রী।
কিন্তু বর্তমান এই সংকটময় সময়ে দেশের নির্বাচিত সরকারও এদেশের গরিব মানুষদের নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য কোনও প্রয়োজনীয় উপকরণ সাহায্য করছে না। এই সংকটময় সময়ে দেখা যাচ্ছে না এদেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিত্তবানদের। শোনা যাচ্ছে না যে, সরকার বিনামূল্যে এটা দিচ্ছে। এই নেতায় ওটা দিচ্ছে। সেই নেতায় সেটা দিচ্ছে। কই, কেউ তো এখন পর্যন্ত কোনও জায়গায় গিয়ে কাউকে একটি মাস্কও কারোর হাতে তুলে দেয়নি? বরং ক্ষমতার আসনে বসে বসে বড় বড়ে বুলি ছেড়ে বলছে, “আমাদের সরকার করোনা ভাইরাসের চেয়েও শক্তিশালী!” আবার কেউ বলছে, “করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমেরিকা-ইতালির চেয়ে আমরা বেশি সফল।” তাঁদের এসব বড় বড় বুলি আমরা সাধারণ জনগণ ভক্তিভরে শ্রবণ করছি, আর করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে মরছি।
এই সংকটময় সময়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, তাঁরা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, ব্যবসায়ীরা, সমাজসেবকরা মানবাধিকারের মহান মানবগোষ্ঠীরা এখন কোথাও? তাঁরা কি নভেল করোনা ভাইরাসের ভয়ে হাতপা গুটিয়ে ঘরবন্দী হয়ে বসে আছে? সরকারের পাশাপাশি তাঁরা কি পারে না জায়গায় জায়গায় গিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য কিছু প্রতিরোধক উপকরণ এদেশের জনগণের হাতে তুলে দিতে? যেখানে এদেশে শীত মৌসুমে সামান্য শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলে কত নামীদামী ব্যক্তিবর্গ ছোঁড়া-ফাঁড়া কিছু কম্বল বিতরণ করার জন্য মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল, আজ দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে তাঁরা হাতপা গুটিয়ে ঘরে বসে বসে করোনা ভাইরাসের ভয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করুণা চেয়ে চেয়ে মরছে।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, তা-হলো আপনারা বিত্তবান বিত্তশালীরা নিজ ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যাদি মজুদ করে ঘরেই বসে থাকুক! তামশা দেখুন! আর বসে বসে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন, যাতে আমরা এদেশের গরিব মানুষেরা করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে আপনাদের বাঁচতে পারি।
মনে রাখবেন এদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ-সহ বিত্তবান ব্যক্তিরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর মহামারি রোগ কোনও দেশের ধর্ম, বর্ণ, জনগোষ্ঠীর নির্ধারিত হয়ে জন্য আসে না। যখন আসে তো ধনী গরিব সবাইকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। বর্তমান সময়ের এই মহামারি করোনা ভাইরাসও কিন্তু গরিব মানুষদের জন্য নির্ধারিত নয়। এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছে সারাবিশ্বের মতন এদেশের সবাই।
তাহলে আপনারা এদেশের গরিব মানুষকে এমন সংকটময় সময়ে সাহায্য সহযোগিতা না করে; প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের ভয়ে ঘরে বসে যতই মহান সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন-না-কেন– মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে এদেশের গরিব মানুষেরাই মুক্তি পাবে। হয়তো আপনারই এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, তা যেন না হয়! মহান সৃষ্টিকর্তা যেন এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করে। মহান স্রষ্টা সবার সহায় হোক!
১৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
দাদা যদিও কাম্য নয় কিন্তু বাস্তবতা কিন্তু তাই বলছে-বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত বা মৃত প্রায় সবায় কিন্তু উচ্চবিত্তই যারা এসিতে থাকেন সৌখিন বিলাসীতা করেন।বস্তির কেউ কিন্তু শুনিনি আক্রান্ত হয়েছেন।স্রষ্টা সবাইকে এই বিপদ হতে মাফ করুক আর ধনীদের বোধদয় ঘটুক।
নিতাই বাবু
এই সময়ে মনে খুব কষ্ট নিয়ে এই লেখাটা লিখলাম, দাদা। এখন আর সেসব নেতাদের চোখে সামনে দেখা যায় না। বড় বড় বিত্তশালীরা একসময় ট্রাক ভর্তি করে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যানার টানিয়ে খাবারদাবার নিয়ে তাঁদের হাতে দিয়েছে। অথচ আজ দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে সেসব হৃদয়বান বিত্তশালীদের দেখাই যায় না। কেউ গরিবদুঃখীদের দশ টাকা দামের একটা মাস্ক নামের নাকের খাপও দেয় না। এই দুখেই এই লেখাটা।
শুভকামনা থাকলো দাদা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
সুপায়ন বড়ুয়া
দাদা স্রষ্টা আমাদের সহায়
মেঘ কেটে যাবে
সোনালী সুর্য উঠবেই।
ভাল থাকবেন।
নিতাই বাবু
এই সময়ে মনে খুব কষ্ট নিয়ে এই লেখাটা লিখলাম, দাদা। এখন আর সেসব নেতাদের চোখে সামনে দেখা যায় না। বড় বড় বিত্তশালীরা একসময় ট্রাক ভর্তি করে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যানার টানিয়ে খাবারদাবার নিয়ে তাঁদের হাতে দিয়েছে। অথচ আজ দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে সেসব হৃদয়বান বিত্তশালীদের দেখাই যায় না। কেউ গরিবদুঃখীদের দশ টাকা দামের একটা মাস্ক নামের নাকের খাপও দেয় না। এই দুখেই এই লেখাটা।
শুভকামনা থাকলো দাদা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
সুপায়ন বড়ুয়া
দাদা কারও জন্য দিন থাকে না বসে
গার্মন্টেসের মেয়েরা নিজেদের জন্য পরিবার পরিজনের জন্য বানিয়ে নিয়েছে। এরপরও মালিকপক্ষ হাত ধুয়ে থার্মাল চেক করে মাস্ক দিয়ে দিচ্ছে। আর ফুটপাতে পর্যাপ্ত। ঔষধের দোকানে নাই। বড়লোকেরা ও ফুটপাত থেকে কিনছে।
ভাল থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
উচ্চ বিত্তরা তামাশাই দেখে নিজেদের আড়ালে রেখে, নেতা কর্মীরা লোক দেখানো কাজ করে । এদের চামড়া মোটা আমরা যতই গলা ফাটাই এরা কিছুই করবে না, হাতেগোনা দু’একজন ছাড়া। ঈশ্বর সহায় হোন, মঙ্গল করুন সবার।
নিতাই বাবু
এই সময়ে মনে খুব কষ্ট নিয়ে এই লেখাটা লিখলাম, দিদি। এখন আর সেসব নেতাদের চোখে সামনে দেখা যায় না। বড় বড় বিত্তশালীরা একসময় ট্রাক ভর্তি করে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যানার টানিয়ে খাবারদাবার নিয়ে তাঁদের হাতে দিয়েছে। অথচ আজ দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে সেসব হৃদয়বান বিত্তশালীদের দেখাই যায় না। কেউ গরিবদুঃখীদের দশ টাকা দামের একটা মাস্ক নামের নাকের খাপও দেয় না। তাঁরা এখন ঘরে বসে বসে নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করুণা চেয়ে চেয়ে মরছে। এই দুখেই এই লেখাটা।
শুভকামনা থাকলো দিদি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
ছাইরাছ হেলাল
ঝড় এলে দেবালয় রক্ষা পায়নি/পাবেনা।
কিছু কিছু সংগঠন ইতমধ্যেই সাহায্য-কাজে নেমে পড়েছে, এটি অবশ্যই আশার বানী।
আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন, নিশ্চয়-ই।
নিতাই বাবু
আমাদের এখানে কোনও এমন কোনও সংগঠন এখনো আবির্ভাব হয়নি, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। কিন্তু অন্য সময় তাঁদের কোনও কাজে পাওয়া না গেলে, দেখা যেতো ঠিকই। তাই আমি সবসময়ই বলে থাকি, এই দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা অসংখ্য গরিব মানুষ। ক’দিন পর আমাদের আর অস্তিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে আগামী দিনগুলোতে ভালো থাকার জন্য শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কিন্তু কেউ থাকেনা, দুর্যোগের পরে সবাই সাহায্যের হাত বাড়ায়। করোনা ভাইরাস জমদুতের মত, নিজের প্রান চলে যেতে পারে, তাই এই মুহুর্তে কেউ এগিয়ে আসছে না। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে সাহায্যের আয়োজন চলছে।
আমি আজ ১২০ টি মাস্ক আমার লেবারদের দিলাম। এমনি অনেকেই করছেন।
করোনা ধনী গরীব দেখছে না, সবাইকেই আক্রমন করছে।
বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
শুভ কামনা দাদা।
নিতাই বাবু
আপনি হৃদয়বান মানুষ, তাই আবেগে দিয়েছেন। আপনার মতন এমন মানুষ তো আমাদের এলাকায় নেই বললেই চলে। একসময় ট্রাক ভর্তি করে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যানার টানিয়ে খাবারদাবার নিয়ে তাঁদের হাতে দিয়েছে। অথচ আজ দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে সেসব হৃদয়বান বিত্তশালীদের দেখাই যায় না। কেউ গরিবদুঃখীদের দশ টাকা দামের একটা মাস্ক নামের নাকের খাপও দেয় না।
শুভকামনা থাকলো দাদা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
ফয়জুল মহী
জয় হোক ভয়ের।
নিতাই বাবু
অবশ্যই আমাদের জয় হবে দাদা। এই যুদ্ধে আমরা গরিব মানুষেরই জয়ী হবো বলে আমি শতভাগ আশাবাদী। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
গত কয়েকদিন থেকে যে জিনিসটা খুব দেখছি এবং অপছন্দ করছি তার মধ্যে একটি হলো মানুষের অত্যাধিক বাজার করা। যেকোনো উৎসবেও বাজার ফেরত এত মানুষ দেখিনি। আরেকটা ব্যাপার হলো, এই কাতারে বৃত্তবান কম মধ্যবিত্ত / নিম্নবৃত্তের সংখ্যাই বেশি। কেউ নিজের সঞ্চিত টাকায় হাত দিয়েছেন, কেউ ধারদেনা করেছেন কেবলমাত্র বাজার করার জন্যে। এটাকে কি বলবো দাদা? পাঁচজনের একটা ফ্যামিলি যখন খাওয়ার জন্যে দুই বস্তা চাল আর দশ লিটার সয়াবিন তেল সহ ছয় মাসের ডাল/ নুন শুকনো আনাজের ব্যবস্থাদি করার পক্ষে থাকেন, তখন কি দোষ শুধু বৃত্তবানদের দেয়া ঠিক হবে? আমি বলবো শুধু বৃত্তবান নয়, বৃত্তহীনদেরও নয়, আমরা আহ্বান করি সবাইকেই। কেউ যেন দূর্যোগের এই সময়ে মজুদদারি না করেন। সরাসরি যারা অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করতে না পারেন বা করতে না চান, করতে হবেনা। জাস্ট অতিরিক্ত কেনাকাটা বন্ধ করলেই অন্যদের অনেক উপকার করা হবে।
আলোকিত আগামীর অপেক্ষায় আমরা সবাই এক হই।
ভালো থাকুন দাদা,
শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
এসব হরিলুট হরি ধ্বনি আমাদের এলাকাতেও হচ্ছে, চলছে দিদি। আজ আমার মেয়েকে ফোনে জিজ্ঞেস করলাম, “ঘরে চাল, ডাল, তেল কী পর্যন্ত আছে?” আমার মেয়ের উত্তর; “বাবা, বাজারে দাম বাড়লে, আর ক’টাকাই বাড়বে? ৩০টাকা মূল্যের পেঁয়াজ এদেশের মানুষ ৩০০টাকা দরেও কিনে খেয়েছে, বাবা। তাই আর এসব নিয়ে ভেবো না। আমরা ভালো আছি।”
তবে হ্যাঁ, আমি আমার লেখায় বিগতদিনের বড়সড় নেতে আর দয়ালু বিত্তবানদের করণীয় অতঃপর বর্তমান সময়ে তাঁদের গাঢাকা নিয়ে লিখেছি। লেখায় প্রকাশ কেরেছি, এখন কেউ এসে কাউকে একটি মাস্কও রিলিফ হিসেবে দিচ্ছে না। শান্তনা তো দূরে-ই কথা। তবে হ্যাঁ, এদেশের এমন ক্লান্তিলগ্নে কারোর কিছু ছাড়াই এদেশের গরিব নামের মানুষগুলো সেরে ওঠতে পারবে বলে মনে হয়। স্রষ্টা সবার সহায় হোক।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
তৌহিদ
একজন মানুষ তার জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেনা এর চেয়ে কস্টের আর কিছু নেই। তবে করোনা ধনীগরীব মানবেনা। তবে দায়িত্বশীলদের উচিত এই দূর্যোগে সকল শ্রমজীবী মানুষদের সাহায্য করা। কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাজার করে ঘরে বসে থাকবে আর কেউ টাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে কাজ করবে তা তো হয়না।
ভালো থাকবেন দাদা।
নিতাই বাবু
আজ বিডিনিউজ২৪-এ একটা খবর পড়লাম। ভারতের এক নির্মাণ শ্রমিক বসে আছে কাজের সন্ধানে। কিন্তু আশেপাশে মানুষজন নেই। এমনি এক সাংবাদিক এসে জিজ্ঞেস করলো, “আপনার মনে কি করোনা ভাইরাসের ভয় নেই?” জবাবে লোকটা বললো, “করোনায় আক্রমণের আগেই আমরা মরে যাবো। কারণ কাজ না করলে ঘরে খাবার নেই!”
দাদা, এরকম আমাদের দেশেও অনেক দরিদ্রমানুষ আছে। যাঁরা দিনে আনে, দিনে খায়! আমি কিন্তু তাঁদেরই একজন। তাই আমি আগামী কয়েকদিনের কথাই ভাবছি, দাদা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমি নিজেই বেকার হয়ে যাচ্ছি। তখন আমিও কোমড়ে গামছা বেঁধে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবো, কাজের আশায়।
শুভকামনা থাকলো দাদা।
এস.জেড বাবু
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
আমি জানিনা এই বানান সঠিক কি না, তবে
১। সমকালীন সরকারের বেশিভাগ মন্ত্রী বক্তব্য দিতে যেয়ে লাগামহীন (অতি আবেগী)
২। দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠিত কিছু প্রতিষ্ঠান- দান / সহযোগিতা করতে গিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
সরকারের উচিত ঠান্ডা মাথায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান/মানুষেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সহয়তা করার মতো মানষিকতা তৈরী করে দেয়া,
নিজেদের ব্যার্থতা/ যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দিহান বক্তব্য না দিয়ে সত্যিটা তুলে ধরা।
অবশ্যই দুই চার মাস পর্যন্ত দেশটাকে এহেন বিপদের মুখে সহয়তা করার মতো পর্যাপ্ত তহবিল- দেশের অভ্যন্তরে সামর্থবান মানুষের কাছ থেকে, সরকার চাইলে ব্যাবস্থা করতে পারে।
আপনার অভিমান আমাদেরও অভিমান-
বোধোদয় হউক সকলের
হালিম নজরুল
চমৎকার সময়োপযোগী লেখা দাদা। দোয়া করি সবাই ভাল থাকুক।