বাহ! প্রস্তুত হও কন্যারা! এবার তোমাদের ঘরবন্দি হতে হবে। চারদিকে সে প্রক্রিয়াই চলছে।
কদিন আগে গাইবান্ধার কুন্দেরপাড়া চরাঞ্চলের একটি মাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুন্দেরপাড়া গণ-উন্নয়ন একাডেমি ভবন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো।
এবার শুনছি, “কিশোরী মোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়” পরিবর্তিত হয়ে “কিশোরী মোহন (বালক) প্রাথমিক বিদ্যালয়” করা হয়েছে!
আপনারা কয়জন এই খবর জেনেছেন? জানেন নি তো? খুব সন্তর্পণে এই কর্মকাণ্ডগুলো চলছে।
শিক্ষানুরাগী দানবীর কিশোরী মোহন মহোদয় কি “বালক” বিদ্যালয় স্থাপন করে গিয়েছিলেন? নাকি তিনি চেয়েছিলেন ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার শিক্ষা। তাহলে কার ইন্দনে একজন শিক্ষানুরাগীর দেয়া প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হলো? তাও আবার নির্দিষ্ট করে “বালক” বিদ্যালয়। এই জীবনে “বালক” প্রাথমিক বিদ্যালয় কোত্থাও দেখিনি। তাহলে কি সিলেট দিয়েই শুরু হল বাংলাদেশে “বালক” প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ?
মেধা বৃত্তি পরীক্ষা-২০১৬ এর ফলাফল।
এখানে খুঁজে দেখতে পারেন, মেধা বৃত্তি পরীক্ষা-২০১৬ এর ফল প্রকাশে “কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর ছাত্রীর নাম আছে। আয়েশা আক্তার পুষ্প (রোল নং ৮৩১)
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কিশোরী মোহন (বালক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের র্যালি।
আর এটা ঠিক বুঝতে পারছি না কবেকার প্রকাশিত তবে ২০১৬ এর শেষদিকের হতে পারে।
৯টি মন্তব্য
নিহারীকা জান্নাত
অশনি সংকেত।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
নিঃসন্দেহে!
শুন্য শুন্যালয়
বীজ অনেক আগেই পোতা হয়েছিল, এখন চারা ফুঁড়ে বের হচ্ছে তাই একটু একটু সবার নজরে পড়ছে। কালে কালে দেখুন আরো কী হয়!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ সব সমাজের আধিপত্ব বিস্তারের প্রভাব।তবে তা মোটেই ঠিক নয়।সব কিছুর মুলে এ দেশের নষ্ট রাজনিতী আর সামাজিক অবক্ষয়।ক্ষমতার পালা বদলে কত কিছুইতো পরিবর্তনের লক্ষ্যে ভাঙ্গচুর হয় তাতে কার কি আসে যায়।সবিইতো সরকারী খরচায় জনগণের পয়সা নেতাদের কি আসে যায়। -{@
ইঞ্জা
কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা শ্বদন্তে ঘিরে ধরেছে এই দেশটাকে আর সরকার তাদের সেলাম ঠুকে চলেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! এখন বালক!!!
কি আমার ডিজিটাল দেশ! আর কি আমার উন্নতি!!!
রুবা’পু এজন্যই তোমাকে ভালো লাগে, কতো না-জানা খবরকে চোখের সামনে নিয়ে এসো। :c (y)
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আপু নতুন করে করা লজ্জা ও অপমান জনক।
তবে আপু বালক বালিকা আলাদা আলাদা আছে।
মৌনতা রিতু
এসব মানা যায় না। কিছু ইন্দুর মাথা চাড়া দিচ্ছে। কেটে কুটে শেষ করে দিবে সব। এই খচ্চরগুলো হচ্ছে রাজনীতির ঘোড়া আর গাধার বাচ্চা।
জিসান শা ইকরাম
এই দেশ নারীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে একদিন,
কোন আশা আর দেখা যাচ্ছে না সোনার দেশ হবার।